নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সন্ধ্যা প্রদীপ

আমার সমস্ত চেতনা যদি শব্দে তুলে ধরতে পারতাম

সন্ধ্যা প্রদীপ › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃশেষ অবলম্বন

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:১৩

তার নাম ছিল নিশি।আমার নিশি।কি সুন্দর করে যে সে হাসত!ওর মুক্তার মত দাঁতগুলো লালচে ঠোঁটের ফাঁক দিয়ে ঝিকমিক করে উঠত।ওর উপরের ডান দিকের একটা দাঁত একটু উঁচু ছিল যার কারনে হাসলে তার চেহারায় একটা দুষ্টু দুষ্টু ভাব চলে আসত।ওর সেই হাসি দেখলে আমার বুকের মাঝে তোলপাড় শুরু হয়ে যেত।ইচ্ছা করত ছুটে গিয়ে ওকে বুকে নিয়ে আদরে ভাসিয়ে দিই।এই পর্যন্ত লিখে আফজাল চেয়ারটা পেছনে ঠেলে দিয়ে একটা সিগারেট ধরায়।একমুখ ধোঁয়া ছেড়ে সে চিন্তায় ডুবে যায়।গল্প লেখায় তার হাত বেশ ভাল।লেখা শুরু করার পরপরই সে ভাল সাড়া পেয়েছিল।পাহাড়ি জীবন নিয়ে লেখা তার একটা উপন্যাস জাতীয় পুরষ্কার ও পেয়েছে,তার ভক্তের সংখ্যাও কম নয়।কিন্ত এই গল্পটি লিখতে গিয়ে সে কিছুতেই সুবিধা করে উঠতে পারছে না।গত দুদিন থেকে বারবার চেষ্টা করেও সে শুরুর লাইন গুলো লিখতে পারছিল না।সে কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছিলনা যে গল্পটা শুরু কিভাবে করা যায়।শেষে এই সাদামাটা লাইনগুলো দিয়েই সে তার গল্পটি শুরু করেছে।সিগারেট টানতে টানতে সে এর পরের লাইনগুলো মনে মনে গুছিয়ে নিতে থাকে।


আফজাল আবার লিখতে শুরু করে—প্রথম দেখার প্রেম বা লাভ এট ফার্স্ট সাইট বলে একটা কথা আছে।আমার কাছে নিশির ব্যাপারটা ঠিক এমনই ছিল।ওকে প্রথম দেখেই বুকের মাঝে একটা ধাক্কা খেয়েছিলাম।স্পষ্ট মনে আছে প্রথমদিন তার পরনে ছিল ময়ুরনীল একটা কামিজ,তার রেশমী চুলগুলো পাহাড়ি ঝর্নার মত কাঁধে পিঠে লুটাচ্ছিল।ভর্তি পরীক্ষার ভিড়ে এক ভাইয়ের অনুরোধে কোচিং এর বিজ্ঞাপন হাতে দলবল নিয়ে গেটের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম।একটা লিফলেট তার হাতে ধরিয়ে দিতেই সে আমার দিকে তাকিয়ে হেসে উঠল।সঙ্গে সঙ্গে আমি যেন কেমন হয়ে গেলাম।বুকের রক্ত চলাচল যেন কিছুক্ষনের জন্য বন্ধ হয়ে আবার দ্বিগুন তেজে ছুটতে শুরু করল।ঐদিনের পর গেটের কাছে সারাদিন দাঁড়িয়ে থেকেছি,ভিড়ের মধ্যে ঈগলের চোখে তাকিয়ে থেকেছি কিন্ত তাকে আর খুঁজে পাইনি।ভেবেছিলাম ভুলে যাব কিন্ত ঐদিনের পর মাঝে মাঝেই তার হাসিটা চোখের সামনে ভেসে উঠত।কিন্ত যত যাই হোক আমার তো হতাশ হওয়া ছাড়া আর কিছু করার ছিলনা।


