নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রবল প্রতাপশালী আমেরিকার কূটকৌশল থেকে কি বাংলাদেশ মুক্ত হলো? নির্বাচনের যে শর্ত আমেরিকা আরোপ করেছিলো তা কি বাংলাদেশ পুরন করতে পেরেছে?
গনতন্ত্রের কথা যদি বলি - বাংলাদেশে সত্যিকার অর্থে রাজনৈতিক গনতন্ত্র নাই - সব দলই মনে করে জনগন তাদের সাথে আছে - নিজের দলের লোকজন কি উনাদের সাথেন কি না তার কোন হদিস উনাদের কাছে নাই। কয়েকটা ছোট দল ছাড়া কারো কোন নেতা নির্বাচন বা নীতি আদর্শ কর্মপদ্ধতি নির্ধারনের জন্যে কাউন্সিল হয় না - উপর থেকে চাপিয়ে দেওয়া কর্মসূচী কর্মী-সমর্থখদের মেনে নিতে হয়। জেলে যেতে হয় - আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে বলে বিরোধীদলের জন্যে কর্মসূচী বাস্তবায়ন কঠিন।
অন্যদিকে সরকারী দলের বিষয়টা সহজ - নগদ প্রাপ্তির আশা কর্মীদের মটিভেশন হিসাবে কাজ করে বলে কর্মীরা প্রয়োজনের তুলনায় বেশী সক্রিয় থাকে।
এখন আসা যাক নির্বাচন নিয়ে পশ্চিমাদের শর্তাবলীর বিষয়ে:
১) তত্ত্বাবধায়ক সরকার শুধুমাত্র পাকিস্তান ছাড়া আর কোথাও নেই - পাকিস্তানের সেই ব্যবস্থা মুলত সেনাবাহিনীর অধীনে একটা নির্বাচন ব্যবস্থা - সেনাবাহিনীর মাধ্যমে পশ্চিমারা তাদের পছন্দমতো সরকার পরিবর্তন করে। এই বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের নির্বাচনে কোন শর্তারোপ করতে দেখা যায় নি।
২) নির্বাচন অংশগ্রহন করা বা না করা একান্তই রাজনৈতিক দলে এখতিয়ার - যেমন কোন দলকে নির্বাচনে আসতে বাধ্য করা যাবে না - তেমনি কাউকে নির্বাচন থেকে দুরে রাখা যাবে না - আইগতভাবে। সেইটা বাংলাদেশের জন্যে কোন সমস্যা হয়নি।
৩) কত ভাগ ভোট পড়লে নির্বাচন বৈধ হবে বা অবৈধ হবে এমন কোন আন্তর্জাতিক মানদন্ড নেই।
৪) মুল শর্ত হলো যারা ভোট দিতে যাবে তা নির্বিঘ্নে নিরাপদের ভোট দিতে পারলো কি না - সেইটাই প্রধান শর্ত - এই পর্যন্ত যতটুকু জানি এই শর্ত কোথাও ভঙ্গ হয়নি। অথবা কাউকে জোর করে ভোট দিতে বাধ্য করা হয়েছে বলে শুনা যায় নি।
তারপরের বিষয় হলো কে হবে হবে বিরোধীদল? এইটা তো নির্বাচনে আউটকামের উপর উপর নির্ভর করে - যেমন সিঙ্গাপুরে বিরোধী দল তৈরী জন্যে সংসদে কোটা রাখা আছে। নির্বাচনের ফলাফল কি সব সময় মিশ্র হবে - সম্ভাবনা তো আছে যে একটা দল ১০০% সিট পেলো। এই আলোচনা নির্বাচনের গ্রহনযোগ্যতার সাথে সংশ্লিষ্ট না।
তাই আমি মনে করি আমেরিকা যদি তাদের স্বার্থ রক্ষা হবে না মনে করে - তবে যে কোন কারনেই স্যাংশান দিতে পারে। তবে জিওপলিটিক্যাল পরিস্থিতি বিবেচনায় আমেরিকা বাংলাদেশকে পুরোপুরি চীণ রাশিয়ার বলয়ে ঠেলে দেবে বলে মনে করি না।সুতরাং একটা তুলনামুলক ঝামেলাহীন নির্বাচন বাংলাদেশকে একটা স্বস্থির জায়গায় এনে দিয়েছে। যদি বিএনপি এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনে যেতো তবে হয়তো এতোটা শান্তিপূর্ন নির্বাচন হতো না - কারন সরকারীদল তখন প্যানিক হয়ে অতিসক্রিয় হতো - হানাহানি হতো।
২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:০৩
কামাল১৮ বলেছেন: সবার আগে মনে রাখতে হবে এখন আর এক কেন্দ্রীক বিশ্ব ব্যবস্থা নাই।কোন রাষ্ট্রই একা কিছু করতে পারবেনা।তাহলে ইউক্রেনে অনেক কিছু করে ফেলতো।
৩| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৪:৫১
জিকোব্লগ বলেছেন:
বাংলাদেশ কি বিপদমুক্ত?
উত্তর হচ্ছে না। কারণ পশ্চিমাদের কাছে এই নির্বাচন সুষ্ঠু হয় নি।
The United States shares the view with other observers
that these elections were not free or fair লিংক : US Gov. Web.
“Democratic elections depend on credible, open, and fair
competition. Respect for human rights, rule of law and due
process are essential elements of the democratic process.
These standards were not consistently met during the
election period. লিংক : UK Gov. Web.
৪| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৩৯
বিজন রয় বলেছেন: না, বাংলাদেশ বিপদমুক্ত নয়।
৫| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৪২
রানার ব্লগ বলেছেন: বাংলাদেশ আপদযুক্ত।
৬| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৫১
বাউন্ডেলে বলেছেন: ৪০% এরও বেশী শান্তিপ্রিয় মানুষ ভোটে অংশগ্রহন করেছে। উৎসব আমেজে দেশ বর্নিল হয়েছে ৭ই জানুয়ারী। তারেক-ইউনুস গং দেশ-জনতার বাল বাকা করার রাজনীতিতে মেতেছে। কিছু প্রবাসী গারবেজ লেখক এর রডেন টিউব গরম হয়ে নিজের নিউরন ধ্বংষের খেলায় মত্ত। এগুলো ক্লীব শ্রেনীর মাথামোটা প্লাষ্টিক মার্কিন প্রডাক্টের খন্ডাংশ বিশেষ।
৭| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:২২
রাজীব নুর বলেছেন: আমেরিকা দেশের মানুষের কোনো ক্ষতি করবে না। যদি ক্ষতি করে তাহলেও আওয়ামীলীগের ক্ষতি করবে।
৮| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৫৫
বুনোগান বলেছেন: নির্বাচন এখানে কোন বিষয় নয়। পরাশক্তির স্বার্থের অনুকুলে না থাকা রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য বিপদ জনক, আর অনুকুলে থাকা জনগণের জন্য বিপদ জনক!
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:০১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
বিশ্লেষন যতার্থ হয়েছে মর্মে প্রতিভাত ।