নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সন্ধ্যা প্রদীপ

আমার সমস্ত চেতনা যদি শব্দে তুলে ধরতে পারতাম

সন্ধ্যা প্রদীপ › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ একটি আধুনিক রূপকথা

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫২

এক
এক যে ছিল রাজা।তার রাজ্যে অনেক সমৃদ্ধি,অনেক সুখ,অনেক শান্তি কিন্ত তার মনে শান্তি নেই।কারন আর কিছুই না কারন তার একমাত্র সন্তান,ছোট্ট রাজকন্যা।রাজকন্যাকে অবশ্য বেশি ছোট বলাও যায় না কারন কয়েক বছর হল সে শৈশব পেড়িয়ে কৈশরে পদার্পন করেছে।।সেই শৈশব অতিক্রম করে ক্রমেই যৌবন উঁকি দিচ্ছে।সেটা কোনো সমস্যা নয় আসল সমস্যা হচ্ছে রাজকন্যার অনেক ফেসবুকের নেশা।দিন নেই রাত নেই সে ঘাড় গুজে ফেসবুক ঘাটছে।অন্তঃপুরে সকালে ঘুম থেকে উঠেই সে পালঙ্কে রাখা এপেলের ল্যপটপ হাতে নেয়,তারপর সারাটা দিন চলতে থাকে তার নেট ব্রাউজিং।নাচ গান শেখার ফাঁকে ফাঁকে আইপ্যাডে চলে তার লাইক আর কমেন্ট দেয়া নেয়া।এমন কি শিক্ষার সময়ও তার ফেসবুকের বিরাম নেই।এমন কি সান্ধ্যকালীন ভ্রমনের সময় ও সে কানে হেডফোন গুজে আইফোন টিপতে টিপতে অন্ধের মত রাজপ্রাসাদের বাগানে হাঁটে।


দূর থেকে আদরের সন্তানের এই পরিনতি দেখে রাজা দীর্ঘশ্বাস ছাড়েন।অনেক কাল আগে রাজা ছিলেন নিঃসন্তান।সন্তান লাভের আশায় দ্বিতীয় বিয়ের খায়েশ থাকলেও রানীর ভয়ে মনের ইচ্ছাটা প্রকাশ করতে পারেননি।শেষ পর্যন্ত সেনাপতিকে পাঠিয়ে অনেক দূরদেশ থেকে যুদ্ধ করে নামী ডাক্তার ছিনিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হয়েছিল।সেই ডাক্তার এর সাহায্যে টেস্টটিউব পদ্ধতিতে রাজকন্যার জন্ম হয়।রাজকন্যা তার চোখের মনি,আদরের ধন।তাই তাকে তিনি সামান্য ধমক দিয়েও কথা বলতে পারেন না।কিন্ত সারাদিন তার এই ঘোড়ার ডিম নিয়ে পড়ে থাকাও সহ্য করতে পারেন না।রানীর সাথে এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে মুখ ঝামটা খেতে হয় কারন সে সারাদিন ব্যস্ত থাকে দেশে বিদেশের সম্ভ্রান্ত মহিলাদের সাথে পার্টি করা আর রূপচর্চা নিয়ে।

রাজসভায় বসে এসব ভাবতে ভাবতে রাজার মনে হল সব দোষ মন্ত্রীর।তার পরামর্শেই রাজ্যে ইন্টারনেট সংযোগ দেয়া হয়েছে।তিনি অবিলম্বে মন্ত্রীকে ডেকে এর প্রতিকার জানতে চাইলেন।মন্ত্রী হাত জোর করে কাচুমাচু হয়ে বলল হুজুর!আপনিই তো চেয়েছিলেন পলাশনগরের চেয়ে আমাদের শিমুলনগর ধনে মানে ঐশ্বর্য্যে সবদিক থেকে উন্নত হোক।তাইত আমি তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রীর সাথে পরামর্শ করে আধুনিক বিজ্ঞানের সবচেয়ে উন্নত সুবিধা হিসাবে ইন্টারনেট সেবা প্রতিটি প্রজার ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছি।আমার কি দোষ বলুন?রাজা ভেবে দেখলেন তাইত,তিনিই চেয়েছিলেন পাশের চিরশত্রু রাজ্য পলাশনগরের থেকে সব দিক থেকে উন্নত থাকতে।সে জন্য রাজকোষ থেকে অবাধ অর্থ ঢেলে ঘরে ঘরে ইন্টারনেট পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন।কিন্ত তার ফলে যে নিজের বংশধর উচ্ছন্নে যাচ্ছে।

