নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সন্ধ্যা প্রদীপ

আমার সমস্ত চেতনা যদি শব্দে তুলে ধরতে পারতাম

সন্ধ্যা প্রদীপ › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ হঠাত সেদিন!

২১ শে মে, ২০১৫ রাত ৮:০২


কনে দেখার অর্থ কি?এইত যে কয়েকজন মিলে কনের বাড়িতে গিয়ে ভরপেট খাওয়াদাওয়া করা,কনের গুনগুলোর বদলে খুঁতগুলো খুঁজে খুঁজে দেখা সেইসাথে যদি ফ্রী হিসাবে পাওয়া যায় তো আসেপাশের কনের বোন বা কাজিনদের দিকে নজর বোলানো।তারপর বাসায় ফিরে আগে দেখা অন্যসব মেয়েদের সাথে তুলনামূলক আলোচনার পর বেচারা মেয়েটা যদি কোনোভাবে বেশি পয়েণ্ট পায় তবেই আলোচনা আগে বাড়ে নয়ত কনের পরিবারের পুরো খরচটাই জলে যায়।যখন একেবারে ছোট ছিলাম তখন চাচী বা মামী পছন্দ করতে সবসময় আমাকে নেয়ে যাওয়া হতো।আমার তখন এতকিছু বোঝার বয়স ছিলনা আগ্রহটুকু যা ছিল সব ঐ আপ্যায়নের দিকে।তবে বড় হওয়ার পর কনে দেখার আয়োজনের সবচেয়ে করুন দিকটা হঠাত করে উপলব্ধি করলাম আর তারপর থেকেই আমাকে কোনোভাবেই এসব আয়োজনের সাথে জড়ানো যায় না।

সেদিন বিকালে মার্কেটে গিয়েছি কি একটা কাজে তখনি কলেজ জীবনের বন্ধু রবিউলের সাথে দেখা।লোকমুখে শুনেছিলাম সে নাকি কি না কি একটা সরকারি চাকুরী পেয়েছে তারপর থেকেই নাকি তার রমরমা অবস্থা।দেখলাম লোকে মিথ্যা বলেনি।প্যাকাটির মত তার সরু শরীরে বিস্তর মাংশ গজিয়েছে শুধু তাই না একটু ভুড়ির আভাস ও দেখা যাচ্ছে শার্টের নিচে।আমাকে দেখে তো সে একেবারে হাউমাউ করে এগিয়ে এল।কিছুক্ষন একথা সেকথার পরে হঠাত সে বলে বসল,বিয়ে করব দোস্ত।ভাল মেয়ে পাচ্ছি না।আগামী পরশু রেলরোডের ঐদিকে একটা মেয়ে দেখার কথা আছে তুইও চল।আমি একগাদা কাজের অযুহাত দেখিয়ে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলাম কিন্ত সে নাছোড়বান্দা।শেষে মোবাইল নাম্বার দিয়ে কোনোমতে পালিয়ে বাঁচলাম।

একদিন পরে দুপুরে গোসল থেকে বের হয়ে দেখি ড্রইং রুমের সোফায় পা তুলে রবিউল বসে আছে।তাকে দেখে তো আমার চক্ষু চড়কগাছ।বুঝলাম আমার বাথরুমে যাওয়ার সুযোগে ফোন ধরে ছোটভাই বা আম্মা কেউ ঠিকানাটা দিয়ে সর্বনাশটা করেছে।সে তো রেডি হওয়ার জন্য ক্রমাগত তাগাদা দিতে থাকল।কি আর করি মুখ বেজার করে তৈরী হয়ে নিলাম একটা অযুহাত দেখিয়ে পালিয়ে আসারও সুযোগ পেলাম না।বের হয়ে দেখি চকচকে এক গাড়ি।রবিউল বুক ফুলিয়ে জানালো গতমাসেই কিনেছে।বুঝলাম সে নিজে শুধু ফুলেনি তার পকেট ও ফুলেছে যথেষ্ট।

