প্রক্রিয়াগত বাস্তবতায় নিজেকে তৈরী করার নিত্য নতুন কৌশল অর্জনের যে গতিশীল প্রতিযোগিত চলামান আছে তা অদূর ভবিষ্যতে আমাদের দেশ, সমাজ ও জাতি’র আবেগ হারানোর সম্ভাবনা প্রতিয়মান হচ্ছে দিন দিন। আমরা ভৌগোলিক দিক দিয়ে আবেগীয় ও সহজ সরলীকরনেই বেশিরভাগ মানুষ বিশ্বাসী। সংকরীয় মনোভাব আমাদের মনস্তাত্ত্বিক ক্ষেত্রে অনুঘটক হিসেবে কাজ করছে বহুদা সংমিশ্রণে। মনের স্থিরতার কাঠামোগত দুর্বলতার কারনে আমাদের ব্যর্থতার পরিমান কমানোর ধারা কচ্ছোপীয় গতিতে চলমান। আশা জাগানিয়া বিষয়ও বহু আছে বলেই আমরা আত্মতৃপ্তির ঢেকুড় তুলছি বারং বার। সকল ক্ষমতার সংমিশ্রণ থাকার পরেও কোথায় যেন কি নেই সেটাই উপলব্ধি করছি। নৈতিকতা প্রতিফলন শুণ্যের কোঠায় পৌছেছে নিঃসন্দেহে। কবিতা, গল্প, উপন্যাস, বক্তৃতা সেখানে যতই রগচটা বিজ্ঞাপন দেখি না কেন নৈতিকতার মাপকাঠি আমাদের পালনীয় ক্ষেত্রে শুণ্য ছুই ছুই। সমতলের প্রেক্ষাপট নির্ধারন ও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মূল হাতিয়ার বা চাবিকাঠি পুরুষের হাতেই। নাটাই নিয়ন্ত্রণ পুরুষতান্ত্রিক মানষিকতার শিকলে বন্ধী হলেও পুরুষ আজ বহুক্ষেত্রেই নারীর উপর নির্ভরশীল হতেই হয়। ক্ষমতার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত না হলে ক্ষমতা ক্ষয়িস্নু হয়ে দূর্বল হতে হতে পালাবদল হবে এটাই বাস্তবতা । নারীদের হাতেই সভ্যতার মানবীয় স্বীকৃতির শুভ সূচনা রচিত হয়েছে। কি এক কল্পনীয় অবাস্তব ভবিষ্যতের ভীতিতে আজ সভ্যতা বিবর্ণ ও অসহিষ্ণু হচ্ছে??? দৃষ্টিগোচরীত বাস্তবতাকে মেনে নিয়েইতো সুন্দর ভবিষ্যত গড়ার কথা। অন্ধকার থেকে আলোকিত হবার চেষ্টাই মাত্র তোমার সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে পারবে। অন্যথায় অন্ধকার জগৎ তোমার ভবিষ্যৎ হবে। নারী পুরুষের সম্পর্ক, সম্মান ও ভবিষ্যৎ আজ লাল দাগকাটা গভীর, প্রবল স্রোতধারায় বহমান সমুদ্র তীরে অবস্থান নিয়েছে । তীরে তরি ডুবা থেকে রক্ষার কিঞ্চিত প্রক্রিয়া, আলো দেখা গেলেও তা আজ নিভু নিভু ও অস্তগত প্রায়। নারীর ভবিষ্যৎ অন্ধকারে নিমজ্জিত হওয়ার সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেয়ার মতা বড় কোন আশার বানী নেই তা বর্তমান তথ্য প্রবাহ ঘেটে নিলেই সবার দৃষ্টিগোচরীত হবে। পত্রিকার পাতায় পাতায় শুধু ঘটনার ঘনঘটার আংশিক প্রভাবশালীর ক্ষেত্রে স্থান পেলেও তা সুন্দর ভবিষ্যতের ভীত নড়চড়িয়ে দিচ্ছে। প্রতিদিনের কত ঘটনার ক’টা আমাদের নীতগত অনুমোদনের পাতায় স্থান পায় তা নিশ্চয়ই কাউকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে হবেনা। তথ্যপ্রযুক্তি যুগেও সত্য ঘটনার প্রতিফলন ফেসবুকের মত যোগাযোগ মাধ্যমে পাওয়া গেলেও সঠিকতা যাচাই করতেই হয়। সকল কিছুর উপরই প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপ থাকবেই এবং প্রভাবশালীরা সর্বদা সাধারণ, নিরক্ষর ব্যক্তিদের ব্যবহার করে নিজেদের প্রয়োজনে ও সত্যকে আড়াল করে মিথ্যাকে সামনে রেখে প্রয়োজনীয় ছকে ফেলে স্বার্থ সিদ্ধি করা। আমার কথার দ্বিমত পোষন করার অধিকার, যুক্তি সবারই রয়েছে কিন্তু ক’জনে ঘটনার স্বীকার ব্যক্তিদের সম্পর্কে প্রকৃত অবস্থার খবর রেখেছি। প্রতিদিন ঘটনার বাহুল্যে আমাদের সকল কিছুতেই সহনীয় করে তুলেছে । আজ আমরা আবেগহীন বাস্তবতার দিকেই চলছি...। ফিরতে হবেই কিন্তু পথ পথিকের পথচলার রোডম্যাপ নির্ধারনের প্রক্রিয়া সকলের মতামতেই তৈরী হবে, হবে শুভ সূচনা .....।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৪৬