এইত গতকাল অন্তঃপুরের বাগানে বিশ্রামের সময় রাজকন্যাকে ডেকে পাশে বসিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে এসব কথা বলার চেষ্টা করছিলেন কিন্ত রাজকন্যা তাকে পাত্তা না দিয়েই বলে উঠল, বাবা আসো তোমার সাথে একটা সেলফি তুলি।এই কথা বলেই সে বাগানের সরোবরের পাশে ঘুরে বেড়ানো দুটি রাজহাঁস এনে রাজার কোলে ধরিয়ে দিয়ে নিজের তার কোল ঘেসে বসে ফটফট করে কয়টা ছবি তুলে ফেলল।তারপর বাই আমার সুইট বাবা বলে নাচতে নাচতে বেড়িয়ে গেল।আর রাজা বেকুব হয়ে বসে ভাবতে লাগলেন কি দিনকাল এসেছে।তিনি যে একটা দেশের পরাক্রমশালী রাজা মেয়ে হোক আর যেই হোক তাকে তো সন্মান করবে,আসতে যেতে তার অনুমতি নেবে।তা তো করেই না বরং তার কোলে রাজহাঁস বসিয়ে ছবি তোলে।ছিঃ ছিঃ কি অসন্মান।নিশ্চয় তার শিক্ষকরা তাতে আদব কায়দা ঠিক মত শেখাচ্ছে না।


রাজা রেগেমেগে সকল শিক্ষকের গর্দান নেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন।তাদেরকে ধরে রাজার সামনে নিয়ে আসলে তারা সকলেই একযোগে বলল রাজকন্যা আগে ভালভাবেই সবকিছু শিখছিল কিন্ত দেশে ইন্টারনেট আসার পরেই ধীরে ধীরে সে পড়ালেখা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।এদের মধ্যে একজন ফাজিল শিক্ষক রাজাকে মনেও করিয়ে দিল আজকাল গর্দান নেয়ার নিয়ম নেই।গর্দান নিলে বিশ্বের সব রাজ্যের নিন্দার মুখে পড়তে হবে।সভাসদরাও তার কথা সমর্থন করল।অগ্যতা তাদের কারাগারে আটক রাখার আদেশ দিয়ে রাজা ভাবতে বসলেন কি করা যায়।কারো গর্দান নিতে পারতে তাও কিছুটা শান্তি লাগত।

অনেক ভেবে রাজা আদেশ দিলেন রাজসভার সবাইকে একটা করে আইপ্যাড দেয়া হোক।তারা সাবাই ফেসবুক ঘেটে রাজার কাছে রিপোর্ট করবে সেটা কি এবং কেন সকল বাচ্চাকাচ্চা এটাতে এত আসক্ত।কিছুদিন পরেই রাজা খেয়াল করলেন রাজসভায় আজকাল কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না বরং সবাই ঘাড় হেট করে আইপ্যাড টেপাটিপি করছে এমন কি অর্থমন্ত্রী যে কিনা সুযোগ পেলেই রাজসভায় একটু ঘুমিয়ে নিত সে পর্যন্ত আইপ্যাডে এংগ্রী বার্ড নামক এক আজব খেলা খেলছে সারাদিন।রাজা রিপোর্ট তলব করলে তারা কেউই সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারলো না। একেক জন একেক কথা বলল কিন্ত সবাই এ বিষয়ে একমত হলো যে রাজকন্যার তোলা রাজার রাজহাঁস কোলে ছবিটা চমতকার হয়েছে।সেটাতে নাকি এক লাখ চুয়ান্ন হাজার দুইশ একটা লাইক পড়েছে।রাজা বুঝলেন নির্দিষ্ট কোনো কারন নেই মানুষ এমনিতেই ইন্টারনেটে আসক্ত হয়।তাই রাজসভাকে আসক্তি মুক্ত রাখতে সেখানে ইন্টারনেট ব্যবহার আইনত নিষিদ্ধ ঘোষনা করতে হলো।এই ঘোষনায় সকলের মুখ কালো হয়ে গেলেও রাজা কোনো পাত্তা দিলেন না।


