بسم الله الرحمن الرحيم
আল্লাহ্ই সকল প্রশংসার প্রকৃত হকদার, অসংখ্য দরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক তাঁর নবীর উপর বারবার।
আমাদের এই মহাবিশ্বের কি কোন শুরু আছে? এই মহাবিশ্ব কি একসময় ছিলোনা? নাকি অনাদি অসীম কাল থেকে এভাবেই চলে আসছে? অনেক পুরোনো প্রশ্ন।কিন্তু জটিল প্রশ্ন। কেননা আমরা নিজেরা অনাদি কাল থেকে ছিলামনা, আবার মহাবিশ্বের সৃষ্টির সময়ও ছিলামনা। তাহলে কিভাবে বলি যে, এই মহাবিশ্বের কোন শুরু আছে কি নাই?একটু চিন্তা করুন। মাথাটা একটু খাটান কিছু সময়। কি, মাথায় কিছু ধরছেনা, তাই না? কিভাবে কি চিন্তা করবেন কিছুই বুঝতে পারছেন না।তবে হতাশ হওয়ার কোন কারণ নেই। কারণ মহাবিশ্ব যিনি সৃষ্টি করেছেন তিনি আমাদের জন্য এর মাঝে এমন কিছু নিদর্শন রেখে দিয়েছেন, যাতে আমরা সহজেই বুঝে নিতে পারি যে, এই মহাবিশ্ব এক সময় ছিলোনা, একে সৃষ্টি করা হয়েছে, একে অনস্তিত্ব থেকে অস্তিত্ব দেয়া হয়েছে।সেসব নিদর্শন দেখে দার্শনিকরা (বিশেষ করে ইমাম গাজ্জালী রহঃ)এই প্রশ্নের সমাধান অনেক আগেই করে গেছেন। কিন্তু দার্শনিকরা সমাধান করে গেলেও, কিছু নাস্তিকের অযথা কূটতর্কের কারণে বর্তমানে অনেকেই সেটা ঠিকমত বুঝতে পারেনা। দার্শনিকদের সেই যুক্তিকে এক জায়গায় সহজ করে বুঝানো হয়েছে। সেখান থেকে এই ব্লগের পাঠকদের জন্য কপি করলাম সাথে কিছু বাড়িয়ে কমিয়ে।নীচের লেখাটি পড়ার আগে আপনি এই প্রশ্নের উত্তর নিজে নিজে দেয়ার জন্য একটু চিন্তা করে নিন, নিজের মাথাটা একটু খাটিয়ে নিন। এতে করে নীচের লেখাটা বুঝা সহজ হবে।
ঘটনা-ক................................................ঘটনা-খ
দেখুন, কেউ যদি আপনাকে বলে যে,"ক" এর অসীম কাল পর "খ"ঘটবে। তাহলে এই কথার কি অর্থ হয়? একটু চন্তা করুন। ঘটনাটি কি ১ কোটি বছর পর ঘটবে? নাকি ১০০ কোটি বছর পর ঘটবে? নাকি ১০০০ কোটি বছর পর ঘটবে? আমরা সবাই সহজেই বুঝতে পারছি যে আসলে "খ" কখনোই ঘটবে না। কেননা এই অসীম কালও কখনো শেষ হবে না, আর "খ"ও কখনো ঘটবে না। ঠিক উল্টোভাবে দেখুন, যদি কেউ বলে যে,"খ" এর অসীম কাল পূর্বে "ক" ঘটেছিলো।তাহলে এই কথার কি অর্থ হয়? চিন্তা করুন, মাথা খাটান। ঘটনাটি কি ১ কোটি বছর আগে ঘটেছে? নাকি ১০০ কোটি বছর আগে ঘটেছে? নাকি ১০০০ কোটি বছর আগে ঘটেছে? নাকি ১ লক্ষ কোটি বছর আগে ঘটেছে? তাহলে এই কথার অর্থও আমরা সহজেই বুঝেতে পারছি যে,'ক' আসলে কখনো ঘটেই নি।অর্থাৎ একটি ঘটনা ঘটবে না অথবা কখনো ঘটেনি এই সহজ কথাটাকে একটু গাণিতিক ভাষায় বললে এভাবে বলবো যে, ঘটনাটি অসীম কাল পরে ঘটবে বা ঘটনাটি অসীম কাল পূর্বে ঘটেছে।
(১) "ক" কখনো ঘটবে না = "ক" অসীম কাল পরে ঘটবে। দুইটা কথা একই।
