নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনেক কিছু লিখতে চেয়েছিল। কিন্তু লেখাগুলো খুঁজে পায়নি। অনেক কিছু বলতে চেয়েছিল। কিন্তু সেগুলো শোনারও সময় কারও ছিল না

মন থেকে বলি

Stay Hungry. Stay Foolish.

মন থেকে বলি › বিস্তারিত পোস্টঃ

আয় ঘুম, যায় ঘুমঃ স্লিপ অ্যাপনিয়া – আপনার নেই তো?

১৮ ই অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৯




"হঠাৎই আমার ঘুমটা ভেঙ্গে গেল। কয়েকটা মুহূর্ত পেরিয়ে যাওয়ার পর অনুভব করতে পারলাম চারপাশের পরিবেশকে। গায়ের ওপর কম্বল। পাশে ঘুমন্ত স্ত্রী। আমি একটু বেঁকে শুয়ে আছি। এই নিয়ে কতবার ঘুম ভাঙ্গল? আবার ঘুমাই।

কিন্তু এ কি? শ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে কেন? জেগে উঠতে হবে। জোরে বুক ভরে শ্বাস নিতে হবে আমায়। উঠে পড়ি। আরে! হাত-পা দেখি নাড়াতে পারছি না। শরীরের অন্য কোন অংশও না। সব টের পাচ্ছি।

অত্যন্ত আতংকের সাথে আমি আবিষ্কার করলাম, আমার সচেতন মস্তিষ্কটা একটি অচেতন দেহে আটকা পড়ে গেছে এবং আমি শ্বাস নেয়ার ক্ষমতা অতিদ্রুত হারিয়ে ফেলছি।

বেঁচে থাকার তীব্র আকুতিতে আমি শেষ একটা চেষ্টা করলাম। প্রাণপন চিৎকার করে উঠতে চাইলাম। ক্ষীণ আশা - চিৎকারে স্ত্রী যদি জেগে যায়। একটা ভয়াবহ গোঙ্গানি বেরিয়ে এলো। যেন মৃতদেহের মধ্যে পিশাচ জেগে উঠতে চাইছে৷ আমি গোঙ্গাতেই থাকলাম...

প্রিয় পাঠক, আমি কিন্তু হরর থ্রিলার লিখতে বসিনি। যদি এই রকম অভিজ্ঞতা আপনার হয়ে থাকে অথবা এরকম অবস্থার মধ্যে দিয়ে আপনি এখন যাচ্ছেন, তাহলে জেনে নিন, আপনি সম্ভবত 'Sleep Apnea' এবং 'Sleep Paralysis'এ আক্রান্ত। আর দুর্ভাগ্যক্রমে যদি সেটা হয়েই যায়, তবে হে আমার প্রিয় বন্ধু, আপনি নিজেকে Officially অভিশাপ দেয়া শুরু করতে পারেন।

অনেক সময় দেখেছি অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করলে অনেকেই সেটা থেকে দরকারী তথ্য পেয়ে যায়। হয়তো সে-ও একই সমস্যায় আছে কিন্তু ঠিক নিশ্চিত হতে পারছে না বা পরবর্তী করণীয়ও ঠিক করতে পারছে না। আমার এই 'ফার্স্ট হ্যান্ড' অভিজ্ঞতা সেটাতে কিছুটা হলেও সাহায্য করবে বলে মনে করি। তাই এই লেখাটায় জ্ঞান দেয়ার কিছুটা চেষ্টা আছে। অসম্পূর্ণ তথ্যও থাকতে পারে যেহেতু আমি ডাক্তার নই। তথ্যগুলোর ৭০% নিজের অভিজ্ঞতা আর ৩০% গুগল। সুতরাং যদি আপনি এই নাতিদীর্ঘ জ্ঞানালোচনায় উৎসাহী না হন, এখানেই থেমে যান দয়া করে।

আর আগ্রহীরা আসুন আমার সাথে; Sleep Apnea'র ভয়ানক ভুবনে।

১। কী এই Sleep Apnea?

