নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী। কর্মস্থল- হাইকোর্ট।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah
এক ভদ্রলোক চেম্বারে আসলেন। উনার জনৈক শুভাকাঙ্ক্ষী আমার কাছে পাঠিয়েছেন।আলাপচারিতায় বুঝতে বাকি রইল না তিনি তার পরিসরে পতিত সরকারের হেডমওয়ালা একজন ছিলেন। যাইহোক সেটা আমার দেখার বিষয় না। আসার কারণটা জিজ্ঞেস করতেই সোজাসাপ্টা উত্তর, ‘উকিল আর ডাক্তারের কাছে নিশ্চয় কেউ গল্প করতে আসে না। ’
তা ঠিক। আপনি বলতে পারেন বিষয়টা।
: একটা মামলা করতে হবে জরুরি ভিত্তিতে এবং বিষয়টা খুবই গোপনীয়। ফি নিয়ে মাথা ঘামাতে হবে না!
এই প্রথম কোন মক্কেল এমন কোন অফার পেলাম। অন্তবর্তীকালীন সরকারের আমলে কপাল খুলে যাচ্ছে কিনা সেটা ভাবতে লাগলাম! আপনি নিঃসংকোচে শেয়ার করতে পারেন।
:আপনারা তো অনেক মামলাই করতেছেন। শুধু একটা নাম এক ফাঁকে এড করে দিবেন।
তা না হয় বুঝলাম। কিন্তু উনার সাথে আপনার সমস্যাটা আসলে কোন জায়গায়?
: ভাই, গত ষোল বছর এলাকায় বিরোধী দল নয় বরং সে-ই আমার প্রধান শত্রু ছিলো। ভবিষ্যতেও শান্তি পাবো না। শায়েস্তা করা ছাড়া উপায় নাই।
তা বুঝলাম ‘ঘরের শত্রু বিভীষণ’ কিন্তু দুঃখটা হলো আমাকে এমন কোয়ালিটির মাল মনে হলো কেন?
: ইতস্তত হয়ে ভদ্রলোক বললেন, বুঝতে পারিনি!
শুনেন, এমনটা ঘুণাক্ষরেও মনে আসলে এই সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যেই বহুত কিছু করে ফেলতে পারতাম। আপনি ভুল জায়গায় এসেছেন। মিথ্যা মামলায় হয়রানি করাটা কতটুকু জুলুম তা বিগত সময়ে হাড়েহাড়ে প্রত্যক্ষ করেছি। এখনো সময় আছে তওবা করার!
-মোহাম্মদ তরিক উল্যাহ
অ্যাডভোকেট
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট
০১৭৩৩৫৯৪২৭০
©somewhere in net ltd.