বিজয়ী পতাকা
খোরশেদ আলম (কুয়েত থেকে)
কিছুতে দু চোখ এক করেত পারছিল না অপু। আসাদ স্যারের কথাটা আজ বার বার কানে বাজছে। যে ভাবে হোক আমাদের স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিতে হবে।আজ আসাদ স্যার ক্লাশে বলেছিল কি ভাবে পাকিস্তানিরা আমাদের উপর জুলুম অত্যাচার করেছ।ঢাকা কয়েক হাজার লোক মেরেছে। শিক্ষক থেকে শুরু করে নিরীহ মানুষদের উপর অত্যাচার করেছে।সারা বাংলাদেশে তারা আক্রমন চালিয়েছে।বলেছে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের কথা। ভাষাকে ও তারা কেরে নিতে চেয়ে ছিল। কিন্তু এ দেশের দামাল ছেলেরা বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে ভাষাকে রক্ষা করেছে। তেমিন ভাবে তোমাদের এ দেশকে রক্ষা করেত হবে। সে দায়িত্ব তোমাদের। অপুকে আনমনা দেখে মা রহিমা বেগম বলে, কি রে কি হইয়াছে? ভাত খাবি না। সবাই বসে আছে। অপু মার কথায় বাস্তবে ফিরে আসে। ছেলেকে চুপ থাকতে দেখে আবার বলে কি হইয়াছে! আপু বলে, মা আমি যুদ্ধে যাব।রহিমা বেগম আত্মকে উঠে।বলিস কি! হ্যাঁ মা, আমি যুদ্ধে যাব। আজ স্যার বলেছে আমাদের স্বাধীনতা আামাদেরকেই রক্ষা করতে হবে। আমাকে তোমরা বাধা দিওনা।রহিমা বেগম অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে ছেলের দিকে।এটুকু ছেলে বলে কি। অপু আবারো বলে,আজ যদি আমরা পাকিস্তানী হায়নাদের মোকাবেলা না করি তাহলে কোন দিন মাথা উঁচু কের দাঁড়াতে পারব না।শান্তিতে তোমার বুকে ঘুমাতে পারব না।বাংলার আকাশে কখনো বাজবে না ভাটিয়ালি,লালন,পল্লীগিতি গান।রাখাল বাজাবে না কখোনো বাশি।বল তা কি তুমি চাও!রহিমা বেগম,ছেলেকে বুকে আকড়ি ধরে বলে না বাবা আমি কখনো চাই না। আমি কেন পৃথিবীর কোন মানুষ পরাধীনতা চায় না। অপু বলে তাহলে যে আমাকে যুদ্ধে যেতে হবে মা। রহিমা বেগমের চোখ দিয়ে পানি পরতে থাকে।অপু বলে তুমি কাঁদছ! রহিমা বেগম বলে না বাবা আমি কাঁদছি না। এটা কান্না না,এটা হল বিজয়ী কান্না। আমি দেখতে পাচ্ছি বাংলার আকাশে বিজয়ী পতাকা পত পত করে উঠছে।
[email protected]