بسم الله الرحمن الرحيم
সকল প্রশংসা মহান আল্লাহ্র। অসংখ্য দরূদ নাযিল হোক তার নবীর উপর বারবার।
হযরত উসমান ইবনে আবুল আস থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এমন এক ব্যাথার অভিযোগ করলেন, যা তিনি ইসলাম গ্রহণ করার পর থেকে অনুভব করছিলেন।((অন্য রেওয়ায়েতে আছে যে,এই ব্যাথা তাকে প্রায় ধ্বংস করে দিচ্ছিল)) তখন রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেন, তোমার শরীরের যেখানে ব্যাথা হচ্ছে সেখানে হাত রাখ এবং তিনবার বিসমিল্লাহ বলো, অতঃপর সাতবার বলোঃ
أَعُوذُ بِاللّهِ وَقُدْرَتِهِ مِنْ شَرِّ مَا أَجِدُ
وَأُحَاذِرُ
এই দোয়াটি আরো বড় ও স্পষ্ট অক্ষরে দেখতে হলে এই লিংকে গিয়ে ৫নং দোয়াটি দেখুন এবং সেই পোষ্টের শুরুর নিয়ম কানুন গুলোও পড়ে নিন।
আর যারা আরবী পড়তে পারেন না তারা এই লিংকে যান।
আমলটি একবার করেই আরোগ্যের জন্য অস্থির হয়ে যাবেন না। আমরা বছরের পর বছর ঔষধ ক্ষেতে পারি, বিরক্ত হই না, হাল ছাড়ি না; আর পাপী মুখ দিয়ে কোন আমল করে চাই একদিনেই ভালো হয়ে যাক।
ধৈর্য ধরুন, আমল চালিয়ে যান , ইনশাল্লাহ উপকার হবে। যেই দোয়াটি দেয়া হয়েছে সেটা নিজে আমল করার ক্ষেত্রে। যদি এমন হয় যে রোগী নিজে আমল করতে পারবে না, তাহলে অন্য কেউ তার ব্যাথার জায়গায় হাত রেখে তিনবার বিসমিল্লাহ বলে দোয়াটি নীচের মত করে পড়ুন।আর খেয়াল রাখবেন অন্য কারো যেই অঙ্গ আপনার জন্য দেখার অনুমতি ইসলামে নাই সেই অঙ্গ স্পর্শ করারও অনুমতি নাই। সেক্ষেত্রে মোটা কাপড়ের উপর দিয়ে হাত রাখতে পারেন।
نَعُوذُ بِاللّهِ وَقُدْرَتِهِ مِنْ شَرِّ مَا نَجِدُ وَنُحَاذِرُ
এইসব আমলের দ্বারা ফায়দা পেতে হলে যদিও কিছু শর্ত রয়েছে, তথাপিও দিলাম ,আল্লাহ্র দয়াতো আর কোন নিয়মের অধীন নয়, আল্লাহ্ পাক যোগ্যতা ছাড়াও দান করতে পারেন( হ্যাঁ আবার দান নাও করতে পারেন। )
আমার আরো দু'টি লেখার লিংক।
যুক্তিবাদী নাস্তিকদের সাথে সংলাপ নামক পোষ্টে নাস্তিকের পাল্টা প্রশ্নের জবাব।
আল্লাহ্র অস্তিত্বঃ আস্তিক ও নাস্তিকের যুক্তিতর্কঃ আমার উপলব্ধি -৩
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৩৭