মহাকাল স্বাক্ষী, চিরদিন বন্ধুত্ব তোমার আমার;
অসীম ক্ষমতায় তাই সমঅধিকার
ব্যঙ্গ করতো, বহু জনতার ভিড়ে একা হও
সত্যতা পেয়ে যাবে তার।
জেগে যে তোমার নিদ্রার ভান
কতদিন খাটবে এ প্রহসন?
এতো যে দম্ভ তোমার-ক্ষমতার বড়াই
হাতের কব্জি নেড়ে দেখো ক্ষণ
ঘড়ির ক্ষুদ্র কাঁটা কতটা পরিহাসে হাসছে তখন;
তুচ্ছ করে তোমার শান-সোনালি দিন
উপেক্ষিত তোমার কঠোর বাহুবল
অগ্রাহ্য তোমার সিপাহীর সৌর্য-নির্দেশ;
অনায়াসে চোখের পলকের তালে
ছিক্ ছিক্ দিচ্ছে শিস, তুড়িতে তুড়িতে
ঘড়ির কাঁটা, নিয়ত তোমায় করছে পরিশেষ।
ঘড়িটার এমন একরোখা-অবাধ্য স্বভাব;
পারতো রোধ করে দেখাও
তবেতো তোমায় মানব মনিব
বলব, দয়া করো হে প্রভু-করুনা ভিক্ষা করি;
নয়তো এই ব্যবধান অস্বীকারে
চিরকাল গাইব সমতার গানÑ
‘তুমি আমি সমানে সমান’
যদিও বেতশবনে বিচরন আমার
হোকনা প্রমোদ কাননে তোমার।
‘বন্ধু’ বুলিতে ভুলিয়ে বর্বর
প্রতারক পুলকে করছ চরিতার্থ
আপন স্বার্থ অন্তরালে।
এ হীন অমানবিক অন্ধকার-কৃঞ্চপক্ষের রাত
সমুদ্রের গভীরে যে কথা বলে
শবযাত্রীর কফিনের তলে
Ñ ততটা ভয় নয়
‘বন্ধু’ যখন ছলনার শ্রেষ্ঠ শিরোনাম হয়।
হায় বন্ধু, প্রতারনা কি দুঃসহ জ্বালাময়!
জানি ঘড়ির কাঁটায় চড়ে আসবে সময়-আন্ধারময়
গোরস্থানের পথে, তোমার দৈন্য দশা দেখে
সুধাব তোমায়- ‘ধরনীর দিবালোকে
তুমি তবে আমারই মতো নির্বাসিত ছিলে’?