নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী। কর্মস্থল- হাইকোর্ট।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah
ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের উদীয়মান রাষ্ট্র ভারতের গত এক দশকের কূটনীতির অন্যতম নজর কাটা বিষয়টি হলো নিজেরেকে পরমাণু সরবরাহকারী গোষ্ঠীতে (এনএসজি) তথা নিউক্লিয়ার সাপ্লায়ার্স গ্রুপে(এনএসজি) অন্তভুক্তির জন্য মরিয়া হয়ে ওঠা। বিশেষ করে অভ্যন্তরীণ সংকট, আঞ্চলিক প্রাধান্য হ্রাস এবং আন্তর্জাতিক দ্বৈধতা কাটিয়ে ওঠে ব্যক্তি ও দলের ইমেজ বৃদ্ধির জন্য পারমাণবিক চুল্লিতে বিদীর্ণ করা যায় এমন পদার্থ ও পারমাণবিক প্রযুক্তির ব্যবসা করতে সক্ষম ৪৮ সদস্য বিশিষ্ট এই নিজেদেরকে ঠাঁই দিতে পারাটা বড়ই সহায়ক নয় শুধু বরং চ্যালেঞ্জিং ইস্যু হয়ে গিয়েছে মোদি সরকারের জন্য। পারমানবিক মালামাল ও টেকনোলজি শান্তিপুর্ণ প্রয়োজনীয় কাজে বিশেষ করে বিদ্যুৎ উতপাদনের মত কাজে ব্যবহারের ক্ষেত্রে লেনদেনের ক্ষেত্রটা এখন এই ৪৮ দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ বলা চলে।এর ফলে একদিকে যেমন ভারত তার অর্থনীতিতে পারমাণবিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতায় রয়েছে তেমনি উন্নয়নশীল বিশ্ব বাজারে নিজেদেরকে বিস্তার করতে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে।
যার সবচেয়ে কাছের উদাহরণ এক লাখ কোটি টাকার কিছু বেশি (১ হাজার ২৬৫ কোটি মার্কিন ডলার) ব্যয়ে ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সমপন্ন বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ তাদের হাতছাড়া হওয়া। যার ফলে পরোক্ষভাবে এই প্রকল্পের কাজ পাওয়া রাশিয়ার এটমস্ত্রইএক্সপোর্ট (এএসই) ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির সাথে এক চুক্তি সমপন্ন করে নিজেদের ভাগ বসাতে সক্ষম হয়েছে ভারত। যারই অংশ হিসাবে গত মার্চ মাসে মস্কোতে বাংলাদেশ, ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারকটি (এমওইউ) সই হয়েছে যার ফলে রূপপুর প্রকল্পের জন্য জনবল প্রশিক্ষণ, প্রকল্পের স্বার্থে ভারতীয় কোম্পানিগুলো প্রকল্পের নির্মাণ, যন্ত্রপাতি স্থাপন, এমনকি ভারতে উৎপাদিত কিছু সামগ্রী (ম্যাটেরিয়াল) এবং কিছু কিছু যন্ত্রপাতিও (নন-ক্রিটিক্যাল ক্যাটাগরি) সরবরাহ করবে। যদিও রূপপুর প্রকল্পের জন্য বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে সই হওয়া সাধারণ চুক্তি (জেনারেল কন্ট্রাক্ট) অনুযায়ী, প্রকল্পের পূর্ণ (এ টু জেড) বাস্তবায়নের দায়িত্ব রাশিয়ার অর্থাৎ এই প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় সব যন্ত্রপাতির নকশা প্রণয়ন, উৎপাদন, সরবরাহ ও বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ তাঁদেরই করার কথা। তাই এ সব কাজে তৃতীয় দেশ হিসাবে ভারতেকে যুক্ত করা বাংলাদেশ-রাশিয়া দ্বিপাক্ষিক সাধারণ চুক্তির বরখেলাপ কিনা কিংবা তাদের সরবরাহ করা সামগ্রীর মান ওই দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী নিশ্চিত হবে কিনা, এ সব সামগ্রির দাম ওই চুক্তিতে ধরা দামের সমান হবে কিনা, সবচেয়ে বড় কথা হলো ভারত পৃথিবীর পরমাণু বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান ‘ নিউক্লিয়ার সাপ্লায়ার্স গ্রুপ (এনএসজি)-এর সদস্য না হয়েও কোনো দেশ পরমাণু চুল্লি (রিঅ্যাক্টর) নির্মাণে সরাসরি কাজের অংশীদার হতে পারে কিনা এ সব প্রশ্ন এড়ানোর স্বার্থেই রাশিয়া-ভারতের সাথে সমঝোতা স্বাক্ষরে বাংলাদেশকেও পক্ষ হিসাবে রাখা হয় । কারণ, আইন অনুযায়ী ক্রেতার (বাংলাদেশ) যদি কোনো আপত্তি না থাকে, প্রকল্পের ক্রেতা যদি তৃতীয় পক্ষের অংশগ্রহণ মেনে নেয়, সে ক্ষেত্রে চুক্তির বরখেলাপ বা আইনের ব্যত্যয় হবে না। আর বাংলাদেশও তা মেনে নিতে বাধ্য কারণ এ প্রকল্পের ব্যয়ের ৯০ শতাংশ রাশিয়া ঋণ হিসেবে দিচ্ছে।