(২) "ক"কখনো ঘটেনি = "ক" অসীম কাল পূর্বে ঘটেছিলো। এই দুইটা কথাও একই।
((অনেকেই অভিযোগ করেছেন যে তারা ১নং সমীকরণটি বুঝলেও ২নং সমীকরণটি বুঝতে পারছেন না।তাই এই ২নং সমীকরণটি আর একটু ব্যাখ্যা করছিঃ
"ক".............অসীম কাল..............."খ"...........অসীম কাল..........."গ"
এখন দেখুন যদি বলি "খ"এর অসীম কাল পর "গ" ঘটবে তার মানে হলো "গ"কখনো ঘটবে না এতটুকু আমরা সবাই বুঝেছি। ঠিক তেমনি "খ"এর অসীম কাল পূর্বে "ক" ঘটতে পারেনা। কেননা তাহলে এই কথার অর্থ দাঁড়াবে "ক" এর অসীম কাল পর "খ" ঘটেছে, আর এটা যে অসম্ভব তাতো আমরা ১ম সমীকরণ থেকেই বুঝেছি। মোটকথা, দুইটি ঘটনা যদি বাস্তবে ঘটেই থাকে, তাহলে কখনো এই দুটি ঘটনার মাঝে অসীম কালের ব্যবধান থাকতে পারবে না, অবশ্যই একটি ঘটনা, অপর ঘটনার একটি নির্দিষ্ট ও সসীম সময় পর ঘটেছে।কেননা দূ'টি ঘটনার মাঝে যদি অসীম সময়ের ব্যবধান থাকে, তাহলে এই অসীম সময়ও কখনো শেষ হবে না আর পরের ঘটনাটিও কখনো ঘটবে না।)) এখনও যদি না বুঝে থাকেন তাহলেও সমস্যা নাই সামনে অগ্রসর হোন। আর একটা কথা হলো, সময় দিতে হবে,চিন্তা করতে হবে একবার পড়ে না বুঝলে ২৩ বার পড়তে হবে, অস্থির হলে কি হয়। আর ১ম সমীকরণ থেকে কোন মুসলিমের মনে যদি এ প্রশ্ন জাগে যে, তাহলে বেহেশতের জীবন কিভাবে অনন্ত কাল ধরে চলতে থাকবে। তারা ৪নং কমেন্টের জবাব দেখুন।
ধরুন, আপনার কোন বন্ধু আপনার বাসায় আসলে পর আপনি তাকে জিজ্ঞাসা করলেন যে কখন রওয়ানা দিয়েছো।যদি বন্ধু বলে,অসীম কাল পূর্বে, তাহলে এটা অবশ্যই মিথ্যা কথা হবে। কেননা,তাহলে এই অসীম কালও কখনো শেষ হতো না ,আর আপনার বন্ধুরও আপনার বাসায় কখনোই আসা হতোনা।কিন্তু যেহেতু বন্ধু আপনার বাসায় এসেই গেছে সেহেতু অবশ্যই সে একটি নির্দিষ্ট সময়ে রওয়ানা দিয়ে একটি সসীম সময় পরে আপনার বাসায় এসেছে।
আবার ধরুন, একটি ঘটনা "ক" । কেউ যদি বলে "ক" অসীম সংখ্যক ঘটনার পরে ঘটবে তার মানে হলো "ক" কোন দিন ঘটবে না।কেননা অসীম সংখ্যক ঘটনাও কোন দিন ঘটে শেষ হবে না, আর "ক" নামক ঘটনা ঘটার সুযোগও কখনো আসবেনা। অনুরুপভাবে, কেউ যদি বলে "ক" অসীম সংখ্যক ঘটনার পর ঘটেছে; তাহলে সেটা ভুল হবে। কেননা, "ক" এর আগে যদি অসীম সংখ্যক ঘটনাই থাকতো, তাহলে সেই অসীম সংখ্যক ঘটনাও কোনদিন ঘটে শেষ হতো না আর "ক" ও কোনদিন ঘটত না। কিন্তু যেহেতু "ক" ঘটেছে সেহেতু অতি অবশ্যই তা একটি সসীম সংখ্যক ঘটনার পরেই ঘটেছে।
