নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সন্ধ্যা প্রদীপ

আমার সমস্ত চেতনা যদি শব্দে তুলে ধরতে পারতাম

সন্ধ্যা প্রদীপ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বুকের ভেতর মৃত নদী (পর্ব চার)

২৬ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৩৪

আগের পর্ব

চার
দেখতে দেখতে একটি বছর কেটে গেল।শ্রাবণী এখন অনার্স ফাইনাল ইয়ারে। পড়াশোনার চাপ আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।জীবনে সমস্যা নেই তা নয় কিন্ত ভাল মন্দ মিলিয়েই জীবন।

এমন খুব কম দিনই আছে যেদিন তুষারের সাথে শ্রাবণীর দেখা হয় না।এমনকি যখন শ্রাবণীর পরীক্ষা চলছে তখনও তুষার দেখা করার জন্য আবদার করবে।পরীক্ষার ঠিক আগের দিন যখন শ্রাবণী এক মিনিট সময়ও নষ্ট করবে না তখনও বিকাল হলে সে গুটিগুটি পায়ে হলের সামনে এসে শ্রাবণীকে ফোন দিয়ে বলবে-- 'একটু নামো।জাস্ট দুইটা সিঙারা খাব একসাথে।তারপর চলে যাব।'

কি আর করা?শেষ পর্যন্ত শ্রাবণীকে নামতে হয়।তার হলের কাছেই মাটির চুলা পেতে এক মহিলা চমৎকার সিঙারা, পিঁয়াজু ভাজে।দশ টাকায় দুইটা সিঙ্গারা।অসাধারণ স্বাদ!দুজনে মিলে দুইটা করে খায় আর গল্প করে।অনেকদিন শ্রাবণী পরীক্ষার কথা ভুলে অনেক সময় দিয়ে ফেলে কিন্ত মনে পড়ার পর অনেক রাগারাগি করে।আবার যেদিন পরীক্ষা থাকে সেদিন তুষার ঠিকই পরীক্ষা শেষের সময়ে শ্রাবণীর ডিপার্টমেন্টের নিচে হাজির হয়।যেদিন পরীক্ষা শেষ হতে বিকাল হয় সেদিনও সে শ্রাবণীর জন্য অপেক্ষা করে না খেয়ে।তারপর শ্রাবণীকে নিয়ে দুপুরের খাবারের জন্য যায়।খাওয়া শেষ করে দুজন চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে গল্প করে।পৃথিবীর এমন কোনো বিষয় নেই যা নিয়ে গল্প হয়না।

তুষারের বিশেষ করে পছন্দ রাজনৈতিক গল্প কিন্ত শ্রাবণীর তা পছন্দ নয়।সমসাময়িক বিষয় নিয়ে তুষার এমন ঝগড়াঝাটি শুরু করে মাঝেমধ্যে যে বিষয়টি সিরিয়াস হয়ে যায়।শ্রাবণীকে প্রতিপক্ষ হিসাবে ধরে সে তুমুল যুক্তি প্রদর্শন শুরু করে।যে যে বিষয়ে শ্রাবণী একমত নয় সেগুলোতে শ্রাবণীও পাল্টা যুক্তি দেয়।এই নিয়ে ঝগড়াঝাটি মান অভিমান! শ্রাবণীর একটাই অভিযোগ কেন তুষার এইসব ফালতু বিষয় নিয়ে শ্রাবণীকে অভিযোগ করবে?দেশে যা কিছু ঘটনা বা অসংগতি, অবিচার সব কি সে ঘটাচ্ছে?আলোচনা বা তর্কাতর্কি হতে পারে কিন্ত পারসোনাল এট্যাক কেন?কোনো দল বা মতের সাপোর্ট করা মানেই তো আর এমন না যে সে সেই দলের সদস্য। তুষার এসবের ধার ধারে না সে তাকে বিরোধীপক্ষ ধরে নিয়ে তুমুল আক্রমণ করতে থাকে।ছেলে বন্ধুদের সাথে হয়ত এসব করা যায় কিন্ত তার সাথে কি করা যায়?