আর এর মাধ্যমে ভারতের অর্থনৈতিক লাভের সহিত যে আলাদা পাওনা হিসাবে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যেকার সহযোগিতার সম্পর্ক যেমন নুতন মাত্রা পাওয়ার পাশাপাশি তেমনি ভূ-রাজনীতির মঞ্চে ও আন্তর্জাতিক পরমাণু ক্লাবে সদস্য পেতে ভারতের অবস্থান শক্তিশালী হলো, এমনকি রূপপুর প্রকল্পে অংশগ্রহণের ফলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পারমাণবিক প্রকল্প ব্যবস্থাপনায় ভারত পরোক্ষভাবে এক্সপোজার পাবে তথা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ‘নলেজ পার্টনার’ হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে ভারতের স্বীকৃত হবে।
তাহলে এই উদাহরণ থেকে বুঝা গেল ভারতের জন্য বিশ্ব অর্থনীতিতে টিকে থাকার জন্য নিউক্লিয়ার সাপ্লায়ার্স গ্রুপ (এনএসজি)-এর সদস্য হওয়াটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। যার ফলে ২০১০ সাল থেকে ভারত এনএজি’র সদস্য হওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেছে এবং ২০১০ সালে ওবামার ভারত সফরের সময় ভারেতকে এনএসজি-এর সদস্য হওয়ার ক্ষেত্রে আমেরিকার সম্মতি দেওয়া হয়। যার ধারাবাহিকতায় ক্রমান্তয়ে ভারত ফান্স, যুক্তেরাজ্য, রাশিয়া, সুইজারল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল, জার্মানি সহ মাতব্বর রাষ্ট্রগুলোর থেকে সম্মতি পেলেও বাধ সেজেছে গণ চীন। চীনের সাফ কথা এনপিটিতে ( nuclear Non-Proliferation Treaty-NPT) স্বাক্ষর করা ব্যাতীত কোন রাষ্ট্র এনএসজি এর সদস্য হওয়া সংগঠনটির নৈতিক ভিত্তির পরিপন্হী এবং চীন এমনটি সমর্থন দিতে পারে না। উল্লেখ্য, পারমাণবিক অস্ত্রের উৎপাদন বন্ধ, ব্যবহার সীমিতকরণ ও পর্যায়ক্রমে পারমাণবিক অস্ত্রের বিলোপসাধনের উদ্দেশ্যে এনপিটি চুক্তি যাতে স্বাক্ষর কারী দেশ ১৮৯ টি, স্বাক্ষর করেনি- ভারত, পাকিস্তান, ইসরায়েল আর স্বাক্ষর করেও চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে- উত্তর কোরিয়া ২০০৩ সালে।
ফলে ভারতের এনএসজি’র সদস্য পদের জন্য বড়ই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠলো প্রতিবেশী প্রতিযোগী রাষ্ট্র চীন।
এরই প্রেক্ষিতে ২০১৭ সাল থেকেই ভারতের কূটনীতিতে বিশাল পরিবর্তন আনেন মোদি। ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোকে বড় বড় প্রকল্প আর ঋণের জালে আবদ্ধ করে নিজেদের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসা সত্বেও চীনের সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধির অংশ হিসাবে এরই মাঝে এক বছরের মধ্যে ৩ (তিন)বার বৈঠক করেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এর সাথে। সম্পাদিত হয় নানা ধরনের সমঝোতা চুক্তি। চীনও মোদি সরকারের সাথে সম্পর্কটা কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে ব্যবহার করছে নানা কৌশল। সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) ও ব্রিকস (BRICS) এর মতো কথিত শক্তিশালী পশ্চিমা বিরোধী