নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এক
অবজারভেটরিতে দাঁড়িয়ে এবছরের 191 তম কলোনি স্পেসশীপটিকে মহাশূন্যের দিকে যেতে দেখে রাইসার মনটা অদ্ভুত এক বিষাদে ছেয়ে যায়।3030 সালের পৃথিবী মানুষের জন্য আর বাসযোগ্য নেই।এখন বাতাস বিষাক্ত, মাটিতে -সাগরে তেজস্ক্রিয়তা,সূর্যের আলোতে অতিবেগুনি রশ্মির মাত্রা এতটাই বেশি যে পৃথিবীর খোলা আবহাওয়া মানুষের জন্য মারাত্মক। 2050 সালে মঙ্গলে প্রথম মানব কলোনি স্থাপনের পর থেকে পৃথিবীর দূষনের সাথে সাথে মানুষ তার পৃথিবীর আবাস উঠিয়ে অজানা মহাশূন্যে পাড়ি জমিয়েছে অসংখ্যবার।পৃথিবীতে এখন লোকসংখ্যা 2 কোটির কিছু বেশি।ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা শহরগুলো সুরক্ষাডোমের ভেতরে তৈরি। শহরগুলোর চমৎকার পরিবেশ পুরোটাই কৃত্রিমভাবে তৈরি যা নিয়ন্ত্রিত হয় স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে ।প্রতিটা শহর রাশি রাশি গাছ,পাখি,প্রজাপতি দিয়ে চমৎকার ভাবে সাজানো।শহরের প্রান্তে ছোট ছোট কৃত্রিম লেক আছে,আছে দৃষ্টিনন্দন পার্ক।এক শহর থেকে অন্য শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থা মাটির নিচের ট্যানেল দিয়ে।শহরগুলো এতটাই আরামদায়ক করে তৈরি যে বাইরের বৈরী আবহাওয়ার কিছুই বোঝা যায়না। কিন্ত পৃথিবীর খোলা হাওয়াতে শেষ মানুষটিও বসবাস করে গেছে 300 বছর আগে।এখন প্রতিটি মানব কলোনি অদৃশ্য সুরক্ষাডোম দিয়ে ঘেরা। যা বাইরের বৈরী আবহাওয়া থেকে শহরকে রক্ষা করে সেইসাথে স্ক্রিন হিসাবেও কাজ করে যেমনটি এখন করছে।
রাইসা অবজারভেটরি থেকে বের হয়ে নিজের ডেস্কে এসে বসে।আসার পথে নীলির সাথে দেখা হয়ে যায়।নীলির জিগাসা করে-'কি গো তার কোনো খবর পেলে?
রাইসা ম্লান হেসে মাথা নাড়ে।
পৃথিবীর কেন্দ্রীয় শহরটিতেই রাইসার জন্ম,বেড়ে ওঠা।এখানেই মহাকাশ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রে কমিউনিকেশন স্পেশালিষ্ট হিসাবে সে কাজ করে।এখানেই তার রিহানের সাথে প্রথম পরিচয়।
দুই
কয়েক বছর আগে তিন হাজার আলোকবর্ষ দুরের এক নক্ষত্রে নতুন কলোনি তৈরির এক প্রজেক্টে কাজ করার সময় রাইসার প্রথম দেখা হয় রিহানের সাথে।লম্বা, মোটামুটি সুদর্শন ছেলেটিকে চোখের দেখায় প্রথমে ভাল লাগলেও তার সাথে সম্পর্কটি প্রায় সাপে নেউলে সম্পর্কের মতই ছিল।তার প্রধান কারন রিহান কিছুটা দাম্ভিক। কলোনি স্টাব্লিশমেন্ট স্পেশালিষ্ট হিসাবে তার বেশ জনপ্রিয়তা আছে।রাইসার মনে হত এই গর্বে রিহানের মাটিতে যেন পা পড়ে না। এদিকে রাইসা তার নিজ ক্ষেত্রে পারদর্শী। সেই বা ছাড় দেবে কেন?
