নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।

এম টি উল্লাহ

উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী। কর্মস্থল- হাইকোর্ট।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah

এম টি উল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাড়িভাড়া মামলা কি? ভাড়াটিয়াকে উচ্ছেদ করতে চাইলে আইনী প্রতিকার যেভাবে নিবেন/ বাড়িভাড়া মামলা করার পদ্ধতি

১৮ ই নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৮


ভাড়া ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে বাড়ির মালিকের সাথে দ্বন্দ্বের বিষয়টি নিয়মিত ঘটনা। যার প্রেক্ষিতে বাড়ির/দোকানের কিংবা কমার্শিয়াল স্পেস এর মালিক ভাড়াটিয়াকে উচ্ছেদের চেষ্টা করেন নানান অজুহাতে। মালিক যেন জোর পূর্বক উচ্ছেদ করতে না পারে তার জন্য রয়েছে আইনী প্রতিকার। যাকে বলে বাড়িভাড়া মামলা।

***বাড়ি ভাড়া মামলা করার নিয়মঃ

আইন অনুযায়ী বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণ এবং সমস্যা সমাধানের জন্য ভাড়া নিয়ন্ত্রক রয়েছেন। বর্তমানে সিনিয়র সহকারী জজ আদালত ভাড়া নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব পালন করে থাকেন। এ নিয়ন্ত্রক কোনো অভিযোগের ভিত্তিতে দরখাস্তের শুনানি করতে পারবেন।
মনে রাখতে হবে,
=)বাড়িওয়ালা কোনো কারণে ভাড়া গ্রহণে অস্বীকৃতি জানালে ভাড়াটেকে চুক্তি অনুযায়ী সময়ের মধ্যে অথবা চুক্তি না থাকলে পরবর্তী মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে মানি অর্ডারযোগে বাড়িওয়ালার ঠিকানায় ভাড়া প্রেরণ করতে হবে।
=)মানি অর্ডারযোগে প্রেরিত ভাড়ার টাকাও যদি বাড়িওয়ালা গ্রহণ না করেন, তাহলে ওই টাকা ফেরত আসার পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে ভাড়াটেকে ভাড়া নিয়ন্ত্রক অর্থাৎ সিনিয়র সহকারী জজের বরাবর দরখাস্ত এবং একই সঙ্গে ভাড়ার টাকাও জমা দিতে হবে। এ জন্য একজন আইনজীবীর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রক বরাবর আবেদন করতে হবে।
=)ভাড়া নিয়ন্ত্রক প্রাথমিকভাবে শুনানির পর যদি সন্তুষ্ট হন যে ভাড়া প্রদানের জন্য অনুমতি দেওয়া যাবে, সে ক্ষেত্রে ভাড়ার টাকা আদালতে জমা দেওয়া যাবে এবং তা প্রতি মাসেই আদালতে জমা দেওয়া যাবে।
=) আদালতে ভাড়ার টাকা জমা দিলে আইনত ভাড়াটেকে ভাড়াখেলাপি হিসেবে বলার সুযোগ থাকবে না তথা মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার আগ পর্যন্ত ভাড়াটিয়াকে উচ্ছেদ করার সুযোগ নাই।

** ভাড়িভাড়ার জটিলতা এড়াতে যা করণীয়ঃ
বাড়ি ভাড়া নেওয়ার সময় বাড়িওয়ালার সঙ্গে লিখিত চুক্তি করুন। এই চুক্তিতে কী কী শর্তে ভাড়া দেওয়া হলো এবং করণীয় কী, সেসব নির্দিষ্ট করে দিতে হবে। ভাড়া কখন বাড়ানো যাবে এবং তা কোন হারে হবে, অগ্রিম কত জমা দিতে হবে, কখন বাড়িওয়ালা ভাড়াটেকে বাড়ি ছাড়তে বলতে পারেন, ভাড়াটে কখন বাড়ি ছাড়বেন, তা অবশ্যই চুক্তিপত্রে উল্লেখ করে দিতে হবে। আর প্রতি মাসে বাড়িওয়ালার কাছ থেকে ভাড়ার লিখিত রসিদ সংগ্রহ করে রাখতে হবে। ভাড়াটের যেমন অধিকার রয়েছে যুক্তিসংগত উপায়ে আইনের আশ্রয় নেওয়ার, তেমনি বাড়িওয়ালারও অধিকার রয়েছে সুনির্দিষ্ট কারণ দেখিয়ে ভাড়াটে উচ্ছেদের জন্য আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আইনের প্রয়োগ হবে না ভেবে বেশিরভাগ মানুষ এরকম হয়রানিগুলো মেনে নেন। অথচ, প্রচলিত আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও সবাই সচেতন হলে এ ধরণের সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

বাড়িভাড়া সংক্রান্তে সংক্ষুব্ধ পক্ষ আদালতের আশ্রয় নিতে পারেন। বিশেষ করে ভাড়াটিয়ারা চাইলে উচ্ছেদ এড়িয়ে আদালতের মাধ্যমেও মাসিক ভাড়া দিতে পারেন আবেদন করে। অবশ্য তার জন্য নির্ধারিত পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়।

-আইনজীবী মোহাম্মদ তরিক উল্যাহ
০১৭৩৩৫৯৪২৭০
[email protected]

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.