নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কারো যদি গোপন সাফল্যের চাবিকাঠি থাকে, তাহলে সেটা থাকে তার অন্যের কথার দৃষ্টাকোণ আর নিজের দৃষ্টি কোণ বুঝে নেওয়ার মধ্যে।।
কার্যত নতুন গণ-অভ্যুত্থানের পর হাসিনা তথা লীগের পতন হয়েছে মাত্র ৪ দিন আগে। বিগত ১০ বছর বাংলাদেশের ওপর দিয়ে যা গেছে তা নিয়ে মানুষ ক্ষুব্ধ, বিরক্ত,অতিষ্ঠ।যদিও সরকারের সমালোচনা করা খুবই সোজা কাজ।আমরা ইউরোপ আমেরিকার কথা ভাবি অথচ ওদেশেও সরকারকে রোষানলে পড়তে হয়। যাক, এখন ইউনূস সরকার কী করতে পারে বা তাদের ভবিষ্যত কী তা নিয়ে লিখছি—
১.বাংলাদেশের সমস্যা গভীরে। মানে ডিএনএতে বা ভৌগোলিক অবস্থানে। এখানে অনিয়মগুলোই নর্মালাইজ হয়ে গেছে। এতে করে ধরেন গতকাল পর্যন্ত যে পুলিশ ঘুষ নিয়ে দৈনিক ৫০০০ ইনকাম করত, কার্যত সে অচল হয়ে গেছে। সো নতুন সরকারকে এসব ঠিক করতেই হবে। আর এর মূল অত্যন্ত গভীরে। যা ঠিক করতে কমকরে হলেও ২ বছর দরকার। কিন্তু মানুষ দ্রুত সমাধান চায়। এরা ভাবে সরকার আজ এসে কালই সব ঠিক করবে। কিন্তু যখন তারা দেখবে দ্রুত কিছুই হচ্ছেনা তখন তারা এই সরকারকেও তুলোধুনো করবে। আর এতে সহায়তা করবে রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে থাকা বাটপারেরা। যারা আগে বাটপারি করলেও এখন সুযোগ পাবেনা।
২.যারা জানে তারা জানে যে বাংলাদেশের সমস্যা এক দুই দিনে শেষ হবার নয়। ইউনূসও জানেন। আর উনি খুবই পশ্চিমা ঘনিষ্ঠ। তাই আপাতত জনগনকে বুঝ দেয়ার জন্যে বিদেশ থেকে সহায়তা আসতে পারে প্রচুর পরিমানে। এতে করে অর্থনৈতিক উন্নতিও দেখানো যাবে। যেমন হাসিনার পতনের পরদিন থেকেই টানা শেয়ারবাজারের গ্রাফ উর্ধ্বমূখী। যদি এটা বাবল হয় আর হঠাৎ করে ব্রাস্ট হয় তবে অনেকে নিঃস্ব হবে।
৩.জনগণ চায় এ সরকার ৩-৬ বছর দেশ চালাক। তবে ১৭ বছর ধরে ভুখা থাকা বিএনপি-জামাত চায় ৩ মাসের ভেতর নির্বাচনে যেতে। কারণ এমনটা হলে তারা ৩০০ আসনে কমকরে ২৮০ টা তো পাবেই। আবার আওয়ামীলীগ চায় কিছু সময় পর নির্বাচন হোক। এতে ওরা যদি একটু ঘুরে দাঁড়ায়। তো এখন বিএনপি জামাত সর্ব্বোচ্চ চেষ্টা করবে অন্তবর্তীকালীন সরকারকে অযোগ্য প্রমাণ করতে যাতে করে জনগনও দ্রুত নির্বাচন চায়। এর আরও একটা কারণ যদি এই সরকার সত্যই কাজ করে এবং পজেটিভ পরিবর্তন আনে তবে মানুষ ওসবে অভ্যস্ত হয়ে যাবে। তারপর বিএনপি এসে আবার লুটপাট করতে চাইলে মানুষ রুখে দাঁড়াবে।
৪.ধরে নিলাম আরব বসন্তের আদলে বাংলা বসন্ত হয়েছে। এখন এদেশে usa এর সেনা আনতে হবে। তবে এর আগে তো একটা উপলক্ষ চাই। আর উপলক্ষ তৈরী করতে দেশে হামলা, রাহাজানি, সংখ্যালঘু অত্যাচার সহ সব বেড়ে যাবে। এমনকি ভারতকে আক্রমন ও পরবর্তীতে ভারতকে মোকাবেলা করতে usa এর সেনা আনায়নও হতে পারে।
৫.এই সরকার ততদিন টিকবে যতদিন না আমেরিকার ফুটপ্রিন্ট এই উপ্যকায় স্থায়ী হয়। বিশেষ করে বেল্ট এন্ড রোড বা ভারত মহাসাগরে চীনকে টেক্কা দিতে পারে এবং ভবিষ্যতের ভারতের জন্যেও কাউন্টার হয়। ফলে চীনও হয়তো ইউনূসকে সমর্থন না করে পাওনা পরিশোধে চাপ দিতে পারে বা ভারত চীন এক হতে পারে এদেশের ব্যাপারে।
৫.এবার সবচেয়ে বড় অনুমান করি। আমার মতে ৩-৬ মাসেই এই সরকারের পতন হবে বা নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে। কী কেন তা নাহয় এমনটা হলেই বলবো।
২| ১০ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৯