ভেবেছিলাম মেয়ে দেখতে পরিবারের অন্য সদস্যরাও যাবে কিন্ত দেখলাম আমরা দুজন ছাড়া শুধু ওর একজন কাজিন।কারন জিগাসা করলে রবিউল জানালো পরিবারের মুরুব্বিরা মেয়ে আগেই দেখে পছন্দ করেছে আজ শুধু ছেলে আর মেয়ের দেখা হওয়ার কথা।কিন্ত মেয়ের পরিবার একটু রক্ষনশীল তাই ছেলে-মেয়ের একা দেখা করাটা মানতে চায়নি।এজন্য দুপক্ষ থেকেই দু একজন সমবয়সী আত্মীয়-বন্ধুর উপস্থিতিতে একটা চাইনিজ রেস্টুরেন্টে দেখাদেখিটা সেরে ফেলার ব্যবস্থা করা হয়েছে।একথা শুনে আমার অসস্তি আরো বাড়ল কিন্ত কিছু করার নেই।

তখন ছিল সন্ধ্যা নামার আগের বিকেল কিন্ত গোধুলী নয়।চারিদিকে নরম শান্ত একটা আবহাওয়া।তখন দুজন বান্ধবীসহ কনে এসে হাজির হলো।দেখলাম মেয়েটির গড়ন বেশ লম্বা এবং নিটোল।গায়ের রঙ ধবধবে ফর্সা নয় বরং সরিষা ফুলের মধুর মত সোনালী ,তাতে উজ্জল একটা আভা ফুটে বের হচ্ছে।চোখমুখ বেশ টানা টানা,কোমল ঠোঁটদুটি যেন অভিমানে ফুলে রয়েছে।সাদা ব্লাউসের সাথে খুব হালকা বেগুনী একটা টাংগাইল শাড়ি তার পড়নে।খোলা লম্বা চুল গুলি ঝর্নাধারার মত সোজা নেমে এসে নিচের দিকে ঢেউ খেলে গেছে।কানের ছোট পাথরের দুল আর ডান হাতের রূপালী চিকন চেইনের ব্রেসলেট মেয়েটির রুচির বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছে।জুনের গরমের মধ্যে মেয়েটির উপস্থিতি কেমন যেন একটা শান্তির পরশ বুলিয়ে দিল চোখে।আমি মনে মনে একটা ধাক্কা খেলাম।ভাবলাম বাহ!মেয়েটি তো বেশ।বন্ধু রবিউলের ও মনে হয় বেশ ধাক্কা লেগেছিল কারন দেখলাম সে খাবি খেতে খেতে আমাদের সকলের সাথে একে অপরের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে।সে যখন আমার সাথে পরিচয় করিয়ে দিল তখন সে ভদ্রতার হাসি দিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে জিগাসা করল, আপনি ভাল আছেন?এই সামান্য একটি কথা,কাজলটানা চোখের এক মুহূর্তের সরাসরি নজর আমাকে কেমন যেন অন্যমনষ্ক করে দিল।