দুই
দিন যায় রাত আসে।রাজার মনের শান্তি ফিরে আসে না।কারো সাথে যে মনের দুঃখ ভাগাভাগী করবেন তেমন কাওকেও খুজে পাওয়া ভার।মহারানী আজকাল সমাজসেবা আর নারীবাদী আন্দোলন নামক আজব কিছু জিনিসের সাথে যুক্ত হয়েছেন তাই তাকে একা পাওয়ায় যায় না।রাজা সেদিন রাতে মিনমিন করে আর একটি সন্তানের কথা বলতে গেলে তিনি তেলেবেগুনে জ্বলে উঠে নারী অধিকার নিয়ে একঘন্টার দূর্বোধ্য একটা লেকচার শুনিয়ে দিয়েছেন।অবশেষে রাজা তাই আবার মন্ত্রীকেই নিজ কক্ষে ডাকলেন পরামর্শের জন্য।মন্ত্রীও মুখ বেজার করে রাজাকে জানালেন তার বাসাতেও এই এক সমস্যা।ছেলে মেয়েরা তো বটেই বরং তাদের মাও কিভাবে যেন ফেসবুক ব্যাবহার শিখে গেছে।সেখান থেকে দেখে সে শুধু অনলাইনে শাড়ি গয়না কসমেটিকস অর্ডার দেয়।সেই বিল মিটাতে মিটাতে মন্ত্রীর সিন্দুক প্রায় খালি হয়ে যাচ্ছে।রাজা চিন্তিত হয়ে বললেন যে,রাজ্যের ভবিষ্যত কর্নধারকে কিছুতে এমন আসক্ত হলে তো চলবে না।রাজকন্যার দূর্বলতা টের পেলে পলাশনগরের রাজা ঠিকই সৈন্য পাঠিয়ে রাজ্য দখল করে নেবে।তখন মন্ত্রী পরামর্শে রাজা ঘোষনা করলেন যে রাজকন্যার ফেসবুকের নেশা ছাড়াতে পারবে তাকে অর্ধেক রাজ্য দান করা হবে আর বয়েসে উপযুক্ত হলে রাজকন্যাও দান করা হবে।সেই সাথে এটাও ঘোষনা করা হলো যে চেষ্টা করে বিফল হবে তার বাড়িতে পাঁচ বছরের জন্য বিদ্যুত এবং ইন্টারনেট সংযোগ কেটে দেয়া হবে।আর ব্যাক্তিটি যদি বিদেশি হয় তবে তাকে পাঁচ বছরের জন্য এই রাজ্যে বিদ্যুতহীন বাসায় আটক থাকতে হবে।

ঘোষনা হওয়ার পর হেকেই চারিদিকে খবর ছড়িয়ে গেল।ফেসবুকের কল্যানে তা দেশের প্রান্ত ছাড়িয়ে বিদেশেও পৌঁছে গেল বিদ্যুত গতিতে।নির্দিষ্ট দিনে ছেলেবুড়ো কাতারে কাতারে হাজির হতে লাগল রাজ প্রাসাদে।দেশি বিদেশি গাড়ির ভিড়ে রাজপ্রাসাদের সামনের রাস্তা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হলো।রাজ্যের এয়ার পোর্টে বিদেশি রাজপুত্রদের নিয়ে অসংখ্য বিমান নামতে লাগল।


