নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এটা আসলে আমার ৫০তম পোস্ট তাই ভাবলাম হাফ সেঞ্চুরি পোস্ট উপলক্ষ্যে সবাইকে একটু মিষ্টি মুখ করানো যাক।মানে আমি রেসিপি দেব আর আপনারা বানিয়ে খাবেন। তাতে এক ঢিলে দুই পাখি মারা যাবে।ব্লগিং ও হবে সেলিব্রেশন ও হবে।আহ! এখানেই ব্লগিং এর মজা।সামাজিকতাও রক্ষা করা যায় ন্যূনতম খরচে।
যাইহোক এবার মূল রেসিপিতে আসি।কেক কমবেশি আমাদের সবারই প্রিয়।বাসায় ওভেন থাকলে তো কথাই নেই ওভেন ছাড়াও দক্ষ রাঁধুনি রা চমতকার কেক বানিয়ে ফেলতে পারেন।আমি এখানে যে রেসিপি দিচ্ছি তাকে আপনি ফ্রুট কেক ও বলতে পারেন।ফ্রুটকেক এ মোরব্বা ছাড়াও কিসমিস,বাদাম ইত্যাদি দেয়া হয়।কিন্ত এই বিশেষ কেকটিতে মোরব্বাগুলি ভিন্ন ভিন্ন রং দিয়ে রাঙিয়ে নেয়া হয় বলে কেকটিকে আমার কাছে রত্নখচিত বলে মনে হয় তাই আমি এর নাম দিয়েছি জুয়েল কেক।
উপকরন:
ডিম - ৩টি
ময়দা-২কাপ
সয়াবিন তেল-১কাপ
চিনি-১কাপ
বেকিং পাউডার- ২ চা চামচ
গুড়াদুধ- আধা কাপ
চালকুমড়ার মোরব্বা -আধা কাপ
ভ্যানিলা ফ্লেভার-আধা চা চামচ
ফুড কালার-সামান্য
পদ্ধতিঃ
১- প্রথমে একটি বড় বাটিতে এক কাপ চিনি ও এক কাপ সয়াবিন তেল নিয়ে ভাল করে ফেটিয়ে নিন।কেউ চাইলে মাখন দিতে পারেন তেলের বদলে।চামচ বা ইলেক্ট্রনিক বিটার যা ইচ্ছা ব্যবহার করতে পারেন।
২- এবার একে একে ৩টি ডিম দিয়ে মিশ্রনটি আলতো হাতে মিশিয়ে নিন।এতে এক চিমটি লবন দিতে ভুলবেন না।ডিম দেয়ার পর বেশি ফেটাবেন না।
৩- ময়দা ও বেকিং পাউডার এক সাথে মিশিয়ে চালুনি দিয়ে চেলে নিন যাতে ভালভাবে মিশে যায়।এবার অল্প করে দুই বা তিন বারে ময়দা মিশ্রনের সাথে মেশান যার ফলে মিশ্রন মসৃণ হবে দলা থাকবে না।আপনার কাছে যদি স্ট্যান্ডার্ড কাপ না থাকে তবে চিন্তার কিছু নেই বাসার মাঝারি সাইজের চায়ের কাপ দিয়েই কাজ চালাতে পারবেন।শুধু খেয়াল রাখবেন তেল চিনি ময়দা সব যেন এক সাইজ কাপেই মাপা হয়।
৪- এবার কেকের টেস্ট বৃদ্ধির গুরুত্বপূর্ন বিষয় গুড়াদুধ।আধা কাপ গুড়াদুধ ২-৩ চা চামচ পানি দিয়ে ঘন করে গুলিয়ে কেকের মিশ্রনে যোগ করুন।দুধ না থাকলে সমস্যা নেই কিন্ত এটা দিলে কেক অনেক বেশি মজাদার হবে।চাইলে গুড়াদুধের বদলে বাড়ির ঘন চালচে হয়ে যাওয়া গরুর তরল দুধ দিতে পারেন।
৫- চাল কুমড়ার মোরব্বা মুদির দোকানে বা সুপার স্টোরে সহজেই কিনতে পারবেন।মোরব্বা চাকু দিয়ে ছোট ছোট টুকরা করে কাটুন।এবার তিন বা চার ভাগে আলাদা করে আপনার পছন্দমত রঙ দিয়ে রাঙিয়ে নিন।অবশ্যই এডিবেল ফুড কালার ব্যবহার করবেন।আমি লাল,সবুজ আর হলুদ রঙ দিতেই সবচে পছন্দ করি।তাতে কালার গুলো চমৎকার হয়ে ফুটে আর রুবী পান্না ইত্যাদির অনুভুতি দেয়।দুঃখের বিষয় সবগুলো রঙ এসময় আমার সংগ্রহে ছিলনা বলে গোলাপি আর হলুদ রঙ দিয়ে বানিয়ে দেখাচ্ছি।পিংক কালারটা ভয়ংকর দেখাচ্ছে জানি কিন্ত এটাও লিকুইড ফুড কালার।
এক ফোটা রঙ আঙ্গুলে নিয়ে হাতে আলতো করে ডলে মোরব্বার টুকরাগুলোতে মাখিয়ে নিন।১-২ ফোটার বেশি রঙ দেবেন না।নতুন রঙ দেয়ার আগে হাত ধুয়ে নিন যাতে আগের রঙের সাথে মিশে কালচে না হয়ে যায়।মোরব্বাগুলো রঙ দিয়ে কিছুক্ষন ফ্রিজে রাখতে পারেন।
৬- এবার কেকের মিশ্রনে ভ্যানিলা দিন।সাধারণত ভাল কেকের জন্য হালকা মিশ্রণ তৈরি করতে বলা হয় কিন্ত এই কেকের মিশ্রন হবে বেশ ঘন আর আঠালো যাতে মোরব্বাগুলো সমান ভাবে ছড়িয়ে থাকে।মিশ্রন হালকা হলে সব মোরব্বা নিচে গিয়ে জমা হবে।আর এটাই জুয়েল কেকের সবচেয়ে বড় ট্রাজেডি।তাই মিশ্রন বেশি হালকা মনে হলে সামান্য ময়দা যোগ করে ঘন করে নিন।
