নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

[কারো সমালোচনা করো না, তাহলে নিজেও সমালোচিত হবে না]

Sujon Mahmud

কারো যদি গোপন সাফল্যের চাবিকাঠি থাকে, তাহলে সেটা থাকে তার অন্যের কথার দৃষ্টাকোণ আর নিজের দৃষ্টি কোণ বুঝে নেওয়ার মধ্যে।।

Sujon Mahmud › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভয়ংষ্কার পুকুর পর্ব ১

১৩ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:০১

ঘনিয়ে আসছে ।সন্ধ্যা প্রায়
পুকুর পাড়টা খুব নির্জন আর
অন্ধকার নেমে এসেছে
সেখানে । পুকুরের অপর
পাশের ঘন জঙ্গল থেকে
ভেসে আসছে শিয়ালের হাকঁ
। দিনের বেলাতে জঙ্গলের
গাছপালার জন্য সূর্যের
আলো ঠিকমত পৌঁছায় না
পুকুরে । তাই পুকুরের পানি
কুচঁকুচেঁ কালো । ঝিঁ ঝিঁ
পোকারা ডাকছে । রহমত
শিষ বাজাতে বাজাতে
পুকুরের পাড় দিয়ে হেঁটে
বাড়িতে যাচ্ছিল । হঠাৎ
দেখলো পুকুরপাড়ে তাল
গাছটার গোড়ায় কে যেন
বসে আছে । লোকটার কাছে
গিয়ে রহমত জিজ্ঞাসা
করলো,"কে আপনি ?" লোকটা
মাথা তুলে রহমতের দিকে
তাকিঁয়ে ভয়ংকরভাবে
গর্জন করলো । লোকটার মুখে
কোন ঠোঁট ছিল না । বড় বড়
দাঁত কপাটি আর অগ্নিলাল
চোখদুটি দেখে ভয়ে
সেখানেই হার্টফেল করলো
রহমত । আর বাড়ি ফিরলো
না ও । সারারাত ধরে ওর
বাবা গ্রামের লোকজন
নিয়ে ওকে খুজঁলো । কিন্তু
কোথাও পেল না । এমনকি
পুকুর পাড়েও না ।
অদ্ভুতভাবে রহমতের গায়েব
হওয়ার দুই দিন বাদে রাতে
ঐ পুকুরে মাছ ধরতে গেল সাজু
। টর্চের আলোয় ও দেখলো
পুকুরের কিনারায় বড় একটা
বোয়াল মাছ । হঠাৎ চোখের
পলকেই উধাও হয়ে গেল
মাছটা । একটু অবাক হল সাজু ।
মাছটাকে
খুজঁতে হাঁটু
পানিতে নামলো ও । হঠাৎ
ওর পায়ের তলা থেকে মাটি
সরে গেল । পানিতে ভেসে
উঠলো ভয়ংকর এক মুখ ।
চিৎকার করলো সাজু । কিন্তু
মুখ থেকে কোন শব্দই বের হল
না । বেশিক্ষণ লাগলো না
ওর পানিতে তলিয়ে যেতে ।
পরদিন সকালে লোকজন সাজুর
টর্চলাইটটা
পুকুর পাড়ে খুজেঁ
পেল । তারপর থেকেই
গ্রামের লোকজনের মধ্যে
আতংক ছড়িয়ে পড়লো ।
এতদিন লোকজন এই পুকুরটাকে
অন্ধপুকুর বলেই জানতো কারণ
এর পানি কুচঁকুচেঁ কালো আর
এই পুকুরের পানি কখনও সেঁচা
যায় না তাই । কিন্তু সাজু
নিখোঁজ হওয়ার পর এই
পুকুরটাকে সবাই ভূতের পুকুর
নামে অভিহিত করলো ।
তার কিছুদিনবাদেই শহর
থেকে ফিরে আসলেন
ফাহিম সাহেব । আসতে একটু
রাত হয়ে গেল । সেই পুকুরপাড়
দিয়ে
হেটেঁ বাড়ি
যাচ্ছিলেন ।চাঁদটা ভালোই
আলো ছড়াচ্ছিল ।
তালগাছটার কাছে এসে
দেখলেন তার চার বছরের
একমাত্র মেয়ে ঈশা গাছের
গোড়ায় বসে খিল খিল করে
হাসছে । অবাক হয়ে ফাহিম
সাহেব বললেন ,"মামণি তুমি
এত রাতে এখানে কি
করছো ?" ঈশা তখন পুকুর পাড়
দিয়ে হাটঁতে হাটঁতে পুকুরে
নেমে গেল । ফাহিম
সাহেবও ঈশা ঈশা বলে
পুকুরে নেমে গেল । পুকুরে
নেমে উনি বুঝতে পারলেন
আসলে কত বড় ভুল করেছেন
তিনি । আগেই ভাবা উচিত
ছিল তার মেয়ে এত রাতে
পুকুরপাড় আসবে কেন ? আর
পুকুরেই বা নামবে কেন ?
কিন্তু এখন আর পুকুর থেকে
উঠে যাওয়ার কোন সুযোগ
নেই তার । ঘাড় ঘুরিয়ে
তাকালো ঈশা রূপী
মেয়েটা । একটুও পানিতে
ভিজছে না ওর দেহটা ।
ফাহিম সাহেব তাকিঁয়ে
দেখলেন ঈশার ফুটফুটে
চেহারাটা মুহূর্তের মধ্যেই
ভয়ংকর আর নিষ্ঠুর
পৈশাচিক চেহারায়
রূপান্তরিত হয়ে গেল ।
পরদিন সকালে ফাহিম
সাহেবের লাশটা
পুকুরপাড়েই পাওয়া গেল ।
রহমত আর সাজুর মত গায়েব হন
নি তিনি । চোখ দুটি
উপরানো,দুই গালে মাংস
নেই,পুরো শরীরে বড় বড় দাঁত
আর নখের ছাপ, হাত পা
থেতলানো । বীভৎস লাশটা
দেখে গ্রামবাসীরা হয়তো
বুঝতে পেরেছে কতটা
ভয়ংকর আর নৃশংস অদৃশ্য
ঘাতক শক্তিটা । কিন্তু কেন
করছে এসব ? কি চায় ওটা ? দুই.
ফাহিম সাহেবের
লাশটাকে এনে বাড়ির
উঠানে রাখা হল । কাকার
লাশটা একনজর দেখেই দৌড়ে
সেখান
থেকে চলে আসলো
দিপু । মন খারাপ করে বসে
রইলো কড়ই গাছের গোড়ায় ।
ফাহিম সাহেব দিপুর
একমাত্র কাকা । ঢাকা
থেকে আসার সময় কিছু না
কিছু নিয়ে আসে ওর জন্য ।
কাকার জন্য খুব কষ্ট লাগছে
ওর । মনে মনে প্রতিশোধের
জন্য দিশেহারা হয়ে যায়
দিপু । কিন্তু গ্রামের
সবচেয়ে বোকা আর গাধা
ছেলেটা হল দিপু । কখনও ওর
দ্বারা কিছু হয় না । ও সবার
সাথে মিশতে চায় । কিন্তু
কেউ ওর সাথে মিশে না ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.