নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী। কর্মস্থল- হাইকোর্ট।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah
তিনটা পনের মিনিট। পনের মিনিট বাকি মাত্র। তার উপর সুপারহিট মুভি। মুক্তিও হচ্ছে আজ। টিকেট যদি না পাওয়া যায়। সামি-রুমি কি যে করবে। রুমি আজ যে সাজটা না দিয়ে আসছে। যেতে না পারলে পুরো প্ল্যানটাই মাটি হয়ে যাবে। এই মামা দাড়াও তো (রিক্সা ওয়ালাকে সামি)। কই যাবেন মামা? (রিক্সাওয়ালা সামিকে জিজ্ঞেস করে)। আরে আলমাসে। মামা ওখানে তো...। আরো দু’জন আপনারা...। আরে মামা এত কথা বল কেন? যত লাগে দেবো, চলো তো। দুইজন কথা বলেই উঠে যায় রিক্সায়। রুমির খোলা চুলের হাওয়ার পরশ সামি উপভোগ করলেও রুমি চিন্তিত। কিন্ত রিক্সাও চলতেছে আস্তে। আরে মামা অটো ইঞ্জিন একটা লাগাতে পারো না, কয় টাকা যায় আর (রুমি বলে)। মা, অত টাকা কই পামু, তার উপর মালিককে দেওয়া লাগবো তিনশ’, নষ্ট হলে তো কথাই নাই। তার কথা বাতাসেই উড়ে যায়। রানা-রুমির মনতো সিনেমাতে। রুমির কোমলতা, স্নিগ্ধ স্মেল, মাঝে মাঝে রিকসার ধাক্কা রানার কাছে উপভোগ্য হয়ে উঠেলেও রুমির চিন্তা কবে সে পৌঁছাবে। ও মামা আরো জোরে চালাও তো। আর মাত্র ৫মিনিট আছে। ওপ মামা, কি যে তুমি...। মামা দেখতে পারছ না, এটকু উঁচু। নেমে টানো তো...। রিক্সাওয়ালা কথাটা শুনলেও চালিয়ে যাইতেছেন। অবশেষে ৩:২৮ এ তারা হলের সামনে। সামি মানিব্যাগ থেকে টাকা বের করে। ১০০ টাকার নোট দেয়। বাবা ভাংতি যে নাই (রিক্সাওয়ালা বলে)। ওপ্স কি যে কর তোমরা, এই ১০০ টা টাকা ভাংতিও রাখতে পার না। যাও ১ মিনিটের মধ্যে ভাংতি করে আন। বাবা আমি...। ততোক্ষণে সামির চোখ যায় রিক্সাওয়ালার পায়ের দিকে। তার যে বাঁ পায়ের অর্ধেকটিই নেই...। সামি লজ্জায় মাথা নিঁচু করে নিরবে হাঁটা ধরে কাউন্টারের দিকে...।
মোহাম্মদ তরিক উল্লাহ
সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী
[email protected]
©somewhere in net ltd.