এই ঘটনার প্রায় দুই তিন মাস পরে রাস্তার মোড়ে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছি হঠাত দেখি সেই মেয়ে! রিকসায় বসে বান্ধবীর সাথে গল্পে মশগুল মেয়েটি নিজের অজান্তেই আবার আমার হৃদয় হরন করে নিয়ে গেল।আমার বুকের রক্ত আনন্দে নেচে উঠল,নিশচয় সে এখানে ভর্তি হয়েছে।না, সে দেশের কোটি মানুষের ভিড়ে হারিয়ে যায় নি।এই ক্ষুদ্র সীমানার মাঝেই আমার কাছাকাছি সে এখন বাস করছে কিন্ত তার আবাস ঠিক কোন স্থানে তা খুঁজে বের করা তখনও বাকি ছিল।কিন্ত কাজটা তেমন সহজ ছিলনা।হয়ত পরিচিত বন্ধুবান্ধব্দের লাগিয়ে দিলে সহজে কাজ হতো কিন্ত আমি তা করলাম না।কারন আমি তো তার কিছুই জানিনা তাদের কাছে কি বর্ননা দেব?তাছাড়া পরিচিত মহলে ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন মানুষ হিসাবে আমার সুনাম ছিল।কোনো উপায় না দেখে আমি সুযোগের অপেক্ষায় থাকলাম।সুযোগ আর একবার আসল কিন্ত তখন আমি এক স্যারের সাথে কোর্স নিয়ে আলোচনা করতে করতে রাস্তায় হাঁটছি।দেহটা খুব কষ্টে স্যারের সামনে রাখলাম কিন্ত মনটা সেই সুহাসিনীর সাথে রিকসার পিছে পিছে চলে গেল।হায়রে!!কেন যে সে এমন অসময়ে দেখা দেয়?তাই এর পরে যখন অলস এক দুপুরে নির্জন রাস্তায় তাকে রিকসা নিয়ে সামনে দিয়ে যেতে দেখলাম তখন আর সুযোগ হাতছাড়া করলাম না।আশেপাশে কোনো বাহন না পেয়ে অগত্যা রিকসার পেছনে দৌড়ানো শুরু করলাম।হাল্কা পায়ে দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে সে যেন পেছনে ফিরে না তাকায় এই প্রার্থনা করছিলাম আর উপলব্ধি করছিলাম,পুরুষ যত ব্যক্তিত্ব সম্পন্নই হোক না কেন প্রেমে পড়লে নারীর সামনে তা মাটিতে লুটাবেই।অবশেষে আমার পরিশ্রম সার্থক হলো তার হলের ঠিকা্না খুঁজে পেলাম।


এর পরে আর থেমে থাকতে হয়নি।পরিচিত বান্ধবীদের সাহায্যে নাম ঠিকানা জোগাড় হলো,তারপর পরিচয় এবং অবশেষে প্রেম।তবে তাকে রাজি করাতেও আমার শরীরের কম ঘাম ঝরাতে হয়নি।মেয়েরা যখন বুঝে যায় যে কোনো পুরুষ তার মাঝে পাকাপাকি ভাবে আটকা পড়েছে তখন কেন জানি তারা সেই পুরুষকে নিয়ে খেলতে থাকে।ধরাও দেয় না আবার পুরোপুরি ছেড়েও যায় না।ধরি ছাড়ি করে করে ছেলেটিকে আরো ব্যাকুল করে তোলে, তার জন্য একেবারে পাগল করে তোলে।তারপর একদিন হঠাত করে আত্মসমর্পন করে বসে।খেলার পর্ব শেষে যখন সে ধরা দিল তখন বুঝলাম,যে সম্পদ পেয়েছি তার জন্য পরিশ্রমটুকু খুব বেশি ছিলনা।


আমাদের দিনগুলো কাটছিল সুখের সাগরে ভেসে।একজন প্রেমিক পুরুষের একজন প্রেয়সী নারীর মাঝে যা কিছু পাওয়ার থাকে তার সবই আমি পেয়েছিলাম।সেইসাথে আমি যেন আরো একটু কিছু পেয়েছিলাম যা আমার জন্য সারা পৃথিবীতে ছিল দূর্লভ।আমি জানিনা সেই জিনিসটাকে ঠিক কিভাবে ব্যাখ্যা করা যায় কিন্ত সেই জিনিসটা ছিল অনেকটা আস্থার মত।অনেকটা তেমন আস্থা যেমনটা একজন মায়ের কাছে পাওয়া যায়।সে ছিল আমার জন্য একটা নিশ্চিন্ত নির্ভরতার আশ্রয়।শৈশবেই মাকে হারিয়েছিলাম।তারপর মানুষ হয়েছি বড় আপার কোলে এবং তারপরে বিশ্ববিদ্যালয়ে পা দেয়ার আগে পর্যন্ত ভাবিদের সংসারে। আদর যত্নের কোনো কমতি ছিলনা কোনোকালেই কিন্ত তবুও কোথায় যেন একটা ঘাটতি থেকে যায়।নিজের জন্মগত অধিকারের মাঝে মায়ের কাছে যেমন একটা শান্তিময় আশ্রয় থাকে অনেকটা তেমন একটা প্রশান্তি আর প্রশ্রয়ের জায়গা খুজে পেয়েছিলাম আমি নিশির মাঝে।অনেক বিজ্ঞ মানুষেরা বলে,ছেলেরা নাকি মনে মনে এমন স্ত্রী কামনা করে যার সাথে নিজের মায়ের কিছু না কিছু মিল থাকে।আমি এবিষয়ে নিশ্চিত নই কারন মায়ের খুব বেশি স্মৃতি আমার মনে নেই,আমি আসলে জানিও না তিনি কেমন ছিলেন।কিন্ত নিশির কাছে থাকলে আমার এমন অনুভুতি হতো যে এই মেয়েটিকে আমি নিশ্চিন্তে বিশ্বাস করতে পারি,সে আমাকে ঠকাবে না,ছেড়ে যাবে না বা অমঙ্গল কামনা করবে না।বর্তমানে প্রেমিকার মাঝে এমন আস্থা পাওয়া যে খুব সুলভ নয় তা আমি অন্যদের অবস্থা দেখেই বুঝেছিলাম।তাই আমি আমার জীবনে পাওয়া এই অমূল্য সম্পদটির কোনো অযত্ন হতে দিতাম না।