কাজের সময় তাই কথায় কথায় রিহানের সাথে রাইসার দ্বন্দ্ব বেধে যেত।রাইসা স্বভাবগতভাবে খুব ভদ্র আর অনুভূতিপ্রবণ।অন্যদিকে রিহান অনেকটা খামখেয়ালি, কথাবার্তায়একটু উগ্র স্বভাবের।
রিহানের আর একটা অদ্ভুত স্বভাব,সে মাঝে মাঝেই খুবই বন্ধুত্বসুলভ আচরণ করত।রাইসাও যেই মাত্র সবকিছু ভুলে তাকে বন্ধু ভাবার চেষ্টা করত তখনি রিহান তার ভোল পাল্টে ফেলত সে তখন শুরু করত তাকে কটু কথা বলে খোচানো এবং সূক্ষ্মভাবে অপদস্ত করার চেষ্টা করা।কয়েকবার এই একই ঘটনা ঘটার কারনে রিহানের উপর রাইসার বিরক্তির মাত্রা চরমে উঠল।
রাইসা খেয়াল করে দেখেছে দুজনে একা থাকলে রিহান বেশ ভাল আচরণ করে কিন্ত যখনি টিমের অন্য সদস্যরা উপস্থিত থাকে তখনি রিহান কথায় কথায় রাইসাকে অপমান করার চেষ্টা করে।ত্যাক্ত বিরক্ত হয়ে রাইসা ভাবতে থাকে যে প্রজেক্ট ছেড়ে দেবে কিন্ত তা করলে রিহানের কাছে হেরে যাওয়া হবে।তাই সে অপেক্ষা করতে থাকে কখন কাজটি শেষ হবে।
অবশেষে প্রজেক্টের কাজ চমৎকারভাবে শেষ হয়।নিজের ডেস্কে ফেরার পর রাইসা যেন হাফ ছেড়ে বাঁচে।কেন্দ্রীয় মহাকাশ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের এই শততলা ভবনটির হাজার হাজার কক্ষ প্রতিটি সেকেন্ডে কর্মচঞ্চল। মহাবিশ্বে ছড়িয়ে থাকা কয়েক হাজার মানব কলোনির সাথে যোগাযোগ রাখা ছাড়াও আরও নানা ধরনের কাজ এখানে করতে হয়।যদিও মহাবিশ্বের কলোনিগুলোতে অবস্থানরত মানুষের সংখ্যার তুলনায় পৃথিবীতে বর্তমানে অবস্থানরত মানুষ খুবই কম,মাত্র দুই ভাগ।তবুও মানব প্রজাতির জন্য পৃথিবীই হচ্ছে মাতৃগ্রহ।তাই সবগুলো কলোনির মূল নিয়ন্ত্রণ পৃথিবী থেকেই পরিচালনা করা হয়।
মহাকাশ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রে শুধুমাত্র কমিউনিকেশন এর জন্যই রয়েছে ছয়টি তলা।নিজের ডেস্কে বসে সহকর্মীদের সাথে নিজের রুটিন কাজগুলো করতে করতে মাঝে মাঝেই রাইসার রিহানের সাথে কাটানো সময়গুলোর কথা মনে হতো।সম্পর্ক খারাপ হলেও রিহানের মধ্যে এমন কিছু ভাল জিনিস আছে যা এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।রিহান যদি এমন দাম্ভিক আর উগ্র না হতো তবে হয়ত রাইসা তাকে বেশ পছন্দই করত।
তিন
অদ্ভুত সুন্দর এক গোধূলি নেমেছে আজ। দেখে বোঝাই যায়না 3032 সালের সন্ধ্যা নামতে যাচ্ছে একটু পরে। মনে হয় আজকে সন্ধ্যা টা যেন উঠে এসেছে 2000 সালের কোন প্রাচীন উপন্যাসের পাতা থেকে।জানালা থেকে জোর করে চোখ সরিয়ে রাইসা নিজের ডেস্কে ছোটখাটো জিনিস গুছিয়ে নেয়।চারিদিকে তাকিয়ে পরিচিত কোন মুখ চোখে পড়ে না।দুবছর আগেও এই ফ্লোরে শত শত মানুষ কাজ করত কিন্ত এখন অনেক দূরে দূরে কিছু ডেস্কে আলো জ্বলছে বাকিটা খালি।চারপাশে সব মানুষের মধ্য অস্থিরতা, নিজ গ্রহ ছেড়ে যাওয়ার বিসন্নতা।
