নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিরকূট

আ. স. ম. জিয়াউদ্দিন

আ. স. ম. জিয়াউদ্দিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কি কেন কি জন্যে?

১৭ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:০৫

বাংলাদেশের জন্যে বাঁকবদলের মতো একটা বড় ঘটনা ঘটে গেলো - শুধুতে শক এবং অবিশ্বাস কাজ করেছে সবার মাঝে। মোটামুটি বাংলাদেশের সকল নাগরিক একটা ট্রমার মধ্যে আছে - যে কনো ঘটনার পর সবাই তাদের মতো করে বিষয়টাকে ব্যাখ্যা করে - তার বিচার বিশ্লেষন করে। বাংলাদেশের মানুষের পক্ষে এই সময়ে কোন সঠিক বিবেচনার সময় আসে নাই। কারন মিডিয়াগুলো সব বিটিকে প্রতিস্থাপন করতে উঠেপড়ে লেগেছে। সবাই দেখানো চেষ্টা করছে কে কত বড় ইউনুসবাদী। সেইটাই স্বাভাবিক। এই ঘোর কেঁটে গেলে অনেকেই বুঝতে পারবে কেন এবং কিভাবে কারা এই ঘটনাটা ঘটলো - তবে অধিকাংল মানুষই যেহেতু দৈনন্দিন জীবনযাপন নিয়েই বেশী বেশী চিন্তিত তাদের জন্যে কে কেন কি ইত্যাদি প্রশ্ন অবান্তর। কিন্তু ইতিহাস কখনওই মিথ্যাকে ধারন করে না।

যাই হোক - কোটা আন্দোলনের একটা যৌক্তিক দাবীতে গড়ে উঠা আন্দোলনকে প্রায় সবাই সমর্থন দিয়েছিলো - লক্ষ্য করলে দেখা যাবে - আন্দোলনকারীদের মুল লক্ষ্য কিন্তু কোটা ছিলো না - তারা আরো একটা কঠিন লক্ষ্যের দিকে যাচ্ছিলো - তার জন্যে দরকার একটা বড় ধাক্কা - সেইটার জন্যে দরকার ভায়োলেন্স এবং শক। সেইটা হয়েছে - হাত লাগিয়েছে ৭১ এর পরাজিত শক্তি - তাদের ২০২১ সালের অসমাপ্ত কাজটা সমাপ্ত করেছে পরিকল্পনাকে পরিবর্তন করে। এইটা অর্জিত হলো সাধারন মানুষের ক্রোধকে কাজে লাগিয়ে - তারপর আসলো আসল ধাপ - দুইদিন ধরে বৈঠক করেও যখন সরকার ঠিক করা যাচ্ছিলোনা - তখন ইউনুসের আর্বিভাব - এইটাই ছিলো আন্দোলনের মুল টার্গেট।

তাই আর্ঝিত হয়েছে - একটা অনির্বাচিত অগনতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হলো আমেরিকার তৈরী এক পুতুলকে বসিয়ে - যাকে দীর্ঘদিন যাবত তৈরী করা হয়েছে - শুধু তাকে নয় - একদল সুশীল নামের লোকজকের আমেরিকার তৈরী রেখেছিলো এ্ই সময়ের জন্যে। তারা ক্ষমতা নিলো। বস্তুত আমেরিকার তার পুর্ন নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্টা করলো বাংলাদেশের উপর - যা ৭১ এর হারিয়ে ৭৫ এ অইরে পেয়েছিলো - এবং শেখ হাসিনার কারনে ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছিলো - তা পুনোদ্ধার জরুরী ছিলো - বিশেষ করে রাশিয়া আর চীনের কর্তৃত্বকে থামানোর জন্যে। আর ভারতকে চাপে রাখার জন্যে বাংলাদেশ তাদের একান্ত দরকার হয়েছে পড়েছে - বিশেষ করে ইউক্রন যুদ্ধের পরে ভারতকে আমেরিকার পাশে না পাওয়ায় আমেরিকার মুল উদ্দেশ্য রাশিয়াকে অর্থনৈতিক ভাবে পংগু করার পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ার জন্যে।

১৫ আগষ্ট পর্যন্ত আমিও কিছুটা আশাবাদী ছিলাম - হয়তো ইউনুস ক্ষমতা নিয়েছে দেশের ভালর জন্যে - সেই আশা আর নাই - কারন যা দেখেছি - একটা বাড়ি পুড়িয়ে তার সামনের ডিজে ড্যান্স বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার সম্ভাবনাকে কবর দিয়েছে ইউনুস সরকার। সেই প্রসংগ ভিন্ন।