Sleep Apnea হলো এক ধরনের মারাত্মক রকমের ঘুমব্যাধি (Sleep Disorder) যেখানে ঘুমানো এবং পরক্ষণেই জেগে যাওয়া - এই ব্যাপারটা ক্রমাগত হতে থাকে ঘুমানোর পুরোটা সময় ধরে। এই রোগাক্রান্তরা অবশ্য এই পালাবদলের ব্যাপারটা স্বজ্ঞানে বুঝতে পারে না কিন্তু টের পায় যে বারবার তার ঘুম ভেঙ্গে যাচ্ছে৷

২। Sleep Apnea'র লক্ষণগুলো কী কী?

যদি আপনার

- জোরে জোরে নাক ডাকে
- টানা ঘুমের পরও নিজেকে তরতাজা না লাগে,
- সারাদিন ঝিমুনি ভাব লেগে থাকে,
- প্রায়শই বোবায় ধরে
- সকালে ঘুম থেকে উঠে মাথাব্যাথা অনুভূত হয়,

এই এত্তগুলো 'যদি'র মধ্যে এক বা একাধিক বা সবগুলো হলেই সময় হয়েছে Alert হওয়ার। কারণ আপনি একজন অত্যন্ত পটেনশিয়্যাল Sleep Apnea'র রোগী।

৩। কি ঘটে Sleep Apnea হলে?

আমরা যখন ঘুমিয়ে পড়ি তখন আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি ধীর হয়ে যায়। শ্বাসনালীর নরম মাসলগুলো তখন অনেকটা Relaxed হয়ে পড়ে আর শ্বাসনালীর পেশীগুলোও কিছুটা ঝুলে যায়। ফকে শ্বাসনালীটা কিছুটা সংকুচিত হয়ে বাতাস চলাচলের পথকে সরু করে ফেলে। স্বাভাবিক মানুষের ক্ষেত্রে এই সংকুচিত পথে যেটুকু বাতাস যায়, তাইই যথেষ্ঠ। সে নিশ্চিন্তে ঘুমায় কারণ মস্তিষ্ক তার প্রয়োজনীয় অক্সিজেন পাচ্ছে।

Sleep Apnea হলে ঘুমিয়ে পড়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই শ্বাসনালী পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। Complete Shut Down যাকে বলে আর কি। তাতে কি হয়, মস্তিষ্ক আর অক্সিজেন পায় না। সুতরাং শরীরকে বাঁচানোর জন্য তখন মস্তিষ্ক ঘুম ভাঙ্গিয়ে জাগিয়ে দেয় যেন ব্যক্তি সজ্ঞানে জোরে শ্বাস নিতে পারে।

এই জেগে থাকার সময়টুকু মস্তিষ্ক যেহেতু অক্সিজেন পেয়ে যায় তাই শরীর আবার Relaxed হয়ে যায় এবং চোখে ঘুম নেমে আসে। ফলাফলঃ আবার শ্বাসনালী বন্ধ হয়ে যাওয়া। এরপর আবার জেগে ওঠা। এই চক্র চলতেই থাকে। আপনি সারা রাত, রাতের পর রাত, মাসের পর মাস এমনকি বছরের পর বছর এই অবস্থায় থাকবেন যদি যথাযথ চিকিৎসা না করান। সমস্যা হলো আমার মতো অনেকে দীর্ঘদিন বুঝতেই পারে না যে এটা শারিরীক সমস্যা। আমি ভাবতাম, আমার ঘুম বোধহয় খুবই পাতলা। গাঢ় ঘুমের জন্য তাই ঘুমের অষুধ খেতাম। এর ফলে কি হলো - ঘুমটা গাঢ় ঠিকই হলো প্রথমে। এরপর শরীর অনেক বেশি বসে গেল। কিন্তু অক্সিজেন যেহেতু পাচ্ছে না তাই মস্তিষ্ক তো জাগাবেই। ঘুমের অষুধের প্রভাবে এই জেগে ওঠাটা অনেক বেশি কষ্টকর হয়ে ওঠে।

৪। Sleep Apnea কত ধরণের হয়?