আজ মহাকাশ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রে রাইসার শেষদিন।সে তার এপার্টমেন্টে ফিরে জানালার কাছে চেয়ার টেনে বসে।আজ তার রিহানের কথা খুব বেশি করে মনে পড়ছে।আগের প্রজেক্ট সফল হওয়ায় ছয়মাস পর রাইসা রিহানের সাথে নতুন আর একটি প্রজেক্ট পায়।এবার তার কাছে মনে হয় রিহান একটু যেন পরিবর্তিত হয়েছে।মাঝে মাঝেই কাজ বাদ দিয়ে তার মুখের দিকে অনিমেষ তাকিয়ে থাকে সে। তারপর একদিন এক নির্জন করিডরে রাইসাকে অপ্রস্তুত করে দিয়ে তার মুখটি দুহাতে তুলে ধরে বলে-'এই চেহারাটা খুব স্পেশাল।বেশিক্ষণ দেখলে কেমন যেন নেশা হয়ে যায়। এই চোখদুটির গভীরতা এমন যে এতে প্রাচীন সমুদ্রের নীলতিমি ডুবে যেতে পারবে। '
এইদিনের পর থেকে রাইসার জীবনটা পুরোপুরি বদলে গেল।তার জীবনে কোনকিছুর ঘাটতি ছিল না কিন্ত রিহানের জন্য খুব নরম কোমল আর গভীর একটা অনুভুতি রাইসার বুকের মধ্যে তৈরি হলো ।রিহানের খামখেয়ালি আচরণের জন্য রাইসা প্রথমে বুঝে উঠতে পারত না রিহান সত্যিই তাকে নিয়ে গভীরভাবে ভাবছে কিনা।এই হয়ত হঠাত করে চোখে চোখ রেখে দুটো ভাল কথা,এই হয়ত তুচ্ছ বিষয়ে রাগারাগি। তবুও রিহানের প্রতি রাইসার যে অনুভূতি গড়ে উঠছিল তা মাঝে মাঝে ঠিক ব্যাথার মতই বুকের মধ্যে তীব্র হয়ে উঠত।
এর মধ্যেই হঠাৎ করেই খবর এলো ডার্ক এরিয়া 5002 তে একটি উপগ্রহে একটি মহাকাশযান জরুরী অবতরণ করতে বাধ্য হয়েছে।টেকনিক্যাল সাপোর্ট এবং ওখানে সম্ভব হলে কলোনি তৈরির জন্য পৃথিবী থেকে যে ইঞ্জিনিয়ার, বিজ্ঞানী আর বিশেষজ্ঞের যে টিমসহ মহাকাশযান পাঠানো হলো রিহানও সেই টিমের অংশ ছিল। এগারো মাসের এই অভিযানে যাওয়ার আগে রিহান রাইসার কাছে একটি প্রাচীনকালের বইয়ের মত দেখতে জিনিস দিয়ে যায়।যেখানে এক ধরনের রঞ্জক দিয়ে হাতে লেখা রয়েছে রিহানের জীবনের দিনলিপি ।আজকাল কেউ হাতে কিছু লেখে না। রিহান কোথা থেকে এসব জিনিস সংগ্রহ করেছে ভেবে রাইসা খুবই অবাক হয়েছিল।
রাইসা সেই লেখা থেকেই জানতে পারে উত্তরাঞ্চলের 9 নম্বর শহরে পাহাড়ের উপর ছোট্ট একটি কটেজ 3031 সালের জানুয়ারী মাসের জন্য তাদের দুজনার নামে বুকিং করে রাখা হয়েছে।মহাকাশ থেকে ফিরে বিয়েটা সেরে নিয়েই রিহান তাকে নিয়ে সেখানে যাবে।এই ডাইরি পড়েই রিহানকে নিয়ে রাইসার মনের সব দ্বিধা দূর হয়ে গেল।এখানে রিহান রাইসাকে নিয়ে তার গভীর অনুভূতির কথা এত স্পষ্ট করে লিখেছে যার বিন্দুমাত্রও সে রাইসার সামনে কখনো বলেনি।
