মেয়েটির নাম সোহাগী জাহান তনু, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের ছাত্রী। গত রবিবার বিকালে টিউশনির জন্য বের হয়ে লাশ হয়ে পড়ে ছিল ময়নামতি সেনানিবাসের অলিপুর এলাকায়।
শুধু এই তনু নয়, এমন শতাধিক তনুই পৈশাচিক কামনার শিকারে জীবন হারায়, হাজার তনু ইজ্জত হারায়। বিচার যে হয়না তা নয়, গ্রামের মাতব্বর, থানার ঘুষখর পুলিশ এমন মামলা থামিয়ে দেয় আদালতে পৌছার আগেই। এদের গণ্ডি পেরিয়ে যে মামলাগুলো আদালতে গড়ায় তা কালো উকিলের ফাইলে বন্দি হয়ে এ টেবিল ও টেবিল ঘুরে বেড়ায়। সব শেষে দেখা যায় হাজারে ৫ টির কম মামলায় আসামির ফাঁসির রায় হয়। এই পাঁচের অঙ্কটি যদি জোর করে ৫০ এ নেয়া হয় তবুও ৯৫০ তনু ন্যায় বিচার পায় না। কিন্তু কেন?
আজ সোহাগী জাহান তনু তাঁর সব দিয়ে বলির শিকার হয়েছে, কিছুদিন আগে ঢাকার ব্যাস্ত রাস্তায় চলন্ত মাইক্রোতে এক নারী হারিয়েছে সব। আমরা তখনও চিৎকার করে থেমে গেছি, আগামীতেও তাই করব। কিন্তু কেন? কোন তনুই কি ন্যায় বিচার পাবে না!
আজ তনু বলি হয়েছে, আপনার ঘরে এমন কোমলমতি কেউ নেই তাই চুপ আছেন। কিন্তু কাল আপনি নিজেই এমন কোমলমতির পিতা হবেন, দাদা/নানা হবেন। সেদিনও কিছু হায়না আপনার সেই কোমলমতির বুকে দাঁত বসাবে, কেড়ে নিবে সর্বস্ব। সেদিন কি করবেন?
যারা মেয়েদের দোষ দেবার কথা ভাবছেন, তাদের বলি 'নরদন্ড যার খারাপ সে বোরখা বা শর্ট কাপড় বুঝে না'। সে শিকারির মতো তাকিয়ে থাকে নিজের পশুত্ব সাধন করার। আজ যদি যে কোন ঘটনার ৩ মাসের মাঝে সেই পশুটিকে ঝুলিয়ে দেয়া যেত, বেশী না এভাবে ২০টা ঝুলালেই পশুত্ব কোথায় হারিয়ে যেত। কিন্তু আমাদের আইন কিছুটা অন্যরকম, অন্ধের সাথে সাথে তাঁর নসিকার বেশ জোর। ঠিক কিভাবে যেন সব পাশ কাটিয়ে টাকার টেবিলের সাথেই সখ্যতা করে বসে।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৫৪