নতুন বলেছেন: এই সরকারের সাথে ছাত্ররা আছে, ২ প্রতিনিধির উচিত হবে দেশের ছাত্রদের টাচে থাকা।
এটা করতে পারলে ছাত্রদল,জামাত,লীগের ছাত্ররা এই সরকারের বিরুদ্ধে জোরদার হতে পারবেনা।
এই সরকারকে ৫/৬ বছর থাকতে হবে। নতুবা বিএনপি এসে আগের মতনই লুটপাট শুরু করবে।
ড: ইউনুস যেহেতু আছেন বাইরের চাপ কম থাকবে, সমর্থন বেশি থাকবে।
আশা করি ভালোর দিকে যাবে দেশ।
১০ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:০৮
Sujon Mahmud বলেছেন: এই সরকার যত বেশি সময় থাকবে ততোই দেশের মঙ্গল
৩| ১০ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অ্যামেরিকা সহ প্রভাবশালী বিশ্ব যতদিন এই সরকারের উপরে সমর্থন রাখবে ততদিন কোন সমস্যা হবে না। দেশের ভিতরের রাজনৈতিক দলগুলির তৈরি করা সমস্যা ছাত্ররাই সামলাতে পারবে। কিন্তু অ্যামেরিকা বা প্রভাবশালী দেশগুলি যদি মনে করে যে এই সরকারের মেয়াদ কম হওয়া উচিত সেই ক্ষেত্রে এই সরকারকে বিদায় নিতে হবে। তবে ভারত চাইবে বিএনপি, জামাত যত দেরীতে ক্ষমতায় আসুক।
৪| ১০ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:০১
Sujon Mahmud বলেছেন: দূর্নীতি মুক্ত করতে পারলেই উন্নয়নের পথ সুগম হবে।
৫| ১০ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:১৫
আদিত্য ০১ বলেছেন: এই কোমলমতিদের এইটা আগে থেকে ডিজাইন ও আন্দোলনের ইঞ্জিনিয়ারিং আগে থেকেই করা ছিলো, সুযোগের অপেক্ষায় ছিলো, তারা আগেই ছাত্র নেতৃত্ব দ্বারা ইমপ্লিমেন্ট করেছে এমনভাবে যাতে ছাত্রগুলো পুলিশকে আক্রমন করে, তাতে পুলিশও আক্রমন করবে, ছাত্র মারা পড়বে বেশি ও পুলিশও, এতে তাদের সরকার পতনের ইঞ্জিনিয়ারিং সফল
এই কোমলমতিরা আবারো ইঞ্জিনিয়ারিং করবে ইউনুস সাহেবকে পতন করতে, কারন এদের ইচ্ছে লোক দেখানো নির্বাচন করে ক্ষমতায় যাওয়া, এরা বাজারে সিন্ডিকেট করে জিনিসপত্রের দাম বাড়াবে, যাতে সাধারন মানুস আবারও উত্তেজিত হয় ইউনুসের বিরুদ্ধে, তখন ইউনুস বাধ্য হবে নির্বাচন দিতে। একজন লোক ভালো অর্থনীতিবিদ হলেই ভালো রাজনীতি বা প্রশাসন বুঝবেন এইটা ভুল, অনেক কিছু এখনও বাকি আছে।
আবার এর মাঝে এই ছাত্র নেতৃত্বরা একটা দল গঠন করতে চাইতে পারে, কিন্তু সেই দল আদৌ নির্বাচনে জয়ী হতে পারবে কিনা, যদি জয়ী হয়, বিএনপি জামাত আওয়ামীলীগ মিলে আন্দোলন শুরু করবে
আগামী ১ বছরে আরও অনেক কিছু ঘটবে এইটা বুঝাই যাচ্ছে, অনেক পালাবদল আসবে
৬| ১০ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:২৯
কামাল১৮ বলেছেন: দূর্নীতে সাজা প্রাপ্ত আসামী করবে দূর্নীতি মুক্ত।শ্রষ্ঠ প্রহসন
৭| ১১ ই আগস্ট, ২০২৪ ভোর ৬:১৬
শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার ভবিষ্যৎবাণীর সাথে একমত নাহলেও বিশ্লেষণ গুলোর সাথে একমত।
আইন শৃঙ্খলা পুনরধিষ্ঠিত এবং উন্নতি করা, প্রশাসন কে নিয়ন্ত্রণ করা এবং বিএনপি, জামাত, হেফাজতকে কঠোর ভাবে দমন এবং আওয়ামী ষড়যন্ত্রকে রুখে দেওয়ার ভীতরে এই সরকারের সাফল্য নির্ভর করবে।
উপরে ব্লগার নতুনের মত আমার বিশ্বাস তরুন প্রজন্মকে নিয়ে এই সরকার তার কাজে সফল হবে।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৮
আহলান বলেছেন: দূর্নীতির টুটি চেপে ধরতে পারলেই সাকসেস ৮০% নিশ্চিত সফলতা আসবে। কারণ এই দূর্নীতিই দেশটাকে এই পর্যায়ে এনেছে। আইনের শাসন নিশ্চিত করতে দূর্নীতি দূর করার বিকল্প নাই।