নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঊনিশ
অফিস থেকে ফেরার পরপরই অচেনা একটা নাম্বার থেকে ফোন আসলো।শ্রাবণী ফোন ধরতেই কোনো ভূমিকা ছাড়া অপর দিক থেকে পুরুষ কন্ঠে একজন বলে উঠলো --
-আপনি কি শ্রাবণী বলছেন?
-জ্বী বলছি।আপনি?
- আমি মনির।আপনার নম্বর আমাকে আমার এলাকার একজন দিয়েছে।আপনি মনেহয় তাকে চেনেন!
-বুঝতে পেরেছি।
-আচ্ছা আপনার এসএসসি,এইচএসসি কত সালে?
শ্রাবনী উত্তর দেয়ার পর লোকটি বলল-- তাহলে আপনি আমার চেয়ে এক বছরের ছোট।আমার ফেসবুক আইডি বলে দিচ্ছি, আমাকে মেসেঞ্জারে এড করে নিয়েন।সে পরে যোগাযোগ করবে বলে ফোন রেখে দিল।
শ্রাবণী একটা লম্বা নিঃশ্বাস ফেলে ভাবল পাত্র খোঁজা তাহলে ভাল মতোই শুরু হয়েছে।দেখা যাক পাত্রটি কেমন!
আজকাল শ্রাবণী যেন একটু ধাতস্থ হয়েছে!আশা করে না পাওয়ার বেদনাটা নেই।একাকিত্ববোধটা রয়েছে আগের চেয়েও বেশি।কিন্ত এই একাকিত্বর মধ্যেও কোথায় যেন শান্তি আছে।
শ্রাবণীর অফিসের সেই তরুন অফিসারের প্রস্তাবটা সে ভালমতই বিবেচনা করে দেখেছে।লোকটির নাম মুহিত।যেটুকু জেনেছে তার পারবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড অতটা ভাল নয়।বাবা কৃষক। ভাইবোন কেউ তেমন শিক্ষিত নয়।আর্থিক অবস্থাও তেমন ভালনা।তবে ছেলেটিকে দেখে তা বোঝার উপায় নেই।রাজপুত্রের মত চেহারা।তেমনি তার পোশাক পরিচ্ছদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স-মাস্টার্স করেছে।বলা যায় গোবরে পদ্মফুলের মত উঠে এসেছে সে।
এইসব আছে বটে কিন্ত ছেলেটিকে শ্রাবণীর ঠিক ভাল লাগেনা।ফ্যাটফ্যাটা ফরসা মেয়েদের মত চেহারার ছেলেদের শ্রাবনীর এমনিতেই পছন্দ না।তাছাড়া তার আচরনের মধ্যে কি যেন একটা আছে যেটা শ্রাবনীকে টানে না।তবে ছেলেটা এসেছে দুইমাসও হয়নি এর মধ্যে না জেনেশুনে সে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসল--ব্যাপারটা হজম করা কঠিন।
ছেলেটি আরও দু একজন ব্যচেলরের সাথে একই বাসায় উঠেছে।শ্রাবণী ভেবে দেখলো তাদের কারো কাছে খোজ নিতে হবে।যেহেতু তাকে কারো না কারো সাথে সেটেল হতেই হবে তাই ছোটখাটো অপছন্দকে পাত্তা না দেয়াই উচিত।
ভালো করে খোঁজ নিতে গিয়ে যা তথ্য পাওয়া গেল সেটা খুব বেশি প্রীতিকর নয়।ছেলেটি কেন যেন বেশ অস্বাভাবিক আচরণ করে।রাত হলে ভয় পায়।মাঝে মাঝে নাকি কি দেখে চেঁচিয়ে উঠে! সে নাকি রাতে কোনোভাবেই একা এক রুমে থাকতে চায় না,তার সাথে এক বেডে কাওকে থাকতে হয় ।ব্যাচেলর কলিগরা শুরুতে তাকে ভালই সাপোর্ট দিয়েছে কিন্ত এখন আর চাইছে না।কতদিন এমন একটা মানুষের সাথে এক বেডে থাকা যায়।দিন শেষে সবাই তো প্রাইভেসি চায় শান্তির ঘুম চায়।
দিনের বেলা সে সুন্দরভাবে অফিস করে।দেখে বোঝার উপায় নেই তার এমন কোনো সমস্যা আছে।শ্রাবণী আরও জানতে পারলো এই ছেলেটির বহুদিন ধরে একটি মেয়ের সাথে যুক্ত আছে।তারসাথে বিয়ের কথাও হয়ে আছে।শ্রাবণী বুঝতে পারেনা হঠাৎ তাকে প্রপোজাল দিল কেন ছেলেটি!
