নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনেক কিছু লিখতে চেয়েছিল। কিন্তু লেখাগুলো খুঁজে পায়নি। অনেক কিছু বলতে চেয়েছিল। কিন্তু সেগুলো শোনারও সময় কারও ছিল না

মন থেকে বলি

Stay Hungry. Stay Foolish.

মন থেকে বলি › বিস্তারিত পোস্টঃ

পারমাণবিক স্যালাড

১৬ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৩:৪১

[img|https://s3.amazonaws.com/somewherein/pictures/tmh77bd/tmh77bd-1729071673-3cfcc50_xlarge.jpg


মাঝে মাঝে আমার স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার শখ জাগে। অবশ্য বাড়িতে যা রান্না হয় তার সবকিছুই কম বেশি স্বাস্থ্যকর। কিন্তু আজ কেন যেন ইচ্ছা হলো স্যালাড খাবো।


বাংলা সালাদ আর ইংরেজি স্যালাডের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য আছে আমার মতে। বিয়েবাড়ি বাংলা সালাদের যে স্ট্যান্ডার্ড দাঁড় করিয়েছে তাতে চাক চাক শশা, গাজর আর টমেটোর সাথে ইতস্ততভাবে ছড়ানো অবস্থায় মরিচ, পিয়াজ এবং লেবুর টুকরো দেখা যায়। অত্যন্ত নির্বিবাদী, ছড়ানো ছিটানো, গেরস্তটাইপ একটা ব্যাপার।


যেহেতু আমি ইংলিশ স্যালাডই খাবো, তাই এতে নানান তরিকা থাকার কথা; ছিলোও। ইউটিউবে আগে দেখে নিয়েছিলাম কী কী লাগে। বেশ সহজ রেসিপি আর তাতে বেশ মাখো মাখো ভাব। এই মাখামাখির কাজটা করবে 'ড্রেসিং' নামক একটি সান্দ্র পেস্ট। সেটির রেসিপিও ওই ছেচল্লিশ সেকেন্ডের ভিডিওতে আছে।


আমাদের বাসায় যিনি রান্না করেন তাকে আজ স্বাভাবিক ভাত-তরকারির সাথে সাথে নুডুলসও রান্না করতে বলা হয়েছে। 'ড্রাগন' নামের এই নুডুলসটি নামের প্রতি শতভাগ সুবিচার করেছে। সাইজ একদম ড্রাগনের মতোই। ইয়া মোটা মোটা। সেদ্ধ অবস্থায় দেখলে হৃদকম্প হয়। শিশু এবং বৃদ্ধদের খাওয়া অলিখিতভাবে নিষেধ কারণ গলায় আটকে মৃত্যুঝুঁকি আছে। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য আছে তাদের জন্য সাক্ষাৎ যম। আর দূর্বল হজমশক্তিওয়ালারা নামটা ভুলে যান।


এই খাবারটি নিয়িমিতই রান্না হয় আমাদের বাসায় গাদাখানেক করে এবং সেটি সাধারণত খাওয়া হয় মধ্যরাত পেরোলে।


রাত একটা-দেড়টার দিকে কেউ যদি আমাদের রান্নাঘরে উঁকি মারেন তাহলে সমূহ সম্ভাবনা তিনি দেখবেন খালি গায়ে উস্কোখুস্কো চুলে একজন মধ্যবয়সী ব্যক্তি নধর ভুঁড়িটা হাফপ্যান্টের দূর্বল ইলাস্টিকের ভরসায় লটকে রেখে কাউন্টারে রাখা সাদা রঙের একটা বিশাল বোল থেকে নিবিষ্ট মনে এই হিমশীতল 'ড্রাগন' তুলে তুলে খাচ্ছে। চামচটামচের বালাই নেই। হাতের আঙ্গুলগুলো দিব্যি কাঁটার কাজ করছে।