তুষারের এই এক আজব স্বভাব।তর্ক করতে গেলে সে কার সাথে করছে সেটা মনে রাখতে পারেনা।মনেহয় সে কেয়ারও করেনা কে তার কথায় কষ্ট পেল।শ্রাবণীর প্রিয় লেখককে নিয়েও কয়েকবার তর্ক হয়েছে।তুষার মাঝেমধ্যে সেই লেখককে নিয়ে অপমান সূচক কথা বলে।শ্রাবণী তাকে সরসরি বলে দিয়েছে---'দেখ তুষার আমি তাকে খুবই বেশি পছন্দ করি।তুমি পছন্দ করোনা খুব ভাল কথা।তোমার মত আর যারা আছে তাদের কাছে তার বদনাম করতে থাকো কিন্ত প্লিজ আমার সামনে এসব বলবা না।'তবুও দেখা যায় তুষার এই কাজটা করে।তুষারের এমন আচরণে শ্রাবনীর মনটা ভেঙে যায় সে ভাবে- কিভাবে একটা মানুষ ইচ্ছা করে প্রিয়জনের মনে কষ্ট দিতে পারে বারবার?এই কথাগুলো তার সামনে না বললে তো তুষারের কোনো ক্ষতি হচ্ছে না,তাহলে নিষেধ করা সত্ত্বেও কেন এভাবে বলে?তার অনুভূতির কি কোনো দামই নেই তুষারের কাছে?


কথায় কথায় এমন রাগারাগি অভিমান করে শ্রাবণী কথা বন্ধ করে দেয়।কিছুক্ষণ পর তুষার শ্রাবনীকে বারবার ফোন দিতে থাকে।ফোন দিয়ে জিদ করে দেখা করার জন্য।ওর জিদের কারনে রাগ অভিমান বজায় রাখাটা শ্রাবণীর জন্য খুব কঠিন হয়ে যায়।


শ্রাবণী -তুষারের বিষয়টা এখন সবাই জানে।তাই আগের মত অদ্ভুত চাহনি দেয় না কেও তবে তুষারের বন্ধুদের সামনে সে এখনো খুবই অস্বস্তি বোধ করে।তাদের সামনে গেলে তারা স্ক্যানার দিয়ে দেখার মত করে তাকে দেখে এখনও। পারত পক্ষে শ্রাবণী তাই ওদের সামনে পড়তে চায় না।কিন্ত ওদের কোথাও একসাথে দেখলেই তুষারের বন্ধু বা বান্ধবীরা এসে খেজুরে আলাপ জুড়ে দেয়।শ্রাবনী মুখে হাসি বজায় রাখলেও মনে মনে খুবই বিরক্ত হয়।

তুষারের সাথে মেশার পর তার প্রতি বডিশেমিংটাও বেড়ে গেছে।মানুষ তাদের দৃষ্টি দিয়ে,হাসি দিয়ে বা ভাব দিয়ে নানাভাবে বুঝিয়ে দেয় যে সে আনফিট।এই ব্যপারটা শ্রাবণীকে খুব পীড়া দেয়।আগে যখন সে একা ছিল তখন ইচ্ছা মত ঘুরেছে বন্ধুদের সাথে।তাকে এত বেশি এসব সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়নি।


পাঁচ

ভাল থাকার জন্য আসলে কি লাগে?অর্থসম্পদ, রূপ সৌন্দর্য, ক্ষমতা নাকি অন্যকিছু?শ্রাবণী মাঝেমধ্যে এসব নিয়ে ভাবে।তবে শ্রাবণীর কাছে মনে হয় ছোট ছোট জিনিসের মধ্যেই অনেক আনন্দ লুকিয়ে আছে।যে মানুষগুলো এই ছোট আনন্দগুলো অনুভব করতে পারে সে সত্যিকার অর্থেই জীবনকে উপভোগ করতে পারে।

এই যে খুব ভোরের ফ্রেশ হাওয়া,ছুটির দিনের অনেক বেলা পর্যন্ত ঘুম,সুন্দর করে বানানো এক কাপ চা,বৃষ্টির দিনে কাঁথার জড়িয়ে শুয়ে একটা গল্পের বই পড়া,বান্ধবীদের সাথে অনেক রাত পর্যন্ত আড্ডা,অনেক রাতে ঘুম ভেঙে গেলে হলের বারান্দায় দাঁড়িয়ে একা একা চাঁদের আলো দেখা,নিজের ছোট ছোট হাঁড়ি পাতিল দিয়ে যত্ন করে খিচুড়ি আর ডিম রান্না করে খাওয়া,বাইরে বের হওয়ার সময় যত্ন করে একটা ছোট্ট টিপ আর একটু কাজল পড়া - এমনি সবকিছু নিয়ে শ্রাবণী খুব খুশি থাকে।তার কাছে মনে হয় জীবনের ছোটখাট এই বিষয়গুলোকে ভাগাভাগি
করার মত মানুষ যদি থাকে তাহলে আনন্দটা আরো বেড়ে যায়।

