নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।

এম টি উল্লাহ

উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী। কর্মস্থল- হাইকোর্ট।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah

এম টি উল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

গণভবনের জিনিসপত্র নিয়ে উদ্বিগ্ন সুশীল ভাইদের বলছি

০৬ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ২:২৫


অনেক সুশীল ইনিয়ে বিনিয়ে গণভবনের জিনিসপত্রের জন্য মায়াকান্না শুরু করে রীতিমতো কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিচ্ছেন জনতার বিজয়কে। গণভবনে যখন জনতার ঢল নামে তখন আমিও ওখানে ছিলাম কিন্তু গণভবনে প্রবেশ করি নি। মূলত মুক্তিকামী মানুষের ঢল এতোটাই প্রবল ছিলো যে,আমি প্রবেশ না করাটাই শ্রেয় মনে করেছি। গণভবনে প্রবেশ করে মানুষজন যে জিনিসপত্র যার যায় মতো করে নিয়ে নিয়েছেন তা কোন চুরি নয় বরং জনগণের অধিকার হরণ করে লুটরাজত্ব কায়েম হয়েছিল সে অধিকার বুঝে নেওয়ার তাগিদেই মানুষ উৎসবমুখর হয়ে এমনটা করেছে।

সহজ করে বললে, চোর পালিয়ে যাওয়ার পর গৃহস্থ স্বাভাবিকভাবেই তার জিনিসপত্র বুঝে নিবেই! তারপরও দেখেছি সচেতন ছাত্র-সমাজ অনেককে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করছে। ওখানে বেশীক্ষণ না থেকে আমি সংসদ ভবনের দিকে গিয়ে দেখি সেখানেও একই চিত্র। এম.পি হোস্টেলে অনেক মূল্যবান জিনিসপত্র গনিমতের মাল মনে করে অনেকটা নিয়ে যাচ্ছেন।নিজে অনেককে বারণ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছিলাম। আমার মতো অনেকেই চেষ্টা করছেন। পরে কাজ না হওয়ায় উপস্থিত বুকে আইডি কার্ড থাকা ছাত্রদের ডেকে বলি তা রক্ষা করতে। যার প্রেক্ষিতে কার্যত ওখান থেকে তেমন জিনিসপত্র কেউ নিতে পারেন নি। গেইটে রেখে দিয়েছে সচেতন ছাত্র-সমাজ।

জিনিসপত্র হাতিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্য থেকে নয় বরং ক্ষোভ থেকেই এমনটি করেছে বলে আমার মনে হয়। বিজয়ের মাত্র বিশ মিনিট আগেও রাষ্ট্রযন্ত্র কর্তৃক সহযোদ্ধাকে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারাতে দেখা বিপ্লবীকে ব্যাকরণ মেনে চলার আবদারটা একটু বেশীই হয়ে যায় না? কই, বিগত সাড়ে পনের বছরে লুটতরাজ শ্রেণী যে জনগণের ১২ লক্ষ কোটি টাকা পাচার করেছে তখন তো আপনারা কোন ছবক দিতে দেখলাম না। অবৈধ ক্ষমতা হারানোর বেদনা থেকে সমালোচনা নয় বরং অনুশোচনাটা জরুরি নয় কি! তারপরও বলি, কোন যুক্তিতেই রাষ্ট্রের সম্পদ কেউ নিজ আয়ত্তে নেওয়ার অধিকারী নন। আশাকরি পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলে সরকার অনুরোধ করলে দেশপ্রেমী জনতা মূল্যবান জিনিসপত্র ফেরত দিবেন। সবচেয়ে বড় কথা, স্বৈরাচারের চিহ্ন নিজের কাছে রেখে ঘরকে অপবিত্র করারই মানে হয় না!

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ২:৩১

সোনাগাজী বলেছেন:



নিজের ছবি দিলেন নাকি?