দিনভেদে মাঝে মাঝে দুজন কিশোর এবং কদাচিৎ একজন নারীকে একই কাজ করতে দেখা যায়। তাদের পরিধেয় যথেষ্ঠ স্বাভাবিক। তবে তারা কাজটা করে ছোট বাটিতে তুলে নিয়ে এবং খায় কাঁটাচামচ সহযোগে ডাইনিং টেবলে বসে। তার আগে অবশ্যই আভেনে গরম করে নেয়

যাক, স্যালাডের কথা হচ্ছিল।


তো রাঁধুনিকে কয়েকটি নির্দেশ দিতে হলো। যে স্যালাড বানাবো সেটির উপাদানগুলো জোগাড় করতে হবে। শশা, গাজর আর টমেটো কিনলেই হবে। বাকি জিনিস বাড়িতেই আছে। টক দই লাগবে ড্রেসিং বানানোর জন্য। এক কৌটা কিনেছিলাম গত ঈদে। সেটাকেই খুঁজেপেতে বের করা হলো ডিপফ্রিজের গন্ধমাদনের তলা থেকে। ইঁটের মতো শক্ত হয়ে গেছে। এবারে সেটা গলুক।


আমাদের ডিপফ্রিজের ব্যাপারটা একটু বলে নেই এই ফাঁকে।


এটি 'ফিলো' পদ্ধতিতে কাজ করে; ফার্স্ট ইন লাস্ট আউট। প্রতি বকরিদের আগে একে খালি করে ধোয়া হয়। তারপর থেকে শুরু করে নেক্সট বকরিদ পর্যন্ত এ খালি জমায় আর জমায়। ওপরের জিনিসগুলো ওই ফিলো সিস্টেমে খালি হয় আর নিচের মাল তা চেয়ে চেয়ে দেখে। এই কারণেই টক দই থেকে গরুর বট, পাঁচমিশালি মাছ, বিষন্ন পোল্ট্রি এবং বিগত সিজনে কিনে রাখা আমের পেস্টের একটি সম্মিলিত সুবাস (!) ভেসে আসছে।


আসুক গে। এত কিছু নিয়ে মাথা ঘামালে স্বাস্থ্যকর স্যালাড খাওয়া হয় না।


ঝামেলাটা প্রথম বাধলো মুরগি নিয়ে। রাঁধুনিকে কোনভাবেই বোঝাতে পারলাম না যে আমি বড়সড় এক পিস মুরগি চাই হালকা মশলা সহযোগে সেদ্ধ অবস্থায়। সেটিকে কুচিয়ে স্যালাডে দেয়া হবে। দেখা গেল ইনি ঝোল-আলু দিয়েই কেবল মুরগি রাঁধতে পারেন। অবশ্যই স্যালাডে মুরগির ঝোল এবং তাতে আলু ভাসছে - এরকম দৃশ্য কল্পনাতীত। সুতরাং যৌক্তিকভাবেই এসব ক্ষেত্রে আমি স্ত্রীর শরণাপন্ন হই।


আমার স্ত্রী একজন যথার্থই ভদ্রমহিলা বলে আমার নানাবিধ অস্বাভাবিক বেশ, ভুষা, কান্ড এবং অকান্ড সহ্য করেন এবং বিগত সাতাশ বছর ধরে করেও যাচ্ছেন। একবারমাত্র শীতল দৃষ্টি নিক্ষেপ করে আজও সহ্য করলেন। রাঁধুনিকে উনি কী বোঝালেন জানি না। তবে ব্যাপারটাতে রাঁধুনিকে খুব প্রীত বলে মনে হলো না।


পাঠকের কৌতুহল নিবৃত্তে রেসিপিটা বলে দিচ্ছি এই বেলা।


একটা/দুটো শশা, একটা গাজর, একটা টমেটো, দুটো বড় পিয়াজ কিউব করে কাটতে হবে। এর সাথে ধনেপাতা কুচি, দুই/তিন কোয়া রসুন ঘসে দিতে হবে। এই হলো মূল স্যালাড।


