নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী। কর্মস্থল- হাইকোর্ট।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah
স্ত্রীর অনুমতি ব্যতীত পুনরায় বিবাহ করলে যে শাস্তি হয়
কোন পুরুষ যদি অনুমতি বিনা দ্বিতীয় বিবাহ করেন তবে তিনি অবিলম্বে তার বর্তমান স্ত্রী বা স্ত্রীদের আশু বা বিলম্বিত দেন মোহরের সম্পূর্ণ টাকা তৎক্ষণাৎ পরিশোধ করবেন এবং মোহরানার টাকা পরিশোধ করা না হলে বকেয়া ভূমি রাজস্ব আদায়ের মতো আদায় করা হবে। এছাড়াও স্ত্রী মামলা আনায়ন করলে তাতে দোষী সাব্যস্থ হলে ১ বৎসর পর্যন্ত জেল ও ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ড কিংবা উভয়দন্ডে দন্ডিত হবেন। পাশাপাশি দন্ডবিধি আইন ১৮৬০ এর ৪৯৪ এর বিধান মতে স্বামী যা স্ত্রীর জীবনকালে পুনরায় বিবাহ করেন যে ব্যক্তি যে কোন বর্ণনার কারাদন্ডে যার মেয়াদ সাত বৎসর পর্যন্ত হতে পারে তদুপরি অর্থদন্ডে দন্ডনীয় হবে। তবে একটি বিষয় পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা উচিত, বহু বিয়ের মামলায় বাদীকে সফল হতে হলে অবশ্যই প্রমাণ করতে হবে যে, দ্বিতীয় বিয়ের সময় প্রথম বৈধ বিয়ের অস্তিত্ব ছিল।
বহু বিবাহের আইনগত দিক
পূর্বাহ্নে সালিশী পরিষদের নিকট হতে লিখিত অনুমতি না নিয়ে কোন পুরুষ একটি বিবাহ বলবৎ থাকাকালে আর একটি বিবাহ করতে পারবে না এবং পূর্বানুমতি গ্রহণ না করে এই জাতীয় কোন বিবাহ হলে তা মুসলিম বিবাহ ও তালাক (রেজিষ্ট্রেশন আইন ১৯৭৪ মালের ৫২ নং আইন মোতাবেক রেজিষ্ট্রী হবে না)।
১. উপরের (১) উপ-ধারায় বর্ণিত অনুমতির জন্য নির্দিষ্ট ফি জমা দিয়ে নির্ধারিত পদ্ধতিতে চেয়ারম্যানের নিকট আবেদন করতে হবে এং আবেদনপত্রে প্রস্তাবিত বিবাহের কারণ এবং বর্তমানে স্ত্রী বা স্ত্রীগণের সম্মতি নেওয়া হয়েছে কিনা তা উল্লেখ করতে হবে।
২. উপরোক্ত (২) উপ-ধারা অনুযায়ী আবেদনপত্র পাঠাবার পর চেয়ারম্যান আবেদনকারী ও তার বর্তমান স্ত্রী বা স্ত্রীগণকে তাদের নিজ নিজ প্রতিনিধি মনোনয়ন করতে বলবে এবং সালিশী পরিষদ যদি মনে করে যে, প্রস্তাবিত বিবাহটি প্রয়োজন ও ন্যায়সঙ্গত তা হলে কোন শর্ত থাকলে সে সাপেক্ষে প্রার্থীর বিবাহের অনুমতি মঞ্জুর করতে পারে।
৩. আবেদনপত্র সম্পর্কে সিদ্ধান্তকালে, সালিশী পরিষদ এ সিদ্ধান্তের কারণ সমূহ লিপিবদ্ধ করবে এবং কোন পক্ষ নির্দিষ্ট ফি জমা দিয়ে নির্ধারিত পদ্ধতিতে নির্ধারিত সময়ে সংশ্লিষ্ট সহকারী জজের পুনর্বিচারের জন্য আবেদন করতে পারবে এবং এতে সহকারী জজের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে এবং এর বৈধতা সম্পর্কে কোন আদালতে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না।
৪. বর্তমান স্ত্রী বা স্ত্রীগণের প্রাপ্য মুয়াজ্জল বা মু-অজ্জল দেনমোহরের টাকা তৎক্ষণাৎ পরিশোধ করবে। সে টাকা ওইরূপে পরিশোধ করা না হয় তা হলে বকেয়া ভূমি রাজস্ব রূপে আদায় করা হবে।
বহু বিবাহেরে ক্ষেত্রে ইউপি চেয়ারম্যান সাহেবের দায়-দায়িত্বঃ
১. বহু বিবাহের ক্ষেত্রে চেয়ারম্যান সাহেব স্বামীকে অনুমতি দিতেও পারে আবার নাও দিতে পারে।
২. যদি কোন স্বামী সালিশী পরিষদের মাধ্যমে অনুমতি পেয়ে যায় তাহলে চেয়ারম্যান সাহেব তাকে স্মারক নং- সহ দ্বিতীয় বিবাহের অনুমতি প্রদান করবে।
৩. অনুমতি ব্যতিত স্বামী বহু বিবাহ করলে চেয়ারম্যান সাহেব তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বর্তমান স্ত্রীকে উদ্বুদ্ধ করবে।
৪. সালিশী পরিষদের অনুমতি ব্যতিত কোন ব্যক্তি যদি অন্য একটি বিবাহ করে, সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাহেব ম্যাজিষ্ট্রেটের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করতে পারবে।