রেস্টুরেন্টের নিরিবিলি এক কোনে তাদের দুজন কে একান্তে কথা বলতে দিয়ে আমরা সরে আসলাম।বলবো না দু একবার ওদিকে তাকাই নি তবে তাকিয়ে মনে হচ্ছিল মে্যেটির পাশে এই গরমেও স্যুট পড়ে হাঁসফাঁস করা আমার বন্ধুকে একটা অমার্জিত কাতল মাছের মত লাগছে।কেন জানিনা আমার কিছুই ভাল লাগছিল না ইচ্ছে করছিল রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে সন্ধ্যার রাস্তায় একা একা কিছুক্ষন হাটি।তবে তা করতে পারলাম না।খাওয়ার সময়েও ছোটবেলার মতই খাবারের দিকে অখন্ড মনোযোগ দিলাম।ফেরার পথে দেখলাম বন্ধু বেশ উতফুল্ল।সে একটা ঢেকুর তুলে খুশি খুশি গলায় বললো,বুঝলি অনেক মেয়ে দেখলাম কিন্ত সবাইকে ছবির চেয়ে বাস্তবে দেখতে কম সুন্দর লাগে।এই একজন কেই পেলাম যে ছবির চেয়ে অনেক বেশি সুন্দরী।তাছাড়া মেয়ের বাবা অনেক বড় সরকারি কর্মকর্তা।মেয়ের মামা চাচারাও বেশ ধনী।আমি ঠিক করেছি বিয়েটা এখানেই করে ফেলব।বাবা-মা তো আগেই পছন্দ করে রেখেছে এখন গিয়ে বলবো বিয়ের আয়োজনটা সেরে ফেলতে।সে আমার হাত ধরে ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে বলতে লাগল বুঝলি তুই আমার জন্য শুভ।মেয়ে খুজছি প্রায় দুবছর ধরে একটাও পছন্দ হয়না,ভাগ্যিস তোকে পেয়েছিলাম।আমার বিয়েতে কিন্ত তোকে অবশ্যই আসতে হবে।কেন যেন সেদিন ওর বকবক মোটেই ভাল লাগছিল না।


প্রথমে বুঝিনি কিন্ত বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে শুতে যাওয়ার পর মেয়েটি আমার মনের কোনে বার বার উঁকি দিতে লাগল। আমার মা অনেকদিন থেকেই বিয়ের জন্য ঘ্যান ঘ্যান করছে।আমিই পাত্তা দিই নি কারন আমি নিজের একটা ভাল ক্যারিয়ার গড়তেই এতদিন ব্যস্ত ছিলাম,অন্যকিছু ভাবার সময় কোথায়?অবশেষে আমি মনের মত একটা প্রতিষ্ঠানে চাকুরী পেয়েছি।আগেরটা ছেড়ে দিয়ে এই একমাস তাই যশোরে মায়ের কাছে এসে আছি।আজ আমার মনে হলো এই একাকী জীবনে একটা সঙ্গী থাকলে মন্দ হয় না।আজকের দেখা মেয়েটির মত কোমল একজন সঙ্গীর কথা ভাবতে ভাবতে আমি কল্পনার মিষ্টি রাজ্যে হারিয়ে যেতে থাকি।আমি মেয়েটিকে নিয়ে ভাবতে চাইনা কারন সে অন্যের বধু হবে কিন্ত আমার কল্পনার মেয়েটি কেন যেন অনেকটা তার মতই হয়ে যায় বারবার।এর কিছুদিন পরেই আমি নতুন চাকুরীতে জয়েন করবো বলে চিটাগাং চলে আসি।আসার আগে রবিউল কে বলে এসেছিলাম নতুন চাকরীতে ছুটি পাওয়া সহজ হবে না তাই ওর বিয়েতে যেতে পারবো না।দেড় মাস পরেই বিয়ের ডেট ঠিক হয়েছিল তাই রবিউল তখন আয়োজনে মহাব্যস্ত।আমার মনে হয়েছিল আমার কথা সে এমনিতেও মনে রাখত কিনা সন্দেহ আছে।


এরপর প্রায় ছয়মাস কেটে গেছে।ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাচ্ছি ঢাকায় বাসস্ট্যান্ডে রবিউলের সাথে দেখা।সে আরো বেশি তেল চকচকে হয়েছে।দেখেই বোঝা যায় খুব সুখে আছে।আমি কেন জানি একটু ঈর্ষাবোধ করলাম।তবুও তাকে দেখেই আমি আগ্রহভরে এগিয়ে গেলাম সেও হাসিমুখে এগিয়ে আসল।তাকে নতুন জীবনের শুভেচ্ছা জানাতেই আমাকে অবাক করে বলে উঠল সে এখনো বিয়ে করেনি বরং ঢাকায় এসেছে মামার শশুরবাড়ির এক আত্মীয়ের মেয়েকে দেখবে বলে।কথাটা শোনামাত্রই সেদিনের দেখা সেই কোমল মেয়েটির চেহারা আমার চোখে ভেসে উঠল যা এতদিন জোর করে কাজের চাপ দিয়ে নিজেকে ভুলিয়ে রেখেছি।মূহুর্তেই একরাশ স্বস্তি আর আশা আমার মনকে ভাসিয়ে নিয়ে গেল।কিন্ত এভাবে ঠিক হওয়া বিয়ে ভেঙ্গে যাওয়ার পেছনে নিশ্চয় গুরুতর কারন আছে।মেয়েটির কি তাহলে ভয়ানক কোনো দোষ আছে?

