শীতের মৌসুমি ফল জলপাই। জিভে জল এনে দেয়া টক স্বাদের এই ফলটি আমাদের দেশে খুবই জনপ্রিয়। কাঁচা ফল তো বটেই জলপাইয়ের চাটনি বা আচারও সকলের পছন্দ। জলপাই ফল হিসেবে চমত্কার, তেমনি গুণেও অনন্য। জলপাইয়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা চোখ ওঠা, চোখের পাতায় ইনফেকশন সারাতে সাহায্য করে। ত্বকের ক্ষত দ্রুত সারাতেও জলপাইয়ের জুড়ি নেই। জলপাইয়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস ও ফোলেট যা রক্তের কার্যক্ষমতা বাড়ায়, রক্তকে তরল রাখে ও হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। জলপাইয়ের খাদ্যআঁশ পরিপাক ক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। জলপাইয়ের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করে ও ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি করে।
জলপাই শুধুমাত্র শীতের সময়টাতে পাওয়া গেলেও এটা দিয়ে হরেক রকম আচার তৈরি করা যায়, যা সারা বছর সংরক্ষণ করে খাওয়া যায়। এর মধ্যে একটি হলো নোনা জলপাই। তৈরি করা খুবই সহজ, তাই যে কেউ এটা তৈরি করে ফেলতে পারবেন। রইলো তৈরি পদ্ধতি।
উপকরণ :
জলপাই ১ কেজি,(জলপাইয়ের যে কোনো প্রকারভেদ। দেশে ও দেশের বাইরে যেখানে যা পাওয়া যায়)
লবণ ৩ কেজি,
সরিষার তেল আধা লিটার,
পাঁচফোঁড়ন ১ চা চামচ
প্রস্তুত প্রণালী :
• -জলপাই ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন এবং চিরে নিন।
• -একটি চিনামাটি ছড়ানো পাত্রে লবণ বিছিয়ে দিন। এর ওপর জলপাইগুলো ছড়িয়ে দিন। এরপর জলপাইগুলো লবণ দিয়ে ভালো করে ঢেকে দিন।
• -জলপাইসহ পাত্রটি রোদে দিন ৫-৬ দিন। এর মাঝে দুএকবার জলপাইগুলো উলটেপালটে দিন।
• -রোদে দেয়া হয়ে গেলে জলপাইগুলো লবণ থেকে ঝেড়ে বের করে নিন।
• -এরপর একটি পাত্রে সরিষার তেল গরম করুন। তেল গরম হয়ে এলে এতে পাঁচফোঁড়ন দিয়ে দিন।
• -এরপর এতে জলপাইগুলো দিয়ে নেড়ে দিন। ১০-১২ পর নামিয়ে ফেলুন।
• -ঠান্ডা হয়ে গেলে নোনা জলপাই কাচের বয়ামে তুলে রাখুন।
• তেলের পরিমাণ কম মনে হলে বাড়তি তেল দিতে পারেন। নোনা জলপাই ডুবো তেলে ভালো থাকে। এটা সারা বছর রেখে খেতে পারবেন। মাঝে মাঝে রোদে দিন, এতে আচার ভালো থাকবে এবং স্বাদও বেড়ে যা