ড্রেসিং বানাতে দুই/তিন টেবল চামচ টক দই, এক টে.চা অলিভ অয়েল, এক টে.চা মধু, অল্প কিছু বাদামভাজা আর পরিমান মতো গোলমরিচের গুঁড়ো, লবন, আর সামান্য জিরার গুঁড়ো দিয়ে ভালো করে ঘুঁটে নিতে হবে।


এই দুটো মাখালেই স্বাস্থ্যকর (ইংলিশ) স্যালাড যেটার ৪৬ সেকেন্ডের ভিডিওর ভিউ ৮+ মিলিয়ন।


মুরগির কুচিটা আমি নিজেই যোগ করেছিলাম। প্রোটিন না খেলে যদি দূর্বল হয়ে পড়ি - এই ভেবে। ছবিতে কিন্তু আমার দূর্বলতা (!) বোঝা যাচ্ছে।


স্যালাডটা বানাবো বিকেলের দিকে - এই হলো প্ল্যান। একেবারে রাতের খাওয়া সুয্যি ডোবার আগেই শেষ। সন্ধ্যার পর এক্সারসাইজ শুরু হবে আজ থেকে। এটাও প্ল্যান। আমি দ্বিমুখী আক্রমণে বিশ্বাসী। ডায়েট এবং ডাম্বেলের ডুয়েট চলবে আজ থেকে।


রাঁধুনিকে বিরক্ত করতে হয় না। এর ওপর তিনি যদি 'কানে খাঁটো বংশীধর' হন, তাহলে জটিল ব্যাপারস্যাপার এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। নইলে ভয়ানক পস্তাবেন। পাঠকের জন্য এটি একটি ফ্রি উপদেশ। স্যালাড বানাতে গিয়ে ব্যাপারটা আরেকবার হৃদয়ঙ্গম হলো।


সব আইটেম আগে কাউন্টারে সাজিয়ে নিয়ে চপিং বোর্ডে শসা তুলেই থমকে গেলাম। অত্যন্ত বিজ্ঞ একটি শসা। অভিজ্ঞতার ভারে পেকে টুসটুস করছে এবং সেইজন্যই বোধহয় নেতিয়ে গেছে। শুরুতেই থেমে গেলে তো হবে না। কাজেই নির্দেশিত পদ্ধতিতে সবকিছু ঘনকাকৃতিতে কেটে ফেললাম। নেতানো শসা তো কচকচ করবে না। তাই গোটা সাতেক মরিচ কুচিয়ে দিলাম। এবারে ড্রেসিং।


রেসিপিতে দেখানো দইটা ঘন পেস্টের মতো, যেরকম দই হয় আর কি। আমার দইটা এতক্ষনে গলেছে। মাছমাংসের সঙ্গদোষেই কিনা দই আর পানি নিশ্চিন্তে আলাদা হয়ে গেছে। মাঝখানে তখনও একটা দইয়ের হিমায়িত টুকরো হাবুডুবু খাচ্ছে। আবারও বাধা। কিন্তু স্বাস্থ্যবীর তাতে ডরে না।


বাটিতে এইটাই ঢাললাম। এবারে পর পর জলপাই তেল, মধু, গোলমরিচ, লবন দিয়ে জিরার গুঁড়ো খুঁজতে গিয়েই গোলমালটা বের হলো। এতক্ষন গোলমরিচ ভেবে মহানন্দে যেটা ঢেলেছি সেটাই জিরা। লাখ শোকর যে ধনের গুঁড়ো ঢালিনি।

ইম্প্রোভাইজেশন ছাড়া গতি নেই।


কাজেই নিজ বুদ্ধিতে যোগ হলো বিটলবন, সিসেমি সস এবং সয়া সস। সবগুলোর বোতলই তো সামনে রাখা। ভিনেগার দেয়ার লোভটা অতি কষ্টে সামলেছিলাম। চিনেবাদাম নেই কিন্তু কিছু এতিম আমন্ড আর কাজু পাওয়া গেল। চপার দিয়ে থাবড়া মেরে সেগুলো গুঁড়ো করতে যেতেই একেকজন একেকদিকে ছিটকে গেল গুলির মতো। যাহ্‌! ঝামেলা খতম।


