আমার জন্ম,পড়াশোনা,বেড়ে উঠা চট্রগ্রামে। পাহাড়,নদী,সাগরের মাঝখানে বেড়ে উঠতে পেরে নিজেকে এখন অনেক ভাগ্যবান মনে হয়। যাই হোক প্রসঙ্গে আসি। কিছুদিন আগে ঢাকায় গিয়েছিলাম চাকরির প্রয়োজনে। সকাল ৬ টায় বাস চিটাগং থেকে ছাড়ল। ঢাকার সায়েদাবাদ গিয়ে নামলাম ১১-৩০ মিনিটে। সময় লাগল ৫-৩০ মিনিট চিটাগং থেকে ঢাকা যেতে। সায়েদাবাদে ফ্লাইওভারের কাজ শুরু হইছে তাই অবস্হা শোচনীয় বললেও কম বলা হয়। সিএনজি,রিকশা যে দুই একটা পেলাম তারাও কেউ কোথাও যেতে রাজিনা। এরা আসলে কেন আছে কে জানে। যাই হক ২০ মিনিট চেষ্টা করে হাটা ধরলাম মতিঝিলের উদ্দেশ্যে। টিটিপাড়ার কাছ এসে একটা রিকশা পেলাম শাপলা চত্বর যেতে রাজি। উঠে চলে এলাম শাপলা চত্বর। প্রচুর গাড়ি ঘোড়া দেখে আশাবাদি হলাম যাক এইবার বোধহয় একটা গতি হবে। যাব গুলশান। ওমা কিসের কি? গাড়ী সব দেখি লোকজনে ভর্তি। সিএনজি,ক্যাবের আশা বাদ দিয়ে বাস খুজতে থাকলাম। একে ওকে জিজ্ঞেস করে জানলাম ৬ নং বাস যায় গুলশান। হা করে দাঁড়িয়ে থাকলাম বাসের আশায়। এইবার ভাগ্য সুপ্রসন্ন।১৫ মিনিটের ভেতর বসার জায়গা আছে এমন একটা বাস পেলাম। লাফ দিয়ে উঠে পড়লাম ইয়া আলী বলে। ভাইরে উঠলাম উঠলাম কিন্তু নামতে কখন পারব তা বোধহয় উপরওয়ালাও জানেনা এইটা বুঝলাম ১০ মিনিটের মধ্যে। সঞ্জিবের গাড়ি চলেনা চলেনা গান মনে পড়ে গেল। ১ ঘন্টা লাগল মতিঝিল থেকে পল্টন আসতে ভায়া গুলিস্হান। যাই হোক বেলা ২-৩০ মিনিটে গিয়ে নামলাম গুলশান এ। ৩ ঘন্টা লাগল সায়েদাবাদ টু গুলশান। প্লাস আমার শরীরের আধা কেজি রক্ত পানি। আল্লাহ তুমি আমাকে এই ঢাকা নামের নরক থেকে হেফাজত কর।