ধরুন, আপনি বাসে উঠার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন, আপনার সামনে যদি ৫০০জন থাকে, তাহলে আপনি ৫০০জনের পরে বাসে উঠার চান্স পাবেন। যদি আপনার সামনে ১০০০ জন থাকে তাহলে আপনি ১০০০জনের পরে বাসে উঠতে পারবেন। কিন্তু যদি আপনার সামনে অসীম সংখ্যক লোকের লাইন থাকে , তাহলে কি আপনার বাসে উঠার পালা কখনো আসবে? না, কখনো আসবে না। কেননা , অসীম সংখ্যক লোকেরও বাসে উঠা শেষ হবেনা, আর আপনারও বাসে উঠার পালা কখনোই আসবেনা। এবার উল্টাভাবে চিন্তা করুন। ধরুন, একটা লোক তার সামনের লোকদের বাসে উঠার পরে সে বাসে উঠেছে। এখন এই লোকটা কত জনের পর উঠেছে? আমরা সবাই বুঝতে পারছি যে, যত জনের পরেই উঠুকনা কেন, সেটার অবশ্যই একটা সীমা আছে। একথা বলা যাবেনা যে, সে অসীম সংখ্যক লোকের পর বাসে উঠেছে। কেননা তার সামনে যদি অসীম সংখ্যক লোকই থাকতো, তাহলেতো সেই অসীম সংখ্যক লোকেরও কোনদিন বাসে উঠা শেষ হতোনা, আর তারও কোনদিন বাসে উঠার পালা আসতনা। কিন্তু যেহেতু তার পালা এসেই গেছে, বাসে যেহেতু সে উঠেই গেছে; এটাই অকাট্য প্রমাণ যে সে সসীম ও নির্দিষ্টসংখ্যক কিছু লোকের পর বাসে উঠেছে।
সুতরাং আমি আশা করি আপনারা আল্লাহ্র দয়ায় নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন যে, আমাদের এই মহাবিশ্বেরও একটা শুরু আছে। কেননা তা নাহলে তো আমাদেরকে ধরতে হবে যে, এই যে আমরা ব্লগিং করছি বা যে কোন ঘটনা এখন মহাবিশ্বে ঘটছে তা অসীম সংখ্যক ঘটনার পরে ঘটেছে বা অসীম সময় পরে ঘটেছে। অথচ মাত্রই আমরা দেখলাম যে, তা একদম অসম্ভব। অতএব একথা অকাট্যভাবে প্রমাণিত হলো যে, এই মহাবিশ্ব এবং যাকে আমরা "সময়" বলি অবশ্যই সেটারও একটা শুরু আছে।তানাহলে তো এখনকার এই মিনিটটি কখনো অস্তিত্বে আসার চান্স পেতোনা। জানি আপনার মাথায় প্রশ্ন জাগতে পারে যে , এর আগে কি ছিলো? উত্তর হলো এর আগে বলে কোন কথা নেই। কারণ সময় তখন সৃষ্টি হয়েছে। তাই ঐ সময় এই আগে-পরে বলে কোন জিনিষই ছিলোনা। কিন্তু আপনার আমার মনে কিন্তু এই প্রশ্ন জাগবেই, কারণ হলো আমরা সময়ের অধীন। সময়ের ঊর্ধ্বে উঠে আমরা চিন্তা করতে পারিনা।উপরে অকাট্য যুক্তির আলোকে প্রমাণ করা হয়েছে যে সময়েরও শুরু আছে।এখন আপনার আমার সময়ের দেয়ালে ঘেরা সীমাবদ্ধ মনে শুধু প্রশ্ন আসার দ্বারা কিন্তু তা খন্ডিত হবেনা। আমার যুক্তি খণ্ডন করতে হলে আপনাকে আমার যুক্তির ভিত্তি খন্ডন করতে হবে। তবে সময়ের যিনি সৃষ্টিকর্তা তিনি সময়ের ঊর্ধ্বে। তার কাছে আগে পরে বলে কিছু নেই। অতীত, ভবিষ্যত ও বর্তমান বলে কিছু নেই। তার কাছে নিকট দূরে বলে কিছু নেই। তিনি স্থান ও সময়ের ঊর্ধ্বে।
