নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিরকূট

আ. স. ম. জিয়াউদ্দিন

আ. স. ম. জিয়াউদ্দিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঠোংগা তত্ত্ব ও চলমান আন্দোলন

১৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:২০

অবশেষে ১৮ তারিখও গেলো - তেমন কিছু হলো না - আবার তারিখ পড়ছে - ২৮ তারিখ - মাশাল্লাহ - ক্যালেন্ডারের ৩৬৫ টা তারিখ আছে - তারিখের বিষয়ে কোন সমস্যা হবে না - কিন্তু এই হুমকী ধামকি আর তারিখ দেওয়া থেকে বাংলাদেশ কি পাবে?


মুল কথাতো গনতন্ত্র - তাই না?

যারা আজ গনতন্ত্র গনতন্ত্র বলে গলা ফাটাচ্ছে - তারা কি গনতন্ত্র বিষয়টা বুঝেন?

একটা প্রচলিত কথা আছে - চ্যারেটি বিগেইস ফ্রম হোম--- নিজের ঘর থেকে গনতন্ত্র চর্চা শুরু করতে কবে।

এবার বলুন তো - বিএনপি নামক দলটি কি আসলে নিজেদের জন্যে গনতন্ত্র চর্চা করে - কবে তাদের কাউন্সিল হয়েছিলো - কিভাবে তাদের নেতৃত্ব নির্বাচন হয় - কিভাবে নেতৃত্ব নির্বাচন হয় সেই দলে? সেখানে কি কোন গনতান্ত্রিক চর্চা হয়? মোটেও না। আসল কথা হলো ক্ষমতায় যাওয়ার নিশ্চিত পথ খোজা। সেই্টা তো দোষের কিছু না। ছল বলে কৌশলে ক্ষমতায় যেতেই হবে - এইাটা গনতন্ত্র না।

তাইলে গনতন্ত্র কি? পরষ্পরের প্রতি শ্রদ্ধা আর সহনশীলতা - গ্রেনেড মেরে হত্যা করে বিরোধী দমন না। যাই হোক।

একটা অতীতের কথা বলে শেষ করি। ১৯৭৮ সালে সেনাশাসন জিয়া প্রশাসন আর দমনপীড়ন করে সংসদ নির্বাচন করে সংসদে ২০৭ টা আসন পেয়েছিলো। তখন কথিত আছে যে প্রায় সাড়ে চার লক্ষ আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী জেলে ছিলো। সে্ই নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মুল অংশ পায় ৩৯্‌ আসন। সেই সংসদে পাশ করা হয় পঞ্চম সংশোধনী - যাতে সামরিক শাসনের বৈধতা সহ ৭৫ এর নির্মম হত্যাকান্ডের বিচার বন্ধ করা ইনডেমনিটি কে আইনে পরিনত করা হয় - কোন গনতন্ত্রের সাথে একটা দেশে প্রেসিডেন্টের সপরিবারের হত্যা - জেল হত্যাকে বৈধতা দেওয়া হয় জানি না। সেই সময় আওয়ামীলীগের আরেক অংশের নেতা মিজানুর রহমান চৌধুলী বলেছিলেন - আজ ২০৭ সিটের জোরে যা করলেন তার জন্যে আপনাদের মূল্য দিতে হবে - এক সময় এই ২০৭ সিটে ৭ এ নেমে যাবে - তখন আফশোস ছাড়া কিছু করার থাকবে না।

কাকতালীয় ভাবে এই সংসদের বিএনপির সিটের সংখ্যা ছিলো সাত - আর এরা এখনও সেই হত্যাকান্ডকের নিন্দা করে না - বরঞ্চ কিছু দিন আগে তাদের নেত্রী এই দিনে বিশাল কেক কেটে জন্মদিন পালন করেছেন। বটে।

গনতন্ত্র হলো নীতি আদর্শের সততা - ন্যায়ের প্রতি আনুগত্য আর ভিন্নমতকে সন্মান জানানো - গ্রেনেড মেরে হত্যা করা - হত্যার বিচার বন্ধ করা আর কেক কেটে মকারী করা নয়।

শেষ কথা হলো - এই আন্দোলনের কোন ফসল বিএনপি পাবে না - সেইটা নিয়ে যাবে মানবতার পাইকারী ব্যবসায়ীরা যারা কিছুদিন আগে লিবিয়া ইরাকের গনতন্ত্র রপ্তানী করেছে - এখন ব্যস্ত আছে ফিলিস্থিনে মানবতা রপ্তানীর কাজে - শেভ্রোন আর এক্সন এর কাছে সমুদ্র ইজারা কে দেবে তার উপরই নির্ভর করে ঠোঙ্গাটা কার হাতে থাকবে - বাতাসা কিন্তু তাদেরই।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: আন্দোলন কোথায় হচ্ছে? লন্ডনে?

২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৩:৫৯

কামাল১৮ বলেছেন: এখন যতটুকু গনতন্ত্র আছে, বিএনপি ক্ষমতায় আসলে এটুকুও থাকবে না।তাদের গনতন্ত্র দেখেছি।প্রকাশ্য জনসভায় গ্রেনেড হামলা।বিচারের নামে ছলচাতুরি।

১৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:২২

আ. স. ম. জিয়াউদ্দিন বলেছেন: বিএনপি আর বিচার এক সাথে যায় না - বরঞ্চ বিচার বন্ধ করে আইন করাই ওদের কাজ। ৭৫ এর হত্যাকান্ড - অপারেশণ ক্লিন হার্ট এর বিচার বন্ধের ইনডেমনিটি আর জজ মিয়া নাটক ছাড়াও নিজেদের দলের প্রতিষ্টাতার হত্যার বিচারও ওরা করেনি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.