নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।

এম টি উল্লাহ

উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী। কর্মস্থল- হাইকোর্ট।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah

এম টি উল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিদেশ থেকে অাসার সময় কতটুকু স্বর্ণ বহন করার অনুমিত অাছে?অতিরিক্ত স্বর্ণ বহনে করণীয় ও শাস্তি সংক্রান্ত বিধিমালা কি??

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০৮

স্বর্ণ বহন সংক্রান্ত তথ্য আপনার জানা না থাকলে বিপদ শুধু নয়,চোরাচালানের দায়ে কারাভোগের মতো বড় বিপদেও পড়তে পারেন আপনি।
=>>বৈধভাবে যতটুকু স্বর্ণ একজন যাত্রী আনতে পারেন তার চেয়ে বেশি স্বর্ণ আনলে প্রাথমিকভাবে জরিমানা
এবং স্বর্ণ চোরাচালানের অভিযোগে কারাদণ্ডও হতে পারে।

◾জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের যাত্রী (অপর্যটক)
ব্যাগেজ (আমদানি) বিধিমালা, ২০১২-তে এ বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

✳একজন যাত্রী কী পরিমাণ স্বর্ণের অলংকার আনতে পারবেন?
▶বিধামালার ৯ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, ‘একজন যাত্রী অনধিক ১০০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণালংকার অথবা ২০০ গ্রাম রৌপ্যের অলংকার(এক প্রকার অলংকার ১২টির অধিক হবে না) সকল প্রকার শুল্ক ও কর পরিশোধ ব্যতিরেকে আমদানিকরতে পারবে।’
অর্থাৎ
বিদেশ থেকে আসার সময় একজন যাত্রী শুল্ক-কর ব্যতীত সর্বোচ্চ ১০০ গ্রাম স্বর্ণ সঙ্গে আনতে পারবেন। তবে এক প্রকারের অলংকার ১২টির বেশি হতে পারবে না। ১০০ গ্রামের অতিরিক্ত আরো ১০০ গ্রাম পর্যন্ত HS-Code (২০১৪-১৫)অনুযায়ী গ্রামপ্রতি ১৫০০ টাকা হারে শুল্ক-কর পরিশোধ সাপেক্ষে আনা যাবে।

✳অতিরিক্ত স্বর্ণালংকার সঙ্গে থাকলে করণীয় কি অাপনার:
কোনো যাত্রীর কাছে ১০০ গ্রামের অতিরিক্ত পরিমাণ অলংকার থাকলে বিমানে সরবরাহকৃত ‘ব্যাগেজ ঘোষণা ফরম’-এ সংশ্লিষ্ট কলামে অবশ্যই ‘হাঁ’-তে টিক দিতে হবে।
যদি কোনো যাত্রী তা না করেন তবে কাস্টম চেকিংয়ের সময় অবশ্যই নিজ থেকে তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে মৌখিকভাবে জানাতে হবে।

✳অতিরিক্ত স্বর্ণ বহন করার শাস্তি:

যদি কোনো যাত্রী তা না জানান, তবে গোপন করার দায়ে কিংবা ঘোষণা দিয়ে ১০০+১০০=২০০ গ্রামের অতিরিক্ত পরিমাণ অলংকার আনার অপরাধে সম্পূর্ণ স্বর্ণালংকারই জব্দ করে অভিযুক্ত যাত্রীকে ডিএম (ডিটেনশন মেমো) দেওয়া হবে।
এই ডিএম নিয়ে ২১ দিনের মধ্যে কাস্টম হাউসে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের মাধ্যমে নির্ধারিত ট্রাইব্যুনালে যেতে হবে এবং
শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক নির্ধারিত শুল্ক-কর/ জরিমানা দিয়ে তা ছাড়িয়ে আনতে হবে।

▶বিধিমালার ১০ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে,
‘একজন যাত্রী বিদেশ থেকে দেশে আগমনকালে অনধিক ২০০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণ বার
বা স্বর্ণখণ্ড অথবা ২০০ গ্রাম ওজনের রৌপ্য বার বা রৌপ্যখণ্ড
সকল প্রকার শুল্ক ও কর পরিশোধ সাপেক্ষে আমদানি
করতে হবে।’
অর্থাৎ
শুল্ক-কর পরিশোধ সাপেক্ষে সর্বোচ্চ ২০০
গ্রাম পর্যন্ত স্বর্ণ বার বা স্বর্ণখণ্ড সঙ্গে আনা
যাবে। প্রতি ১১.৬৬৪ গ্রামে তিন হাজার টাকা শুল্ক- কর পরিশোধ করতে হবে।

▶বিধিমালায় বলা আছে, যাত্রীর সঙ্গে সোনার বার বা স্বর্ণখণ্ড থাকলে সেটা অবশ্যই যাত্রীকে ঘোষণা করতে হবে। তথ্য গোপন করলে কিংবা স্বর্ণ বার বা খণ্ডের মোট পরিমাণ ২০০ গ্রামের বেশি হলে ওপরে বর্ণিত একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। তবে এই ক্ষেত্রে সাধারণত ২৩৪ গ্রাম পর্যন্ত ডিএম নিয়মের সুযোগ দেওয়া হয়। এর অতিরিক্ত হলে স্মাগলিং-এর দায়ে মামলা হতে পারে।
এ ক্ষেত্রে স্বর্ণালংকার ও সোনার বার বা খণ্ডের হিসাব সম্পূর্ণরূপে আলাদা। যেমন, একজন যাত্রী চাইলে ১০০ গ্রাম শুল্কমুক্ত অলংকার
এবং
২০০ গ্রাম শুল্কযুক্ত বার বা খণ্ডসহ মোট ৩০০ গ্রাম স্বর্ণ বৈধভাবে আনতে পারেন।

▶এ ছাড়া বিধিমালার ৭ নম্বর ধারায় গ্রিন চ্যানেল ও রেড চ্যানেল ব্যবহারের বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া আছে।
সেখানে বলা হয়েছে, কোনো যাত্রী শুল্ক ও কর আরোপযোগ্য পণ্য বহন না করলে তিনি বিমানবন্দরের গ্রিন চ্যানেল (যদি থাকে) ব্যবহার
করতে পারবেন।
-এম টি উল্যাহ
০১৭৩৩ ৫৯৪ ২৭০

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: ঘরের চাবি সবাইরে বিলাইতে বিলাইতে এখন দেখি নিজের কাছেই চাবি নাই। আমি বন্দী কারাগারে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.