এই প্রশ্নটির উত্তর এক সময় পাওয়া গেল।ছেলেটি নিজে থেকেই বলল একদিন।মেয়েটির ছোটবোনকে প্রাইভেট পড়াতে গিয়েই তাদের পরিচয়।সুন্দর ছেলে দেখে বাসার সবাই তাকে পছন্দ করত।মেয়েটি তাকে সময়ে অসময়ে টাকা পয়সা দিয়ে সাহায্য করত।এভাবেই সম্পর্ক গড়ে ওঠে।এই মেয়েটিকে ছেলের মায়ের খুব পছন্দ।হবেই বা না কেন মেয়েটি সুন্দর,বাবা নেই।বিশাল সহায় সম্পত্তির অর্ধেকই সে পাবে।বলা যায় রাতারাতি ভাগ্য বদলে যাবে তার।ছেলেকে সে বলে দিয়েছে এই মেয়েকে বিয়ে না করলে তোর আমার অভিশাপ লাগবে,তুই জীবনেও সুখি হবি না।
এই অবস্থায় নতুন চাকরিতে জয়েন করে এখানে এসে শ্রাবণীকে দেখে নাকি ছেলেটির মনে ধরেছে খুব।তার লম্বা চওড়া গড়ন নাকি তার খুব ভাল লেগেছে।এইজন্য সে শ্রাবণীকে বিয়ের কথা বলেছে।
শ্রাবণী হতভম্ব হয়ে গেল কথাগুলো শুনে!পাগল নাকি ছেলেটা!এতদিনের সম্পর্ক অন্য একটা মেয়েকে দেখেই ভেঙে দেয়া যায়?তাছাড়া কিসব দেখে রাত বিরাতে ভয়ে চিৎকার করে যে লোক সে কিভাবে তাকে প্রটেক্ট করবে?এখানে রাজি হওয়ার প্রশ্নই ওঠেনা।
সে রাজি হয়নি বটে তবে সমস্যা তার পিছু ছাড়ল না।অফিসে থাকা আরও কয়েকজন বিষয়টা জেনে সেগুলো নিয়ে ফান করা শুরু করল।ছেলেটি নিজেও যে হাল ছেড়েছে তেমনটা মনে হলোনা।শ্রাবণীর কর্মজীবনে এই নিয়ে নতুন করে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিল।
এরই মাঝে এই মনির নামক ছেলেটির ফোন।ছেলেটি এরপরে আর ফোন দেয়নি বরং মেসেঞ্জারে যোগাযোগ করেছে।ছেলেটি তখনও বেকার তবে একটা ব্যাংকে চাকরি হয়ে যাওয়ার কথা আছে।ছোট পরিবার।ঢাকায় পড়ালেখা শেষ করে সে এখন একটা মেসে থাকে।দেখেশুনে শ্রাবণীর তাকে ভালই মনে হয় তবে ছেলেটি হয়ত শ্রাবণীর চেয়ে লম্বায় কিছুটা খাটো হবে যদিও সামনে দেখা না হলে কিছুই বোঝা যাবে না।ছেলেটি শুরুর দিকেই তাকে জিজ্ঞাসা করল সে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে কিনা।শ্রাবণী বলল -নাহ! নামাজে তেমন নিয়মিত হওয়া হয় না।
এরপরই সে জিজ্ঞাসা করল বিয়ের পরে হাসবেন্ড বললে সে পড়বে কিনা।শ্রাবনী কি বলবে বুঝতে না পেরে তাকেই জিজ্ঞাসা করল আপনি কি নামাজে খুব নিয়মিত?
