নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী। কর্মস্থল- হাইকোর্ট।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah
সারাদেশে নৃশংসতমভাবে পূজামণ্ডপে হামলা ও অগ্নিসংযোগ সহ সারাদেশে সংঘটিত ন্যাক্কারজনক অপরাধ সমূহ ঘটতে থাকা এবং এসব জঘন্য অপরাধের প্রতিবাদে বিবেকবান মানুষ মাত্রই যখন সোচ্চার ও উদ্বিগ্ন ঠিক তখনই "ছয় মাস ধরে কারাগারে থাকা ব্যক্তিরাও আসামি" "বাদি বলছেন, আসামিদের দিয়েছেন প্রতিপক্ষের রাজনৈতিক নেতারা"
এমন সব রিপোর্ট মানুষকে যেমনি হতবাক করেছে তেমনি শঙ্কিত হতে হচ্ছে এমন সব গায়েবিভাবে মামলায় জড়িত করার মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে কিনা তা ভেবে!
কারণ, এলোপাতাড়ি মামলা দেওয়া কিংবা কোন মতাদর্শের বিবেচনায় গণগ্রেফতার ন্যায় বিচারের কোন মাপকাঠি তো নয়ই বরং অন্যায়/প্রহসনের পথকেই প্রশস্ত করে। ফৌজদারি আইনের দর্শন হলো: এই আইনের অধীনে কোনো মামলা হলে তা সাক্ষ্যপ্রমাণ দিয়ে শতভাগ প্রমাণ করতে হয়৷ কোনো সন্দেহ রেখে কাউকে শাস্তি দেয়া যায় না৷ আসামিরা সব সময়ই ‘বেনিফিট অফ ডাউট'-এর সুযোগ পেয়ে থাকেন৷ কারণ বিচারে ন্যূনতম সন্দেহ রেখেও কাউকে সাজা দেয়া যায় না৷ অপরাধ প্রমাণ মানে শতভাগ প্রমাণ নিশ্চতকরণ৷
আবার মনে রাখতে হবে, মামলা প্রমাণের দাবী বাদীর। আসামীকে তার নির্দোষিতা প্রমাণের আবশ্যকতা নেই। প্রসিকিউশন পক্ষকেই আসামীর অপরাধ প্রমাণ করতে হবে, ব্যর্থতায় আসামী খালাস পাবে। তাই শুধু মামলা করার জন্য মামলা না করে প্রকৃত সত্য উদঘাটন পূর্বক দোষীদের আইনের আওতায় আনা উচিত। অহেতুক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে গ্রেফতারের ফলে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা কিছুদিন জেল খেটে জামিনে মুক্ত হবেন এবং হয়তো বিচারে খালাসও পাবেন। কিন্তু ন্যাক্কারজনক এসব ঘটনার সহিত সম্পৃক্তদের সনাক্ত করা কিংবা বিচার যদি নিশ্চিত না করা যায় তাহলে দায়ভার কার?
আইন প্রয়োগ এবং বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায়ই আসলে আইনের চরিত্রকে প্রকাশ করে৷ আইনের ফাঁকফোকর, অপপ্রয়োগ, প্রয়োগ না হওয়া কতগুলো সংস্থা বা বিভাগের ওপর নির্ভরশীল, তাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখা জরুরি। শুরুতেই যদি গলদ থাকে তাহলে ন্যায়বিচার বাধাগ্রস্ত হওয়ার মাধ্যমে তার সুবিধা দুষ্কৃতকারীদের পক্ষেই যাবে। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, আইন প্রয়োগ এবং বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় ত্রুটি থাকার কারণেই পুরান ঢাকায় বিশ্বজিৎ দাসকে বিনা কারণে প্রকাশ্য-দিবালোকে শত শত মানুষ ও আইনরক্ষা বাহিনীর সদস্য এবং সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে নৃশংসভাবে হত্যা করেও মাত্র দুজন আসামির ফাঁসি নিশ্চিত করা গিয়েছিল!
- মোহাম্মদ তরিক উল্যাহ (MT Ullah)
আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী
২২ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:৪৭
এম টি উল্লাহ বলেছেন: অনিয়মের বেড়াজালে বন্দী সবকিছু
২| ২১ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:০৩
জুল ভার্ন বলেছেন: নিজে অনেকগুলো গায়েবী মামলায় জড়িয়ে ওষ্ঠাগত প্রাণ!
২২ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:৪৬
এম টি উল্লাহ বলেছেন: দুঃখজনক
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:০২
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: একজনকে দেখেছি সৌদী আরবে। বেচারা এখানে রেসিডেন্সি পারমিট রিনিউ করে না ৮ বছর হলো; দেশেও শেষ গেছে ১০ বছর। আর তার নামে মামলা আছে দেশে; বছর খানেক আগের মামলা। সে নাকি কাকে দা-কোদাল নিয়ে দৌড়ানি দিছে :v
বিদেশের মাটিতে ড্রাইভিং লাইসেন্স করাইতে ঘুষ লাগে না; দেশের মাটিতে ঘুষ লাগে। সত্যিই সেলুকাস!