দীর্ঘদিনের কোন প্রেমের সম্পর্ক ভাঙতে চলেছেন। কিন্তু, কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছেন না আপনি ঠিক কি করছেন বা কি করা উচিত। এমন কঠিন সময়ে আপনি কি করতে পারেন, সে বিষয়ে কিছু টিপস এখানে তুলে ধরা হলো:
সমস্যাটি নিয়ে আলোচনা করুন:
কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার আগে আপনাদের মধ্যে যে সমস্যাটা তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে আলোচনায় বসুন। যদি আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনী আপনার সঙ্গে কথা বলতে ইচ্ছুক না হন, তাকে বোঝানোর চেষ্টা করুন। তবে, সমস্যা নিয়ে আলোচনায় বসার জন্য আপনার পক্ষ থেকে তার ওপর কোন চাপ সৃষ্টি না হয়, সে বিষয়টির দিকে খেয়াল রাখাটাও জরুরি।
অভিযোগ অদলবদল করুন:
বিষয়টা শুনে প্রথমে বেশ হাস্যকর মনে হতে পারে। তবে এটা পরীক্ষিত যে, আপনারা যদি পরস্পরের অভিযোগটাকে নিজেদের দিক থেকে ভাবেন, তবে সমস্যার সমাধানটাও সহজেই সেখান থেকে পেয়ে যেতে পারেন। একে অপরের ওপর চিৎকার-চেঁচামেচি করে কথা বললে সমস্যাটা বাড়বে এবং আরও প্রকটতর হবে। তাই প্রথমে সমস্যার ধরন কি এবং এর সমাধান কোথায়, সেটা ভাবতে হবে। এর সঙ্গে আরেকটি কাজ করতে হবে। আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনীরা কোন বিষয়গুলো ভাল এবং কোন বিষয়গুলো মন্দ লাগে বা বিরক্তির জন্ম দেয় সে বিষয়গুলো দু’ জনেই একটি কাগজে লিখে ফেলুন। এবার উভয়ই ঠাণ্ডা মাথায় একে অপরের সেই তালিকাটি পড়ে ফেলুন। তারপর আলোচনা শুরু করুন, ঝগড়া নয়।
আপনি কি অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন:
আপনি যখন আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনীর ওপর বিরক্ত, তখন হয়তো সামান্য কারণেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারেন। এটা আপনার জন্য বুমেরাং হয়ে আসতে পারে। তাই সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সঙ্গে কথা বলার আগে ঠাণ্ডা হয়ে বসে সমস্যাটি নিয়ে ভালভাবে ভাবুন। তারপর তার সঙ্গে কথা বলুন।
সম্পর্ক আসলে ততোটা তিক্ত নয়:
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনেকগুলো বিষয় ঠিক হয়ে আসতে শুরু করে। সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিষয়টা অকাট্য সত্য। আপনারা যখন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করবেন, তখন দেখবেন সমাধান হাতের নাগালেই। কিছুটা সময় অতিবাহিত হলে, মনে হতে পারে রাগের মাথায় কতো বড় ভুল সিদ্ধান্ত নিতে চলেছিলেন আপনারা। প্রকৃত কোন সম্পর্কই ঠুনকো নয়। তাই সম্পর্ক ছিন্ন করা বা ব্রেকআপের আগে নিজেদের সময় দিন, ভাবুন ও সমস্যা নিয়ে আলোচনায় বসে সমাধানের পথ খুঁজুন। নিজেদের জীবনটাকে পারস্পরিক বোঝাপড়ার মধ্য দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে নিন।