একসময় আমার শিক্ষাজীবন শেষ হয়ে আসল।এবার নীড় সাজানোর পালা।কোনদিক থেকেই বড় কোন বাধা ছিলনা।তখন আমাদের দিন কাটত রঙিন স্বপ্নের জাল বুনে,ভবিষ্যত পরিকল্পনায় বিভোর হয়ে।অপেক্ষা ছিল নিশির গ্রাজুয়েশন শেষ হওয়ার।তাও একসময় শেষ হলো কিন্ত আমাদের জীবনের টুইটম্বুর সুখ হয়ত নিয়তির সহ্য হলোনা তাই কালো ছায়ার মত নেমে এল সেই এক্সিডেন্ট।একদিন সকালে অফিস যাওয়ার পথে আমার সি,এন,জি এক ভয়ানক দূর্ঘটনার শিকার হলো।হতভাগ্য ড্রাইভার সাথে সাথেই মারা পড়ল।আমি বেঁচে গেলাম সেই ড্রাইভারের চেয়ে আরো বেশি হতভাগ্য হয়ে।আমার ডান পা হাঁটুর ছয় ইঞ্চি নিচ থেকে কাটা পড়ল।পা নয় যেন আমার জীবনের সুখস্বপ্ন গুলোই নির্মমভাবে কাটা পড়ল।


এক্সিডেন্ট এর পর হাসপাতালে যখন অল্পক্ষনের জন্য প্রথম চোখ খুলে তাকালাম তখন চোখে পড়ল অনেকগুলো অশ্রুসজল উদ্বিঘ্ন মুখ।এরপর আবার যখন চোখ খুললাম সামনে দেখলাম সেই চিরচেনা স্নিগ্ধ মুখটি।তখন ছিল সকালের প্রথম প্রহর।জানালা দিয়ে বেশ নরম কিন্ত উজ্জ্বল আলো এসে পড়ছিল।সেই আলোয় স্পস্টই বোঝা যাচ্ছিল তার টানাটানা চোখদুটির নিচের গভীর কালির ছাপ।সেই সাথে তার মুখের ফ্যাকাশে ভাবটা ও পরিষ্কারভাবে চোখে পড়ছিল।তাকে দেখামাত্র আমার মনটা ভালবাসায় আর বেদনার ঢেউ এ ভেসে গেল।আহা বেচারী!!আমার জন্য দুশ্চিন্তায়,অনাহারে,রাত্রীজাগরনে না জানি তার দিনগুলো কিভাবে,কত কষ্টে কেটেছে।কিন্ত এখন আর চিন্তা কি আমি তো ভালই হয়ে যাচ্ছি।আ্মার হাসির জবাবে তার হাসিটি ছিল মলিন।তার চোখের তীব্র বিষাদ,হতাশা আর হতবিহবলতা দেখে আমার প্রথম সন্দেহ হলো কিছু একটা যেন ঠিক নেই।তারপর উঠে বসতে গিয়ে আমি সবই বুঝলাম।তখনকার অনুভুতিটি আমি কিভাবে ব্যাখ্যা করি?মাথাটা ঘুরে উঠল,মনেহলো আমি যেন এক অসীম শূন্যতার মাঝে হারিয়ে যাচ্ছি আর আমার সব প্রিয়জন,জীবনের সমস্ত সাধ আমার থেকে দূরে চলে যাচ্ছে।ইচ্ছা করছিল চিতকার করে সারা পৃথিবী বিদীর্ন করে দিতে।কিন্ত নিশির কথা ভেবে তা করলাম না।কাঁদলাম না বা অন্য কোনোভাবে নিজের অনুভুতি প্রকাশ করলাম না।শুধু দুজনে দুজনার হাত ধরে চুপচাপ বসে রইলাম।