রাইসা সেইদিনটির কথা কখনো ভুলতে পারবে না যেদিন সকালে অকারনে তার ঘুম ভেঙে যায়।একটু পরেই সুরক্ষাডোমের পুরো আকাশ জুড়ে একটি মহাকাশযানের কোনো অজানা গ্রহে আছড়ে পড়ার কয়েক সেকেন্ডের ভিডিও বারবার দেখাতে থাকে।সেই সাথে প্রচারিত হতে থাকে ডার্ক এরিয়া 5002 তে রিহানের মহাকাশযান বিধ্বস্ত হওয়ার খবর।
গত কয়েক বছর থেকেই পৃথিবীতে ছোটখাটো উল্কা বৃষ্টি হচ্ছে যার ফলে সুরক্ষা ডোমের মধ্যে নির্মিত শহরগুলো আর নিরাপদ থাকছে না। বিজ্ঞানীরা বলেছেন এর পরিমান আরো তীব্র হবে এবং চলবে প্রায় দশ থেকে পনের বছর। এর ফলে পৃথিবীর একটি শহরও আর আগের মত বাসযোগ্য থাকবে না।মানুষকে এবার পৃথিবীর আবাস ছাড়তেই হবে।এই জন্য প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ পাড়ি জমাচ্ছে নতুন নতুন কলোনির উদ্দেশ্যে।সব মিলিয়ে মাত্র এক লাখ মানুষের জায়গা হবে শহরগুলোর মাটির নিচের অংশে।যারা স্বেচ্ছায় এ অংশে থেকে যাবে তারা প্রায় পনের বছর সূর্যের দেখা পাবেনা। এই দূর্যোগের পরে যখন শহরগুলো নতুন করে গড়ে তোলা হবে তখন আর কিছুই আগের মত থাকবে না।রাইসার কম বয়েসের কারনে সে পৃথিবীতে থাকার অনুমতি পায়নি।তাকেও পৃথিবীর বাইরে কোনো কলোনিতে চলে যেতে হবে।
রাইসার পরিবারের সদস্যরা বিশ আলোকবর্ষ দূরের এক গ্রহতে পাড়ি জমিয়েছে প্রায় এক বছর আগে।রাইসাকে তারা তাদের সাথে যেতে কিছুতেই রাজি করাতে পারেনি।আজ থেকে সাত দিন পর পৃথিবী থেকে শেষ কলোনি মহাকাশযানটি ছেড়ে যাবে।সেখানে রাইসার জন্য একটি আসন রয়েছে।
চার
রাইসা কটেজের বারান্দা থেকে অভিভূত হয়ে তাকিয়ে থাকে।আকাশ থেকে অঝোরধারায় বিন্দু বিন্দু পানি পড়ছে।তাহলে এর নামই বৃষ্টি! উত্তরাঞ্চলের নয় নম্বর শহরটি শুধুমাত্র ছুটি কাটানো আর বিনোদনের জন্য তৈরি। পৃথিবীর একমাত্র এই শহরটিতেই মাঝে মাঝে বৃষ্টি হয়।যদিও প্রক্রিয়াটি কৃত্রিম তবুও দেখে তা বোঝার উপায় নেই।
শহরগুলোর প্রান্তে গেলে মাঝে মাঝে সুরক্ষাডোমের বাইরের উন্মুক্ত পৃথিবীর বৃষ্টি দেখা যায়।তবে সেই বৃষ্টি বিষাক্ত। রাইসা একদিন রিহানকে তার বৃষ্টি ছুঁয়ে দেখার ইচ্ছার কথা বলেছিল।সেই বৃষ্টি কখনো দেখা হবে তা সে ভাবেনি।
রাইসা এই পুরোটা সময় রিহানের পছন্দ করে রেখে যাওয়া কটেজটি বুকিং করে রেখেছিল।পৃথিবী ছেড়ে যাওয়ার আগে তাই শেষ সময়টুকু সে এই কটেজেই কাটিয়েছে।রাইসা মাঝে মাঝে ভাবতে চেষ্টা করে বিধ্বস্ত মহাকাশযান থেকে রিহানের বেচে যাওয়ায় সুযোগ কতটুকু কিন্ত বেশিক্ষন ভাবতে পারে না।সে শুধু আশা নিয়ে অপেক্ষা করে থাকে।
