নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই আর কি

ধোয়াটে

ধোয়াটে › বিস্তারিত পোস্টঃ

কী করিতে হইবে?

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৩:৪০

যখন দেখি কত অর্থহীন কারনে, কত সহজে বিনাকারনে জীবন ধ্বংস হয়ে যায়, তখন মাঝে মধ্যে মনে আসে এই প্রশ্ন: জীবনের কি কোন অর্থ আছে? এই যে এ্যত ঘৃণা, রাগ, অভিমান, অনুরাগ, ভালবাসা, স্নেহের বন্ধন দিয়ে জড়ানো মোড়ানো জীবন এর সত্যি কি কোন গভীরতর মানে আছে।
যত বন্ধন তত কষ্ট, তত ভয়, হারানোর ভয়ে সদা কম্পমান মন, তাই নিরাপত্তা খোঁজে মানুষ, লড়াই করে, ‘নিরাপদ সড়ক চাই’, ‘ভবিষ্যত পৃথিবীকে বাসযোগ্য করে যাব আমি’।
বন্ধন নাই করে দিলে কষ্টও শেষ, কিন্তু জীবনও যে শেষ, কারন বন্ধন আর সংঘাতেইতো জীবনের উপলব্ধি। ‘সহস্র বন্ধন মাঝে মহা আনন্দময়, লভিমু মুক্তির স্বাদ’। রবীন্দ্রনাথ অনেক বন্ধনকে স্বীকার করেই মুক্তির পথ খোঁজার কথা বলেছেন।
নিরাপত্তার জন্য দেয়ালের পর দেয়াল তুলছি আমরা। তাতে কী লাভ হচ্ছে বেচারা মনটা গুহাবাসী বাদুরের মত হয়ে যাচ্ছে আলো বাতাস হারিয়ে।
বন্ধনও চাই, আলোও চাই, নিরাপত্তাও চাই, কিন্তু দেয়াল চাই না, গুহার আধাঁর চাইনা।
ভোট গোনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোলের জেরে চারজন মানুষ মরে গেল, কার ভোট, কে মরে? কেনো গুলি করতে হবে।
সবগুলি পুলিশ ফাঁড়ি থেকে অস্ত্র তুলে নিয়ে বঙ্গোপসাগরে ফেলে দিলে কেমন হয়।
তাইলে কি আমাদের জীবনের নিরাপত্তা কমে যাবে? নাকি বেড়ে যাবে।
আচ্ছা কেমন হয় সারাদেশটাকে যদি আমরা অস্ত্রমুক্ত করতে পারি? পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজেবি, আনসার কারো হাতে মারনাস্ত্র নেই, কেমন হবে দেশটা।
দেশের জনগনের নিরাপত্তা নষ্ট হবে?
দুষ্টু লোকেদের রাজত্ব হয়ে যাবে? হয়ত। খুনীদের, ধর্ষকদের, চোরদের, ডাকাতদের, চোরাকারবারীর, নেশার কারবারীদের পোয়াবারো হবে?
হবে হয়ত। কিন্তু এখনোতো সবই চলছে। জেলখানায় লোকের অভাব কোন কালে হয়েছে বলে শুনিনি।
অস্ত্রের ভয়, জেলের ভয় আসলে অপরাধ দমনে, মানুষের নিরাপত্তা বিধানে কার্যকরী, ফলপ্রসূ? ‘চোরে না শোনে ধর্মের বাণী’।
বাইরের জোর খাটিয়ে আসলে মানুষকে ‘কন্ট্রোল’ হয়ত কিছুটা করা যায়, কিন্তু তাকে ভাল বানানো যায় না। ভাল বানানোর পথ হচ্ছে শিক্ষা, পরিবার আর সমাজের কাছ থেকে পাওয়া মূল্যবোধ। সমাজে, পরিবারে প্রকৃত শিক্ষার চাষাবাদ হলেই তবে, সমাজে ভাল মানুষ তৈরী হবে, তাকে বাইরে থেকে জোর খাটিয়ে, ভয় দেখিয়ে ‘কন্ট্রোল’ করতে হবে না, সে নিজেকে নিজেই সঠিক পথে চালাবে। অস্ত্র লাগবে না, জেল লাগবে না।

সমাজে, পরিবারে প্রকৃত শিক্ষাই সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে, জেল না, অস্ত্র না, দেয়াল না।
একবার আসুন ভেবে দেখি প্রকৃত প্রস্তাবে জেল, অস্ত্র, দেয়াল কাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। সাম্প্রতিক সময়ে একজন প্রতিমন্ত্রীর হুমকির কথা মনে পড়ছে? সব বাহিনী আসলে ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতাকে মজবুত করার জন্য আছে। আমাদের মত সাধারন মানুষদের নিরাপত্তা কথা বলে এইসব বাহিনী রাখা হয়, শক্তিশালী করা হয়, এটা একটা চোখে ধূলো দেয়া অজুহাত; প্রয়োজনমত আম জনতাকে সাইজ করার জন্য, বিদ্যমান রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখার জন্যই সব বাহিনী আছে, ছিল এবং থাকবে, যতদিন না আমাদের বুঝ হয়।

রাষ্ট্র আমজনতার নিরাপত্তার কথা ভাবে না, তার সব ভাবনা একটা নির্দিষ্ট শ্রেণীর মানুষের জন্য।
আসুন ভাবি আমরা কীভাবে সব মানুষের জন্য নিরাপদ একটা সমাজ তৈরী করতে পারবো। সেইজন্য আমাদের কী করিতে হইবে?