যে কয়দিন হাসপাতালে ছিলাম,নিশি প্রতিদিন আসত,আমার সেবা করত,আমার পাশে বসে থাকত।ভাবিরা যখন ওকে ঠেলে বাসায় পাঠাত বিশ্রাম নেয়ার জন্য তখন আমার কেমন যেন ফাঁকা ফাঁকা লাগত্।নিশির বাবা-মাও দুএকবার এসেছিল আমাকে দেখতে।তারা আমার সামনে কেমন যেন বিব্রত বোধ করতেন,যেন সামনে থেকে পালাতে পারলেই বাঁচে।আমি বুঝতাম তাদের এই চঞ্চলতা।গলার কাছে একরাশ কান্না দলা পাকিয়ে উঠত।একটু করে সুস্থ হয়ে উঠার সাথেই যে আমি নিশির থেকে একটু একটু করে দূরে চলে যাচ্ছি তা বেশ বুঝতে পারতাম।সত্যি বলতে আমার অঙ্গহানী যেন আমার জন্য বড় ক্ষতি বলে মনে হতোনা বরং নিশিকে পাব না এটাই আমার সবচেয়ে বড় ক্ষতি বলে মনে হতো।ওর বাবা-মা নিশ্চয় একজন পঙ্গু ছেলের হাতে তাদের মেয়ে তুলে দেবে না।আর নিশিই বা কেন পঙ্গু একজন কে বিয়ে করে সারাজীবন ধরে বোঝা বইবে?ওর মত যোগ্য আর শিক্ষিত মেয়ের জন্য অনেক সুন্দর একটা ভবিষ্যত অপেক্ষা করে আছে।কিন্তকিছুদিন আগেও আমি সেই সুন্দর ভবিষ্যতের অংশ ছিলাম আর আজ বিছানায় অসহায় হয়ে পড়ে আছি, কয়দিন পর হবো সকলের অবজ্ঞার পাত্র।নিশিই কেনই বা আমার সাথে থাকবে।একমাস আগেও আমি ছিলাম নিশির মত মেয়ের ভালবাসার পাত্র কিন্ত এখন আমাকে করুনা ছাড়া আর কিছুই করা চলে না।এসব ভেবে ভেবে আমার সকলের প্রতি অভিমান হতো,নিশির প্রতি,সমাজের প্রতি,ঈশ্বরের প্রতি।জমে থাকা অভিমানগুলো রাতের অন্ধকারে কান্না হয়ে গলে পড়ত।কারন আমি যে পুরুষ।আমাকে যে কাঁদতে নেই,আর কাঁদলেও তা অন্য কাওকে দেখতে নেই।

যখন কল্পনা করতাম নিশি অন্য কারো জীবন সঙ্গিনী হচ্ছে,অন্য কাওকে ভালবাসায় ভরিয়ে দিচ্ছে আমি নিজেকে স্থির রাখতে পারতাম না।মাঝে মাঝে নিশির সাথে খুব খারাপ ব্যবহার করতাম।তবুও নিশি আমার কাছে আসত,আমার যত্ন নিত।তেমনি কোমল স্বরে আমার সাথে কথা বলত। আমার ব্যহারের কোনো প্রভাব তার উপর পরে বলে মনে হতো না।মাঝে মাঝে আমার মনে হত ওর দুটো পা জড়িয়ে ধরে মিনতি করি যেন সে আমাকে ছেড়ে না যায়।যদি ওকে আর একটু কম ভালবাসতাম তাহলে হয়ত তা করতে পারতাম কিন্ত নিজের ভালর জন্য ওর জীবনটা নষ্ট করার মত স্বার্থপর হাওয়া আমার পক্ষে সম্ভব ছিলনা।