পেস্টের মতো ড্রেসিংটার রঙ হওয়ার কথা হালকা বাদামি। আমারটা ঘোলাটে সাদা মাঠার মতো। মধ্যে মধ্যে লাল, কালো এবং হলুদ রঙের নানান ফুটকি ঝিলিক মারছে। লাল ফুটকিটার জন্য দায়ী চিলি পিপার। জিরার গুঁড়ো না খুঁজে পেয়ে এইটা সামনে পড়ে গিয়েছিল। রাগের চোটে ঢেলে দিয়েছি।


মুরগির কুচিটা ফ্রিজ থেকে বের করতে গিয়ে টের পেলাম ওস্তাদের মার আসলে শেষ রাতে নয়, শেষ পাতে। আমাদের কানে খাঁটো রাধুঁনি মুরগি কাঁচা অবস্থাতেই কুচিয়ে রেখে গেছে। নে শ্লা, এবারে বানা স্যালাড।


যেহেতু আমার গন্ডারের গোঁ এবং আমি কুচি মাংস দেবোই এবং সকালে দুটো ডিম খেয়েছি, তাই চিরুনি তল্লাশি করে এক কোণা থেকে এক টুকরো গরুর রেজালা বের করা হলো।


কোন এক সুদূর অতীতে একে রান্না করা হয়েছিল এবং এই এক টুকরোই ফিলো পদ্ধতির গ্যাঁড়াকলে পড়ে ফ্রিজে আটকে গিয়েছে। সেইটাই কুচালাম। আর হ্যাঁ, এর সাথে দুটো আলুও ছিল। ওই যে, রাঁধুনি বলেছিল আলু-ঝোল? খোদা কবুল করে রেখেছেন তা আমি কী করব?


এবারে ফাইনাল টাচ। সব্জি কুচির ওপর ঢেলে দাও লিকুইড ড্রেসিং। বড় খোলতাই দৃশ্য। ড্রেসিং মুহূর্তেই বোলের তলায় পৌঁছে ঢেউ তুলতে লাগল আর লাল-সবুজ শসা-গাজর-টমেটো-পিয়াজ ওপরে নিশ্চিন্তে পড়ে রইলো।


আমার ইংলিশ স্যালাড! হ্যাঁ, আমারই..।


বোল ভর্তি করে পদার্থটা নিয়ে বেডরুমে ঢুকতেই একটা কান্ড। আমার স্ত্রী অঘোরে দিবানিদ্রা দিচ্ছিলেন। একটা খিঁচুনি দিয়ে ধড়মড় করে কেন যে উঠে বসলেন, ঠিক বুঝলাম না। সামনে বসে যখন ওই জিনিসটা কচ কচ করে খাচ্ছি এবং সুড়ুৎ সুড়ুৎ করে টানছি, তখন তার দৃষ্টিতে একটা ক্রোধ মিশ্রিত বেদনা লক্ষ্য করেছি পুরোটা সময়। কেন, কে জানে।


মিলিয়ন ডলার, স্যরি মিলিয়ন ভিউ স্যালাড বলে কথা।


_____________________________
পুনশ্চঃ ১

পুরো প্রক্রিয়াটা আমিও ভিডিও করেছি। ৪৬ সেকেন্ডে আট লাখ ভিউ হলে আমারটা অন্তত আট হাজার ভিউ তো হবেই - এই আশায়। রিপ্লে করে দেখলাম ভিডিওর ব্যাকগ্রাউন্ডে আমার লুঙির গিঁটটাই বড় করে দেখা যাচ্ছে যেটিকে দর্শক ভুল কিছু ভাবতে পারে। কাজেই আমার আট হাজার দর্শককে নিরাশ করতেই হচ্ছে।


পুনশ্চঃ ২

উল্লেখিত ইংলিশ স্যালাডে পেট ভরেনি বলে এরপর ভাত, গরুর কলিজা, কচুর লতি এবং ডাল খেতে বাধ্য হয়েছি।