এবার মোরব্বা গুলোতে অল্প ময়দা ছড়িয়ে নাড়িয়ে ঝরঝরে করে নিন।এতে রঙ ছড়াবে না আর নিচে চলে যাওয়ার প্রবনতা কমবে।এবার মোরব্বাগুলো কেকে মিশ্রনে একটু করে ছড়িয়ে আলতো করে উল্টিয়ে পালটিয়ে মেশান।মোটেও ঘেঁটে মেশাবেন না
৭- এখন আপনার পছন্দমত কেকের মোল্ডে কাগজ বিছিয়ে একটু তেল বা মাখন দিয়ে গ্রিজ করে নিন।এরপর সাবধানে মিশ্রণ টুকু ঢেলে দিন।আমি স্টিলের হাফ পাউন্ড চারকোনা মোল্ড ব্যবহার করেছি আপনারা যেকোনও ডিজাইনের পাত্র নিতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন পাত্রের তিন ভাগের এক ভাগ জায়গা যেন ফাকা থাকে মোটেও যেন কানায় কানায় পূর্ন না হয়।ইলেকট্রিক ওভেন এ ১০ মিনিট প্রি -হিট করে ১৫০ ডিগ্রী সেলসিয়াস বা মাঝারী তাপে ৩০ মিনিট বেক করুন।
৮-কেক ফুলে বাদামি রঙ ধরলে নামিয়ে নিন।সুন্দর করে স্লাইস করে পরিবেশন করুন।
আজকাল অনেকেই মাইক্রোওয়েভ অভেনে চমৎকার কেক বানান।এই কেকটি বানাতে হলে কেকের মিশ্রন প্লাস্টিক পাত্রে ঢেলে মোরব্বাগুলো উপরে ছড়িয়ে দিন।কারন এক্ষেত্রে এগুলো নিচে যাওয়ার প্রবনতা অনেক বেশি থাকে।রঙ নষ্ট হয়ে যাওয়ার চান্স ও বেশি থাকে।তাই এভাবে ৪থেকে ৫ মিনিট বেক করলেই সহজে মাইক্রো ওভেনে জুয়েল কেক তৈরি করতে পারবেন।আর মোরব্বা নিচে গেলেও চিন্তা নেই কেক উল্টিয়ে পরিবেশন করলে পেয়ে যাবেন জুয়েল ক্রাউন কেক।
কি কেক বানানো কি বেশি কঠিন মনে হচ্ছে? মানছি একটু ঝামেলা আছে কিন্ত একবার ভাবুন এমন রত্নখচিত কেক দিয়ে কার না মন আপনি জয় করতে পারবেন!!মেহমান বাচ্চা বা হাজবেন্ড যে কেউ খুশি হবে এমন কেক উপহার পেলে।প্রিয়তমার জন্মদিনে রত্নখচিত অলংকার উপহার নাইবা দিতে পারেন রত্নখচিত কেক নিজ হাতে বানিয়ে দিয়ে দেখুনই না তার মুখে কেমন হাসি ফোটে!
২৮ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৯
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: আপনাকেও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
২| ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:৪১
গাজী আলআমিন বলেছেন: খুব কষ্ট হইছে রান্না করতে?
২৮ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:৪০
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: তা তো একটু হয়ই।কষ্টেরই তো কাজ।
৩| ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:০৩
হামিদ আহসান বলেছেন: রেসিপির জন্য ধন্যবাদ .........
২৮ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:৪১
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।খেয়ে দেখুন ভাললাগবে।
৪| ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:৫৩
সুমন কর বলেছেন: রেসিপির জন্য ধন্যবাদ এবং ৫০তম পোস্টের জন্য অভিনন্দন।
২৮ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৫
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: আহ!বেশ ভাল লাগছে এই পোস্ট দিতে পেরে।যখন প্রথম পোস্ট দিয়েছিলাম তখন ভাবিনি একদিন পোস্ট ৫০ ছাড়াবে।
২৮ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৬
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: ধন্যবাদ দিতে ভুলে গেছি।থ্যাংকু।
৫| ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:১৭
হু বলেছেন: সুন্দর পোস্ট .....। দিন দুয়েক আগে আমার বঊ কেক বানিয়ে খাইয়েছে।
২৮ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:৫১
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: আপনি ভাই চরম লাকি মানুষ।বউ থাকলে বসে বসে কত মজার জিনিস খাওয়া যায়। আমার ভাই সেই সৌভাগ্য নেই তাই নিজেই- - -
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:৪১
প্রামানিক বলেছেন: সুন্দর রেসেপি। ধন্যবাদ