আনন্দের দিনে নাকি নিরানন্দের কথা বলতে নেই। হয়ত আসলেই নেই। নাকি আছে?
অজিদের বিপক্ষে ২-০ তে এগিয়ে যাবার পরও তবু ভাবতেই হচ্ছে, করণীয় কাজগুলো ঠিক্ঠাক কতটুকু করতে পেরেছে টাইগাররা।
টি২০ শুধুই মারকাটারী ব্যাটিঙের তান্ডব নয়, একথা সাকিব ছাড়া আর কেইবা জানবে। অথচ ১২১ রান তাড়া করতে গিয়ে, ১৫০ এর উপর স্ট্রাইক রেট নিয়ে এগুতে থাকা সাকিব কেন যে লাইনে না গিয়ে ব্যাট চালালেন সেটার উত্তর হয়ত শুধুমাত্র তার কাছেই আছে।
ঠিক ৬ বল আগে সাকিব ফিরে গেছেন সাজঘরে ঘরে এটা জানার পরও রিয়াদ নিজের উইকেটে টেনে এনেছেন একটা ওয়াইড বলকে। কি দরকার ছিল সেটা করার?
দুই সিনিয়র ব্যাটার আউট হয়ে যাবার পর মেহেদীর উচিৎ ছিল প্ল্যান বি’তে যেয়ে দেখে শুনে কিছুক্ষণ কাটানো। এই – দুইয়ের উপর খেলা। সেটা না করে তিনি উইকেটে থেকে বেরিয়ে যেয়ে ৬ মারতে চাইলেন তখন যখন ৫৩ বলে ৫৫ রান দরকার। এক ইনিংসে চার চারবার জীবন পাওয়ার পর, টি২০তে ২৪ বল খেলা একজন সেট ব্যাটারের ২৩ রানে অকালমৃত্যু বড্ড বেশি বেমানান। অবশ্য তিনি আদৌ সেট ছিলেন কিনা সেটা নিয়েও তর্ক হতে পারে।
ডি এন এ’র মধ্যে শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবার মানসিক সামর্থ প্রায়ই ছোট আর বড় দলের মাঝে পার্থক্য গড়ে দেয়। আর তাই, দু’টো ম্যাচ হাত থেকে বেরিয়ে যাবার পরও অজিরা সিরিজে ফিরতে চাইবে প্রবলভাবে।
অজিদের সাথে দেশের মাটিতে ১-১ এ টেস্ট সিরিজ ড্র হয়ত আমাদের পক্ষে ২-০ ও হতে পারত। সেটা ইতিহাস। তবে, এবার যখন ওদের আবারো বাগে পাওয়া গেছে, কোনভাবেই এই “পোল পজিশন” নষ্ট হতে দেয়া যাবে না। আমাদের উচিৎ হবে ছোট ছোট ভুলগুলো শুধরে আরো শক্তিশালি হয়ে, ক্ষুধার্ত হয়ে, কৌশলী হয়ে পরের ম্যাচে ফিরে আসা। তবেই হবে জয়, সুনিশ্চিত।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ৭:৪৬