বহু বিবাহের ক্ষেত্রে কাজী সাহেবের দায়-দায়িত্ব:
➖বিবাহটি বরের বহু বিবাহ কিনা তা যাচাই করবে।
➖সলিশী পরিষদের লিখিত অনুমতি আছে কিনা তা দেখবে।
➖সত্যতা যাচাইয়ের জন্য কাজী সাহেব যে কোন পন্থা অবলম্বন করতে পারে আবার সন্দেহ হলে বিবাহটি নাও রেজিষ্টি করতে পারে।
- মোহাম্মদ তরিক উল্যাহ, আইনজীবী
01733 594 270
০২ রা অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:২১
এম টি উল্লাহ বলেছেন: "এই আইন কি আসলে সামজিক শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য, নাকি উকিল মোক্তার আর বিচারের দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিদের পকেট ভরার জন্য" ,আপনার জিঞ্জাসা স্বাভাবিক কিন্তু একজন আইনজীবী হিসেবে এমন মামলায় অসংখ্য জনকে সাজা প্রাপ্ত হতে দেখেছি।
২| ০২ রা অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:৪৫
এভো বলেছেন: বিটপি বলেছে ------- প্রথম স্ত্রীর অনুমতি নেবার আইন একটি ফালতু আইন। এটি সংস্কার করা প্রয়োজন। বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপটে ক্লিয়ার বুঝা যায়, কোন প্রথম স্ত্রীই এই আইনের সুবিধা নিতে পারবেনা।
অবিলম্বে বউ এর অনুমুতির প্রধান শর্ত মূলক আইণটা বাতিল করা হোক , যাতে যে কেহ নিজের ইচ্ছা মত যত খুশি বিবাহ করতে পারে ।
২২ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:৫৩
এম টি উল্লাহ বলেছেন: ভালো বলেছেন
৩| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:৫০
বিটপি বলেছেন: বাংলাদেশের পুরুষদের মেরুদন্ড এত শক্ত না যে চাইলেই দ্বিতীয় বিবাহ করতে পারবে। একটা বউ সামলাতেই হিমশিম খেয়ে যায়, 'ইচ্ছামত যত খুশি' বিয়ের সুযোগ কই?
২২ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:৫৩
এম টি উল্লাহ বলেছেন: চরম বাস্তবতা!
৪| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ২:৩২
সোহানী বলেছেন: মাত্র তিনজন মন্তব্য করেছে!! হতাশ হলাম। আমিতো আশা করেছিলাম ব্লগকূল ঝাঁপায়ে পড়বে!!!
এভো বলেছেন: অবিলম্বে বউ এর অনুমুতির প্রধান শর্ত মূলক আইণটা বাতিল করা হোক , যাতে যে কেহ নিজের ইচ্ছা মত যত খুশি বিবাহ করতে পারে ।
হাহাহাহা......... এটাই আসল কথা। বাকি সব নকল!!
বিটপি বলেছেন: আমি একটা বহুবিবাহের কেসও শুনিনাই যেখানে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি নেয়া হয়েছে।
আমি একটা বহুবিবাহের কেসও শুনিনাই যেখানে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি নেয়া হয়নি, কিন্তু স্বামীকে এক বছর জেল খাটতে হয়েছে।
সহমত বিটপি ব্রাদার..।
২২ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:৫২
এম টি উল্লাহ বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৮:২৭
বিটপি বলেছেন: আমি একটা বহুবিবাহের কেসও শুনিনাই যেখানে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি নেয়া হয়েছে।
আমি একটা বহুবিবাহের কেসও শুনিনাই যেখানে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি নেয়া হয়নি, কিন্তু স্বামীকে এক বছর জেল খাটতে হয়েছে।
মেয়েরা যে এই সমাজ এবং আইনের কাছে কতটা অসহায় - পুরুষদের বহুবিবাহের প্রবণতায় স্পষ্ট ফুটে ওঠে।
এই আইন কি আসলে সামজিক শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য, নাকি উকিল মোক্তার আর বিচারের দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিদের পকেট ভরার জন্য।
প্রথম স্ত্রীর অনুমতি নেবার আইন একটি ফালতু আইন। এটি সংস্কার করা প্রয়োজন। বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপটে ক্লিয়ার বুঝা যায়, কোন প্রথম স্ত্রীই এই আইনের সুবিধা নিতে পারবেনা।