অবশেষে হাসপাতাল ছেড়ে যাওয়ার সময় এসে গেল।আমি সেই দুপুরটা জীবনেও ভুলব না।হাসপাতাল ছেড়ে যাওয়ার আগের দিন দুপুরে নিশি আমার কাছে আসল প্রতিদিনের মতই।এসময় আমার কেবিনে এমনিতেও কেউ থাকেনা,সেদিনও ছিলনা।আমি আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিলাম বিদায়কালে ওকে কি বলবো।কিন্ত নিশির কথাতে আমার সমস্তকিছু এলোমেলো হয়ে গেল।নিশি আমার বেডের কাছে হাঁটু গেড়ে বসে আমার হাত দুটো ধরে বলল,তোমাকে ছাড়া আমার জীবনটা অর্থহীন মনে হয়।আমি তোমাকে ভালবাসি,তোমাকে চাই।প্লিজ তুমি আমাকে বিয়ে কর।ওর এই অভাবিত আচরনে আমার আকাশ থেকে পড়ার মত অবস্থা হলো,ভাবলাম ওর নিশ্চয় মাথা খারাপ হয়ে গেছে।যদিও একটু পড়েই আমার বুকের রক্তে খুশির জলোচ্ছাস বইতে লাগল।তবুও আমি ওকে বোঝানোর চেষ্টা করলাম,চেষ্টা করলাম গলার স্বর এবং ভাষাটা যত সম্ভব কর্কশ করতে।কিন্ত ও জিদ ধরে রইল,বললো আমার পায়ের সমস্যাটা ছাড়া অন্যকোনো শারীরিক অক্ষমতা নেই,বিচার বুদ্ধি ঠিক আছে তাহলে আর বিয়ে করতে সমস্যা কি।জীবনটা হয়ত যেভাবে সাজাবো ভেবেছিলাম সেভাবে সাজাতে পারবো না কিন্ত দুজন একসাথে থাকলে কোনো সমস্যা হবে না মানিয়ে নিতে।এক্সিডেন্টের পর আমি ভেবেছিলাম আমার জীবনটা ধবংস হয়ে গেছে কিন্ত সেদিন ওর কথা শুনে নতুন আশা পেলাম।মনে হলো এখনও অনেক কিছু আছে করার মত।আমি নিশিকে জানালাম তাকে ছাড়া আমার জীবনটা অন্ধকার হয়ে যাবে কিন্ত তার বাবা-মা কি রাজি হবে?ও খুব দৃঢ়তার সাথে বলল,জীবনটা আমাদের দুজনের।কারো রাজি অরাজির তোয়াক্কা সে করে না।কেউ রাজি না থাকলেও সে আমাকে নিয়েই ঘর বাঁধবে।আমি নিশিকে চিনতাম।তার যদি মনে হয় কিছু করবে তো সে তা করবেই।সেদিন আমার ঘনায়মান অন্ধকার জীবনের কোনে উজ্জ্বল একটা প্রদীপ জ্বলে উঠল।


ভবেছিলাম এক্সিডেন্টের পর জীবনটা বুঝি ভীষন পানসে হয়ে যাবে কিন্ত তা তো হলোই না বরং নিশির কল্যানে আগের চেয়েও বেশি উত্তেজনা দিয়ে পূর্ন হয়ে গেল।জানা কথা এ বিয়েতে নিশির বাবা-মায়ের মত থাকবে না তার উপর তারা আমার ভাইদের ফোন দিয়ে যা তা দুকথা শুনিয়ে দিলেন।তখন তারাও বেঁকে বসল।বছরক্ষানেক আগে আমার বাবা গত হয়েছিলেন তাই অভিভাবক বলতে বড় ভাই দুজনই ছিলেন।অভিভাবকদের মাঝে যখন দা-কুমড়ো সম্পর্ক হয়ে গেল তখন নিজেদের দায়িত্ব নিজেদেরই নিতে হলো।হাসপাতাল থেকেই আমাকে একটা নকল পায়ের ব্যবস্থা দেয়া হয়েছিল।লাঠির সাহায্য ছাড়া এই জিনিসটাতে অভ্যস্ত হয়ে গেলেও আমাকে কিছুটা খুড়িয়ে হাঁটতে হতো তাই বাইরে বেশি যেতাম না।কিন্ত এক দুপুরে নিশির হাত ধরে ঠিকই রাস্তায় বের হয়ে পড়লাম।এটা না বলে অবশ্য বলা উচিত ফাঁকা বাসা পেয়ে সুযোগ বুঝে নিশি আমাকে নিয়ে পালিয়ে আসল।আমদের গন্তব্য ছিল রংপুর যেখানে আমার বড়আপার বাসা।একমাত্র তিনিই আমাদের ব্যপারটা্তে রাজি ছিলেন।সেখানেই উভয়পক্ষের কিছু বন্ধুবান্ধবের উপস্থিতিতে আমাদের বিয়েটা আপা-দুলাভাই দিয়ে দিলেন।বিয়ের পর শহরে ফিরে আমরা আগে থেকে ঠিক করে রাখা বাসাতে উঠলাম।আমি চাকরির সময় থেকেই এই বাসাতে থাকতাম,ইচ্ছা ছিল এখানেই সংসার শুরু করবো।সংসার তো শুরু হলো কিন্ত উভয় পক্ষের আত্মীয়রা মুখ ফিরিয়েই রইলেন।তার উপর নিশির বাবা-মা,আত্মীয়রা প্রায়দিন বাসায় এসে নতুন নতুন নাটক শুরু করলেন।তারা নিশিকে জোর করে নিয়ে যেতে চাইতেন,আমাকে গালাগালি তো দিতেনই সেই সাথে হুমকিও দিতেন।একদিন তো বাড়িতে পুলিশও আসল।শুধু পুলিশ নয় ভাড়াটে গুন্ডাদের ও আনাগোনা শুরু হলো বাসার সামনে।এসব যন্ত্রনায় অতিষ্ট হয়ে আমরা শহর ছেড়ে অনেকদূরে্র শহর সিলেটে এসে বসবাস শুরু করলাম।