আমার বাস মিস হয়ে যাওয়ার রিস্ক ছিল কিন্ত আমি রবিউলকে চেপে ধরলাম সব ঘটনা বলার জন্য।সে বললো আরে দোস্ত মেয়েটা দেখতে মাসুম হলে কি হবে স্বভাব চরিত্র নিয়ে সন্দেহ আছে।সে এক ছেলের সাথে তিন বছর ধরে প্রেম করেছে।আমি তো ওর কথা শুনে হতবাক।বললাম তুই কিভাবে জানলি?সে বললো,মেয়ে নিজেই বলেছে।বুঝলি মেয়ের গায়ে হলুদের পরের দিন রাতে ফোনে একটু কথা বলছিলাম তার সাথে তখন সে নিজে থেকেই বললো ভার্সিটিতে প্রথম দু-তিন বছর নাকি একটা ছেলের সাথে সম্পর্ক ছিল।পরে নাকি সমস্যা হইছে তাই বাদ দিয়ে দিছে।আমি রবিউল কে বললাম আরে বলদ,মেয়ে নিজে থেকে তোকে বলছে এমন কয়জন করে?আজকাল এমন থাকতেই পারে।মেয়েটার মন নিশ্চয় অনেক ফ্রেশ তাই নিজে থেকে বলছে আর তুই বলদের মত গায়ে হলুদের পরও বিয়ে ভেঙ্গে দিলি?রবিউল মুখ বিকৃত করে বললো আরে বাদ দে,কিসের ফ্রেশ?ভার্সিটি পড়া মেয়ে কোন চ্যাংড়ার সাথে প্রেম করছে আরো কি না কি করছে তার ঠিক আছে?কে জানে আরো কতজনের সাথে প্রেম করছে।অনেক বেশি দোষ না থাকলে কেউ কি আগ বাড়িয়ে বলতে যায়?আমাকে ধোকা দিয়ে আমার কাছে ভাল সাজতে চেয়েছিল যাতে বাইরে থেকে কিছু শুনলে আমি কিছু মনে না করি।আমি বললাম কিন্ত বিয়ের সব আয়োজন হয়ে যাওয়ার পর বিয়ে ভেঙ্গে দেয়া তোর উচিত হয়নি।মেয়েটার তো বদনাম হয়ে যাবে।হয়ত অন্য জায়গাতে বিয়েও হবে না।সে মুখ বিকৃত করে বললো,অমন মেয়েদের এমন সাজাই হওয়া উচিত।তাছাড়া এরা ভুলিয়ে ভালিয়ে কোনো গাধা টাইপের ছেলেকে ঠিকই ফাসিয়ে ফেলতে পারবে, তুই দেখিস।


