একবার হযরত ওমর (রা.) হুযুর(স.)-এর কাছে তাওরাতের কিছু অংশ নিয়ে আসলে হুযুর(স.)-এর চেহারা রাগে লাল বর্ণ ধারন করে। হুযুর(স.) তাকে স্পষ্ট ভাবে এই ধরনের কাজ করতে নিষেধ করে দেন। কিন্তু জাকির নায়েক সাহেব এই কাজটিই করে যাচ্ছেন। অনেকেই বলেবেন কিন্তু এতেত কোন ক্ষতি দেখছি না। বরং লাভ ই দেখতে পাচ্ছি। অনেক হিন্দু-খ্রিস্টানরা এতে আকর্ষিত হচ্ছে। অনেকে মুসলমান হচ্ছে। এখন আমার প্রশ্ন হুযুর(স.) তাহলে ওমর(রা.) কে এই রকম কাজ করতে নিষেধ করলেন কেন? তিনি কি জানতেন না এই পদ্ধতিতে অনেক হিন্দু, খ্রিস্টান আর ইহুদীরা আকৃস্ট হবে? আল্লাহ তাআলা কি জানতেন না এই পদ্ধতির লাভ-লস সম্পর্কে। অবশ্যই জানতেন। তাহলে হুযুর (স.)-এর চেহারা কেন লাল বর্ণ হল। কেন তিনি ওমর(রা.)-কে এই পদ্ধতির মাধ্যমে দাওয়াত দেওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করলেন না? লাভ বেশি না লস বেশি? লাভ বেশি হলে কখনই নিষেধ করতেন না। আমার প্রিয় বন্ধু গন একটু চিন্তা করেন কে সহীহ হাদীসের উপর আমল করছে। কারা সহীহ হাদীসের নামে মানুষকে ধোকা দিচ্ছে।
এদিকে বাংলাদেশের কিছু তথাকথিত ইসলামী পন্ডিত তার পক্ষে লিখছে। ইসহাক সাহেব তাদের মধ্যেও একজন। তার প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে যুক্তির অনেক অভাব আছে। তিনি আদর্শ নারীতে প্রকাশিত জাকির নায়েক সম্পর্কিত প্রকাশিত কয়েকটি মন্তব্যের রেফারেন্স খুজে পান নাই। কিন্তু বাকী যে গুলোর পেয়েছেন সেগুলোর সম্পর্কে উনি কোন আলোচনা করতে পারেন নাই। মুফতী মিযানুর রহমান কাসেমী সম্পর্কে উনি যে আলোচনা করেছেন তার জবাবে মুফতি মিযানুর রহমান কাসেমীর রচিত নতুন বইখানা একটু পড়ে দেখুন।
এ দিকে মাসিক মদীনার সম্পাদক মহীউদ্দিন সাহেব কে মনে হয় মানসিক হাসপাতালে ভর্তি না করে উপায় নাই। তার পত্রিকাতেই তিনি পরিস্কার ভাবে উল্লেখ করেছেন ভিডিও হারাম। অথচ তিনিই এখন জাকির নায়েকের গান গাচ্ছেন। কিন্তু কথায় আছে চোরের সাক্ষী কলা গাছ।