নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী। কর্মস্থল- হাইকোর্ট।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah
ঈদ ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে ক্রমশই বাড়ছে ঘরমুখো মানুষের ভিড়। প্রিয়জনদের সাথে ঈদ উৎসব পালন করতে ঘরমুখী মানুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষণীয় যানবাহন গুলোতে। আর ঈদ কেন্দ্রিক দুর্ঘটনার প্রবণতা সর্বদা বেশী দেখা যায় এবং যার ফলে ঈদ আনন্দযাত্রা অনেক ক্ষেত্রে বেহাল অবস্থায় পতিত হয় ।পরিবহন মালিকগণ/সংস্হাগুলো তাদের আনফিট ও লক্কর-জক্কর যানবাহন গুলোর বাহ্যিক চেহারা রং লাগিয়ে পরিপাটি করে যাত্রীদের কাছে অাকর্ষনীয় করে তোলে আর তাতে করে মাত্রাতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করাই এসব দুর্ঘটনার অন্যতম কারন। আর অদক্ষ চালক ও অশুভ প্রতিযোগিতার কথা তো বলঅরই অপেক্ষা রাখে না।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুযায়ী, দেশে যানবাহনের সংখ্যা প্রায় ৩৩ লাখ। তার মধ্যে লাইসেন্সধারী চালকের সংখ্যা ১৮ লাখ। তাহলে বাকি ১৫ লাখ যানবাহনের চালকের আসনে রয়েছেন কারা? তার মধ্যে আবার পেশাদার চালকদের মধ্যে অন্তত দুই লাখ চালক নাকি লাইসেন্স পেয়েছেন শ্রমিক সংগঠনের দাবি মেনে যথাযথ পরীক্ষা ছাড়াই!। ১৯৯৮ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ঘটে যাওয়া সড়ক দুর্ঘটনার কারণ পর্যবেক্ষণ করে বুয়েটের সড়ক দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউট (এআরআই) বলছে, দেশে ৫৩ শতাংশ দুর্ঘটনার কারণ অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো এবং ৩৭ শতাংশ চালকের বেপরোয়া মনোভাব। তার মানে ৯০ শতাংশ দুর্ঘটনার জন্য দায়ী চালক।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা পর্যবেক্ষণ রিপোর্টে হিসাবে প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনায় শুধু মারাই যাচ্ছেন ২০ জনের উপরে। দেশের মানুষের জীবন এমনই সস্তা কেন? নাকি দেশের সড়ক-মহাসড়কগুলোতে নিয়মিত ঘটে চলা দুর্ঘটনাগুলো কি এ দেশের জনগণের কপালের লিখন? এক জরিপে এসেছে, সড়ক দুর্ঘটনার দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে দ্বিতীয়। আর সড়ক দুর্ঘটনার দৃশ্যমান (tangible) ও অদৃশ্যমান (intangible) উভয় ধরনের ব্যাপক ক্ষতি রয়েছে যার ফলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক প্রণীত সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ক ‘গ্লোবাল স্ট্যাটাস রিপোর্ট’ এ সড়ক দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতিকে বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ও উন্নয়নের সমস্যা হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে। তাদের রিপোর্ট মতে দুর্ঘটনা রোধে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, ট্রাফিক আইন-কানুনের কার্যকরী প্রয়োগ। বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার র্যা ঙ্ক অনুযায়ী, আইনের প্রয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ শূন্য থেকে নয় স্কেলে ৩ বা ৪ নম্বর অবস্থানে আছে।
হ্যাঁ দেশে যানবাহনের বাড়ছে, সড়ক-মহাসড়ক আধুনিকায়ন হয়েছে, রোড শো-সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ক প্রচারণা ঢোল পিঠিয়ে প্রচার করা হচ্ছে, বাংলাদেশে রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) সড়ক নিরাপত্তা ইউনিট গঠন করেছে, ২২টি জাতীয় মহাসড়কে থ্রি হুইলার অটোরিকশা, নছিমন-করিমন চলাচল নিষিদ্ধ হয়েছে, তাহলে গলদ টা কোথায়?। অন্যদিকে আইনের পর্যাপ্ততা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। এসব নিয়ে এ সপ্তাহ আগে ছাত্ররা রাজপথেও ছিলো। কিন্তু দুর্ঘটনা কি লাঘব হয়েছে? তাহলে পরিবর্তন কি প্রত্যাশিত নয়। আমাদের কি কিছুই করার নেই?
হ্যাঁ এক্ষেত্রে আপাতত আমাদেরকে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালনো, বিপজ্জনক ওভারটেকিং, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, চলন্ত অবস্থায় মোবাইল বা হেড ফোন ব্যবহার, মাদক সেবন করে যানবাহন চালানো, মহাসড়ক ও রেলক্রসিংয়ে ফিডার রোডের যানবাহন ওঠে পড়ার বিষয়ে সর্তকতা, চালকের ঘুমিয়ে পড়ার বিষয়ে সর্তক থাকার পাশাপাশি নিজেরদেরকেও সচেতনার সহিত রাস্তা পারাপার এর বিষয়টা নিশ্চিত করতে হবে। তবেই নিরাপদ, উত্কণ্ঠাহীন, বর্ণিল ও আনন্দময় ঈদ উৎসব নিশ্চিত হতে পারে।
সব মিলিয়ে ঈদ উৎসব যেন প্রতিটি ঘরে আনন্দের বার্তা নিয়ে আসে সে কামনা ও সবার জন্য ঈদের অকৃত্রিম আর অগ্রিম শুভেচ্ছা রইল।
২| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:১৪
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থার আরো ব্যপক পরিবর্তন ঘটাতে হবে। মহাসড়কে বাজার থাকতে দেয়া যাবে না। স্পিড লিমিট ক্রস করলে জরিমানার ব্যবস্থা করতে হবে...
৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:১৫
রাজীব নুর বলেছেন: ফুল ফল ভাবিয়া ভুল করিবেন না।
৪| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৫৭
এম টি উল্লাহ বলেছেন: ভালো বলেছেন।
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৪
বিজন রয় বলেছেন: ঈদ মোবারক!