যারা দর্শন নিয়ে পড়াশুনা করেছে তারা প্রশ্ন করতে পারে যে,মহাবিশ্বে দুই রকম জিনিষ আছেঃ এক হলো বস্তু, আরেক হলো এই বস্তুরাজির উপর ঘটমান ঘটনা বা নড়াচড়া বা পরিবর্তন। তো আপনি যেই যুক্তি দিলেন এর দ্বারা শুধু মাত্র ঘটনাবলীর শুরু প্রমাণ হয় যে, এই যে আমাদের মহাবিশ্বে এত ঘটনা ঘটছে, এসব ঘটনার একটা শুরু আছে; কিন্তু বস্তু বা পদার্থের শুরু প্রমাণ হয়না। এমনও তো হতে পারে যে,বস্তু ছিলো কিন্তু কোন ঘটনা ছিলোনা অর্থাৎ কোন নড়াচড়া বা পরিবর্তন ছিলোনা। এই প্রশ্নটির আমরা দু'টি জবাব দিবো। তার আগে আসুন আমরা স্থান ও কাল সম্পর্কে মৌলিক ধারণা অর্জন করে নেই।
উপরের চিত্রে দেখুন দু'টি বিন্দু আছে। উভয়টিই কিন্তু বিন্দু। তবে পার্থক্য আছে। উভয়ের মাঝে যে পার্থক্য সেটাকেই আমরা বলি স্থান। উভয়ের মাঝে স্থানের পার্থক্য আছে। A বিন্দুটি এক জায়গায় আর B বিন্দুটি ভিন্ন আরেক জায়গায়।স্থানের এই পার্থক্য না থাকলে তখন আর বিন্দু দু'টি হবেনা বরং বিন্দু হবে একটি।যদি বলি শূন্য মিটার ব্যবধানে ডু'টি বস্তু আছে, এর মানে হলো আসলে একটি বস্তু আছে। এবার এক কাজ করুন, A বিন্দুতে একটি টোকা দিন কলম দিয়ে।দুই সেকেন্ড পর ঠিক আগের মাপেই আর একটি টোকা দিন B বিন্দুতে।কাজ কিন্তু আপনি একটাই করলেন।টোকা দিলেন। তবে পার্থক্য আছে। কিসের পার্থক্য? দুটি পার্থক্য আছে। একটাকে আমরা প্রকাশ করি "স্থান" এই শব্দটি দিয়ে; আরেকটি পার্থক্যকে আমরা প্রকাশ করি "সময়"এই শব্দটি দিয়ে। অর্থাৎ উভয় টোকার মাঝে স্থান ও সময়ের পার্থক্য আছে। এবার শুধু A বিন্দুতে দুই সেকেন্ড ব্যবধানে পর পর দুটি টোকা দিন। এখন শুধু একটি পার্থক্য।সময়ের পার্থক্য।এই পার্থক্যও যদি উঠে যায় তাহলে টোকা আর দুটি থাকবেনা, একটি হয়ে যাবে।আপনি শূন্য সেকেন্ড ব্যবধানে A বিন্দুতে দুটি টোকা দিয়েছেন,এর মানে হলো আপনি আসলে একটি টোকা দিয়েছেন। স্থান ও সময়ের প্রকৃতি কি,এটা নিয়ে আপনি সারা জীবন ব্যয় করলেও কোন লাভ নেই।তাই আমি সেদিকে না গিয়ে আপনাকে দেখালাম স্থান ও সময় আমাদের কি কাজে লাগে সেটা।আমরা স্থান দিয়ে দু'টি বস্তুর মাঝে পার্থক্য করতে পারি,আর সময় দিয়ে দু'টি ঘটনা বা কোন বস্তুর দুটি অবস্থার মাঝে পার্থক্য করতে পারি। যেখানেই অবস্থার পরিবর্তন আছে সেখানেই সময় আছে। এই বস্তুজগতের কোন কিছুর ক্ষেত্রে যখনই আমি পর পর দু'টি অবস্থা স্বীকার করে নিলাম, তখনই আমি অবশ্যম্ভাবীভাবে এটা স্বীকার করে নিলাম যে, ঐ জিনিষটি সময়ের অধীন এবং ঐ দুই অবস্থার মাঝে সময়ের ব্যবধান আছে। আর সময়ের যে একটা শুরু আছে সেটা আমরা আগেই দেখিয়েছি। অতএব এই তামাম বিশ্বজগতের একটা শুরু আছে, বিশ্বজগতকে অনস্তিত্ব থেকে অস্তিত্বে আনা হয়েছে। যিনি অস্তিত্বে এনেছেন তিনিই সৃষ্টিকর্তা।
এবার আসুন আমরা ঐ প্রশ্নের জবাব দু'টি দেখি।