রবিউলের কথা শুনে আমি হা করে কিছুক্ষন ওর দিকে তাকিয়ে থাকলাম।কে বলবে সে আজকালের ছেলে?শিক্ষিত হয়েছে বড় অফিসার হয়েছে কিন্ত বিচারবুদ্ধি বা রুচি কিছুই হয়নি। ওর সম্পর্কেও টকমিষ্টি অনেক কথা শুনেছিলাম লোকমুখে কিন্তু সেসব আর বললাম না।ভাবলাম কি লাভ ঝামেলা বাড়িয়ে।শুধু আলতো করে বললাম কলেজে না তোরও একটা গার্লফ্রেন্ড ছিল?আমার কথা শুনে সে মাথা নেড়ে বলে আরে বাবা মেয়েদের আর ছেলেদের ব্যাপার এক হলো নাকি?তাছাড়া মেয়েটা তেমন ফর্সাও না,বয়স ও বেশি।আমার ইচ্ছা কম বয়সি দেখে একেবারে সত্যিকারের ফ্রেশ মেয়ে বিয়ে করবো।এসব শুনে আমি আর কথা বাড়ালাম না।বিদায় নিয়ে বাসে উঠে বসলাম।সারাটা রাস্তা আমি শুধু ভাবতে লাগলাম যে আমাদের দেশে গায়ে হলুদ হয়ে বিয়ে ভেঙ্গে গেলে মেয়ের কি পরিমান বদনাম হয়।তাকে আর তার পরিবারকে না জানি কত অপমান সইতে হচ্ছে।আমি শুধু প্রার্থনা করে গেলাম যেন বেশি দেরি না হয়ে যায়।হঠাত মনে পড়ল মেয়েটির নামও আমি জানিনা।সেদিন হয়ত খেয়াল করে শুনিনি।


নীরা।তার নাম নীরা।তখন নাম না জানলেও তাকে আমি ঠিকই খুঁজে বের করেছিলাম।যেমন ভেবেছিলাম,আমার মায়ের নীরাকে খুবই পছন্দ হয়েছিল।মা ই রাতারাতি সব ব্যবস্থা পাকা করে ফেলেছিল।একদিনের মধ্যেই হলুদ ছুঁইয়ে আমার কেনা বেনারসী পড়িয়ে অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে নীরাকে আমি আমার জীবনের পাকাপাকি অংশ করে ফেলেছিলাম।একদিনের আয়োজনে গহনা গড়ানো সম্ভব হয়নি তাই আমার বড়বোন তাকে রজনীগন্ধা আর গোলাপফুলের গহনায় সাজিয়ে বাসর ঘরে পাঠিয়ে ছিল।বিয়ের রাতে সেই শুভ্র ফুলের মাঝে ফুটে থাকা কোমল মুখটি আমি দুচোখ ভরে দেখেছিলাম।ভেবেছিলাম সেদিন সেই এক পলকের দেখায় সে আমাকে মনে রাখেনি কিন্ত সে ঠিকই মনে রেখেছিল।কারন তার প্রথম কথা ছিল,আপনার বন্ধুর কাছে তো আমার ব্যাপারে সবই শুনেছেন।আপনার আমাকে খারাপ মনে হয় না?

পরে জেনেছি সেদিন তারও আমাকে অনেক ভাল লেগেছিল।আমি ভাগ্যবান।কিন্ত মনে মনে ভাবি আমি কি যতটা ভাবি তারচেয়েও ভাগ্যবান?সে কি তবে আমার জন্যেই কৌশলে বিয়েটা ভেঙ্গে দিয়েছে?কি জানি?নারীরা রহস্যময়ী।সে অবশ্য বলে সে তার হবু সঙ্গীর মনোভাব জানার জন্যেই জীবনের ফেলে আসা অধ্যায়ের কথাটা তুলেছিল।সে দেখতে চেয়েছিল তার হবু বর কতটা উদারমনা।তবে যাই হোক আমার জন্য সবই ভাল হয়েছে।চিটাগাং এর এক শান্ত শহরতলীতে আমরা ছিমছাম একটা ঘর বেঁধেছি।নীরা অসম্ভব গুনবতী,সে খুব গুছিয়ে সংসার করে।আমার জীবনে এখন আর কোনো শুন্যস্থান নেই।জীবনটা কানায় কানায় পূর্ন হওয়ার পরেই আমি বুঝতে পেরেছি সেখানে কতক্ষানি শুন্যতা ছিল আগে।আমার এই হঠাত পাওয়া সঙ্গীকে নিয়ে আমি ভীষন সুখি।শুনেছি আমার বন্ধু রবিউল এখনো মেয়ে দেখছে।আমাদের বিয়ের ব্যাপারে হয়ত জানে না।ভেবে রেখেছি একদিন আমাদের বাসায় ওকে দাওয়াত দেব যাতে ও বুঝতে পারে কি সম্পদ হেলায় হারিয়েছে,কাকে অসন্মান করেছে।তাতে অন্তত ওর মাঝে অনুশোচনা আসবে।যদিও এ ব্যাপারে আমার স্ত্রী একদমই রাজি না।কিন্ত আমার মনে হয় বলদটার মানুষ হওয়ার দরকার আছে।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে মে, ২০১৫ রাত ৮:৫৮