একে একে মানুষ আসে রাজকন্যার সাথে দেখা করে কিন্ত কেউ তার নেশা ছাড়াতে পারে না।হুজুর এসে পানি পড়া দিল,জিপসী মহিলা এসে তুকতাক করল,তান্ত্রীক এসে মাদুলি দিল,ওঝা এসে ঝাড়ফুঁক করল,মিডিয়াম এনে আত্মা নামানো হলো এমন কি আফ্রিকান জুলু এসে ব্লাক ম্যাজিক করল কিন্ত কোনো লাভ হলোনা।ডাক্তার ওষুধ দিল,কবিরাজ জড়িবুটি খাওয়ালো,হিন্দু সাধু এসে যোগ ব্যায়াম করালো,সুদর্শন রাজপুত্ররা প্রেমের জাল বিছাল এমন কি এক পাগল বৈজ্ঞানিক সে রাজকন্যাকে হাই ভোল্টেজ শক দেয়ার ও চেষ্টা করল কিন্ত তার নেশা ছাড়াতে পারলো না।এমন করে রাজার কারাগার ভরে উঠতে লাগল রঙ বেরঙ্গের মানুষে আর রাজকন্যার ফেসবুক ওয়াল ভরে উঠতে লাগল তাদের সাথে হাসিমুখে তোলা ছবিতে তবে কাজের কাজ কিছুই হলোনা।রাজ্য আর রাজ কন্যার লোভে প্রথমে অনেক মানুষ ভিড় করত কিন্ত শাস্তি হিসাবে বিদ্যুত কেটে দেয়ার পর মানুষ ভয়ে চেষ্টা করা কমিয়ে দিল।

একদিন দেখা গেল পলাশপুরের রাজা তার স্পাইক করা চুলের একগাদা চুড়িমালা পড়া পুত্রকে পাঠিয়েছে।তাকে দেখা মাত্র রাজার গা জ্বলে উঠলেও কিছু বলতে পারলেন না।তাকে রাজকন্যার সাথে একা থাকতে দেয়ার সময় রাজার বুক কাঁপতে লাগল কুলাঙ্গারটা যদি সফল হয়ে যায় তবে???নির্দিষ্ট সময় অতিক্রান্ত হলে ভেতর থেকে সারাশব্দ না পেয়ে ভয়ে ভয়ে দরজা খুলে দেখা গেল তারা যার যার চেয়ারে পা তুলে যার যার আইপ্যাড ঘাটছে।তারা এরমধ্যেই ফেসবুক ফ্রেণ্ড হয়ে গেছে।পলাশপুরের রাজপুত্র তো এখানকার ইন্টারনেট স্পিড দেখে খুবই খুশি তাদের দেশে নাকি এত ভাল স্পিড কখনোই থাকে না।সে এরই মধ্যে চুয়ান্নটা হিন্দি গানের ভিডিও ডাউনলোড করে ফেলেছে।সৈন্যরা তাকে গ্রেফতার করার সময়ও সে আইপ্যাড থেকে চোখ সরায় না।


তিন
একবছর কেটে গেছে।নানা ভাবে চেষ্টা করেও রাজকন্যার আসক্তি কমানো যায় নি।অনেক মানুষের ঘরে বিদ্যুত আর ইন্টারনেট কাটা পড়েছে তাই কেউ তেমন একটা এদিকে আসতে চায় না শুধু মাঝে মাঝে দুএকজন বিদেশিকে দেখা যায়।লাভের মধ্যে একটাই যে পলাশপুরের রাজপুত্রকে পাঁচ বছরের জন্য আটক রেখে সেদেশে রাজাকে জবর শিক্ষা দেয়া গেছে।কিন্ত তাতেই বা কি লাভ রাজকন্যার তো কোনো উন্নতি নেই রাজা চিন্তায় শয্যাগত হয়েছেন।এমন সময় এ বিকেলে এক সুদর্শন তরুনকে রাজ প্রাসাদের দরজায় দেখা গেল।তার পরনে সাধারন ধুতি পাঞ্জাবি কিন্ত শান্ত সৌম্য রূপ থেকে যেন আলো বের হচ্ছে।তরুন রাজার কাছে এসে রাজকন্যার সাথে দেখা করার অনুমতি চেয়ে নিল কিন্ত তার শর্ত একটাই যে তাকে ছয়মাস সময় দিতে হবে।রাজা নিরুপায় তাই প্রার্থনা মঞ্জুর করলেন।