ছেলেটি উত্তর দিল--নাহ!তেমন নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া হয়না তবে ইচ্ছা আছে।
এরপরে একদিন কথায় কথায় হিজাবের প্রসঙ্গ উঠলো। ছেলেটি বলল তার ইচ্ছা তার স্ত্রী হিজাব পড়বে।
ধর্ম পালনের বিষয়ে শ্রাবণীর কিছু নিজস্ব মতামত আছে।এই বিষয়গুলো নিয়ে সে কারও সাথে কথা বলতে চায়না।তবে তার কাছে মনে হয় ধর্ম পালনটুকু সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশ্যে হওয়া উচিৎ হাজবেন্ড বা অন্য কাওকে খুশি করার উদ্দেশ্যে নয়।নিতান্ত অলসতার কারনে সে নামাজে নিয়মিত হতে পারেনা।এর মধ্যে অন্যকোনো জটিলতা নেই।সে বোরকা বা হিজাব যদিও পড়েনা তবে তাকে কেউ অশ্লীল বা বেপর্দা বলতে পারবে না।ধর্মীয় ব্যাপার নিয়ে বাড়াবাড়ি তার একদম পছন্দ নয়।কারন এটি প্রত্যেকটা ব্যাক্তির একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার।
কি আশ্চর্য! পাত্রী দেখতে গিয়ে প্রথমেই ছেলেটি এমন একান্ত ব্যক্তিগত জিনিস নিয়ে প্রশ্ন করেছে অথচ সে মাদ্রাসার ছাত্র বা হুজুর টাইপের কেউ নয়।মানুষকে শুরুতেই কি এই কথা জিজ্ঞাসা করা যায়?বোঝা গেল এই জিনিসের গুরুত্ব হয়ত ছেলেটির কাছে বেশি।তবে এদিক দিয়ে শ্রাবনী যেমন --সে মনে হয়না ছেলেটিকে সন্তষ্ট করতে পারবে। তাছাড়া এই নামাজ সংক্রান্ত ব্যাপার নিয়ে সে নিজের বাবা মায়ের সাথে আলোচনা করেছে-শ্রাবনীর কানে এই নিয়ে নানা বাজে কথা এসেছে।
এমনিতে ছেলেটি ভালই।কিন্ত অনেক বিষয়েই তার সাথে খাপ খায় না।
একদিন বলল সে নাকি মুরগীর মাংশ রান্না প্রাক্টিস করছে।তার ইচ্ছা আছে স্ত্রীকে রান্না করে খাওয়ানোর।ব্যাপারটা শ্রাবণীর বেশ সুইট লাগে।সে মনে মনে ভাবে সামনে দেখা হলে অনেক কিছুই ক্লিয়ার হয়ে যাবে।তবে শ্রাবণী ছেলেটির সাথে নিজে থেকে যোগাযোগ করে না।সে কথা বললে শুধু উত্তর দেয়।আর মনে মনে ভাবে হয়ত সামনাসামনি দেখা হলে অনেক কিছু পরিস্কার হয়ে যাবে।
বিশ
মানুষের জীবনটা অদ্ভুত।ইচ্ছা থাক বা না থাক সেটা শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত চলতে থাকে।শ্রাবনীর জীবন আরও বিচিত্র।ঘুরেফিরে নানাভাবে সেটা শ্রাবণীকে একটা পাকের মধ্যে জড়িয়ে ফেলে।সেই চক্র কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আরেকটা চক্রের মধ্যে পড়ে যায় সে।
একাকিত্ব, সুদিনের আশা আর হতাশা।সব মিলিয়ে এসবের মধ্যেই আবদ্ধ তার জীবন। শতচেষ্টাতেও সে এই অবস্থার পরিবর্তন করতে পারছে না।
সেই মনির ছেলেটি পরিচয় হওয়ার প্রায় চার পাঁচ মাস পরে একদিন দেখা করতে চেয়েছিল।শ্রাবনী সময়ও দিয়েছিল কিন্ত সে শেষ পর্যন্ত আসেনি।একদিক থেকে হয়ত ভালই হয়েছে।ছেলেটি প্রথম কিছুদিন যোগাযোগ করে এক পর্যায়ে আর যোগাযোগ করেনি।নতুন চাকরিতে জয়েন করে সে নানা বিষয় নিয়ে ব্যস্ত ছিল।তবে দেখা করার দিন তারিখ ঠিক করে এভাবে না আসাটা শ্রাবনীর কাছে ভালো লাগেনি।
তার জীবনে নতুন কিছু যন্ত্রণা শুরু হয়েছে।সেই জুনিয়র কলিগ প্রপোজ করার পর থেকে অফিসের একজন তাকে বেশ ডিস্টার্ব করছে।ইঙ্গিতপূর্ণ কথা, তাকিয়ে তাকিয়ে চোখে ইশারা করা ইত্যাদির কারনে শ্রাবণী খুব বিরক্ত।অন্যরা এমন না করলেও তাকে এবং মনির সাহেবকে জড়িয়ে নানা রকম কথা বলাবলি করে।এর জন্য মনির নিজেও দায়ী।তার যে শ্রাবণীর প্রতি দূর্বলতা আছে আচার আচরণে তা সবসময় প্রচার করা চাই।
সব মিলিয়ে বলা যায় তাকে ঘিরে কেমন একটা সার্কাস শুরু হয়েছে।একজন অতি ধার্মিক সিনিয়র কলিগ পর্যন্ত নাকি তাকে দ্বিতীয় বিবি বানানোর কথা ভাবছেন।এই কথাটি অবশ্য তাকে মনিরই অতি ক্ষোভের সাথে বলেছে।এজন্য কথাটি পুরোপুরি বিশ্বাসযোগ্য নয় তবে সেই ব্যাক্তির বিশেষ নজরে তাকানোর বিষয়টি শ্রাবণীর নজর এড়ায় নি।
বাইরে ভাব করে সব ঠিক আছে কিন্ত ভেতরে ভেতরে সে অত্যন্ত দূর্বল হয়ে পড়েছে।সেটা না হলে হয়ত তার পরিবারের লোকের এই অদ্ভুত প্রস্তাবটিতে সে রাজি হতোনা।
কে একজন শ্রাবণীর মাকে বুঝিয়েছেন শ্রাবণীর উপর কোনো একটা কুদৃষ্টি আছে।এইজন্যে তার বিয়ে হচ্ছে না।সেই সমস্যা কাটানোর জন্য একদিন শ্রাবণীকে তার মা জোর করে একটি লোকের কাছে নিয়ে গেল।লোকটি নাকি অনেক কামেল।অনেক কিছু নাকি সে করতে পারে!
