নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বন্ধুঃ সাকিব আল হাসান, আজ নিজ যোগ্যতায় বিশ্বের অন্যতম অলরাউন্ডার। সর্বকালের সেরা ৫ জনের একজন। এটা শুধু ব্যক্তি সাকিবের গর্ব নয়, গর্ব বাংলাদেশের, গর্ব বাংলাদেশের প্রতিটি ক্রিকেট ভক্তের। মাশরাফি বিন মর্তুজা আজ বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলোয়াড়, আইকনিক ক্রিকেটার, সর্বকালের সেরা ক্যাপ্টেন। বাংলাদেশের প্রতিটি ক্রিকেটপ্রেমীর আবেগের মধ্যমণি। যাকে মাঠে দেখলেই দর্শকদের খেলা দেখা উসুল হয়ে যায়। যিনি মাঠে থাকলেই খেলায় জেতার স্পৃহা শতগুনে বেড়ে যায়। ভালবেসে তার ভক্তরা নাম রেখেছে নড়াইল এক্সপ্রেস। শব্দের ভাণ্ডার শেষ হয়ে যাবে কিন্তু সাকিব, মাশরাফিদের কীর্তি বলে শেষ করা যাবে না।
বিপদঃ কোঁটা সংস্কার নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পুলিশের, ছাত্রলীগের, আওমিলিগের সম্মিলিত হামলা দেশের মানুষ নিজ নিজ চোখে দেখেছে। দেখেছে কি অমানবিক ভাবে তাদের প্রতিবাদ দমন করা হয়েছে। দেশের স্কুল ছাত্ররা যখন রাস্তায় নেমে আসে তাদের সহপাঠী হত্যার বিচারে, ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা যখন রাষ্ট্রের আইন কিভাবে মানতে হয় শেখানোর চেষ্টা করে, পরিবহন খাতে রাষ্ট্রের ব্যর্থতা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছিলো, সেই শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হেলমেট বাহিনীর তাণ্ডব সারাবিশ্বের বিবেগকে নাড়া দিয়েছিলো। গত ১০ বছর ধরে চলতে থাকা হাজার হাজার গুম, খুন, লক্ষকোটি টাকা ব্যাংকলুট, শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারি, দেশের প্রতিটি সেক্টরে স্বৈরশাসনের মাধ্যমে দেশের জনগণের অধিকার হরণ, ভোটের অধিকার ছিনিয়ে নেয়া, আন্দোলনের সব পথ বন্ধ করা, সমালোচনার মুখ চেপে ধরা, এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলাতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা। এমন অগণিত অনিয়ম মানুষ নিজ চোখে দেখছে।'
পরিচয়ঃ ঐ সাকিব, ঐ মাশরাফিরা বাংলাদেশের জনগণের বিপদের সময় নাক গলায় নি। কেউ কিছু বলেছিল? খেলা খেলার জায়গায়। রাজনীতি রাজনীতির জায়গায়। এসব বলে এই আমরাই ওদের মাথায় তুলে রাখিনি? শত দুঃসংবাদের ভীরেও ওদের জয়ে উল্লাস করিনি? সেই সাকিব মাশরাফিরা বাঙ্গালীর সেই দুঃসময়ে নিজেদের নিরাপদ দূরত্বে রেখেছিলেন, আজ যখন মানুষ তাদের ভোটাধিকার ফীরে পাবার আশায় বুক বেধেছে, আজ কেন ওরা এসে সেই অন্যায়কারীদের দালালি করছে? তখন বিপদের সময় কেন মুখ ফুটে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পারেনি? আজ এসছে 'নৌকায় ভোট দিন'। এরা নির্লজ্জ। এরা দা'লাল। এরা নিজেদের জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে যে কোন কিছু করতে পারে, টাকার জন্য এরা নিম্ন থেকে নিম্নতর পর্যায়ে নেমে যেতে পারে। নিজের স্ত্রী-সন্তানকেও সামনে আনতে দ্বিধা বোধ করবে না। এই 'এই ধরণের' দালালদেরকেই ১৯৭১ সালে রাজাকার বলা হতো। বাংলার মানুষ যখন স্বাধীনতার জন্য জীবন বাজি রেখেছিলো, কিছু মানুষ পাকিস্তানের শত অন্যায়ের পরেও পাকিস্তানের প্রশংসা করতো? সবাইকে পাকিস্তানের গুণগান শোনাত। সবাইকে পাকিস্তানের পক্ষে থাকার কথা বলতো। ঠিক তেমনি, এরা নগ্নভাবে অন্যায়ের সঙ্গে থাকার আহ্বান জানাচ্ছে, যেমনটা ১৯৭১ এ তৎকালীন রাজাকারেরা করেছিলো। আজ যখন বাঙ্গালী নিজের ভোটাধিকার ফীরে পাবার লড়াইয়ে যুদ্ধরত, কোথা থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসে বলছেন 'নৌকায় ভোট দিন'। ঐ সাকিব, ঐ মাশরাফিদের উচিৎ ছিল মানুষকে ভোট দেয়ায় উদ্বুদ্ধ করা, উচিৎ ছিল মানুষ কে সত্যের সাথে, ন্যায়ের সাথে থাকার। এরা বলতে পারতো আপনারা সৎ প্রার্থীকে ভোট দিয়ে মনোনীত করুন। ভোটে অংশগ্রহণ করে নিজের মতামত প্রকাশ করুন। যাকে আপনার যোগ্য মনে হবে তাকে ভোট দিন। কিন্তু ভোট দিন। ভোট না দিয়ে আপনার মূল্যবান ভোটটিকে অবমূল্যায়ন করবেন না। সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিয়ে দেশের উন্নয়নে সহযোগিতা করুন। দেশে গণতন্ত্র রক্ষায় অংশগ্রহণ করুন। কিন্তু এরা সরাসরি অন্যায়কে প্রশ্রয় দিয়ে অন্যায়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নির্লজ্জ ভাবে জাতির সাথে তামাশা করলো। সরাসরি বলল "নৌকায় ভোট দিন"। এদের উচিত ছিল দেশের জনগণকে ন্যায়ের পক্ষে উদ্বুদ্ধ করা।
উপরের প্রশ্নগুলোর উত্তর এক কথায় একটাই, কারণ এরা "দালাল"। এরা জনপ্রিয়তার ব্যবসায়ী। এরা আবেগের ব্যবসায়ী। এরা স্বার্থপর। এরা বাঙ্গালীর বিপদের সময় যখন চুপ ছিল, এখনও চুপ থাকলে কেউ ওদের কিছু বলতো না। কেউ ওদের টেনে নিয়ে আসতো না, আসো আমাদের সাথে ন্যায়ের আন্দোলনে শরিক হও। এরা বাঙ্গালীর দুঃসময়ে চুপ ছিল এখনও চুপ থাকলে এদের মূল্য বাঙ্গালীর কাছে একটুও কমতো না। এই সাকিব, এই মাশরাফিরা জানেনা, বাঙ্গালী মাথায় তুলে নাচতে জানলে, মাথা থেকে আছড়ে ইচ্ছে মতো পাড়াতেও জানে।
তোমরা পারনি বিপদের সময় বন্ধুত্বের পরিচয় দিতে।
প্রস্তুত হও আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হওয়ার জন্য।
আফসোস এবং সমবেদনা রইলো।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: সময় সব কিছু ঠিক করে দিবে।