নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
Stay Hungry. Stay Foolish.
ছেলেবেলায় পড়া সেই প্রবাদটা মনে আছে - "নামে কি বা আসে যায়"...?
আসে যায়, অনেক কিছুই আসে যায়।
একটা ঘটনা বলি। এটাও আমার ছেলেবেলার - নাহ, ছেলেবেলা না; কিশোরবেলার গল্প।
৯৪'র কথা। এসএসসি পরীক্ষার ফর্ম ফিলাপ চলছে।
আমরা ছিলাম কম্পিউটারে চেক করা হতো যে স্টুডেন্ট ফর্ম - খুব সম্ভবত OMR না কি একটা নাম ছিলো, সেটার প্রথম ব্যাচ। একেকটা বক্সে একেকটা অক্ষর লিখতে হতো ইংরেজিতে ক্যাপিটাল লেটারে। হেডস্যার পই পই করে বলে গেছেন ---- 'খবরদার! ভুল যেন না হয়। পার হেড ফর্ম একটাই।' ভুল হলেই জান কবজ করার জন্য রুমের মধ্যে স্যার-রূপী আজরাইল দন্ডায়মান।
আমার নাম ২০ অক্ষরের, মাঝে দুটো খালিঘর। গুলিটা কানের পাশ দিয়ে গেল। এঁটে গেলো কোনোমতে।
সমস্যা বাধল আমার বন্ধুকে নিয়ে। তার পুরো নাম ছিলোঃ
"আবুল ফজল মোহাম্মাদ মাসুদুর রহমান ইমন"
মাশাল্লাহ!
মনের মাধুরী মিশিয়ে রাখা নাম। OMR ভেবে তো আর রাখা হয়নি। সুতরাং যা হবার, তাইই হলো। 'মাসুদুর' পর্যন্ত আসতে আসতেই দেখে কলম চলে গেছে ফর্মের বাইরে। নাম অর্ধেক লেখা, কিন্তু বরাদ্দের ফর্ম তো খতম!
এরপর আর কি...!
আজরাইল এগিয়ে এসে 'কর্ণধারণ পূর্বক বেত্রাঘাতে মগ্ন হইলেন'। দোস্তো আমার পরীক্ষা দেবে কি, জীবন রক্ষায় ব্যস্ত হয়ে গেল। এসএসসি বহুৎ আসবে জীবনে - যদি বেঁচে থাকে।
তাই বলছিলামঃ নামে 'অনেক' কিছুই আসে যায়।
ফেসবুকে অবশ্য কিছুই আসে যায় না মনে হয়। ০-১ এর সামাজিকতায় নাম নিয়ে ফাজলামি চরমে উঠেছে। কয়েকটা নাম (!!!) দেখুনঃ
- গ্যাং স্টার
- উষ্ঠা তালুকদার ঠাকুর
- নাম ঘুরতে গেছে
(আমার মাথাও ঘুরতেছে। আর লম্বা না করি লিস্ট)
সেদিন পুর্বাচল ৩০০ ফিট রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম। রাস্তার পাশে একটা হোটেল। সাধারনই। কিন্তু নাম...? হেহ হেহ...সেইটা আলট্রা-অসাধারণ। অথবা বলা যায় 'ফিউচারিস্টিক'। কি সেই নাম?
"---জামাই বউ মোঃ মুছা মীর মামা হে---"
মনে হলো ভুল দেখছি।
গাড়ি থামিয়ে একদম সামনে গেলাম কনফার্ম হওয়ার জন্য। নাহ...। এইটাই তো নাম। ঠিকই আছে।
এরা কি পার্টনার?.....কে কার জামাই?.....মোঃ মুছা জামাই?....কিন্তু বউ কে?.....'মীর মামা' কি মামা, না কি মামাশ্বশুর?....আর 'হে' বলে কাকে ডাকা হচ্ছে?.....দাঁড়াও হে পথিকবর - মাইকেল বলেছিলেন। এই 'হে' টা কি?
এবার আর মাথা ঘোরাঘুরি না, আঁধার হয়ে এলো চারদিক। থেবড়ে বসে পড়লাম কালো মাটিতে।
গাড়িতে ফিরতে বউ খিঁচিয়ে উঠলো -- 'তোমার প্যান্টে কালো ওইসব কি? গোবর...?? ওয়াক থু..!'
এও এক নাম!
ভাবলাম - নামেই যদি কিচ্ছু না আসে যায়, তাহলে গোবরেও কিচ্ছু আসে যায় না।
(যারা ভাবছেন আমি গল্প ফেঁদে বসেছি, তাদের জন্য নিচের ছবিটা। আর আমার ওই ম্যারাথন-নামওয়ালা বন্ধুও আছে বহাল তবিয়তেই)
পরিশিষ্ঠঃ
--------
আমার একজন সহকর্মী আছেন। উপাধিসহ নামটা আট শব্দের। শুধু নাম হিসেব করলে চৌত্রিশ অক্ষর হবে ইংরেজিতে।
নামটা বলেই ফেলিঃ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) খান আবু রওশন মুহাম্মাদ মোস্তফা কামাল
OMR এর বাবারও সাধ্য নেই.....!!