ডার্ক এরিয়া 5002 সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য ডাটাবেজে নেই।শুধু জানা গেছে এ অঞ্চলের গ্রহ উপগ্রহের গতিপ্রকৃতি আজব ধরনের।অনেক চেষ্টা করেও তাই বিধ্বস্ত মহাকাশযানের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
রাইসা ধীর পায়ে কটেজ থেকে বাইরে বের হয়ে আসে।অঝোর বৃষ্টির ধারা মুহূর্তেই তাকে ভিজিয়ে দেয়।রিহানের সাথে এখানে আসবে বলে সে এতদিন প্রতীক্ষা করে আছে।আর দুইদিন পরেই সে অনন্ত মহাকাশ ধরে যাত্রা করবে তার পরিবারের কাছে।সে কি আর পৃথিবীতে ফিরবে?হয়ত ফিরবে।হয়ত বা না।হয়ত সে কখনো ডার্ক এরিয়া 5002 থেকে ঘুরে আসার চেষ্টা করবে।পৃথিবী ছেড়ে গেলেই কি রিহানের জন্য তার প্রতীক্ষা শেষ হবে? কে জানে?
রাইসা আর কিছু ভাবতে পারেনা।বৃষ্টির ধারা তার চিন্তাগুলোকে ধুয়ে মুছে ভাসিয়ে নিয়ে যেতে চায়।রাইসা আবিষ্কার করে বৃষ্টি জিনিসটা একইসাথে আনন্দ আর বেদনার মিশ্রণ, ঠিক ভালবাসার অনুভূতির মত।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১২
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:১১
হু বলেছেন: অনেক দিন পরে আপনার লেখা পেলাম। ধন্যবাদ সুন্দর রোমান্টিক সাইন্সফিকশন গল্প উপহার দেওরা জন্য। আপনার লেখার হাত ভালো, আপনার নিয়মিত লেখা দিলে ব্লগ সমৃদ্ধ হবে।
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:৩৭
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৪০
কায়েস মাহমুদ! বলেছেন: বাহঃ ভালো লাগলো।
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:৩৮
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: ধন্যবাদ ও শুভ কামনা।
৪| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর গল্প।
মনে হলো যেন মুহম্মদ জাফর ইকবালের গল্প পড়লাম।
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:১০
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর।
আমি মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যার এর অনেক বড় ফ্যান।ছোট বেলায় উনার লেখার মধ্য দিয়েই সায়েন্স ফিকশন এর সাথে পরিচিত
হয়েছিলাম।
৫| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:০৫
নীল আকাশ বলেছেন: রাজীব ভাই, জাফর ইকবাল বিদেশি লেখকদের লেখা চুরি করে লেখে। কাউকে চোরের সাথে তুলনা করা কি ঠিক?