তুষারের দৃষ্টিভঙ্গি হয়ত আলাদা হতে পারে কিন্ত শ্রাবণীর কাছে মনেহয় সব সম্পর্কের মধ্যেই একটা শ্রদ্ধাবোধ এবং বন্ধুত্ব থাকা দরকার।প্রেমিক বা স্বামী যাইহোক তার সাথে যদি আগে সহজ বন্ধুত্বের মত সম্পর্ক না হয় তাহলে সম্পর্কটা পাকা হয়না।শ্রাবণী তাই তার জীবনের ছোট বড় বিষয়গুলো তুষারের সাথে শেয়ার করে।তার পরিবারের কথা,তার জীবনের কথা,স্বপ্নের কথা।মাঝেমধ্যে শ্রাবণীর মনেহয়
তুষার এসব নিয়ে তেমন আগ্রহী না,তাও সে বলে যায়।কারন এভাবে এর আগে সে কাওকে বলেনি।বরাবরই সে অনেকটা শান্ত স্বভাবের ছিল।মনের কথাগুলো ঠিক এভাবে মন খুলে কাওকে বলা হয়নি।তুষারকে আপন হিসাবে মেনে নেয়ার পর হয়ত তার বুকের ভেতর কথা জমিয়ে রাখা দীঘিটার বাঁধ খুলে গেছে।তাই মাঝে মাঝে উচ্ছল ঝরনার মত কথা বের হয়ে আসতে থাকে।


শ্রাবণীর বন্ধুভাগ্য একদমই ভাল নয়। অতীত অভিজ্ঞতা সে থেকে দেখেছে তার ক্ষেত্রেই বন্ধু-বান্ধব বিশ্বাস আর ভালবাসার মূল্য দেয় না।আর বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে মিথ্যা বন্ধুর সংখ্যাই থাকে বেশি।এধরণের তিক্ত অভিজ্ঞতার কারনে অনেকের সাথেই সে দূরত্ব বজায় রেখে মেশে কিন্ত বুকের ভেতরে তো অতৃপ্তি থেকেই যায়।নির্মল বন্ধুত্বের চেয়ে চমৎকার জিনিস আর কি আছে?

গুরুজনেরা বলেন সমবয়েসী প্রেম বা বিয়ে ভাল নয়।সংসার টেকানো মুশকিল হয়ে যায়,ব্যাক্তিত্বদ্বন্দ্ব তৈরী হয়।সেটা কিছু ক্ষেত্রে সত্য হতে পারে কিন্ত শ্রাবণীর কাছে মনেহয় সমবয়সী প্রেমের সবচেয়ে সুবিধা এই সহজ বন্ধুর মত সম্পর্ক।

এইজন্যই হয়ত ফালতু কারন নিয়ে ঝগড়াঝাটি বাধিয়ে কয়েক ঘন্টা পর তুষার শ্রাবনীকে নিচে নামার জন্য পীড়াপীড়ি করতে পারে।শ্রাবণী রাগ ভুলে বাইরে না বের হওয়া পর্যন্ত হলের সামনের রাস্তায় কয়েকঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতে পারে।এই বিষয়টা শ্রাবণীর খুব মজা লাগে।তার রূমটা হলের বিল্ডিংয়ের এমন যায়গায় যে সেখান থেকে হলের বাইরের রাস্তা এবং বাগান দেখা যায়।তুষার এইটা জানতে পারার পর থেকে বিষয়টার সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করে।ঝগড়া করার কিছুক্ষন পর মাথা ঠান্ডা হলে ঠিক পজিশন মত দাড়িয়ে হাড়ির মত মুখ করে একের পর এক ফোন দিতে থাকে।যতক্ষণ শ্রাবণী বাইরে না বের হয় সে এমন করতেই থাকে।জানালা দিয়ে তুষারের হাড়ির মত মুখটা দেখতে দেখতে শ্রাবণীর রাগ কিছুটা কমে।কখনো কখনো এই মুখ দেখে সে খুব মজা পায়।

এই নিষ্ঠুর দুনিয়ায় একান্ত নিজের একটা মানুষ থাকার অনুভূতিটা অদ্ভুত প্রশান্তির।তুষারকে আপন মনে করে শ্রাবণী তার কাছে নিজের মনটা নির্দ্বিধায় মেলে ধরে।সে চায় তুষার তাকে জানুক,তাকে ঠিকমতো বুঝুক।