লোকটি মাঝ বয়েসি।চেম্বার দেখে বোঝা গেল উনি ডাক্তারি করেন।ডাক্তারির পাশাপাশি যে কেউ এইসব করতে পারে সেটা তার বিশ্বাস হয়না।লোকটি দেখতেও সাধারন, তার পোশাক পরিচ্ছদও সাধারন।
শ্রাবণী দেখলো লোকটি তার সম্পর্কে আগে থেকেই জানে।হয়ত আগে থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে।লোকটি টুকটাক কিছু কথার পর একাকি শ্রাবণীকে তার চেম্বারের পেছনে রোগী দেখার জায়গায় নিয়ে যায় তারপর তার হাতে ছোট্ট একটা হাড় ধরিয়ে দিয়ে কিসব বিড়বিড় করে পড়তে থাকে।শ্রাবণী বসে বসে ভাবতে থাকে হাড়টা মানুষের না তো!চলে আসার আগে লোকটি শ্রাবণীর ফোন নাম্বার নেয় আর বলে ফোনে যোগাযোগ করবে।
এসব জিনিস শ্রাবণী বিশ্বাস করেনা তার আম্মাও অতটা যে করে তেমনটা নয়।তবে বিপদে পড়লে মানুষ অনেক কিছুই করে।তাই প্রথম দিকে কিছুটা আপত্তি করে সে লোকটির কাছে যেতে রাজি হয়েছে।
লোকটি দু একদিন ফোন দিয়ে তার কাছে কিছু কিছু জিনিস জানতে চেয়েছে।তার মধ্যে অদ্ভুত কিছু কথাও ছিল।যেমন- তার কারো সাথে রাত্রিযাপন করার অভিজ্ঞতা আছে কিনা। এই প্রশ্নটিই ছিল সবচেয়ে বেশি অদ্ভুত আর আপত্তিকর।লোকটি নাকি কবিও বটে।সে কালেভদ্রে কবিতাও লেখে।বেশ কাব্যিকতা নিয়েই তার সাথে কথা বলে এই লোকটি।কিছুদিন পর লোকটি শ্রাবণীকে আবার দেখা করার কথা বলে।
শ্রাবণীর ইচ্ছা ছিলনা কিন্ত তার মা জোর করেই আবার লোকটির কাছে তাকে নিয়ে গেল।এবারও লোকটির চেম্বারে পর্দার পেছনে গিয়ে তাকে বসতে হলো।আগের মতই মন্ত্র পড়তে পড়তে এক পর্যায়ে লোকটি আলতো করে শ্রাবনীর বুক স্পর্শ করল।
নাহ!শ্রাবণী তাকে কিছুই বলেনি।কারন অল্প সময়ের স্পর্শকে অসতর্কতা বলে সহজেই এড়িয়ে যাওয়া যায়।তাছাড়া বাইরে শ্রাবণীর মা বসে রয়েছে।এলাকাটাও তাদের নিজের এলাকা নয়।এখানে যেকোনো সিন ক্রিয়েট করলে সেটা খুবই নাটকীয় হয়ে যাবে।তাই সে কিছুই হয়নি এমন ভঙ্গিতে বাইরে বের হয়ে আসলো এবং ঠিক করল আর কখনো সে এই প্যাঁচে পড়বে না।লোকটির ফোনও সে ধরবে না।
এর দুই একদিন পর লোকটি অন্য নম্বর থেকে ফোন দিয়ে তার সাথে হোটেলে রাত্রিযাপন করার প্রস্তাব দিল।শ্রাবণী ফোন কেটে দিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লো। কি আশ্চর্য! সবাই তার দিকে এমন লালসা নিয়ে তাকায় কেন?
চলবে--
১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৫৪
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: হ্যাঁ সেটাই!!
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১৫
রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ম পালনে শ্রাবনীর নিজস্ব মতামত মানে?
কোরআন হাদিসে যেভাবে আছে সেভাবেই ধর্ম মানতে হবে।