সিলেটে এসে জমানো টাকা শেষ হয়ে যাওয়ার আগেই একটা ভাল চাকরি পেয়েছিলাম।কিন্ত খুঁড়িয়ে হাঁটতাম বলে বাইরে বের হলে মানুষগুলো কেমন করে যেন তাকিয়ে থাকত।তাছাড়া মানুষের ভীরের সাথে পাল্লা দিয়ে চলা সহজ ছিলনা আমার পক্ষে।নিশি আমার অসুবিধাটা কিভাবে যেন বুঝে গেল।সেই পরামর্শ দিল চাকরি ছেড়ে দিয়ে ঘরে বসেই ইন্টারনেটে ফ্রিল্যন্সিং এর কাজ শুরু করার।প্রস্তাবটা আমার খুব পছন্দ হলো কারন এধরনের কাজে আমার প্রবল আগ্রহ ছিল অনেক আগে থেকেই।নিশির অনার্সের রেজাল্ট তখনও হয়নি তাই তার পক্ষে ভাল চাকরি পাওয়া সম্ভব হচ্ছিলনা।তাই সে ঠিক করল যতদিন না আমার ফ্রিল্যান্সিং এ ভাল পরিচিতি বা আয় না হচ্ছে ততদিন বাসাতে বসেই ছোটখাট ব্যবসা শুরু করবে।তার রান্নার ভীষন শখ ছিল,সুযোগ পেলেই নানারকম কুকিং কোর্সে ভর্তি হয়ে যেত।সেসব এখন কাজে লাগল।সে ঘরে বসেই বিভিন্ন বেকারি আইটেম কাস্টোমারের অর্ডার অনুযায়ী তৈরী করে দিত।আর আমি আমার হুইল চেয়ারে বসে সারাদিন ইন্টারনেট ঘাটাঘাটি করতাম।এভাবেই আমরা আমাদের নতুন জীবন শুরু করলাম।সেই জীবনে সুখের কোনো অভাব ছিলনা।আমার ভাইদের মন ফিরলেও নিশির বাসার সবাই তখনও নারাজ ছিলেন,অভাব বলতে এই একটাই ছিল আমাদের জীবনে।


এভাবে প্রায় পাঁচ বছর কেটে গেল।এর মাঝেই আমাদের জীবন আমরা অনেকটা গুছিয়ে নিলাম।আমার ফ্রিল্যান্সিং থেকে ভাল আয় হতে লাগল আর নিশির তৈরী খাবারের তো এত চাহিদা আর পরিচিতি তৈরী হলো যে নিশিকে তার কাজের সাহায্যের জন্য লোক রাখতে হলো।আমাদের নতুন কেনা একতলা বাসাটার সামনে চেয়ার টেবিল ফেলে ছোট একটা ক্যাফেও আমরা তৈরী করলাম।সারাদিন আমরা কাজে ব্যস্ত থাকতাম,দুজনেই একে অপরকে কাজে সাহায্য করতাম কিন্ত সবচেয়ে বড় কথা হলো আমরা সারাদিন একে অপরের কাছাকাছি থাকতে পারতাম।শুরুতে আমাদের কিছুই ছিলনা কিন্ত আমরা আমাদের পরিশ্রম আর ভালবাসাকে পূঁজি করে নিজেদের সুখের স্বর্গটি নিজেদের মত করে গড়ে নিতে পেরেছিলাম।আর এই সবকিছু সম্ভব হয়েছিল নিশির সাহসের জন্য।ও যদি তখন আমাকে বিয়ে করার সাহস না দেখাত তবে হয়ত জীবনের গতি অন্যরকম হতো।