রাজকন্যার সাথে তরুনের পরিচয় হওয়ার কিছুদিন পর থেকে দেখা গেল তারা একসাথে বসে কিছু না কিছু করছে।প্রায়ই দেখ যেত প্রাসাদের বাগানে বসে তরুন কথা বলছে আর রাজকন্যা মুগ্ধ হয়ে শুনছে।সকালে প্রাসাদের পেছেনের বনের কাঁচা রাস্তা ধরেও তারা প্রায়ই হেঁটে বেড়াতে লাগল কথা বলতে বলতে।আজকাল রাজকন্যাকে ফেসবুকে তেমন একটা দেখা যায় না।রাজাসহ সকলে তো ভীষন অবাক।এক রাতে অন্তঃপুরে গিয়ে রাজা দেখলেন রাজকন্যা একটা বই খুলে নিয়ে পড়ছে।তিনি তো খুশিতে আটখানা।এর কিছুদিন পর দেখা গেল রাজকন্যা তার সখিদের নিয়ে রাজ্যের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী পরিষ্কার করছে আর সুদর্শন ছেলেটি তার তদারকি করছে।অনেক বছরের অব্যবহৃত আর বন্ধ লাইব্রেরীতে বইয়ের পরতে পরতে ধুলা জমেছে।রাজকন্যার অবশ্য তাতে কোনো সমস্যা আছে বলে মনে হলো না।ক্রমেই লাইব্রেরী চালু হলো একে একে ছেলে মেয়েরা বই পড়তে শুরু করল।অনেক বছরের জমে থাকা লাখ লাখ বই তার সুধা ঝরাতে লাগল তরুন ছেলে মেয়েদের মনে।


চার
রাজার মনের দুঃখ দূর হয়েছে।রাজকন্যা আর সারাদিন ফেসবুক নিয়ে পড়ে থাকে না।সে বই পড়ে খেলাধুলা করে আরও কত কিছু।শিক্ষকরাও রাজার কাছে রিপোর্ট করেছে যে সে সবকিছু খুব ভাল শিখছে।অন্য ছেলেমেয়েদের ইন্টারনেট আসক্তি কমেছে।রাজ্যের লাইব্রেরীটি ভালই চলে।কারন সবাই জানে বই তো ইন্টানেটেও পড়া যায় কিন্ত আসল বই পড়ার মাঝে যে মজা সেটা আর কিছুতেই নেই।কিভাবে সে অসম্ভব কে সম্ভব করল এই প্রশ্নে তরুন জানিয়েছে মানুষের মনের জন্য একটা খোরাক দরকার,মনের আনন্দের জন্য একটা কাজ দরকার,বইয়ের চেয়ে ভাল মনের খোরাক আর কি হতে পারে?তাই সে প্রথমে রাজকন্যাকে গল্প শুনিয়েছে তারপর বই পড়তে দিয়েছে তাকে এর চেয়ে বেশি কিছুই করতে হয়নি।তার কথায় রাজার মনে মনে গেল তার শিক্ষা জীবনের এক বন্ধুর কথা যে যদিও ছিল রাজপুত্র কিন্ত তার রাজ্যের কোনো শখ ছিল না।তার ইচ্ছা ছিল ছোটভায়ের হাতে রাজ্যে ছেড়ে দিয়ে কোনো শান্ত সুন্দর জায়গায় সে একটা আদর্শ শিক্ষা আশ্রম তৈরী করবে।অবিলম্বে খোঁজ নিয়ে রাজা জানতে পারলেন তার সন্দেহ সত্য।এই সুদর্শন তরুন তার পুরোনো বন্ধুর একমাত্র পুত্র।