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৮:৫৪

শেরজা তপন বলেছেন: সবাই একটু আধটু বোঝে -কিন্তু কিছু করার কি আছে?

২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:০৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভালো নেতা কিংবা কঠিন পরিস্থিতি ছাড়া সাধারণ মানুষ অন্যায়ের বিরুদ্ধে একতাবদ্ধ হতে পারে না। তাই সমাজে ভালো মানুষ থাকা সত্ত্বেও সমাজের এই অবস্থা। অনেক মানুষের কাছে এই সমাজটা বেশ ভালো কারণ তারা ভালোই আছে।

৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৪৯

জুল ভার্ন বলেছেন: খুব সুন্দর লেখা! +

৪| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:২৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার এ পোস্টটি মন দিয়ে পড়লাম। অনেক চিন্তার খোড়াক যুগিয়েছেন। ব্লগারদের এসব নিয়ে ভাবা উচিত, লেখাও উচিত।
আমিও চাইঃ
সীমান্তহীন বিশ্ব (পাখিদের মতন)।
অস্ত্রহীন স্বদেশ (পুলিশের হাতে খুব জোর লাঠি স্বীকৃত অস্ত্র হিসেবে থাকতে পারে)।
কারাগারের সংখ্যা কমিয়ে আনা ন্যূনতম পর্যায়ে। জেল কোডের পরিবর্তন চাই। অন্তরীণ জেলবন্দীদের সাথে মানবিক আচরণ চাই।
কারাগারকে সংশোধনাগার হিসেবে দেখতে চাই।
পুলিশ কর্তৃক শুধুমাত্র রাষ্ট্রপতি ও প্রধান মন্ত্রী ব্যতীত অন্য সকলকে 'প্রটোকল' প্রদান বন্ধ করা হোক!
Penal Code এবং CrPC সংশোধন চাই।
পুলিশ, অন্যান্য আইন শৃঙ্খলাা বাহিনী এবং সশস্ত্র বাহিনীর সংখ্যা বর্তমানের চেয়ে অর্ধেকে কমিয়ে আনতে হবে। সাশ্রয়কৃত অর্থ জনকল্যাণে ব্যয় করা হোক।

পোস্ট ভালো লেগেছে। পোস্টে প্লাস। + +

৫| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৩৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: লেখায় +++
খায়রুল আহসান ভাইয়ার মন্তব্যে ও ভালোলাগা।

৬| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৩৭

ধোয়াটে বলেছেন: অনেক কিছুই হয়ত করার আছে, যেমনটি নীচে খায়রুল আনাম বলেছেন। এমনকি ঠিক যা নয়, তাকে ঠিক না বলাও একটা ঝুঁকির কাজ, জেল, জুলুম, বিচারবহির্ভূত হত্যার সম্ভাবনা থাকে।

৭| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৩৯

ধোয়াটে বলেছেন: পড়ার জন্য আর মতামতের জন্য ধন্যবাদ

৮| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৪৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: খায়রুল আনাম???

৯| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:১৪

ধোয়াটে বলেছেন: অনেক দুঃখিত খায়রুল আহসান নাম ভুল লেখার জন্য।

১০| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১:২৬

ধোয়াটে বলেছেন: খায়রুল আহসান ধন্যবাদ আপনাকে কষ্ট করে পড়ার জন্য আর মন্তব্যের জন্য। আপনি ‘কী করিতে হইবে’র একটা উত্তর খোঁজার চেষ্ঠা করেছেন- এতে আপনার সজীব মনের পরিচয় মেলে। সমাজ নিয়ত পরিবর্তিত হয়, কখনও ভালই দিকে, কখনও মন্দের দিকে, কিছুই আবার নির্ভেজাল ভাল ও মন্দ নয়, এমনি সকলের তরেও নয়। যে পরিবর্তন সংখ্যা গরিষ্ঠের জন্য মন্দের চেয়ে ভালই বেশী করে, সেই পরিবর্তনই কাম্য, সে পরিবর্তনের জন্য যে লড়াই তার অগ্রসৈনিক হতে হবে তরুনদের। নজরুলের মত বিদ্রাহী, বুকের মধ্যে সেই আগুন জ্বলে উঠলে কার সাধ্য তাকে রোধে, অথবা রবীঠাকুরের মত ‘জাগিয়া যখন উঠেছে পরান, কিসের বাঁধা, কিসের ভয়’।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.