তাইলে ভবিষ্যতে কি হচ্ছে - এই বিষয়ে পরে লিখার আশা আছে - তবে রেফারেন্স হিসাবে ইউক্রেনের অরেঞ্জ রেভুলিশ বা মিশরের আর স্প্রীং বিষয়ে পড়াশুনা করা যেতে পারে - কারন বাংলাদেশের এই তথাকথিক বিপ্লব বা আন্দোলনের মাধ্যেম সরকার পরিবর্তন এই প্লেবুক অনুসরন করা হয়েছে। পরিনতি হয়তো ইউক্রেস বা মিশরের মতো - বা লিবিয়ার মতো হয়েত পারে।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:৪৭

আদিত্য ০১ বলেছেন: আপনি ভালো ডেপথ এনালাইসিস করেছেন প্রিসাইস করে।
শেখ হাসিনা গত বছর জি২০তে গিয়েছিলো, আর আন্দোলনের মাঝেও চীন সফর করে আসছিলো, কিছু চুক্তি আর ঋন সহায়তা। এগুলো উন্নত রাষ্ট্র দেয় একমাত্র তাদের বলয় ও আধিপত্য ঠিক রাখার জন্য। ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ ও সম্প্রতি গাজায় হামলায় ইসরাইলে সহায়তা দিয়ে যুক্তরাস্ট্র অনেকটাই চাপে আছে, যুদ্ধ বিরতিতে যাচ্ছে না। আবার ওইদিকে ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধে ইউক্রেন প্রায় দখলের পথে, রাশিয়াকে বিভিন্ন স্যাঙ্কশন দিয়েও কাজ হচ্ছে না। আবার এইদিকে বিশেষ করে দক্ষিন এশিয়াতে মালদ্বিপ ও মায়ানমার চীন ও রাশিয়া ঘেষা, ইন্ডিয়াও অনেকটা রাশিয়া ঘেষা যদিও আমেরিকা ভালো সম্পর্কে এইটা একটা বাধা হিসেবে দেখছে, আবার শেখ হাসিনা সাম্প্রতিক রাশিয়া ও চীন বলয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিচ্ছিলো। এখন আমেরিকার বলয় থেকে দক্ষিন এশিয়ার অনেক রাস্ট্র চীন ও রাশিয়া বলয়ে চলে যাচ্ছে,যেহেতু দক্ষিন এশিয়ার মধ্যে ইন্ডিয়া বড় রুল প্লে করে, আবার ইন্ডিয়া রাশিয়ার সাথে ভালো অর্থনৈতিক ও কুটনৈতিক সম্পর্ক রেখে চলছে, অস্ত্র আমদানী করছে রুবলে, এতে আমেরিকা ইন্ডিয়া বাগে আনতে বাংলাদেশের ক্ষমতায় পরিবর্তন বড় হাতিয়ার হিসেবে দেখেছে, আরও ক্ষমতায় পরিবর্তনে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে যখন শেখ হাসিনা জি২০তে গেলো ও ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধে জাতিসংঘের সাধারন পরিষদে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকলো, তখন আমেরিকা বুঝে গেছে যে বাংলাদেশের ক্ষমতা পরিবর্তন না করলে বাংলাদেশ চীন ও রাশিয়া বলয়ে চলে যাবে, এতে আমেরিকার আধিপত্য দক্ষিন এশিয়াতে কমে যাবে

২| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:১৭

চলো আগে নিজে পাল্টাই বলেছেন: লেখক@


আপনের কী মনে হয়? বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ইসলামী বৈষম্য দল এর পেছনে কাহারা? জামায়াত-শিবির না আম্রিকা?

৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:৪৫

ঊণকৌটী বলেছেন: আমার মনে হয় এই বিপ্লব টা বাংলাদেশের জনগণের জন্য ভীষণ জরুরি ছিল, আজকের এই সামাজিক মিডিয়ার দৌলতে কিছুই চাপা নাই, তো যাই হোক মানুষ জানুক সাদা কে বা কালা কে বলতে পারার স্বাধীনতা আসুক বাংলাদেশের জনগণের কাছে ও দেশকে সঠিক ভাবে সামাজিকভাবে নিরাপত্তা ও আশ্বাস দিয়ে দেশ টাকে এগিয়ে নিয়া যান

৪| ১৮ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১২:৪০

কামাল১৮ বলেছেন: যেখানে কোটাই ছিলো না তার জন্য আবার যৌক্তক আন্দোলন হয় কি ভাবে।এটা ছিলো একটা মতলবি আন্দোলন।বাকি বক্তব্যের সাথে সহমত।

৫| ১৮ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১২:৪১

ক্লোন রাফা বলেছেন: আন্তর্জাতিক পর্যালোচনায় আপনার সাথে আমার ধারনার শতভাগ মিল আছে। আমেরিকা কখনই সর্ট টার্মের জন্য জাল বিস্তার করেনা। সুদুরপ্রসারি প্ল্যান করেই সব কিছু করে। পেছনের অদৃশ্য শক্তি’কে কাউন্টার করতে ব্যার্থ হয়েছে হাসিনা সরকারের সকল ফোর্স। চীন থেকে ফিরে এলো ঠিকই কিন্তু ছাত্র আন্দোলন’কে একেবারেই গুরুত্ব দেয় নাই । বাংলাদেশের ইতিহাসে ছাত্র আন্দোলন কখনই ব্যার্থ হয় নাই। জানা কথা দাবীটা মানতে হবে তাহলে এই সময় ক্ষেপণের অর্থ কি⁉️ আমি মনে করি সরকারের ভেতর থেকেও স্যাবটাজ ছিলো।
আমেরিকার কার্জাই মার্কা দালালেরা ওঁত পেতেই ছিলো এক সেকেন্ড’এ সময় নষ্ট করেনি তারা ! ইউনুস সাহেব’কে স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছিলো যে কোন সুযোগ আসা মাত্রই দাবার গুটির মত চাল দেওয়ার জন্য।
বিঃ দ্রঃ - শেখ হাসিনা ২০১৮ সালে সঠিক নির্বাচন করার শতভাগ সুযোগ থাকার পরও চরম আহাম্মকের মত কাজ করেছে।বি,এন,পি’কে ৩০/৪০টা আসন দিয়ে সংসদ কার্যকর রাখতে পার’তো। দুর্নীতির লাগাম ধরা উচিত ছিলো। দলের মধ্যে কোন গণতন্ত্রই রাখে নাই। দ্রব্য মুল্য এত বেশি যে মানুষ’কে চরম ক্ষুদ্ধ করার জন্য যথেস্ট। এত ফ্রন্ট ওপেন করে রাখলে পতন’তো অনিবার্য। এটাই আমার ব্যাক্তিগত পর্যবেক্ষন। এখন দেখা যাক কার্জাই মার্কা সরকার কতদিন দখলদারী কায়েম রাখতে সক্ষম হয়‼️ ধন্যবাদ॥

৬| ১৮ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ২:২৪

অক্পটে বলেছেন: নষ্ট ভ্রষ্টদের দল আওয়ামীলীগকে ক্ষমতা থেকে টেনে হিচঁড়ে নামিয়ে ইতিহাসের আস্তাকুরে ফেলে না দেয়া পর্যন্ত ওরা ওদের অপকর্ম চালিয়ে গেছে।

৭| ১৮ ই আগস্ট, ২০২৪ ভোর ৫:৪৪

সিরাজ১৭৫৭ বলেছেন: বিবিধ লোক কেন ব্যান ছিল আর কেনই বা এখন ছাড়া পেলো?

৮| ১৮ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৭:০৮

নয়া পাঠক বলেছেন: উন্নয়নের নামে যে ১৮ কোটি ৩৫ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ আর এর বিষয়ে কিছু বলেন জাতি জানতে চায়। আপনাদের সু-চিন্তিত মতামত প্রয়োজন।

৯| ১৮ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: শেখ হাসিনার পতনের পর যারা এখন জ্বালাও পোড়াও করছে, মানুষ মারছে তাদের ছাড় দেওয়া সঠিক কাজ হবে না। এদের আইনের আওতায় আনতে হবে। ইউনুস সাহেবকে অনেক কঠোর হতে হবে।

১০| ১৮ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:৪১

অস্বাধীন মানুষ বলেছেন: বাংলাদেশের এখনকার সব সমস্যার জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী হাসিনা শেখ এবং তার শাহাবাগের ইমরানের তৈরি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.