তিন ধরনের হয়ঃ

- বাধাগ্রস্থ বা Obstructive,
- কেন্দ্রীয় বা Central, এবং
- জটিল বা Complex। বাংলা নামগুলো আমিই বানালাম।

প্রথমটাই সবচেয়ে সাধারণ যেটা ওপরে এতক্ষন ব্যাখ্যা করলাম। Central Sleep Apnea তে মস্তিষ্ক শ্বাসনালীর ইনভলান্টারি পেশিগুলোকে নিশ্বাস নেয়ার জন্য যথাযথ নির্দেশ পাঠাতে ব্যর্থ হয়।

আর আপনি যদি দুটি লটারিই জিতে গিয়ে থাকেন, মানে প্রথম দুটো কারণই যদি জাঁকিয়ে বসে তাহলে আপনার সমস্যটাই 'Complex Sleep Apnea'।

তা ধরণ যাই-ই হোক না কেন, আপনি প্রতি ঘন্টায় গড়ে তিরিশবার জাগবেন এবং ফের ঘুমাবেন। মোদ্দা কথা, কোনভাবেই শান্তিমত ঘুমাতে পারবেন না।

এই ঘটনায় রোগীর পর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয় তার বিছানার সঙ্গী। সে বেচারা না পারে শান্তিতে ঘুমাতে, না পারে কিছু বলতে। উল্টো মাঝে মাঝেই পাশের বোবায় ধরাটাকে ধাক্কিয়ে জাগিয়ে দিতে হয়।


৫। কারা সাধারণত এই রোগাক্রান্ত হয়?

অত্যধিক স্থুলতা এই রোগের অন্যতম কারণ। তাছাড়া এই রোগের পারিবারিক ইতিহাস থাকলেও হওয়ার আশংকা থাকে। যেমন আমার বড় ভাইয়ের এই একই সমস্যা আছে। জেনেটিক ব্যাপারটাও একটা বড় কারণ। যাদের নাক প্রায়শই বন্ধ থাকে তাদের এই রোগ হওয়ার আশংকা আছে৷ মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা তিন থেকে চারগুণ বেশি। এবার আপনি মিলিয়ে নিন এর কোনটার সাথে আপনি মিলে যান।


৬। আসুন জানি Risk Factor গুলো

Sleep Apnea'য় থাকাকালীন আপনি সারাদিন রানীক্ষেত মুরগির মতো ঝিমাবেন, মিটিং এ হাই এর পর হাই তুলে যাবেন, ড্রাইভিং করতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়বেন, উবার মোটোয় হয় ড্রাইভারের মাথার সাথে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে টোক্কর খাবেন নয় ঘুমন্ত অবস্থাতেই উল্টে পড়ে যাবেন, এবং সর্বপরি মেজাজ খিটখিটে করে ঘুরে বেড়াবেন।

এর ওপর কাজে মনোযোগ প্রায় নেই হয়ে যাবে, টাইপ-২ ডায়বেটিস বাধাবেন, রক্তচাপ বাড়িয়ে তুলবেন। এটি আপনার আপনার বিপাক ক্রিয়া (Metabolism) এলোমেলো করে দেবে। এই সবকিছু আবার আপনাকে আরও স্থুলতার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। পরিশেষে এক পর্যায়ে আধা ঘুম আধা জাগরণের মধ্যেই মস্তিষ্ক সিদ্ধান্ত নেবে - "অনেক তো হলো। আর কদ্দিন না ঘুমিয়ে থাকবো? ওরে ও ব্যাটা হার্ট। থাম তো বাবা।" দুম করে তখন স্ট্রোক হয়ে যাবে, ওই ঘুমের মধ্যেই। 'দ্য লাস্ট সাপার'।


৭। নিশ্চিত হবেন কিভাবে যে Sleep Apnea'ই হয়েছে?

পলিসমনোগ্র‍্যাফি করান। এটা এক ধরনের ঘুমের পরীক্ষা। এক রাত হাসপাতালের ঘুম-পরীক্ষালয়ে থাকতে হয়। আপনার সারা শরীরে, পা থেকে মাথা পর্যন্ত মায় মাথার চুল চেঁছে প্রায় ২০-৩০টা সেন্সর প্রোব লাগিয়ে দেয়া হবে। এরপর বলবে, ঘুমো চাঁদ। এভাবেই অর্ধেক রাত আপনি ঘুমাবেন আর বাইরে থেকে একজন আপনাকে মনিটর করবে৷

