ছোট বাচ্চদের বইয়ের পাতায় ও পুলিশি বইয়ে পাওয়া "পুলিশ মানুষের বন্ধু", কিন্তু বাস্তবে কি তাই?
বৈশাখী উৎসবে ঢাবির টিএসসিতে নারীর বস্ত্রহরণের ঘটনার পর থেকেই তা নিয়ে কথা বলেছেন অনেক জনই। শুধু বিপরীতে কথা বলেছেন আমাদের দেশের উচ্চ আসনে বসে থাকা ব্যাক্তিরা। সরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ঘটনাটিতে কোন বস্ত্রহরণই হয়নি বলেছেন, সুর মিলিয়েছিলেন ঢাবি উপচার্য নিজেও। কথা বলতে দেখা যায়নি নারী আন্দোলনে লিপ্ত দেশী-বিদেশী কোন প্রতিষ্ঠানকে তেমন কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
শুরু থেকে যারা কথা বলছে তাদের মাঝে অন্যতম "বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন"। কিন্তু ফল? কিছুই পাওয়া যায়নি।
নানাভাবে নানা পদক্ষপেন নেবার পরও এখন পর্যন্ত গ্রেগতার করা হয়নি কাউকে। ফেসবুকসহ নানা মাধ্যমে ঘটনার ছবি ও জড়িতদের চিহ্নিত করে দেওয়া হলেও নেওয়া হয়নি কোন আইনি পদক্ষেপ। বরং আন্দোলনকারীদেরই পোহাতে হচ্ছে নানা ঝামেলা। আজ বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন এর পক্ষে ডিএমপি কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশ প্রমান করেছে তারা কতোটা বন্ধুত্বপূর্ণ।
কর্মসুচিতে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন গিয়েছিল ডিএমপি উর্ধতন কর্মকর্তার সাথে কথা বলতে, কেন এক মাসেও চিহ্নিত লম্পটগুলোকে গ্রেফতার করা হলোনা তা জানতে। বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন রাস্তায় আন্দোলন করলে পুলিশ এসেছিল, কথাও বলেছে কিন্তু তাদের ফিরে যাবার বিষয়ে। না ফেরায় যা হলো তার কিছু খণ্ডচিত্র দেখুন
যে দেশে কোন আন্দোলনের ঘোষনা আসলেই, ছাত্রলীগ রাজপথ দখল করে জনগনের নিরাপত্বার নামে। সরকার দলীয় কারো উপর হামলা হলে পুলিশ কুক্তার মতো ছুটে আসামী ধরার জন্য।
* সে দেশেই আমাদের বোনদের বুকে হিংস্র থাবা বসালো যারা তাদের ধরতে কোন পদক্ষেপ নেই।
* যেখানে শাহবাগে গন জাগরণ মন্চকে পুলিশি পাহারা দেওয়া হয়, সেখানে কী কারণে আজকের এমন বর্বোচিত পুলিশি হামলা।
* কী কারণে রাবার বুলেট, টিয়ার গ্যাস!
তবে কী পুলিশ শুধু এক মহলেরই বন্ধু?
জনাব পুলিশ প্রধান,
কেন, যে বোনটির বুকে হাত দিয়ে সেদিন জানোয়ারগুলো মজা লুটেছিল তার বাবার ট্যাক্স দেয় বলেই আপনারা বেতন পান। যে নারীর শাড়ি খুলে নেশায় মক্ত হয়েছিল কিছু কুত্তা তার স্বামীর বেতন থেকেই আসে আপনার বেতন।
আপনারা কবে নিজের দায়িত্ব পালন করবেন?
যেদিন আপনার মেয়েকে এই কুত্তাগুলো রাস্তার মাঝে ফেলে খাবলে খাবে সেদিন?
যেদিন আপনার স্ত্রীকে আপনার সন্তানের সামনেই বিবস্ত্র করে তার বুকে কামড় বসাবে কেউ?
সেদিনই বুঝবেন একজন পিতার কষ্ট, একজন স্বামীর কষ্ট। যেদিন আপনার চাকরি থাকবে না বা আপনি কোন কারণে আপনার পরিবারকে নিয়ে কোথাও বেড়াতে যাবেন। আর একদল কুত্তা আপনাকে বেধে বা ধরে রেখে আপনার সামনেই আপনার মেয়ের বুকে হাত দিবে, আপনার স্ত্রীকে বিবস্ত্র করবে। আপনার সামনেই আপনার মেয়েকে খুবলে খাবে, মনে রাখবেন সেদিন আপনিই বিচার পাবেন না। কারণ আজ যাদের বাচানোর জন্য এতো নাটক, সেদিন তারা আরো বেশী থাকবে, আর আপনার পাশে কেউ না।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৫