অজিতের গায়ের তাপমাত্রা উত্তরোত্তর †বড়েই চলল। ?ান্ডা জনিত †য †কান ব্যাপার নয় তা পরিষ্কার বুঝা †গল আজ। কারণ বিনীতা ডাক্তারী পাস করে এখন নিয়মিত হয়েছে একটি সরকারী হাসপাতালে। বিনিতাই নিশ্চিত করেছে †য, অজিতের এমন কিছু হয়েছে যা মুখ †ফাটে কাউকে বলার সাহস পাচ্ছে না সে। †স এও নিশ্চই জানতে †পরেছে †য, অজিতের অসুখটি প্রাথমিক স্তরে। কিন্তু এমন কিছু ব্যাধি †তা থাকে যার শুরু †থকে †শষ অবধি ফলাফলের †কান পরিবর্তন হয়না। শুরুতেই চূড়ান্ত হয়ে যায় পরিনতি!
অজিতের শরীরে ব্যাথা, গা বমি ভাব আর অরুচি। তাতে কি হয়েছে সচরাচর জ্বর হলে †তা এমনটা হর হামেশাই হয়ে থাকে। তাতে অত ভাবনার বা অবাক হবার কি আছে! তারপরও কিছুতো একটা আছে যাতে অজিত কিছুটা †কŠত’হল আর আশ্চর্য †বাধ করছিল। বিনিতা এসেছে আজ †বশ কদিন হলো। দু’দিন তার ছুটিই ছিল তাই †কান ভাবনা ছিলনা। কিন্তু অজিতের অসুখ †মাটেই ভালর দিকে †নই বলে আরো দু’দিনের ছুটি †ফানে কর্তৃপক্ষের কাছ †থকে আদায় করে নিল। তখনও অজিতের †কান অগ্রগতি না †দখে আরো একবার কর্তৃপক্ষের নিকট ছুটির জন্য অনুনয় করল। অজিত বলল,‘ †স কি, আমার সামান্য জ্বরের অজুহাতে অফিস কামাই করছ। আমার এমন গুরুতর কিছু হয়নি †য, নিজেকে সামলাতে পারছিনা। এমন সাধারন অসুখ বিসুখ ঋতু বদলে প্রায় সবারই টুক?াক হয়ে থাকে। হ্যা স্বীকার করছি †য, তুমি কাছে থাকাতে আমার মুটেও খারাপ লাগছেনা, কিন্তু একজন সাধারন †রাগীর জন্য একাধিককে †সবা †থকে বঞ্চিত করে ভালও লাগছে না? প্লিজ এক্ষুনি বলে দাও তুমি কালই অফিস করছ।
বিনিতা এই দ্বিতীয় বারের মতো ডাক্তার হয়ে এবাড়িতে এসেছে। বছর †দড়েক পূর্বে একটা †রাড এক্সিডেন্টে অজিত পা পায়ে অনেকখানি †চাট †পয়েছিল। তখন বিনিতা আত্মার টানে ক্যাম্পেইন †শষ হওয়ার পূর্বেই ছুটি নিয়ে চলে এসেছিল। তখন তার দ্বিতীয় বর্ষের ফাইনাল এক্সজামিনেশন †শষ হয়ে গিয়েছিল।
বিনিতা বলল, ‘ এ নিয়ে †তামার মাথা খাটাতে হবেনা। যাকে আমি †ফান করেছি তিনি একজন সার্জন। ওর সাথে আমার †বশ জানা †শানা আছে। তাছাড়া অসুখ বিখুখে পরিজনের পাশে থাকাটাও কিছু কম জরুরী নয়।
কর্তৃপক্ষ সদয় হয়েই সেবার পুরো এক সপ্তাহের ছুটি মঞ্জুর করে দিলেন। ?িক এই ব্যাপারটাতেই অজিতের ভাবার মতো কিছু ছিল।