তারপর আসবে দ্বিতীয় পর্যায়। আপনার নাকে CPAP - Continues Positive Air Pressure নামক একটা যন্ত্র পরিয়ে দেয়া হবে। এর কাজ হলো নির্দিষ্ট চাপে বাতাস প্রবাহিত করে আপনার শ্বাসসনালীকে খুলে রাখা। আপনি যখন ঘুমাবেন তখন বাইরের পর্যবেক্ষনকারী যন্ত্রটার বাতাস প্রবাহ বাড়িয়ে কমিয়ে আপনার জন্য প্রয়োজনীয় মাত্রাটা নির্ধারণ করবেন। এভাবেই পলিসমনোগ্র‍্যাফি করা হয়।

ফলাফল দেখে ডাক্তার আপনার Sleep Apnea'র মাত্রা অনুযায়ী (স্বাভাবিক mild, মধ্যবর্তী modeeate, তীব্র severe) আপনাকে অষুধ, CPAP কিছু সময়ের জন্য অথবা দীর্ঘ সময়ের জন্য প্রস্তাব করবেন। মোটামুটি এটাই চিকিৎসা। কপাল 'ভাল' হলে এখন বাকিটা জীবন এই গ্যাসমাস্ক পরে ঘুমাতে হবে। যখন, যেখানেই যান না কেন, আপনার CPAP মেশিন কিন্তু লাগবে; অবশ্য আপনি যদি ঘুমাতে চান আর কি। আলহামদুলিল্লাহ, আমাকে এই সাইবর্গ ঘুমের মধ্যে দিয়েই যেতে হয়। অন্তত কিছুটা ঘুম তো হয়। নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো।

Sleep Apnea'র আরও চিকিৎসা আছে মাত্রা বুঝে। আমি অতশত জানি না। ইচ্ছে হলে পড়ে নেবেন।

আজ এতটুকুই থাক৷ আগামীতে হয়তো Sleep Paralysis নিয়ে লিখবো। ওই যে, শুরুটা যেটা নিয়ে করেছিলাম সেটাই আর কি। এই লেখাটা যদি আপনার উপকারে লেগে থাকে তাহলে Sleep Paralysis নিয়ে লেখাটাও লাগবে, সেটা বলতে পারি।

সবাই ভাল থাকুন। সুস্থ্য থাকুন। ঘুমিয়ে থাকুন।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৯:৪৩

শায়মা বলেছেন: আমি বড়ই আরামদায়ক ঘুম ঘুমাই। যদিও সারাদিনে একটাবারও বালিশে মাথা ঠেকাই না। তবে রাতে ঘুম মানে ঘুম। কোনোই সমস্যা নেই। মানুষ নাকি বলে রাতে ঘুম আসে না। এটা খুবই অবাক করা ব্যাপার আমার কাছে। ঘুম আবার আসে না কেমনে!!!


আমিও মাঝে মাঝে রাত জাগি তবে জোর করে জেগে থাকতে হয় অনেক কষ্টে ঘুম তাড়িয়ে! :(



এই যে বোবায় ধরা বা স্লিপ এপনিয়া অনেক শুনেছি। কিন্তু ঘুমের মাঝে বিকট হাক ও ডাকে জেগে উঠে সারা বাড়ি প্রকম্পিত করা। এই রোগে কয়জন আক্রান্ত আমি জানতে চাই। আমার এক মামা এই রকম কান্ড করে সারা বাড়ি কাঁপিয়ে তুলতো। কিন্তু লাইট অন করে ঘুমালে তার কোনো সমস্যা নেই।
স্লিপ টেরর

বোবায় ধরা মানুষ মনে করতে পারে স্বপ্নটা স্লিপ টেররের মানুষ জানেই না কি হয়েছিলো তার সাথে..... :(

১৯ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৯:৪৭

মন থেকে বলি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপা লম্বা লেখাটা পড়ার জন্য। সেই সাথে চমৎকার মন্তব্যের জন্যও।

বোবায় ধরা আর স্লিপ অ্যাপনিয়া এক রোগ নয়, যদিও দুটোই স্লিপ ডিজঅর্ডার। প্রথমটিকে স্লিপ প্যারালিসিস বলে এবং এই অভিজ্ঞতা কমবেশি আমাদের সবারই আছে। স্লিপ অ্যাপনিয়া একটি আলাদাধরণের জটিল অসুখ। এর সাথে শ্বাসনালী বন্ধ হয়ে যাওয়ার ব্যাপারটা আছে।