পুনশ্চঃ ৩

অভিজ্ঞ শসাটি এখন তার কাজ শুরু করেছেন। সাথে সঙ্গত করছে আমার ইম্প্রোভাইজড করা আইটেমগুলো। প্রতি আট-দশ মিনিট অন্তর অন্তর লুঙ্গির গিঁট আলগা হয়ে যাচ্ছে ক্রমবর্ধমান বহির্মুখী চাপে। ক্যালকুকেশন বলছে আগামী ঘন্টাখানেকের মধ্যে সেটি পুরোপুরি প্রোডাকশনে যাবে এবং রাতনাগাদ প্রাণঘাতী অবস্থায় পৌঁছাবে। আমার স্ত্রী এই অভিজ্ঞতার সাথে পরিচিত বিধায় আমাকে আজকের মতো শয্যাকক্ষ ত্যাগ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ভদ্রমহিলার ভদ্রতাবোধ এবং সহ্যশক্তি অসীম নয় এবং স্বাভাবিক বোধবুদ্ধিতেই উনি নিজের প্রাণের মায়া রাখেন। স্বামীকে যতই স্নেহ করুন, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত একটি কক্ষে পেটে 'পারমাণবিক স্যালাড'ধারী কাউকে পাশে রাখবেন, এতোটা আশা করা অবাস্তব।


পুনশ্চঃ ৪

আশাকরি পাঠককে কাহিনীটির নামকরণ আর ব্যাখ্যা করতে হবে না। এর পরও বিভ্রান্তি থাকলে ইনবক্সে আসুন।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৮

মায়াস্পর্শ বলেছেন: এই স্যালাডে কত মাইক্রোগ্রাম ইউরেনিয়াম দিয়েছেন ?? B-)
ভালো লেগেছে পড়ে।

১৬ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১০:৪১

মন থেকে বলি বলেছেন: ভেবেছিলাম পারমাণবিক। আসলে ব্যাপারটা ছিল উচ্চস্তরের রাসায়নিক। ইউরনিয়াম ছাড়াই নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার হয়ে যাচ্ছিল আরেকটু হলে। দুটো প্যান্টোনিক্স যে বাংলাদেশের জ্বালানি সমস্যার সমাধানের পথে কী ক্ষতি করলো, তা কেউ বুঝলো না।

২| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৭

আজব লিংকন বলেছেন: হা হা হা..... উফ... মাফ চাই। এইডা কি ছিল ভাই?
পারমাণবিক স্যালাড একদম উপযুক্ত নামকরণ হইছে। লেখা অর্ধেক পইড়াই বুঝছিলাম জিনিসটা পুরা ককটেল হইতে যাইতেছে। বাঁইচা আছেন এটাই লাখ শুকরিয়া।

আমিও একবার নিজে থেইকা সুপ বানানোর ট্রাই করছিলাম। খাওয়ার পর কেউ প্রশ্ন করেছিল, কেমন?
এক চোখ বন্ধ কইরা উত্তর দিছিলাম, দোজখ।

তাই বইল্যা এক্সপেরিমেন্টে এখনো ছাইড়া দেই নাই। প্রায় সময় সুযোগ পাইলে উদ্ভট কিছু আবিষ্কার করি। অনেক সময় পেটে যায়। অনেক সময় বিনে। আপনিও চেষ্টা চালায় যান। অল দ্যা বেস্ট।

১৬ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১০:৪২

মন থেকে বলি বলেছেন: বেঁচে আছি বাপ-মার দোয়ায় আর স্ত্রীর ভয়ে।

৩| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৬

মিরোরডডল বলেছেন:





হা হা হা হা
বহুদিন পর একটা দুর্দান্ত মজার পোষ্ট পড়লাম।

যেরকম পোষ্ট, সেরকম মজার কমেন্ট :)

১৬ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১০:৪২

মন থেকে বলি বলেছেন: বেঁচে আছি বাপ-মার দোয়ায় আর স্ত্রীর ভয়ে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.