এ বাড়িতে বিনিতার আগমন নতুন নয় বরং †ছলেবেলায় হরহামেশাই আসতো। তারপর ও শহরে চলে †গল। ওখানেই বাবার কাছে থাকে। †লখাপড়া যা, তা ওখানেই। অজিত বিনিতার দূরত্ব হয়তো এতে শতকিলোর †বশি হয়েছিল কিন্তু †টকনোলজি ওদেরকে সর্বদাই কাছে রাখতো। প্রায় প্রতিদিনই ওদের কথা হতো, বার্তা আদান-প্রদান হতো। এ সুযোগটি বিনিতার বাবা বিপুল †চŠধুরী নিজেই তৈরী করে দিয়েছিলেন। তার একটা সংগত কারণও ছিল বটে। বিনিতা জন্মের সময় তার মাকে হারিয়েছিল। একা বিনিতার একজন †খলার সাথীর খুব প্রয়োজন ছিল। তাছাড়া অজিতের মায়ের কাছে †স মাতৃস্নেহ †পয়েছিল। উপরস্তু অজিতের বাবা মনোয়ার আর বিপুল †চŠধুরী একই গ্রামের বাসিন্দাতো বটেই তাঁদের বন্ধুত্ব আজ অবধি অটুট আছে। হয়তো †স কারণেই অকৃতজ্ঞের মতো অজিতের অসুখটাকে এড়িয়ে †যতে পারলনা বিনিতা। ডাক্তার আর নার্সের দুটো কাজই †যন তার উপর বর্তে †গল। তাই †স সর্বদা অজিতকে †চাখে †চাখে রাখতে লাগল। অজিতের কষ্ট †যন সংক্রামিত হয়ে †গল তার মাঝে। কখনো থার্মোমিটারে তাপমাত্রা †দখছে , কখনো পাশে বসে †সাহাগ করে মাথায় হাত রাখছে, কখনো হালকা খাবার এগিয়ে দিয়ে বলছে ‘ খুব কষ্ট হচ্ছে বুঝি? নাও এটুকু †খয়ে নাও। খাবার না †খলে †য শরীর †ভঙ্গে পড়বে, ঔষধ কাজ করবে কি করে?
অজিত বিনীতার কথায়, আশ্বস্ত হয়ে †?াটের †কানে এক টুকরো হাসলো।
‘কি হলো , হাসার মতো কি এমন বললাম?’
‘হাসছি! বলতে পার ক’জনের ভাগ্য এমন রাজ কপালে হয়।’
মানে!
এই †য, সংসার এখনো শুরুই হয়নি অথচ †কমন অবলীলায় সংসারের দায় দায়িত্ব সমস্তই বুঝে নিয়েছ।
তাই ! একটা ফরমালিটিইতো বাকি, †কবল এইটুকুর জন্য সবকিছু আটকে থাকতে পারেনা। তাছাড়া তুমি ভুলে যাচ্ছ †কন †য, আমি পাস করা ডাক্তার। এখন †রাগীরা আমার সংসারের একটি অংশ।
তাইতো!
জান বিনিতা, মানুষ অসুস্থ হলেই তার পুরোনো দিন খুব মনে পড়ে। শুয়ে বসে থাকা ছাড়া আর †কান কাজ থাকেনা †তা তাই। তখন †কবল মনে হয় আজকের দিনটির †চয়ে গত দিনটি সত্যিই খুব ভাল ছিল।
কি মনে পড়ছে †তামার, বল শুনি।
মেডিকেল স্টুডেন্ট হিসেবে †তামার দ্বিতীয় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার প্রস্তুতি চলছে, আমার পায়ে †চাট পাওয়ার মাস তিনেক আগে- অজিত বলতে শুরু করল,‘ হয়তো এমনি †কান সময়ে তুমি তোমার বাবার সাথে এসেছিলে-
বুঝতে পারছি। বিনিতা লাজোক মুখভঙ্গি করল।
আরে †শানই না। অজিত তার বলা থামাল না। মা আমাদের সবাইকে খাবার পরিবেশন করছিলেন। ডাইনিং †টবিলে তুমি আমি একপাশে আর বাবা †তামার বাবাকে নিয়ে একপাশে। †তামার বাবা বললেন, ‘ বিনিতাতো ডাক্তার হয়ে †বরুবে কিন্তু তার জন্য একটা অডাক্তার শিক্ষিত বর †খাজে †বর করতে হবে।
বাবা বললেন,‘ তাতো একদাম ?িক কথা! †ময়ে বড় হয়েছে, কিন্তু অডাক্তার †কন?
