একদিন
বাবুইয়েরা বসতি গড়ে
নারিকেল, তাল আর সুপারির বাগেÑ
মাঘে, বসন্তে Ñবরষার শেষে
ধবল শৈল্পীক মন লুকিয়ে রাখে
বুকের ভিতরে।
বাবুইয়েরা বসতি গড়ে চিরদিনÑ
কঙ্কাবতী, বানুমতি, বেহুলা আর বীরাঙ্গনার দেশ
ভালবেসে। তটে-তল্লাটে ভবঘুরে মেঘের মতন
উড়ে উড়ে বুনে চলে বহুদূর স্বপ্নের জাল।
বাব্ইুয়েরা বসতি গড়ে;
নব দম্পতি হাজার হাজার।
বীজ বুনে প্রজন্ম ধারায়Ñ
শুভ্র চন্দনের জলে ধোয়া ছানার কচি ডানায়,
থলের মতন ঝুলন্ত কারুনীড়ে
নিয়ে আসে জীবনবোধ অফুরান।
কবে যেন পূর্ণি তিথিতে বাবুই দম্পতি
তুলেছিল হৃদয়ের সরোবরে ডুব দিয়ে
এই স্বপ্নের প্রবাল।
বাব্ইুয়েরা বসতি গড়ে
কিষাণ আর কিষাণীর গাঁ’য়।
সোনালী ফসলের ক্ষেতে- বাবুইয়েরা
ধান খায় কূটে কূটে শৈল্পীক ঠোঁটে। তারপর
স্তুতি গায় চাষীদের পূঁজায়;
Ñচিরদিন কৃতজ্ঞ বাব্ইুয়েরা মনিবের পা’য়।
এরপর একদিনÑ
পাপাশক্ত হৃদয় চাষার! নির্দয় ভ্রমে সহসা মজে
নিপতিত পূণ্য যত পাষন্ড হিংসায়,
দৈত্যিক স্থাপনা গড়ে ফসলের ক্ষেতে ক্ষেতে
এক ঝাঁক বাবুই খেতে আসে বলে;
খড়ের পুতুলে পোষাক পড়িয়ে তাই
কাকতাড়–য়া পুঁতে দেয়। Ñমর্তের জল্লাদ!
তীর-ধনুকের সাঁজে নিয়েছে রণাঙ্গনের পাঠ।
স্রষ্টার দুনিয়ায় একাধিপত্যের বাসনা কি তার!
ঘৃণায় এখন আর বাবুইয়েরা মাড়ায়না
পাপী চাষাদের মাঠ।