কাছেপিঠে লোকজন না থাকলে তুষার যখন শ্রাবণীর হাতটা ধরে হাঁটে তখন শ্রাবণীর খুব ভাল লাগে।একসাথে রিকশায় উঠলে সে পেছন দিয়ে হাত বাড়িয়ে শ্রাবণীকে ধরে রাখে।এইসময় শ্রাবনীকে ঘিরে রাখে অদ্ভুত এক নিরাপত্তাবোধ আর উষ্ণতা। তুষার থাকার কারনে কোথাও তাকে আর একা যেতে হয়না।হলের খাবার খেয়ে খেয়ে বিরক্ত হয়ে গেলে শ্রাবণী মাঝেমধ্যে কিছুটা মাছ বা মাংস কিনে এনে রান্না করে।আগে হয় বান্ধবীদের সাথে নয়ত একা যেতে হতো কিন্ত এখন তুষার তার পিছু নেয়।বাজারে সঙ্গ দেয়ার কারনে রান্নার পর তাকেও একটু দিয়ে খেতে হয়।কখনো কখনো তারা ভাত তরকারি টিফিনবক্সে নিয়ে সুবিধামতো যায়গা দেখে বসে একসাথে খায়।এমন ছোটখাট পিকনিকের আয়োজন করতে শ্রাবণীর বেশ আনন্দ লাগে।তার হাতের রান্না তুষার বেশ পছন্দ করে।তুষারের সবচেয়ে বেশি পছন্দ শ্রাবণীর হাতে রান্না করা ডাল!

ছাত্রজীবনটাই মানুষের জীবনের সবচেয়ে সুন্দর সময় বলে মনেহয় শ্রাবণীর কাছে।তারমধ্যে আবার সবচেয়ে স্পেশাল সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবন। এর আগে বাবা-মায়ের তত্বাবধানে থাকতে হয় আর এর পরে শিক্ষাজীবন শেষে নিজের উপরেই দায়িত্ব এসে পড়ে কিন্ত এসময়টা কেমন যেন নিশ্চিন্ত নির্ভাবনার।নিজের দায়িত্বগুলো নিজেই নিতে শেখা,ঘরের গন্ডি ছেড়ে বাইরের দুনিয়াটা চিনতে শেখা,নানা এলাকার নানা স্বভাবের মানুষের সাথে পরিচিত হওয়া আর তাদের সাথে মিলেমিশে চলতে শেখা--এমন কত যে বিষয় ঘটতে থাকে এসময়ে তার কোনো শেষ নেই!

ইচ্ছা হলেই রাত জেগে সিনেমা দেখা যায়,বেলা করে ঘুম থেকে ওঠা যায়,বান্ধবীদের সাথে সাজগোজ করে বিকেলে ঘুরতে বের হওয়া যায়।দুনিয়ার অনিয়ম করে পরীক্ষার আগে ভদ্র হয়ে পড়াশোনা করা,সেটাও নিজের তাগিদেই করা যায়। চোখ রাঙানো বা শাসন করার কেউ নেই। মানুষের জীবনে এমন সময় খুবই দরকার যখন নিজের মত করে চলা যায়।

শ্রাবণীর কাছে মনেহয় ঘরের বাইরে এসে না থাকলে যেন উচ্চতর শিক্ষাটা পরিপূর্ণতা পায় না।সে জানে এই হাওয়ায় ভেসে চলা সময়গুলো একদিন শেষ হয়ে যাবে।ঘাড়ে উঠবে অনেক অনেক গুরুদায়িত্ব।তাই সে পুরো সময়টাকে মনপ্রাণ দিয়ে উপভোগ করার চেষ্টা করে।

চলবে---

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:১৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: বাহ দারূন একটা সিরিজ চলছে তো সামুতে! আজই প্রথম চোখে পড়ল, তাই আগের পর্বগুলো এখনো পড়া হয়নি তবে সামনের পর্বগুলো মিস যাবেনা মনে হচ্ছে। এত বেশি সাবলীল ও বাস্তবতা মেশানো লেখা যে "তুষার শ্রাবনীর" কি হলো জানতে বারবার আপনার ব্লগবাড়িতে ঘুরে যেতেই হবে। :)
পোস্টে লাইক।

২৭ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১:১০

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: স্বাগতম আমার ব্লগে-
দেখি তুষার শ্রাবণীকে নিয়ে কতদূর এগিয়ে যাওয়া যায়!!

২| ২৬ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো থাকার জন্য আসলে কি লাগে?
শিক্ষা জ্ঞান টাকা। মনুষ্যত্ব। ভালো চাকরি বা ব্যবসা। একজন প্রিয় মানুষ।

২৭ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১:১১

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: হুম। মনের মত একজন মনের মানুষ।

৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৫৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আচ্ছা বেশ তো চলছে শ্রাবণী তুষার ! ক্যাম্পাসের এই গল্পগুলো'র স্মৃতি সবসময় প্যারালাল চলে। লেখকের অভিজ্ঞতা আর পাঠকের স্মৃতি। বেশির ভাগ ই মিলে যায় :)

১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৪৩

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: বেশ বলেছেন--আসলেই অনেকটা তাই হয়!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.