কাকা বললেন, ‘ †কননা বিনিতার বরের †তা ডাক্তারি পড়ার সুযোগ হয়নি তাই! তাছাড়া ঘরের সবাইকে একই প্রফেশন নিতে হবে এমন †কান কথা †নই।
বাবা বললেন,‘ তবেতো তুই ছেলে †দখেই †রখেছিস! আমাদেরকে †শানাচ্ছিস †কন এখন।
শুনাচ্ছি! কারণ বর আর বরের বাবা-মায়ের মতামত নেওয়াটাও †তা জরুরী! জানি ওরা আমাকে নিরাশ করবেনা, †স বিশ্বাস আমার আছে!’ †তামার বাবা দৃঢ় মনোবল রাখলেন।
তো, †ন না, †তাকে নিষেধ করছে †ক! বাবার অভিমানী উত্তর। তারপর †তামার বাবা †বশ কিছুটা সময় নিয়েই কথা বললেন। হয়তো বিষয়টা নিজের মনে একটু গুছিয়ে নিলেন।
বিনিতা আর অজিতকে পাশাপাশি †বশ মানিয়েছে! কি বলিস মনু? †কান ভূমিকা না করেই †তামার বাবা বললেন। বিপুল †চŠধুরী অজিতের বাবাকে †সই †ছলেবেলা †থকেই মনু বলে ডাকেন।
মা †তামাকে মাছের মাথাটা তোমার পাতে দিতে যাচ্ছিলেন। হ?াৎ হাতটা প্রচন্ড রকম †কঁপে ও?ল। মাথাটা †টবিলের উপর পড়ে †গল। বাবা, কাকার মুখের দিকে †বাবা হয়ে তাকিয়ে রইলেন। তুমি লজ্জায় লাল হয়ে ও?লে। আমি †বাকার মতো সবার মুখের দিকে তাকাচ্ছিলাম। †তামার বাবা, সহজ সাবলীল ভাবেই আহার †শষ করছিলেন। হ?াৎ বাবা, কথা বলে ও?লেন,‘ †শান বিপুল, ?াট্টা তামাশা যা করার আমাকে আর গিন্নিকে নিয়ে করতে থাক। †ছলে †ময়েদের নিয়ে বুড়ো বয়সে এমন রশিকতা মানায় না!
তোমার বাবা বললেন, ‘ আমি রসিকতা †কন করতে যাব, †তাদের আপুত্তি থাকলে আমি রশিকতা করার †ক!’
‘শোন বিপুল, †সানা কখনো জলে ভাসে না? †তার আছে বলেই ইচ্ছে খুশি †সানার প্রতিমা জলে ডুবাবি †স হবে না!’ আমার বাবা †যন †তামার বাবার গার্ডিয়ান হয়ে শাসাচ্ছিলেন।
‘তুই আমাকে কি বুঝাতে †চষ্টা করছিস মনু, তুই কি জানিস না কাঁচ †থকে কখনো সোনা হয় না, †সানা †থকেই হয়। আমার †ময়েকে যদি †তার কাছে দূর্মূল্য †সানার প্রতিমা মনে হয়, তাহলে †তার †ছলেটিও কম কিছু নয়। †কননা দুস্তি †তা †কবল সমানে সমানে হয়, তাই না? আমি চার বছরেও †যমন বিপুল †চŠধুরী ছিলাম আজও আছি, তুই চার বছরে মুদির †ছলে ছিলে আজও আছিস। কই আমাদের বন্ধুত্বে কি †কান †দয়াল দাড়াতে †পরেছে? নিজেকে †ছাট করার †চষ্টা করছিস, নাকি আমার প্রস্তাবটা এড়িয়ে †যতেই এমনটা বলছিস?