জোটে ভারতকে সক্রিয় করে তুলেছে। এমনকি নেটোরে আদৌলে যৌথ সামরিক মহড়ার আয়জন করা বিশ্ব বাসিকে ধাঁধায় পেলে দিয়েছে, বিশেষ করে পশ্চিমাদেরকে। এমনকি চীন চাচ্ছে এ সুযোগে ভারতকে তার ২১ শতাব্দীর সেরা প্রকল্প খ্যাত মহাপরিকল্পনা “One Belt, One Road” সংক্ষেপে OBOR প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসতে। যে প্রকল্পের মাধ্যমে চীনের সাথে মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ ও আফ্রিকাতে পণ্য পরিবহনের সড়ক ও নৌ-পথ,রেলপথ সমূহকে একসাথে সংযুক্ত করে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল সৃষ্টি করা হবে মর্মে বলা হচ্ছে । ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলারের এই বৃহৎ প্রকল্পটিতে ৫০ টিরও বেশি দেশ সংযুক্ত হবে। ভারত নিজের সুবিধার্থেই এই প্রকল্পের আওতায় আসতো কিন্তু বাধ সাজছে জম্বু-কাশ্মির এর অন্তভুক্তির পাশাপাশি পাকিস্তানের প্রধান্যকে কেন্দ্র করেই। কারণ ইতিমধ্যেই চীন ভারতের আপত্তির তোয়াক্কা না করেই নিঃশব্দে পাকিস্তানে সিপিইসি-র (চিনের মহাযোগাযোগ প্রকল্প ওবর-এর আওতাধীন পাকিস্তানে প্রকল্প) ৪৩টি প্রকল্প প্রায় শেষ করে ফেলেছে চীন। বাকি ১৫৭টি প্রকল্পের কাজও শুরু হতে চলেছে।
কিন্তু এতো কিছুর পরও ভারত থেমে নেই। এক দিকে ভারত-রাশিয়া সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে অন্যদিকে চীনের সাথে দুরত্ব কমানোর চেষ্টা অন্যদিকে চীনের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গড়ার ক্ষেত্রে নানা রকম পদক্ষেপ নেওয়ার অংশ হিসাবেই সম্প্রতি ভারত-চীন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ঘাটতি মেটাতে ইতিবাচক ভূমিকা নেওয়া , তাইওয়ানগামী ভারতীয় বিমানের নাম বদলে চিনের নামে করা, আমেরিকার অনুরোধ সত্ত্বেও ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আমেরিকা-জাপান-অস্ট্রেলিয়ার ত্রিদেশীয় অক্ষের সঙ্গে যৌথ পরিকাঠামো প্রকল্প থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত, তিব্বত নিয়ে চিনের স্পর্শকাতরতার দিকটি মাথায় রেখে ফেব্রুয়ারি মাসে তিব্বতি ধর্মগুরু দলাই লামার অনুষ্ঠানে যোগ না দেওয়ার জন্য সরকারের শীর্ষ কর্তাদের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে মৌদির প্রশাসন থেকে। চীন ও আমেরিকার সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক যখন বিশেষ করে চীনের প্রায় ১৪০০ পণ্যের উপর নতুন শুল্কারোপ নিয়ে তোলপাড় সে সময়ে ভারতের চীনের সাথে এমন সম্পর্কের উদ্দেশ্যে কি (এনএসজি)-এর সদস্য হওয়ার খাতিরে? প্রশ্ন বিশ্ব রাজনৈতিক সমালোচকদের।
আবার অনেকে বিষয়টাকে ভারতের কৌশল হিসাবেও দেখছেন। যুক্তরাষ্ট্র-চীন প্রতিযোগিতার মাঝে নিজেদের হিসেবটা কষে নিচ্ছে মৌদি সরকার। এরই মধ্যে ট্রাম্প সরকার অভ্যন্তরীণ আইন সংশোধন করে ৩৭তম দেশ হিসেবে শর্তহীনভাবে ভারতকে স্ট্র্যাটেজিক ট্রেড অথরাইজেশান-১ (এসটিএ-১) ভুক্ত দেশ ঘোষণা করেছে । যদিও এর আগে যে ৩৬টি দেশকে আমেরিকা এ মর্যাদা দিয়েছে তারা সবাই ন্যাটোভুক্ত এবং এনএসজি’র সদস্য দেশ ছিলো। এ সদস্য পদের ফলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রতিরক্ষা ও বেসামরিক মহাকাশ খাতের সরঞ্জামাদির মতো উচ্চ প্রযুক্তির পণ্যগুলো কেনার সুযোগ পাবে ভারত।
