বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফ এর গুলিতে বাংলাদেশী নিহতের ঘটনা নতুন নয়। বিএসএফ বারবার গুলি বাংলাদেশীদেরই মারে, তার মানে শুধু আমরাই চোরাকারবারী করি, ধরা খাই আর মরি।
সীমান্ত পাড়ি দিয়ে নূর হোসেন এর ভারত যাওয়া, সালহ উদ্দীনকে ভারতে পাওয়ার মানেও কিছুটা তাই। নতুন ও সর্বশেষ আপডেট হলো সাগরে ভাসমান হাজার মানুষ যাদের মাঝে বাংলাদেশী মানুষের সংখ্যাও অনেক। এরা সবাই অবৈধ পথে দেশ ছাড়ছে, গন্তব্য যাই হোক। এদের সবাই চোরাই পথে দেশ ছেড়েছে। হাজার বাংলাদেশী দেশ না ছেড়ে যদি হাজার জঙ্গী বা রণসাজে সজ্জিত শত্রু কোনদিন এভাবে আমাদের দেশে ঢুকে পড়ে তবে অবাক হবার কিছু নেই, কারণ আমাদের সীমান্ত কিছুটা খোলাই বটে। একবার ভেবে দেখুন আসলেই যদি কোনদেশ থেকে হাজার খানেক শত্রু ঢুকে পড়ে তবে আমাদের দষা কী হবে?
ইতিহাস সাক্ষী হাজার নয়, লাখ সৈন্য ঢুকলেও আমাদের দেশ দখল করতে পারবে না, কিন্তু ক্ষতিতো আমাদেরই হবে। মরবে তো আমাদেরই ভাইবোন। তবে কী আমাদের সীমান্ত রক্ষীরা কোন দায়িত্বই পালন করছে না?
বারবার ভারত থেকে দেশে প্রবেসের সময় নিহত মানুষটি বাংলাদেশের হয়, কিন্তু ভারত প্রবেসের সময় কাউকে আটকের খবর পাওয়া যায় না, কেন? নিহতরা কী ভারতে জন্ম নিয়ে বাংলাদেশের নাগরিক হয় না তাদের কাছে কোন আলাদিনের প্রদীপ আছে যা দিয়ে তারা ভারতে যায়। অনেকরই বলতে পারেন, সব খবরই প্রকাশ পায় না। আপনারা ঠিকই বলেছেন, কিন্তু যদি তা ধামা চাপার ব্যবস্থা দেওয়া না হয়।
আমার বাসাও ভারতে সীমান্তে, আমি দেখেছি সেখানে বিজিবি কাউকে ধরলে তিনি টাকা দিয়ে নিজেকে ও ভারতীয় মালামাল ছাড়িয়ে নেন। যার কিছুটা ভাগ এলাকার সাংবাদিকরাও পান, কিছুটা সুবিধা নেতারাও নেন। অধিকাংশ সময়েই ভারতে গমনকারী ব্যক্তিরা জানেন উভয় সীমান্তের কোথায় কখন নীরাপত্বা কম থাকবে। যা অবশ্যই বিজিবি ক্যম্প থেকেই সরবরাহ করা হয়।
এবার আসুন নৌ-পথের ব্যাপারে, এতোজন বাংলাদেশী বিভিন্ন জায়গা থেকে এক নৌকায় জমায়েত হলো, দেশ ছাড়লো আর কেউ জানতেই পারল না!
তবে নৌ-বাহিনী, কোস্টগার্ড কী করছে? তবে কী তারাও বিজিবির মতো নিজেদের বিক্রি করে দিয়েছে?
সীমান্তে নিরাপত্বা আসলেই জোরদার করা হলে, কেউ অবৈধভাবে কোথাও পাড়ি দিতে পারবে না। যাতে লাভটা আমাদেরই, সেই দেশে থাকা প্রবাসী ভাই-বোনেরা শান্তিতে থাকবে। কোন দেশ অনুপ্রবেশের নামে আমাদের ভিসা বাতিল করতে পারবে না। তবে এর জন্য দেশী-বিদেশী দলালদের নিস্ক্রীয় করতে হবে, খেয়াল রাখতে হবে বিদেশ যাবার জন্য কেউ যেন স্বর্বস্ব না হারায়।