০৬ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯

এম টি উল্লাহ বলেছেন: ছবি সংগৃহিত

২| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ২:৩৩

সোনাগাজী বলেছেন:



ওহ আপনি ভিতরে যাবার সুযোগ পাননি? অনেক নাদুস নুদুস মুরগী ছিলো পেছনের আংগিনায়।

৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ২:৪০

প্রহররাজা বলেছেন: সমস্যা নাই, সুযোগ পাইলে এরা আপনার মা বোন বৌ এর কাপড় নিয়েও এমন বিকৃত কাজ করবে। চোরের দেশে সবসময় চোরই ক্ষমতায় আসবে। মুদির দোকানদার থেকে শুরু করে সচিব সবাই চুরির ধান্দায়। আর আপনার মতো সুশীল সাহস ও সুযোগের অভাবে সৎ।

০৬ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৪:৫০

এম টি উল্লাহ বলেছেন: ভালো বলেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা

৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ২:৫৩

সোনাগাজী বলেছেন:


আপনার মতো লোকজন কোর্টেও যান!

৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৩:১৯

কামাল১৮ বলেছেন: হুবুহু শ্রীলংঙ্কার নকল।তারা অল্প দিনেই ঘুড়ে দাড়িয়েছে।আমাদের কতোদিন লাগবে কেউ জানে না।ছাত্ররা কয়েক ভাগ হয়ে মারা মারী লগলো বলে।একটা স্থিতিশীল দেশকে অস্থিতিশীল করে ফেলা হলো।এর পরিনাম খুবই খারাপ হবে।এর মুলে আছে আর্মি।আর্মিকে ডাকার প্রয়োজন ছিলো না।আর্মি কিছুই করলো না,কেবল দাড়িয়ে তামাশা দেখলো।

৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৩:৫৯

অস্বাধীন মানুষ বলেছেন: দেশের অবস্থা ভালো নাই । দেশ নিয়ে বিশাল চক্রান্ত ছলছে। এখনো গভীর রাত পর্যন্ত
বাড্ডা,উত্তরা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অনেক মানুষ গুলি খেয়ে মরছে ।

৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৪ ভোর ৪:০৮

বিষন্ন পথিক বলেছেন: কালো শাড়ি মাড়ি পান নি? কেটে কোট বানিয়ে কোর্টে যেতে পারতেন

৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৯:২৩

বিষাদ সময় বলেছেন: রাগে ভাঙ্গচুর করা এক বিষয় আর মাথায় করে আলমারী, ফ্রিজ নিয়ে যাওয়া আরেক বিষয়। এটা মনে হয় আপনর মত জ্ঞানী মানুষকে বুঝিয়ে বলতে হবে না।

৯| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: এতগুলো ছাত্র হত্যা করল পাখির মত গুলি করে তখনও অনেকে টু শব্দ করেনি।এখন তারাই জাত গেল বলে হা হুতাশ করতেছে।

০৬ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২

এম টি উল্লাহ বলেছেন: সেটাই

১০| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:১৬

নতুন বলেছেন: এমন সুবিধাবাদী একটা গোস্ঠি সব খানেই থাকে। এমন লুট আমেরিকা, ইউকে তেও হয়। কিছু সুযোগ সন্ধানী আছে, যারা যুদ্ধের পরে আসে সুবিধা নিতে। এই গোস্ঠি কিন্তু আন্দোলনে নামেনাই।

ছাত্ররা তাদের প্রতিরোধের চেস্টা করেছে, করবেও। টিভিও এক রিপোটেও দেখিয়েছে যে ছাত্ররা সংসদের একটা গেটের পাসে কয়েকজন মিলে জিনিসপত্র রেখে যেতে বলছে।

আমার ভাগিনা নিজে তাদের এলাকার ৩ মসজিদের কথা বলেছে যাতে সবাইকে সচেতন করে, ভিন্যধর্মালম্বিদের উপরে আক্রমন না করে। কিন্তু সে পজেটিভ সাড়া পায় নাই। তারা তেমন গুরুত্ব দেয় নাই।

০৬ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২

এম টি উল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.