১ম জবাবঃ প্রথমে বলতে হয় যে, এরকম কাল্পনিক কথার উপর ভিত্তি করে প্রশ্ন করলে তো দুনিয়াতে কোন কিছু প্রমাণ করা যাবেনা। প্রশ্ন করার জন্যও তো একটা ভিত লাগবে। এই প্রশ্নটির কোন ভিত্তিই নেই। কেননা স্থায়ী নড়চড়া হীন কোন বস্তু মানুষ দেখেনি, আর স্বাভাবিকভাবে চিন্তা করলে এটাই বুঝা যায় যে, স্থায়ীভাবে নড়াচড়াহীন কোন বস্তু থাকা সম্ভব নয়। বস্তু থাকলেই নড়াচড়া আছে বা হবে আর নড়াচড়া বা ঘটনা থাকলেই বস্তু আছে। এটাই আমাদের চাক্ষুষ পর্যবেক্ষণ।এর বিপরীত কেউ কিছু দাবী করলে, তাকে আগে সেটা প্রমাণ করতে হবে। ঘটনা নাই মানেই হলো কোন বস্তু নাই আর বস্তু নাই মানেই হলো কোন ঘটনা নাই। অতএব ঘটনার শুরু আছে মানেই হলো বস্তুরও শুরু আছে। বস্তু এক সময় ছিলোনা, সৃষ্টিকর্তা বস্তুকে সৃষ্টি করে অস্তিত্ব দিয়েছেন এবং এরপর এই বস্তুরাজির মাঝে বিভিন্ন ঘটনা বা পরিবর্তন বা নড়াচড়া ঘটিয়েই চলেছেন; হোক সেটা সুশৃঙ্খল বা বিশৃঙ্খল।
২য় জবাবঃ আর যদি তর্কের খাতিরে মেনে নেই যে, এমন হতে পারে যে,বস্তু ছিলো কিন্তু কোন ঘটনা ছিলোনা অর্থাৎ কোন নড়াচড়া বা পরিবর্তন ছিলোনা; তাহলে বলুন, বস্তুর মধ্যে নড়াচড়া শুরু হওয়ার আগে বস্তু কতদিন স্থির অবস্থায় ছিলো? কতদিন স্থির থাকার পর বস্তুর মধ্যে নড়াচড়া শুরু হলো? বস্তুর এই দুই অবস্থার মধ্যে ব্যবধান কতদিনের? যদি বলেন, অসীম কাল; তাহলে আমরা আগেই প্রমাণ করে এসেছি যে, অসীম কাল পর কোন ঘটনা ঘটতে পারেনা। আর যদি বলেন সসীম কাল; তাহলে আপনি স্বীকার করে নিলেন যে, বস্তুরাজিরও শুরু আছে।
কিছু তালগাছবাদী লোক এখন খামোখাই তর্ক করবে যে, এগুলোতো দার্শনিক যুক্তি, এসব দিয়ে হবেনা, সাইন্টিফিক প্রমাণ লাগবে। তারা কখনো চিন্তা করে না যে, তাদের এই কথাটার প্রমাণ কি? তাদের এই কথাটারই তো কোণ ধরণের প্রমাণ নাই। শুনেন, আসলে দার্শনিক যুক্তি বলেন আর সাইন্টিফিক প্রমাণ বলেন, ভালো করে চিন্তা করলে দেখবেন যে, উভয়ের মাঝে তেমন কোন পার্থক্য নেই। দুটোই গড়ে উঠে কোন বাস্তব পর্যবেক্ষণকে ভিত্তি করে বা কোন স্বতঃসিদ্ধ ইউনিভার্সাল ট্রুথকে ভিত্তি করে। উপরের যুক্তিটি প্রতিটি মানুষের বাস্তব চর্মচক্ষের পর্যবেক্ষণের উপর ভিত্তি করে দেয়া হয়েছে। এখানে যুক্তিটি কি দার্শনিক না সাইন্টিফিক সেই প্রশ্ন তোলার কোন অবকাশ নেই।
যে পোষ্টের জবাব দিতে গিয়ে আগে এ পোষ্ট দিতে হয়েছে সেই জবাবী পোষ্ট আছে এখানে ক্লিক করুন।
আমার আরো কিছু লেখাঃ
'হিগস' কণা কি আসলেই পাওয়া গেছে, নাকি ভাঁওতাবাজি?
হুজুর (সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর বহু বিবাহ ও বাল্যবিবাহের ব্যাপারে উত্থাপিত আপত্তির পরোক্ষ জবাব।
মায়ের গর্ভে কি আছে, এটা কি শুধু আল্লাহই জানেন নাকি ডাক্তাররাও জানে?
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৪৮