গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কেরানীগঞ্জ থানা অভিযান পরিচালনা করে ৩৫ বস্তা ( ১৭৫০ কেজি সালফার ) এবং এক বস্তা ভাঙা কাচ উদ্ধার করেছে। তদন্তে জানা যায় এই রাসায়নিক দ্রব্য গুলো ভারত সিলেট সীমান্ত দিয়ে দেশে প্রবেশ করেছে। ককটেল-বোমা তৈরিতে সাধারণত তিন ধরণের রাসায়নিক উপাদানের ব্যবহার হয়ে থাকে তার মধ্যে সালফার সবচে গুরুত্বপূর্ণ। সালফার তীক্ষ্ণ তেজে জ্বলে তাই ইংরেজিতে একে ব্রিমস্টোন বা গন্ধক বলা হয়। সালফার সহজেই অন্যান্য উপাদানের সাথে বিক্রিয়া করতে পারে, বিশেষ করে বারুদের মতো যৌগ গঠনে।সালফার এর দহন প্রচুর পরিমাণে গ্যাস এবং তাপ তৈরি করে, যা বিস্ফোরক প্রভাব তৈরি করে। সালফার-ভিত্তিক বিস্ফোরকগুলি তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল, যা অন্যান্য বিস্ফোরক যৌগের তুলনায় পরিচালনা করা সহজ।
অভিযানে সালফারের সাথে ভাঙা কাচ ও নুড়ি পাথর উদ্ধার হওয়াতে এটা স্পষ্ট যে এগুলো বোমা তৈরির উদ্দ্যেশেই আনা হয়েছে।গুরুত্বপূর্ণ হওয়া সত্বেও গণমাধ্যম এর অন্যান্য খবরের মাঝে এই খবরটি চাপা পরে গেছে। দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য প্রতিবেশী রাষ্ট্রের একটি মহল অনেক দিন থেকে চেষ্টা করে আসছে। কোনো ভাবেই তারা সফল হচ্ছে না এখন তারা মরিয়া হয়ে মাঠে নেমেছে। এক দিকে অবুঝ কাঠ মোল্লারা ডেইলি ষ্টার এর সামনে জুম্মার নামাজ আদায় করছে , প্রথম আলোর সামনে গরু কেটে জিয়াফত কর্মসূচি করছে অন্যদিকে ভারত সীমান্ত দিয়ে বোমা তৈরির রাসায়নিক সরঞ্জাম ঢুকাচ্ছে সমীকরণটা আপনারাই মিলিয়ে নেন।
ভারত নিজের স্বার্থের জন্য কতটা নিচে নামতে পারে তার উদাহরণ কিছু দিন আগে ঘটে যাওয়া কানাডার নাগরিক হারদীপ সিং নিজ্জর হত্যাকান্ড। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো অভিযোগ করে বলেন এই হত্যাকাণ্ডের সাথে ভারতের গোয়েন্দা বাহিনী সরাসরি জড়িত। ২০১৫ সালে নেপালের পার্লামেন্টে নতুন সংবিধান গৃহীত হয়। সংবিধান যথেষ্ট ব্যাপকভিত্তিক হয়নি এই অভিযোগ এনে ভারত নানা ভাবে নেপালের উপর চাপ প্রয়োগ শুরু করে। সে সময় ভারত নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে দুই মাসের বেশি সময় নেপালে আমদানি রপ্তানি বন্ধ রাখে। ফলে ভারত থেকে জ্বালানি, ওষুধসহ সব ধরনের পণ্য সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।এমনকি নেপালের হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ব্যবহারের ওষুধসহ জীবন রক্ষাকারী অনেক ওষুধের সরবরাহ বন্ধ করে দেয় ভারত ।
ভারত বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য কাঠ মোল্লাদের হাতে বোমা তৈরির সরঞ্জাম তুলে দিলে অবাক হবো না। অনেক দিন থেকেই গদি মিডিয়া প্রচার করছে যে তাদের দাসী হাসিনা ক্ষমতায় না থাকলে বাংলাদেশ লিবিয়া , সিরিয়া , আফগানিস্তান এর মতো হয়ে যাবে। এমন কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে তারা তা বিশ্বজুড়ে প্রচার করতে পারবে। মরিয়া ভারত নিজের স্বার্থের জন্য সব কিছু করতে পারে। একটা বিষয় লক্ষ করে দেখেন ,আমরা যখন লাথি দিয়ে আওয়ামীলীগ নেতাদের ভারত পাঠায় দিলাম। তখন ভারতের বিজেপি কংগ্রেস সহ সব রাজনৈতিক দল এক টেবিলে বসে সিদ্ধান্ত নিলো যে তারা হাসিনাকে আশ্রয় দিবে। তার মানে জাতীয় ইস্যু কিংবা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে ভারতের সব রাজনৈতিক দল মিলিত হয়ে সিদ্ধান্ত নেয়। অথচ আমাদের দেশে যখন ভারতের মদদে ইসকন ও সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামীলীগ মিলিত হয়ে আদালতের বারান্দায় আইনজীবীকে কুপিয়ে হত্যা করলো সে বিষয়ে বি এন পি মহাসচিব মির্জা ফখরুল প্রথম দিন কোনো মন্তব্য করা থেকে বিরত ছিলেন । উনার একটাই প্রশ্ন নির্বাচন কবে ?
১. ২৮ শে নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৬ ২
ভাংগা কাঁছ, নুড়ি পাথর ও সালফার কেন? দরকার ইউরেনিয়াম!