অনেকদিন পর কালকে দেখলাম মিনা কার্টুন। ফেল্ট ভেরী নস্টালজিক!! অনেক অনেক পিচ্চি ছিলাম যখন কার্টুন টা শুরু হয় তবে আজ এ বয়সেও এই কার্টুন টা খুব ভালো লাগে , মনে হয় বাস্তবেও কোন মিনা রয়েছে

অসম্ভব মজার এবং শিক্ষমূলক কার্টুন এই মিনা। আমাদের জেনারেশনের কে আছে এমন যে মিনা কে ভালোবাসতো না?
আহা কি দুঃখের বিষয় এখনকার বাচ্চারা ডরিমন ছাড়া কিছুই বুঝলো না


হমম মিনা হলো সেই কার্টুন যে ধনী, গরীব, শহর, গ্রাম এবং ছেলে ও মেয়ে সবার মনে জায়গা করে নিয়েছিলো। এর প্রথম পর্ব শুরু হয়েছিলো মেয়েদের স্কুলে পাঠানো কতটা জরুরী ষে বিষয়টিকে কেন্দ্র করে।
মিনা কতটা প্রভাবশালী ছিলো আমরা সবাই কমবেশী জানি। মিনার এমন আশ্চর্য ক্ষমতা ছিলো , এটা সেসময়ের সব ছেলেমেয়ের মনে কি বিশাল প্রভাব রেখেছিলো সেটা বুঝাতে একটা উদাহরন দেই,
আমার ৫ বছরের বড় দুইটা ফুফাত ভাই আছে যারা কিনা জমজ! যাইহোক, তারা আমাকে বললো স্কুলে রেজাল্ট দিবে রেজাল্ট যদি খারাপ হয় তাহলে আব্বু অনেক বকবে।
তারপর হঠাৎ একজন বললো তোমারতো কোন চিন্তা নেই কারন তুমি মেয়ে! না ভালো করে পড়লেই কি!
আমি আধো আধো কন্ঠে বললাম কেন? আমি ভালো করে না পড়লে তো আমাকেও আম্মু বকে!
তখন আরেকজন বললো না, আমি মিনা কার্টুন দেখছি, মিনার অনেক বুদ্ধি, রাজুর চেয়েও বেশী বুদ্ধি,মেয়েদেরও বুদ্ধি ছেলেদের চেয়ে বেশী হয়। আর মিনা আমার খুব ভালো লাগে

আমার ধারনা ঢাকায় বসে স্বনামধন্য স্কুলে লেখাপড়া করার পরও এইযে এরকম ধারনা একটা বাচ্চা ছেলের ছিলো, অবশ্যই এসব জেন্ডার ডিসক্রিমিনেশন মনের ভেতর ঢুকিয়ে দেয় আশেপাশেরই মানুষ। কিন্তু সেসময় মিনা সবার মনের গভীরে কুঠারাঘাত করে খুব চমৎকারভাবে!
আমার মনে হয় আরো নতুন নতুন অনেক পর্বের মিনার দরকার আছে।
ফেবিকল লাগাকে না চিপকাকে ! কি একটা আইটেম সং এসেছে কারিনার! আমি কোনভাবেই বুঝিনা এইসব গানের আসলে প্রয়োজন কি? যদিও গানটা ইন্ডিয়ান তবে আমার আপত্তির জায়গা হচ্ছে এসব গান যেহেতু বাংলাদেশে বসেও আমাদের দেখতে এবং গিলতে হচ্ছে উই সুড ডু সামথিং

আমার আরো একটা চরম আপত্তি আছে বিপিএল স হ বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হওয়া সকল আন্তজার্তিক ম্যাচে শো গার্লদের মাঠে রাখা নিয়ে।
ইন্ডিয়া আইপিএলে শো গার্ল রাখুক, সেক্স শো এর আয়োজন করুক তাদের ব্যাপার কিন্তু আমরা করব কেনো?
এটা কি নারীর পন্য হয়ে ওঠার চরমতম পর্যায় নয়?
ছেলেরা মাঠে খেলছে, আর মেয়েরা নগ্ন দেহ দেখিয়ে সবাইকে মজা দিচ্ছে !!
খেলার মাঠ কি কোন ক্লাব বা সেক্স শো ক্লাব নাকি ডিক্সো থেক?
স্বাধীনতার চেতনা নিয়ে ভাস্কর্য নির্মান নিয়ে দেশে যেন আরেকটি যুদ্ধ শুরু করে দিয়েছে কিছু কাঠমোল্লা ( হিপোক্রেট) এদের যদি আসলেই সৎ ইচ্ছা থাকে স্বাধীনতার চেতনা কে ধর্ষন করা বাদ দিয়ে এসব ব্যাপারে আলোকপাত করলে সাধুবাদ জানাবো!!!
ভাস্কর্যটি নির্মান করা হোক!! আমরা আমাদের মায়ের ত্যাগ স্বীকার আর ভাইয়ের সেই বুলেটবিদ্ধ লাশ কে ভূলে যাইনি, ভূলে যেতে পারিনা, আমার বাচ্চাও দেখুক জানুক বুঝুক যে এই দেশটা এই গরীব দুখীনি মা কে আমাদের ছিনিয়ে আনতে হয়েছে।