অন্যদিকে স্লিপ প্যারালিসিস মস্তিষ্কের সিগন্যালের সাথে কানেক্টেড।

স্লিপ টেরর ব্যাপারটা অবশ্য জানা নেই।

২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১২:৩১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি যখন কিশোর ছিলাম তখন ঘুমের মধ্যে হাঁটতাম। এখন বউয়ের কারণে ঘুমের মধ্যে হাটতে পারি না।

আমার অতি ঘুমের বদ অভ্যাস আছে। আমার কাছে মনে হয়, ঘুমের চেয়ে শান্তির জিনিস আর নাই। তবে ইদানিং দিনের বেলা অফিসে ঝিমাই আর রাতে অন্তরজালের নেশায় ঘুমাতে পারি না। যদিও চোখ ঢুলুঢুলু করে। অর্থাৎ রাতেও ঘুম ঘুম ভাব আর দিনেও ঝিমানি।

আপনি যে রোগ নিয়ে লিখেছেন সেটাকে বোবায় ধরা বলে। অনেক সময় জীন আসর করলেও এই স্লিপ প্যারালাইসিস হয়ে থাকে। তাই ঘুমানোর আগে আয়াতুল কুরসি, সুরা এখলাস, সুরা ফালাক এবং সুরা নাস পড়া উচিত।

১৯ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৯:৫৪

মন থেকে বলি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ লেখাটা পড়ে চমৎকার মন্তব্যের জন্য।

ঘুমের মধ্যে হাঁটা শিশুদের মধে অনেকেরই থাকে এবং বড় হলে সেরেও যায়। এবং এই সময়কার কোন স্মৃতি থাকে না। তবে মস্তিষ্কের অতি বিরল একটা কন্ডিশন দেখা যায় মাঝে মাঝে, যার নাম নারকোলেপ্সি, যেটা থাকলে স্লিপ ওয়কিং এর স্মৃতি মনে থাকে।

ঘুমাতে পারাটা আল্লাহর দেয়া অনেক বড় রহমত। অনেক বড়। সেটা আমি হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারি।

আমি দুটো ব্যাপার উল্লেখ করেছি লেখাটায় - স্লিপ প্যারালিসিস (যাকে বোবায় ধরাও বলে) এবং স্লিপ অ্যাপনিয়া। মূল আলোচ্য বিষয় স্লিপ অ্যাপনিয়া (যেটি আমার আছে)। স্লিপ প্যারালিসিস কমবেশি সবারই হয় কখনও না কখনও। ব্রেইনের সিগন্যালে সমস্যা হলে এটা হতে পারে। তবে স্লিপ অ্যাপনিয়া একদমই আলাদা রোগ। শ্বাসনালী বন্ধ হয়ে যাওয়া এই রোগের সাথে সাথে স্লিপ প্যারালিসিস হতেও পারে, না-ও পারে।

এর কোনটার সাথেই জ্বিন আসর এর সম্পর্ক নেই। দুটোই নিখাদ স্লিপ ডিজঅর্ডার এবং শারীরিক রোগ।

সুরা এবং দোয়া পড়া অবশ্যই অতি উত্তম। ঘুম ভালো হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এতে দ্বিমত নেই।

ভালো থাকবেন।

৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

মন থেকে বলি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপা লম্বা লেখাটা পড়ার জন্য। সেই সাথে চমৎকার মন্তব্যের জন্যও।

বোবায় ধরা আর স্লিপ অ্যাপনিয়া এক রোগ নয়, যদিও দুটোই স্লিপ ডিজঅর্ডার। প্রথমটিকে স্লিপ প্যারালিসিস বলে এবং এই অভিজ্ঞতা কমবেশি আমাদের সবারই আছে। স্লিপ অ্যাপনিয়া একটি আলাদাধরণের জটিল অসুখ। এর সাথে শ্বাসনালী বন্ধ হয়ে যাওয়ার ব্যাপারটা আছে।

অন্যদিকে স্লিপ প্যারালিসিস মস্তিষ্কের সিগন্যালের সাথে কানেক্টেড।

স্লিপ টেরর ব্যাপারটা অবশ্য জানা নেই।

৪| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৮:৫৯

আমি সাজিদ বলেছেন: চমৎকার পোস্ট।

১৯ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৯:৫৪

মন থেকে বলি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ লেখাটা পড়ে চমৎকার মন্তব্যের জন্য। কাজে লাগলেই লেখা স্বার্থক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.