অবশেষে ছয়মাস পূর্ন হল।তরুনের বিদায় নেয়ার সময় হলো।রাজ্যের দলিল দিতে গেলে যে রাজাকে বিনয়ের সাথে জানালো সে রাজ্যের আশায় এসব করেনি শুধু রাজাকে সাহায্য করার জন্যেই করেছে।রাজকন্যার প্রশ্নে সে বলল তাকে আপাতত বিদায় নিতেই হবে কারন তার শিক্ষা এখনও অসম্পূর্ন।শিক্ষা পূর্ন করে সে আবার ফিরে আসবে।রাজকন্যা সহ সবাই ছলছল চোখে তরুনকে বিদায় দিল।
আমার গল্পটিও এখানেই ফুরোলো।


মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৯

অরুদ্ধ সকাল বলেছেন:
আপনার লেখার হাত খুব সুন্দর....

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫৬

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: লেখার চেষ্টা করি যা মাথায় আসে ----লেখা হয় কিনা জানি না।তবে লেখাটা কারো ভাল লাগলে খুশি লাগে।

শুভ কামনা।

২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৯

হু বলেছেন:
মজার গল্প 😁😁😁😁😁👑👑👑👑

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:০১

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: এসব কি ভাষা ভাই????গালিগালাজ দিলেন নাকি?

৩| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৮

তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: ++++++
ভাললাগা রেখে গেলাম :)

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫৬

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: ধন্যবাদ আপু।

৪| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:২৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: চমৎকার। আপনার লেখা বেশ, বেশ ভালো লেগেছে।
শুভ কামনা রইল।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:২৩

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: ধন্যবাদ কাল্পনিক ভালবাসা।
আপনার লেখা আমার দারুন লাগে।
ভাল থাকুন সবসময়।

৫| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:১১

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: গল্পছলে, রম্যে সাম্যে , পুরান বর্তমান মিলিয়ে চমৎকার মিষ্টি একটি গল্প লিখেছেন ভ্রাতা। সুন্দরতম একটি মেসেজ দিয়েছেন। মুগ্ধ +++++++

ভালো থাকবেন সবসময় :)

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:২০

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: সুন্দর কমেন্টের জন্য কৃতজ্ঞতা।
আপনিও ভাল থাকুন। :) :) :)

৬| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২০

কলমের কালি শেষ বলেছেন: গল্পে অসম্ভব ভালোলাগা । ++++

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:১৫

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই।

৭| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:১৩

মামুন রশিদ বলেছেন: সুন্দর একটা গল্প পড়লাম সমসাময়িক সমস্যা নিয়ে । সমস্যা থেকে উত্তরণও ভালো হয়েছে ।


ব্লগে দুই বছর পূর্তির শুভেচ্ছা !:#P !:#P


৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:২৫

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ভাই।
কবে কিভাবে এতটা সময় চলে গেল বুঝতেই পারলাম না।তবে মাথার মাঝে অনেক কিছু ছিল যার বেশিরভাগই লিখতে পারিনি সময়ের অভাবে।এবছরের ইচ্ছা আরো বেশি বেশি ব্লগ লেখার। :)

ভালথাকুন এবং হ্যাপি নিউ ইয়ার।

৮| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৩২

হু বলেছেন: নারে ভাই গালি দেই নাই। আপনার গল্পটি অত্যন্ত সুন্দর। আরো লিখা চাই

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩০

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: আমি তো ভাই ভেবেছিলাম আপনি একজন তুখোড় ফেসবুকার তাই আমাকে হিব্রু ভাষায় গালিগালাজ করছেন :P :P

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.