খেয়ালি দুপুর বলেছেন: ভাল লাগল ভিষণ। শুভকামনা।

২| ২১ শে মে, ২০১৫ রাত ৯:০৭

এলা বলেছেন: বিয়ের আগে একটা প্রেম থাকাই মেয়েদের চরিত্রহীনা করার জন্য যথেষ্ট, কিন্তু পুরুষের হাজারটা প্রেম বা তার চেয়ে খারাপ কিছু থাকলেও "ছেলেদের একটু আকটু ওরকম থাকেই, ব্যাপার না।"
ভালোলাগা এবং শুভকামনা।

৩| ২১ শে মে, ২০১৫ রাত ১০:১৬

রিকি বলেছেন: কিছু অতীব বাস্তব কথা বলেছেন...মেয়ে মানুষের প্রেম ? মার্ক আর ছেলে মানুষের প্রেম ' ' মার্ক আজকের আধুনিক যুগেও। পোস্টে ভাল লাগা +++

৪| ২১ শে মে, ২০১৫ রাত ১১:০৪

বেসিক আলী বলেছেন: হঠাৎ নীরার জন্য :)

৫| ২১ শে মে, ২০১৫ রাত ১১:০৬

শামস 8929 বলেছেন: দোয়া রইল ভাই। বৌয়ের প্রসংশার আরও গল্প যেন শুনতে পারি। আমি ভাই যে মেয়েকে দুনিয়ার সবকিছু ভুলে শত যুদ্ধ করে, সবাইকে রাজি করিয়ে বিয়ে করলাম সে-ই আমাকে একসাগর কলংকের বোঝা আর র্দুনাম দিয়ে এখন বাপের বাড়ীতে সুখের ঘুম ঘুমিয়ে ডায়েটিং করছে। আমার অবস্থা যেন আপনার না হয় ভাই।।।।

৬| ২৩ শে মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৫

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: অসাধারণ ভাবনা!!!!!

৭| ২৪ শে মে, ২০১৫ রাত ১২:০৪

অস্পষ্ট নিয়ন আলো বলেছেন: পড়ে ভালো লাগলো... :)

৮| ২৬ শে মে, ২০১৫ সকাল ১১:১২

হু বলেছেন: সুন্দর একটি গল্প। পড়ে মন ভাল হয়েগেল।

৯| ২৬ শে মে, ২০১৫ সকাল ১১:৩৭

নীল আকাশ বলেছেন: খুব ভালো লাগলো । অসাধারন। শুভ কামনা রইল।

১০| ২৭ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৫:১১

তুষার কাব্য বলেছেন: ভালো লাগলো গল্প টা । শুভেচ্ছা ।

১১| ১৪ ই জুন, ২০১৫ রাত ১:০০

শখের সাইকেল বলেছেন: বাহ!!! দারুন
শুভকামনা রইলো

১২| ১৭ ই জুন, ২০১৫ রাত ১:৩০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: গল্প হিসেবে মেনে নিতে মন চাচ্ছে না, এটা সত্য ঘটনা বলেই মনে হচ্ছে। কি রোমান্টিক পরিসমাপ্তি!!! +++

একজন নীরা'কে বুঝি সব ছেলেরাই চাইবে, শুধু ঐ গর্দভ মার্কা বন্ধু টাইপের আহাম্মক ছাড়া।

চমৎকার গল্পে ভালোলাগা সাথে +++

ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.