পাঁচটা বছর পরম সুখে কাটানোর পর আমাদের জীবনে আবার ছায়া নেমে এল।নিশি দিন দিন কেমন যেন অসুস্থ আর নিস্তেজ হয়ে যেতে লাগল।ডাক্তার কি বলেছিল তা সে আমাকে জানতে দিলনা কিন্ত আমার অজান্তেই আরো একটা সাহসী পদক্ষেপ নিয়ে ফেলল।নিয়মিত ডাক্তার দেখানোর ফলে ওর স্বাস্থের উন্নতি হলেও তার শরীর আর আগের মত শক্ত সমর্থ রইল না।এর মাঝেই শুনলাম জীবনের অন্যতম সুখের সংবাদ,আমাকে আর নিশিকে মিলিয়ে একটি নতুন প্রানের আগমন সংবাদ।দুজনেই অনেক খুশি ছিলাম কিন্ত নিশির ভেতরে আরো কি যেন একটা ছিল।সে অনেক চেষ্টা করে আমার কাছ থেকে নিজের চিন্তা লুকিয়ে রেখেছিল।আমাকে বিন্দুমাত্র জানতে দেয়নি তার ভয়ানক প্লান।আমি এখন কল্পনা করে অবাক হই যে সে কিভাবে আমার কাছ থেকে তার মনের এত গভীর বিষাদ লুকিয়ে রেখেছিল।মাঝেমাঝে গভীর রাতে ও ফুঁপিয়ে কাঁদত,আমার ঘুম ভেঙ্গে গেলে আমায় বলত খারাপ স্বপ্ন দেখেছে।যাই হোক একদিন ও আমাদের ফুটফুটে রাজকন্যাটির জন্ম দিল আর সেদিনই আমি প্রকৃত সত্যটি জানতে পারলাম।আমার নিশি আসলে একধরনের ক্যান্সারে ভুগছিল।হাসপাতালে ওর জ্ঞান ফিরলে আমার অশ্রুসিক্ত চোখ দেখে হাতদুটো দূর্বল হাত দিয়ে ছুঁয়ে বলেছিল,সে যখন জানতে পারল তার কি হয়েছে তখন আমার জন্য সে ভীত হয়ে উঠল।তার কিছু হলে আমি চিরদিনের মত একা হয়ে যাব।তাই সে আমার বেঁচে থাকার একটা অবলম্বন তৈরী করতে চেয়েছিল।নিশির ডাক্তারের সাথে কথা বলে জানতে পারলাম,এধরনের ক্যন্সারে মানুষের মৃত্যুর হার কম কারন এর ভাল চিকিতসা আছে।তবে নিশি বাচ্চার জন্য কেমোথেরাপি করাতে রাজি হয়নি,হাজার বোঝানোর পরও নিজের জিদ বজায় রেখেছে।

এরপর একদিকে নিশির চিকিতসা চলতে থাকল অন্যদিকে আমাদের রাজকন্য্যা বেড়ে উঠতে লাগল।নিশি প্রায় সুস্থই ছিল।ডাক্তাররাও সন্তষ্ট ছিলেন,বলেছিলেন ভয়ের কিছু নেই।কিন্ত সকলের ধারনা ভুল প্রমানিত করে মেয়ের জন্মের তিন বছরের মাথায় সে হঠাত ভয়ানক অসুস্থ হয়ে পড়ল।খুব দ্রুত প্রায় সাতদিনের মাথায় সব শেষ হয়ে গেল।শেষদিন গুলোতে নিশির ভীষন কষ্ট হতো কিন্ত সে সারাক্ষন আমাকে শান্তনা দিত,সাহস যোগাত আর বলত সে নাকি অনেক আগে থেকেই জানত এমনটা হবে।আমার মাঝে মাঝে মনে হয় অসুখ ধরা পড়ার পর একবছর যদি তার ঠিকঠাক চিকিতসা হতো তবে হয়ত সে বেঁচে যেত কিন্ত আমা্র জন্য অবলম্বন এনে দিতে গিয়ে সে নিজেকে বিসর্জন দিয়েছে।




এ পর্যন্ত লিখে আফজাল কী-বোর্ডটা সরিয়ে রাখে।তার মাথাটা ভীষন ধরেছে।সে যখন লেখা শুরু করেছে তখন ছিল সকাল আর এখন শেষ বিকেলের পড়ন্ত রোদ জানালা দিয়ে ভেতরে ঢুকছে।বুড়ো চাকরটি অনেকবার খাবারের জন্য তাগাদা দিয়ে ফিরে গেছে।কিন্ত সে কোনোদিকে না তকিয়ে একটানা লিখে গেছে।যে তার গল্প লেখার প্রেরনা ছিল সে কোনোদিন তার লেখা কোনো গল্প পড়েনি।আজকের গল্পটি কেমন হয়েছে তা সে ঠিক বুঝতে পারছে না কিন্ত গল্পটি লিখে সে নিজের ভেতরে কেমন যেন একটা প্রশান্তি অনুভব করছে।কারন অনেক আগে থেকেই সে ভেবেছিল এমন একটা গল্প লিখবে কিন্ত কেন যেন এতদিন লিখে উঠতে পারেনি।সে যখনই ভাবছিল প্যাকেটের শেষ সিগারেটটি ধরাবে তখনি একটা নরম হাত পেছন থেকে তার গলা জড়িয়ে ধরল,আর আর একটি হাত দিয়ে তার লাইটারটি কেড়ে নিল।মিষ্টি কিশোরী গলায় সেই হাতের অধিকারিনী বলে উঠল,বাবা আব্দুল বলেছে তুমি সারাদিন কিছু খাওনি।ভীষন অন্যায় করেছ,এইজন্য তোমার শাস্তি হবে।আফজাল হেসে স্কুল ড্রেস পড়া মেয়েকে সামনে টেনে নেয়।সে এবছর তেরতে পড়ল কিন্ত এরই মধ্য মায়ের মত খবরদারি করা শিখে গেছে।আফজাল সস্নেহে মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়।মেয়েটি একদম তার মায়ের আদল পেয়েছে।দেখে বড় মায়া হয়।মেয়েটি বাবাকে তাড়া দিয়ে খাবার ঘরে নেয়ার চেষ্টা করে।সে হুইল চেয়ারটি ঠেলে খাবার ঘরে নিতে নিতে সারাদিনের জমিয়ে রাখা গল্পের ঝুলির মুখ খুলে দেয়।যদিও আফজালের নিজের চেয়ার চালিয়ে নিতে সমস্যা হয়না কিন্ত এটা তার মেয়ের একটা প্রিয় খেলা। আফজাল মেয়ের কথা শুনতে শুনতে মনে মনে বলতে থাকে,নির্ঝরা তুমি ঠিকই বলেছিলে।আমার বেঁচে থাকার জন্য এমন একটা অবলম্বনের সত্যিই খুব দরকার ছিল।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:৪৪