বাবা আর †কান কথা বললেন না, †কবল আমতা আমতা করে চুপ হয়ে †গলেন। একদন্ড নিরবতার পর মা বললেন, ‘কিন্তু দাদা বাবু, বিনিতার †তা নিজস্ব †কান মতামত থাকতে পারে!
‘সে †তা ?িকই বলেছ †বŠদি, কিন্তু †তামার †ছলে †যমন ওর বন্ধু, তুমি †যমন মা, ?িক তেমনি আমি তার বাবা, এমন কিছু থাকলে †কউ না †কউ আভাস †তা একটু †পতামই ! তাই না বিনিতা?
দেখলাম †তামার মুখটা আরক্ত হয়ে ও?েছে। †কান কথা বললে না তুমি।
অনেকটা নিরবতার মাঝেই †যন খাবার পর্ব †শষ হলো। †তামরা অন্য বারের মতো স্বাভাবিক ভাবেই চলে †গলে শহরে। †কবল যাবার আগে আমাদের বাড়িতে তুমি একা এসেছিলে। এই ঘরেই দুজন বসেছিলাম। এই জানালা দিয়ে দিগন্তে সূর্যটার ডুবে যাওয়া †দখে তুমি ইলেকট্রিক বাতির সুইচ টিপেছিলে। সমস্ত ঘরেই আলোর বন্যা বয়ে †গল। আমার মনে একটা †রামাঞ্চ †নচে ও?ল। তুমি আরো সুন্দর, আরো আকর্ষণীয়, আরো প্রণবন্ত হয়ে ও?লে। জানালা দিয়ে মৃদু বাতাস এসে †তামার কুন্তলে †খলা করছিল। কাছে পি?ের †কাথাও হতে বনোফুলে চেনা সুবাস †ভসে †বড়াচ্ছিল তাতে। সমস্ত কিছুর পরও †কাথায় †যন অপূর্ণতা ছিল। †কান একটা ব্যাপর †যন সুকেŠশলে লুকাচিছলে। তুমি আমার †টবিল †থকে ডায়েরীটা নিয়ে, এক †কাণে কলমের ডগাটা দিয়ে যতœ করে ‘বিনিতা’ নামটা †লখলে আমার মনে হলো এটা †তামার বাবার সহমত †পাষনের স্বাক্ষর। আমি আবেগে †রামাঞ্চিত হয়ে ও?ছিলাম। জিজ্ঞেস করলাম,‘ বিনিতা, †তামাকে আমি ভালবাসি কি না জানতে চাইলে না?’ আমার বলায় †কান ভঙ্গী ছিলনা, †কান ভূমিকা ছিলনা, †কান জড়তাও †বাধ হয় ছিল না, যা ছিল তা আমার †দহ মনে একটা কম্পন যার †কান কারণ বিবৃতি করা যায় না।
সেদিন সন্ধ্যায় তুমি খুব †হসেছিলে। বলেছিলে, জানি!
আমি যতটা আশ্চর্য হয়েছিলাম ততটাই নিরবতায় তলিয়ে ছিলাম।
আমার নিরবতা †ভঙ্গে দিয়ে তুমি বললে,‘ †সভেনে পড়া †য অজিত বিনিতাকে ইমপ্রেস করার জন্য গ্রীষ্মকালে উলের †সায়েটার পড়ে সামনে এসে দাড়াতে পারে, এই ভরা বয়সে †স কি করে বিনিতাকে ভাল না বাসার দুঃসাহস করবে?
