নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শাহজাহান ওমরের চমকের পর আর কোন চমক নাই মনে হচ্ছে। তার মানে ৭ তারিখের নির্বাচনটা হয়েই যাচ্ছে।
তাইলে লাখ ক্ষতির একটা হিসাব নিকাশ করি -
এই নির্বাচনে সবচেয়ে লাভবান হবে আওয়ামীলীগ - বলাই বাহুল্য - সরকারে থাকার চেয়েও এরা দল হিসাবে একটা নুতন ভোটার তাদের সমর্থক বানাবে - আর নতুন প্রার্থীরা ভবিষ্যতের জন্যে দলে নেতা হিসাবে আসবে - একটা শক্তিশালী সংগঠনের জন্যে সমর্থকের উপর একদল নেতা থাকা জরুরী। ১৯৭১ সালে সবচেয়ে বড় ধকল গেছে আওয়ামীলীগের উপর সেইটা কাঁটানোর আগেই জাসদের জন্ম হয়ে দলের তরুনদের হারিয়েছে দল - তারপর ৭৫ এর ধাক্কায় গেছে দলে নেতৃতাবের একটা অংশ - এরপর ২১ বছর রাস্তায় থেকে ক্ষমতায় এসেছে - লক্ষ্য রাখতে হবে - আওয়ামীলীগ কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া নির্বাচনে থেকেছে - স্থানীয় সরকার থেকে সংসদ এমনকি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনও করেছে - জিতবে না জেনেও করেছে এবং নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সংগঠন শক্তিশালী করেছে।
অন্যদিকে বিএনপি হলো সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ দলে - এই নির্বাচনে না গিয়ে এরা দলের কর্মী সমর্থকদের ভোট দেবার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করলোই না - দলকে জনমত যাচাইয়ের সুযোগ থেকে বঞিত করলো। সকল নির্বাচনে একবার বর্জন আবার অংশগ্রহন এইভাবে কর্মীদের বিভ্রান্ত করেছে - শুধুমাত্র আওয়ামীবিরোধী মনোভাবের মানুষরা আর কোন প্লাটফরম না পেয়ে বিএনপিতে থাকবে। আবার একটা দল হিসাবে দাড়াতে বিএনপির আরো অনেক সময় লাগবে। গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আসার জন্যে দলে নেতাদের জনসমর্থন যাচাই করার সযোগ আসে নির্বাচনে - এই প্রক্রিয়া স্থানীয় নেতৃত্বের বিকাশ ঘটে - উপর থেকে নিয়োগ দিয়ে ক্যাডার তৈরী করা যায় - নেতা নয়। বিএনপি এই সুযোগটা হারালো।
শুধু বিএনপিই না - যারা সরকার পতনের আন্দোলন করছেন - তাদের একটা বিকল্প বা দ্বিতীয় প্লান থাকার কথা - কিন্তু তা দেখছি না - কমিউনিষ্টরা শেষ হয়ে গেছে - কিন্তু সমাজতন্ত্র কায়েমের লক্ষ্য ছাড়ছে না। তাই রাজনীতিতে সমঝোতার পথ পরিত্যাগ করে একদফা আন্দোলনের বিপদ হলো - হয় জয় না হয় ক্ষয়। মনে হয় বিএনপি সেই হিসাবটা করেনি।
অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের প্রানে দাবী -্ বিএনপি আর তার মিত্ররা সঠিক দাবীকে সামনে এনেছে- কিন্তু তারা এইটা প্রমান করতে পারছে না যে আওয়ামীলীগের বিকল্প বিএনপি হতে পারে - বিশেষ করে শেখ হাসিনা বিকল্প বিএনপি মানুষের সামনে আনতে পারেনি - তাই সাধারন মানুষ এই একদফা আন্দোলনের সম্পৃক্ত হয়নি। অন্যদিকে তাদের কর্মসূচীর অসচ্ছতা মানুষকে বিভ্রান্ত করছে।
যাই হোক - একটা শেষ কথা বলে থামি - একজন জানতে চাইলো বিএনপি কি কখনও ক্ষমতায় আসবে না - উত্তর হলো আসবে - তবে সেই বিএনপি নেতা তারেক হবে না।
২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:৫৮
আমি নই বলেছেন: আন্দোলনে গেলে যদি গুলি খেয়ে মড়ার ভয় থাকে বা ১০-২০ টা মামলা খেয়ে জেলে পচার ভয় থাকে তাইলে সাধারন মানুষ শুধু বিএনপির সাথে নয় বাআলের সাথেও কোনো আন্দোলনে থাকবেনা।
৩| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:১৭
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: তারেক-খালেদা জিয়া থাকা অবস্থায় বিএনপি সুবিধা করতে পারবে না। নতুনত্ব দরকার। নতুন সম্ভাবনা খোঁজে মানুষ।
৪| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: বিএনপি বিএনপি কইরেন না। বিএনপি শেষ।
শেখ হাসিনা যতদিন বেচে আছেন, ততদিন বিএনপি কোমর সোজা করে দাড়াতে পারবে না।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৩ ভোর ৬:০৫
কামাল১৮ বলেছেন: বিএনপির ভোটারের থেকে স্বক্রিয় কর্মী বেশি।তাই নির্বাচনে যেয়ে কর্মীদের হারাতে চায় না।