২৬ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৪১
মন থেকে বলি বলেছেন: আমারও একদিন খাওয়ার ইচ্ছা আছে।
আপনার এই ছবি আবার সেই 'মামার' দোকানের না তো?
২| ২৬ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:২২
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আমার নামটি ঠিকাছে?
২৬ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৪২
মন থেকে বলি বলেছেন: আমরা সবাই কমবেশি রাখালই বটে।
আপনি শুধু আরণ্যক।
সুতরাং নাম বেঠিক হওয়ার তো কোন কারন দেখি না।
৩| ২৬ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৩৬
জাকির বালী বলেছেন:
এই ভদ্রমহিলার দোকানে যেতে পারেন, খুব ভাল চা বানায়।
এখান থেকে গলাকাটা দাম দিয়ে আপনি কিনতে পারেন সব তাজা ফল, সবজি আর মাছের মত প্রয়োজনীয় সবকিছু।
২৬ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৪৪
মন থেকে বলি বলেছেন: চা এর দামও কি গলাকাটা?
আর এই মহিলাকে চিনব কি করে? অতি বিখ্যাত না কি?
৪| ২৬ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৪৪
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: না না , কে বলছে নামে কিছু আসে/যায়?? শুধু দুঃখ এই যে, এই সাড়ে তিন হাত লম্বা নামটা প্রচার পায় বড়জোর "একটি" নামেই।।
২৬ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৫০
মন থেকে বলি বলেছেন: অতীব সত্য এবং জীবন থেকে নেওয়া কথা।
৫| ২৬ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৪৫
ইমরান আশফাক বলেছেন: অন্য একটি ব্লগে মন্তব্য করতে যেয়ে ভূল করে এখানে পোস্ট করে ফেলেছি যা সম্পূর্ন অপ্রাসংগিক। আমার মন্তব্যটি ডিলিট করে দিলে ভালো হয়।
২৬ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৫১
মন থেকে বলি বলেছেন: অনুরোধ রাখা হয়েছে।
লেখাটা কেমন লাগল, বললেন না তো?
৬| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:৩২
জুন বলেছেন: মামার দোকান কি না জানিনা তবে নাম লেখা আছে প্রো : সুকুমার বাবু । এই মিষ্টির দোকানে আপনাকে অনেকক্ষন দাড়াতে হবে বিশেষ করে ছুটির দিনে ।
প্রায় সপ্তাহ দুয়েক আগে ডানদিকের একটা হোটেলে খেয়ে বেরিয়ে আসার পর সেখানে খেতে বসলেন ঐ এলাকার জনপ্রতিনিধি জনাব গাজী গোলাম দস্তগীর । সুতরাং আপনিও ইচ্ছে হলে খেতে পারেন । চা এর দাম আট টাকা । স্থানীয়দের উৎপাদিত সবজী কিনলে একটু ফ্রেশ পাবেন । আর তারা দু এক মুঠো শাক বা নিজ গাছের দু আটি সজনে নিয়ে হয়তো বসে পথের পাশে । তাদের না হয় আমরা দু একটাকা বেশীই দিলাম । তবে দোকান সাজিয়ে যারা বসেছে তাদের কথা আলাদা।
২৭ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৮
মন থেকে বলি বলেছেন: মনে রাখব। তথ্যগুলোর জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৭| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:২৫
প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: মিলিটারীর লোকও কি বউয়ের খিচানী খায়?
২৮ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৩১
মন থেকে বলি বলেছেন: প্রশ্নবোধকঃ আপনার মন্তব্যটাও প্রশ্নবোধক হয়ে গেল।
৮| ২৮ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৩৭
রিফাত হোসেন বলেছেন: ৩০০ ফিট রাস্তার শেষ সীমানা পর্যন্ত পার হয়ে কয়েকটা ব্রীজ আছে, প্রায় সকালেই যেতাম দৌড়াতে দৌড়াতে। সেখানে গরুর টাটকা গরম দুধ পান করতে ভালই লাগত।
তবে আপনার পোষ্টের রেস্তোরার নামটা হয়ত খেয়াল করি নাই।
২৮ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৪৬
মন থেকে বলি বলেছেন: এর পরেরবার খেয়াল করবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:১৬
জুন বলেছেন:
তিনশ ফিট রাস্তার পাশে মালুম সিটির একটি দোকান ।
আর আপনার ঊল্লেখিত রেস্তোরায় একদিন খেয়েছিলাম ।