আরেক সমীকরণে দেখা যায় যুক্তরাষ্ট্র মরিয়া হয়ে ওঠেছে ভারকে এনএসজি’র সদস্য করতে কারণ যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক বাণিজ্যের বাজার হিসাবে ভারত অতি গুরুত্বপূর্ণ । আমেরিকার পারমাণবিক পণ্য ও টেকনোলজির সরবরাহ পেতে ভারতকে আগে এনএসজি এর সদস্যপদ পেয়ে নিতে হবে । এই বাণিজ্যের তিনটি রফতানি নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা অস্ট্রেলিয়া গ্রুপ, মিসাইল টেকনোলজি কন্ট্রোল রেজিম, ওয়াসেনার অ্যারেঞ্জমেন্ট এবং সর্বশেষ এসটিএ-১ সদস্য হওয়া সত্বেও ভারত আটকে আছ এনএসজি’র সদস্য ইস্যুতে।
সব মিলিয়ে এনপিটিতে ( nuclear Non-Proliferation Treaty-NPT) স্বাক্ষর করা ব্যাতীত ভারত কি হতে পারবে এনএসজি’র সদস্য কিংবা গণচীনের সাথে সম্প্রতি গড়ে ওঠা দ্বিপাক্ষিক কূটনীতি(Bilateral Diplomacy) কি আদৌ সহায়ক হবে কিনা এমন প্রশ্ন সবার। সবচেয়ে বড়কথা হলো নির্বাচনের আগে মৌদি সরকারের পররাষ্ট্রনীতি যদি এনএসজি’র সদস্য পদ ভাগিয়ে আনতে পারে তাহলে তা ভারতের জন্য অনন্য পাওয়া হবে। দেখা যাক বিশ্ব রাজনীতির এই হিসাব কোন দিকে গিয়ে ঠেকে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
২| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৭
এম টি উল্লাহ বলেছেন: সেটাই। ভালো বলেছেন।
৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৩৪
আখেনাটেন বলেছেন: সুন্দর বিশ্লেষণমূলক পরিশ্রমী লেখা।
যার সবচেয়ে কাছের উদাহরণ এক লাখ কোটি টাকার কিছু বেশি (১ হাজার ২৬৫ কোটি মার্কিন ডলার) ব্যয়ে ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সমপন্ন বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ তাদের হাতছাড়া হওয়া। -- এখানে আপনি কি বোঝাতে চেয়েছেন বুঝলাম না? আপনি কি বলতে চাচ্ছেন ভারতের ৪৮ সদস্যের এনএসজি'র সদস্যপদ নেই বিধায় ভারত বাংলাদেশের এই প্রকল্প বাগাতে পারেন নি।
এটা ঠিক নয়। কারণ ভারত এখনো গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ড এটমিক রিএক্টর তৈরির সক্ষমতা অর্জন করে নি বা ধারে কাছেও নেই। এই প্রযুক্তি গুটিকয়েক দেশের হাতে আছে যেমন, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ফ্রান্স, দক্ষিন কোরিয়া, জাপান, চীন। এরাই গোটা বিশ্বের পারমানবিক চুল্লীর রিএক্টরগুলো সরবরাহ করে থাকে।
বরং ভারত এখন যেটা করেছে সেটা স্রেফ কূটকৌশল। যেখানে এই প্রকল্পে ভারতের কোনোভাবেই থাকার কথা না, সেখানে কীভাবে এরকম একটি সেনসেটিভ প্রকল্পে তারা হুট করে যুক্ত হয়েছে তা ক্ষমতাসীনরাই বলতে পারবে। আমার ব্যক্তিগত ধারনা এটি ভারত বাংলাদেশকে চাপ প্রয়োগ করেই তা করেছে। সেটা শুধু এনএসজি'তে সদস্যপদ পাওয়া সহজ হবে তা না। এর আরো বৃহৎ কারণ থাকতে পারে। একটি নিউক্লিয়ার প্লান্ট শুধু পাওয়ার জেনারেশনই করতে পারে তা না...আশা করি বুঝতে পারছেন।
৪| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৪১
এম টি উল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ গুরুত্বপূর্ণ মতামত দেওয়ার জন্য।
৫| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:১০
রাজীব নুর বলেছেন: অবহেলা করে আপনি যাকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছেন তাকে অন্য কেউ ভালোবেসে কাছে টানছে ।
৬| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৫৮
এম টি উল্লাহ বলেছেন: বাস্তবতা!
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১২
চাঁদগাজী বলেছেন:
রূপপুরে এবার ভারতও যুক্ত হয়েছে? তা'হলে বাকী আছে শুধু সোমালিয়া ও ইথিওপিয়া