গল্প আমার খুব পছন্দ হয়েছে। আজকেই মনে হয় ১ম আপনার গল্প পড়লাম। ভালো লেগেছে।
শেষ অংশটা নিয়ে একটা কথা, বৃষ্টি বিষাক্ত বলেছেন। রাইসা বৃষ্টিতে নেমে গেল, পুরোপুরি ভিজলো। এখানেই শেষ হলে ভাল হতো। ফিনিস। ভালোবাসার জন্য.।.।.।.।।।শুধুই ভালোবাসার জন্য সে এই এই পৃথিবী থেকে চলে যেতে চাচ্ছে না।
আবার পরে দেখা যাচ্ছে শেষ প্যারায় আবার এখান থেকে চলে যেতে চাইছে , পৃথিবীতে আবার ফিরে আসতে চাইছে। গোলমাল পাকিয়ে গেছে। আরেক বার এই অংশটা দেখবেন কি?
ধন্যবাদ
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৬
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: বাইরের পৃথিবীর বৃষ্টি বিষাক্ত, নবম শহরের টা নয়।
হ্যাঁ গল্প বৃষ্টিতে ভেজা দিয়েও শেষ হয়ে যেতে পার। কিন্ত আমার কাছে মনে হয় সায়েন্স ফিকশনএ আবেগের চেয়ে যুক্তির প্রাধান্য বেশি।রাইসা কেন পৃথিবীতে থেকে যেতে পারবে না তার ব্যাখ্যা কিন্ত স্পষ্টভাবেই দেয়া আছে।আবার পড়ে দেখবেন কি?
আমি দেশি-বিদেশি অনেক লেখকের বই পড়েছি কিন্ত জাফর ইকবাল স্যারের গল্প গুলোর সাথে মিলে এমন গল্প পাইনি।তাই আপনি যেটা বলছেন তা সঠিক কিনা বলতে পারছিনা।এটা কিন্ত সত্যি যে বাংলাদেশের ছেলেমেয়েদের অনেককেই উনিই তার লেখার মাধ্যমে সায়েন্স ফিকশন এর সাথে পরিচিত করিয়েছেন।
অবশেষে দীর্ঘ মন্তব্যের জন্য অংসখ্য ধন্যবাদ জানাই।
নীল আকাশ।শুভকামনা রইল নিরন্তর।
৬| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৩৯
নীল আকাশ বলেছেন: কেন যেন এই লেখাটায় আমার কাছে আবেগকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলো। আমি হলে বৃষ্টিতে ভেজা দিয়ে শেষ করে দিতাম। রাইসা'র অনেক প্রতিক্ষার ভালোবাসা এটা! আবেগের জোয়ার তো আসবেই! কারণ রাইসা সব কিছুর শেষে কিন্তু রক্তমাংসের মানুষ। রোবট নয় যে যুক্তি আসবে!
জাফর ইকবাল বিভিন্ন বিখ্যাত সায়েন্স ফিকশনের বইগুলি থেকে থীম নিয়ে খোলস পাল্টে বই প্রকাশ করে। থীম নেয়া খারাপ কিছু না কিন্তু অরিজিনাল লেখকের নাম উল্লেখ না করাটা চুরির পর্যায়ে পরে যায়। প্ল্যাগলারিসম! উনার বড় ভাই কিন্তু ঠিকই নাম উল্লেখ করতো।
আপ্নি মনে হয় আমার মন্তব্যের সাথে পরিচিত নন। আমি কারওটা পড়লে বেশ ভালো করে পড়ি এবং দায়সাড়া গোছের মন্তব্য করি না।
আমার ব্লগ বাড়িতে আমন্ত্রন রইল আপ্নার।
শুভ রাত্রী।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৪৩
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: নীল আকাশ আবারও ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।হ্যাঁ এই গল্পে আবেগ একটু বেশিই আছে।আর আমার এভাবেই গল্প শেষ করতে ভাল লেগেছে।মানুষে মানুষে পার্থক্য তো থাকবেই তাইনা?
৭| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৫৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বাহ!
দারুন লাগলো
++++++
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৪৮
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: ভৃগু ভাই অনেকদিন পর কথা হচ্ছে।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১০
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: সুন্দর লেখা....