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: কিছুটা টিপিক্যাল কিন্তু ভালো লাগলো ।

শুভেচ্ছা অনেক :)

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৫৯

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: ধন্যবাদ!!! :)

২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:৫৭

দীপংকর চন্দ বলেছেন: ভালো লাগা রইলো।

শুভকামনা। অনিঃশেষ।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:০১

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ!!!
ভাল থাকবেন।

৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:১২

জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
বর্ণনার আধিক্যে ঝুলে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি ৷গল্পের প্লট অনেকেই ব্যবহার করেছেন ৷ভাল থাকবেন ৷

২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:২৯

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: আমি জানি ব্লগে মানুষ ছোট ছোট লেখা পড়তেই বেশি পছন্দ করেন কিন্ত আমার গল্পে বরাবরই বর্ননা বেশি থাকে।কারনটাও বলি,আমার কাছে মনে হয় বর্ননাহীন কাহিনী অনেকটা রক্ত-মাংশ হীন কঙ্কালের মত।তাছাড়া অল্প কথায় পরিস্থিতি বুঝিয়ে দেয়ার মত পাকা হাত এখনও আমার হয়নি।
জানি এইসব বিশাল বিশাল লেখার জন্য ব্লগে আমার পাঠক কম কিন্ত পাঠক বাড়ানোর জন্য লেখার সাইজ কমিয়ে ফেললে আমি যা বলতে চাই এবং যেভাবে বলতে চাই সেটা বলতে পারবো না।তাহলে ব্লগিংটা তো আর আনন্দময় থাকবে না।আমি আসলে তাদের জন্য লিখে আরাম পাই যারা একটু বর্ননামূলক বড় সাইজের লেখা পড়তে ভালবাসে।

গল্পের প্লটের ব্যাপারে যা বলেছেন তা ঠিকই বলেছেন স্বীকার করছি।তবে এটুকু নিশ্চয়তা দিতে পারি যে কারোটা কপি করিনি।অনেকে যে ধরনের গল্প আগে থেকেই শুনিয়েছেন আমি তেমনি একটা গল্প একেবারে নিজের মত করে শুনিয়েছি।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।ভাল থাকবেন।

৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:০৫

মামুন রশিদ বলেছেন: গল্পের আঙ্গিকটা ভালো লেগেছে । ডিটেইলিং আরেকটু ঝরঝরে প্রাণবন্ত হলে দারুণ একটা গল্প হয়ে উঠবে ।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:৪২

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: গল্পটা আসলে থেমে থেমে লেখা হয়েছে,পর্যাপ্ত মনোযোগ আর যত্নের অভাবেই এই অবস্থা।আপনার সুপরামর্শ আগামী লেখাগুলোতে অনেক কাজে দেবে।ধন্যবাদ। :) :) :)

৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৪৩

হু বলেছেন: আপনিতো আমাকে চিন্তায় ফেলে দিলেন??? এই ধরণের একটা গল্প আমার মাথায় অনেক দিন আগে ঘুরপাক খাচ্ছিল, লিখা হয় নি। আমি গল্প লিখার সাহস পাই না। যাই হোক , আপনি কিভাবে আমার মাথার আইডিয়াটা কপি করলেন বুঝলাম না B-) B-) B-)
ধন্যবাদ আপনাকে আপনি আমার মনের চিন্তাটা লিখে দিয়েছেন গল্পের মাধ্যমে।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৪৪

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: ভাই লিখে ফেলার পর বুঝতে পারলাম এমন গল্প শুধু আপনার বা আমার না আরো অনেকের মাথাতেই ঘুরপাক খায়।কি আর করা,আপনার টা যখন কপি করেছি আপনিও আমার মাথা থেকে আইডিয়া কপি করে একটা গল্প লিখে ফেলেন।
তাহলেই তো শোধবোধ। ;)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.