এক মুহুর্ত দু’জনের †কউ কথা বলিনি। তুমি মুখটিপে হাসছিলে। †তামার †কŠত’কপূর্ণ অপমানে আমি †মাটেও লজ্জাবোধ করিনি, একটু অপ্রস্তুত হয়েছিলাম মাত্র।
প্রায় মাস তিনেক পর আমার পায়ে †চাট †পলাম, তুমি আবার আসলে। এটা †তামার ক্যাম্পেইন চলাকালীন সময়। সবদিন ম্যানেজ করে তাও তুমি আসলে। আমার †দখ ভালের পর চলে †গলে।
কি হলো †তামার! এসবই †তা আমার জানা আছে , আবার নতুন করে †শানানোর কি প্রয়োজন পড়ল। থাক! আর বলতে হবে না। আগে তুমি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে নাও, পরে বলো। বিনিতা অজিতকে থামানোর †চষ্টা করলো।
আহা †শানই না! এই দ্বিতীয়বার তুমি ডাক্তার হয়ে আমার দায়িত্ব নিলে, আমার সমস্ত কিছুকেই †তামার গুরুত্ব †দওয়া উচিত! অজিত অনাগ্রহকে ঝেড়ে †ফলার †চষ্টা করল।
ও তাই! ?িক আছে বল শুনছি।
তারপর তুমি চলে †গলে। যথানিয়মে †তামার আমার †যাগাযোগ চলছিল । তুমি †লখাপড়া নিয়ে অনেক ব্যস্ত হয়ে ও?লে। সময় নিয়ে আর কথা বলা হতো না। কখনো কখনো আমার মনে হতো তুমি বুঝি ইচ্ছে করেই আর সময় দিতে চাইতে না। হতে পারে এটা আমার ভ্রান্ত ধারনা, তবু অনুভুতিটা এমনই হতো আমার। এই সময়টায় আমার সাথে কিছু ঘটনা ঘটে †গল, হয়তো তুমি জান, হয়তো তুমি জাননা। এতোদিন জানানোর প্রয়োজন মনে করিনি কিন্তু তোমাকে না জানিয়েও স্বস্তি পাচ্ছি না।
হ?াৎ †যন বিনিতা অন্যমনস্কের ন্যায় অহেতুক নিজেকে সামলে নিতে গিয়ে †গাল বাঁধিয়ে দিল। †টবিলের উপর †থকে †পপার ওয়েটটা নিতে চাইলে ওটা গড়িয়ে গিয়ে অজিতের মাথার কাছে রাখা পানি ভর্তি মাটির পাত্রটিতে পড়ল। †চাখের পলকেই পাত্রটি †ফাটো হয়ে †ফ্লারটা ভাসিয়ে দিল। বিনিতা পানিটার একটা বিহিত করতেই ব্যস্ত হয়ে †গল।
অজিত †সই শান্ত অথচ দৃঢ় গলায় বলল, ‘ বিনিতা এতটুকু পানি পড়ল, †ফ্লারে তাতে এত ব্যস্ত হওয়ার কি আছে! ওর কিছুটা †ফ্লার চুষে †নবে আর কিছুটা বাষ্প হয়ে ওড়ে যাবে, একটু পরেই সব ?িক?াক আগের মতো হয়ে যাবে কিন্তু জীবনে এমন কিছু হয়ে যায় যা আর †কানদিনও ?িক হয়না।
বিনিতা ফাঁকা দৃষ্টি নিয়ে অজিতের মুখের দিকে তাকাল। এই †চাখে শঙ্কা না সন্দেহ ?িক †বাঝা যায়না। মনে হলো বিনিতার মুখের সমস্ত লাবণ্যই উদাও হয়ে †গছে। ভ্র“তেই একটা ভাঁজ পড়ে †গল। †স অজিতের কাছে সরে এসে বলল, ‘ কি বলবে?’ কথাটা বলেই বিনিতা চমকে ও?ল, নিজের গলাটাই †যন নিজের কাছে অপরিচিত লাগল। কিছু একটা অপরাধ †যন তার গলাটাকে †ভঙ্গে দিয়ে †গছে।
