আজ গাজীপুর জেলার মৌচাকে কাদিয়ানীদের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত এক ইসলামী মহাসম্মেলনের আয়োজন করা হয়। উল্লেখ্য কয়েকদিন আগে বাংলাদেশ জাতীয় স্কাউট প্রশিক্ষন কেন্দে কাদিয়ানীরা তাদের একটি আর্ন্তজাতিক পর্যায়ের তিন দিনের একটি জমায়েতের আয়োজন করে। স্থানীয় উলামায়ে কেরাম ও জন সাধারন প্রশাসনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ ভাবে তাদের জমায়েতটি বন্ধ করতে চায়। কিন্তু প্রশাসন এগিয়ে না আসাতে ক্ষুব্ধ জন সাধারন কাদিয়ানীদের তাবুতে আগুন ধরিয়ে দেয়। ফলে তাদের প্রোগ্রামটি বন্ধ হয়ে যায়।
পরবর্তীতে তারা সকলকে এ ব্যাপারে সচেতন করার জন্য আয়োজন করে মহাসম্মেলনটির। উক্ত মহাসম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক । প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নুর হোসেন কাসেমী। মাগরিবের নামাজের পর কালিয়াকৈর পৌরসভার মেয়র মজিবর রহমান কাদিয়ানীদের বিরুদ্ধে এক জ্বালাময়ী বক্তব্য রাখেন। পাশাপাশি শাহবাগের মোরে বেহায়া মেয়েদের নির্লজ্ব বেহায়াপনার প্রবল সমালোচনা করেন তিনি। অপরদিকে টঙ্গী দারুল উলুম মাদ্রাসার মুহতামিম শাইখূল হাদীস মাসউদ সাহেব তিনি জানান মৌচাকের স্কাউট ক্যাম্পে কাদিয়ানীরা প্রোগ্রাম করতে না পেরে ঢাকার বকশীবাজারে প্রোগ্রাম করে। এতে সহযোগীতা করে ড. কামাল সহ আরও ৩৬ জন বুদ্ধিজীবী। মাসউদ সাহেব এই ঘৃন্য কাজের জন্য ড. কামাল সহ ঐ বুদ্ধিজীবীদের গাজীপুর জেলায় অবাঞ্চিত ঘোষণা করেন।
এদিকে সংষদ সদস্য আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেন আমরা মুসলমানের মত মুসলমান হতে পারি নাই এই জন্যই কাদিয়ানীরা এমন দুঃসাহ পেয়েছে। তিনি আরও বলেন আমাদের দেশে ইসলামি আইন না থাকার পিছনেও এই কারন টি বিদ্যমান। যেই কারনে তিনি আমাদেরকে মুসলমানের মত মুসলমান হওয়ার জন্য মেহেনত করার আহবান জানান।
সভায় বক্তারা আরও বলেন যে আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই । কিন্তু এর সাথে ইসলামকে অবমাননা করার চেস্টা করলে এদেশবাসী কখনই তা মেনে নিবে না।
পুরো সম্মেলনটি আল্লাহু আকবার ধ্বনিতে মুখরিত ছিল।