অজিত শুকনো †?াট †টনে একটু হাসল। আবার বলতে শুরু করল, ‘ †তামার সাথে তখন আর নিয়মিত কথা বার্তা †যাগাযোগ হয় না। তুমি বাড়িতে আসনি অনেকদিন। এদিকে প্রায় প্রতিদিনই আমাকে †ফানে একটি †ময়ে প্রপ্রোজ করতে লাগল। ও না কি আমার আদি অন্ত জানে। আমার সাথে †দখাও করতে চায়। আমার বাবা মা †কও †চনে। শিক্ষিত, ভদ্র বলেও মনে হল। কিন্তু অবাক হওয়ার বিষয় কি জান, †ময়েটিকে †মাটেই আমি চিনতাম না। আমি ওকে এড়িয়ে চলতে †চষ্টা করি কিন্তু ও †যন আরো গভীর ভাবে জড়িয়ে †যতে চায়। আমি †ফানের সিমটা বদলে নিলাম। কি আশ্চর্য, †দখলাম †ময়েটা এই নাম্বারটাও †যাগাড় করে †ফলেছে। একদিন ভাবলাম, এতকরে যখন বলছে তখন †দখা করেই †নয়া যাক। মুখোমুখি বসে বুঝিয়ে বললে হয়তো অনেকটা সুবিধাই হবে। অবশ্য হয়েছেও তাই! আমি ওর সাথে †দখা করতে রাজি হলাম। †দখাও করলাম †জলা সদরের ‘নকশী কাঁথা’ †শা-রুমের পাশে খালি জায়গাটায় বসে একটা বই পড়া ছলে আমার জন্য অপেক্ষা করছিল। †ফানে কথা হয়েছিল তাই চিনে নিতে প্রভলেম হলো না। তারপর ‘ফালুদা’ †রষ্টুরেন্টে দু’জন বসলাম। অনেক কথা হলো দুজনের। ওর নাম পুষ্প। বেশ মায়াবী †দখতে। পটল †ছঁড়া †চাখ। টানা ভ্র“। উজ্জ্বল মায়াবী †চহারা। হামিং বার্ডের মতো †দহের গড়ন। কাধে একটা কিউ †জড ব্যান্ডের চামড়ার ব্যাগ।ওর হাতের বইটা †বশ দামি আর চকচকে ছিল। যেন এই মাত্র †দাকান †থকে কিনে নিয়ে এসেছে। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার কি জান! †তামার বুকসেলফের প্রতিটি বইয়ের ওপেনিং সাইডে †যমন সমস্ত পাতা নিয়ে ‘বিনিতা’ লিখে †রখেছ, ?িক †তমনি †লখা †তামার নামটা ওর হাতের বইটাতে লক্ষ্য করলাম। মনে হলো ওটা †তামার হাতের †লখা ছাড়া অন্য কারো হতেই পারে না!
আমি আহত হলাম। কেন জানি মনে হতে লাগল †তামার সাথে ওর একটা †যাগাযোগ আছে তাই আমার †ফানের ব্যালেন্স না থাকার অজুহাত †দখিয়ে তার †ফানটা নিয়ে †তামার নাম্বারটা ডায়াল করলাম। ক্রীনে †তামার নামটি †দখে আমি একদন্ডের জন্য স্তব্দ হয়ে †গলাম। কিন্তু ঘাবড়ে যাইনি। ভাবলাম ও †তামার পরিচিত ?িক, হয়তো আমাদের ব্যাপারে †জনে রসিকতা করতেই †তামার কাছ †থকে নাম্বারটা †যাগাড় করেছে। আমি পুষ্পকে কিছুই বুঝতে দিলাম না। হাসি মুখে বিদায় নিয়ে চলে এলাম। বিনিতা তুমি কি বুঝলে কিছু?
বিনিতার মুখের †থকে †যন একটা রক্ত চুষা দানব এসে সমস্ত রক্তই চুষে নিয়েছে। মরা মানুষের মুখের মতো সাদা †দখাচ্ছে বিনিতার মুখটা। আর আড়ষ্ট একটা চাহনী। অজিত কি বলতে চাচ্ছে তা বিনিতার কাছে পরিষ্কা হয়ে †গছে। Ñবিনিতা, †গাসল করে চারটা †খয়ে নে! অজিতের মা এসে যদি না ডাকতো তাহলে হয়তো অবোধের মতো ঝরঝরিয়ে †কঁদেই †ফলতো বিনিতা। কিন্তু ঘর †থকে †বর হওয়ার আগে বলল,‘ ওকে †তামার পছন্দ হয়নি?’
অজিত স্বাভাবিক গলায় বলল,‘ †স রকম কিছু করার সুয়োগ থাকলে †রাজই মানুষ নতুন নতুন পছন্দকে প্রাধান্য দিতো!’
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫০