নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সন্ধ্যা প্রদীপ

আমার সমস্ত চেতনা যদি শব্দে তুলে ধরতে পারতাম

সন্ধ্যা প্রদীপ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভৌতিক গল্পঃ অন্যজন

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:২৮

মানুষের জীবনে এমন অনেক কিছুই ঘটে যা লৌকিকতার আলোকে ব্যাখ্যা করা যায় না।অনেকে সেগুলোকে বলে ভৌতিক অভিজ্ঞতা,অলৌকিক ঘটনা কিংবা শুধুই রহস্য।আমি পার্থিব মানুষ,অলৌকিক কিছু আছে কি নেই তা নিয়ে আমি আগে মোটেও মাথা ঘামাইনি।জন্মের পর থেকে বাস্তবতা আর অতি বাস্তবতার মাঝেই আমার বসবাস।কিন্ত এই আমার সাথেই ঘটেছিল সেই গভির রহস্যময় ঘটনা।



তখন আমার বিয়ের এক বছর হয়েছে কেবল,আমার সাহেবের বদলি হলো এক ছোট শহরে।নামে শহর হলেও সেটা অনেক শান্ত আর ছিমছাম।সেই শহরের একটা গাছগাছালী ঘেরা ছায়াছায়া ছোট্ট বাড়িতে আমরা আমাদের প্রথম সংসার পাতলাম।দোতলা বাড়িটার নিচ তলায় কোনো ভাড়াটিয়া ছিলনা তাই সেটা গোডাউন হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছিল।আমার অবশ্য এ নিয়ে আপত্তি ছিলনা কারন এরকম ছিমছাম পরিবেশ আমার ভালই লাগে।তাছাড়া এলাকাটা মোটেও নীরব নয়,আসেপাশে অনেক বাড়ি আছে।এছাড়াও আমার বাসার উল্টোদিকে রাস্তার ওপারে বাচ্চাদের একটা স্কুল আছে।সেখানে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মানুষের হৈ চৈ লেগেই থাকে।এসব ছাড়াও বাসাটা আমার পছন্দ হয়েছিল কারন বাসার সামনে রয়েছে বেশ খানিকটা বাগানের মত জায়গা,পেছনের জায়গাটাও বেশ বড় তবে সেখানে সব বড় বড় গাছ।সবচেয়ে বড় ছিল একটা কড়ই গাছ যেটা দোতলার ছাঁদ ছাড়িয়ে আরো অনেকখানি উঠে গিয়েছিল।সেই গাছের ছায়ার কারনেই বাসার পেছনের দিকটা বেশি অন্ধকার আর ঠান্ডা থাকত।গ্রীষ্মের রৌদ্রতপ্ত দুপুরগুলো ঐদিকের ঘরগুলোতে কাটাতে বেশ ভাল লাগত।এতখানি বাগানসহ আস্ত বাসা পেয়ে আমার মনে খুশির অন্ত ছিলনা।ইচ্ছা ছিল একটু গুছিয়ে নিয়েই সামনের দিকে আগাছা পরিষ্কার করে ফুলের বাগান করবো।আমার সাহেবের অবশ্য তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া দেখলামনা।তাতে অবশ্য অবাক হইনি কারন বিয়ের পর থেকেই আমি তাকে এমনই দেখছি।





সে যাই হোক দিনগুলো আমাদের ঐ বাড়িতে ভালই কাটতে লাগল।কয়দিনের মাঝেই আমি আমাদের বাসাটা চমতকার ভাবে গুছিয়ে নিলাম।বাসাটাতে ছিল তিনটি রুম,দুটো বাথরুম,রান্নাঘর আর খাবারঘর।বাসার সামনের দিকে বেশ বড় একটা বারান্দাও ছিল।আমি বারান্দাসহ সবচেয়ে বড় রুমটাকেই আমাদের বেডরুম হিসাবে বেছে নিয়েছিলাম।বাসা গোছানো শেষ হতেই আমার ব্যস্ততা ফুরিয়ে গেল তখনি পড়লাম আসল সমস্যায়।এতদিন শশুড় বাড়িতে অনেক মানুষের মাঝে থেকে অভ্যস্ত ছিলাম তাই একা থাকাটাও যে যন্ত্রনা তা কখনো বুঝতে পারিনি।শশুড়বাড়িতে খারাপ লাগলে এতদিন হুটহাট বাপের বাড়ি চলে যেতাম রিক্সা নিয়ে।কিন্ত এই বাসায় সাহেব অফিসে চলে গেলে আমি সম্পূর্ন একা হয়ে পড়ি।শহরে চেনা কেউ নেই যে তার বাসায় যাব।এই প্রথম বাসার সবার জন্য মন কেমন করতে লাগল।কিছুদিন পর অবশ্য সে কষ্টও কাটিয়ে উঠলাম।সে অফিসে চলে গেলে ধীরে ধীরে বাসার সমস্ত কাজ করতাম,অবসরে গান শুনতাম,বই পড়তাম বা সেলাই করতাম আর কিছুই যখন ভাল লাগত না তখন ছাদে দাঁড়িয়ে সামনের স্কুল মাঠে বাচ্চাদের দৌড়াদৌড়ি দেখে সময় পার করতাম।তবে স্কুল ছুটি হয়ে গেলে চারিদিক বেশ নীরব হয়ে যেত।তখন আর কিছুই ভাল লাগত না।





আমরা ভালই ছিলাম।সুখে কানায় কানায় পূর্ন ছিলাম তা হয়ত বলতে পারব না কিন্ত আবার অসুখিও ছিলাম না। আমার জীবনসঙ্গী মানুষটি ভাল কিন্ত আমার থেকে আলাদা।মামার ঘটকালিতে পারিবারিকভাবেই বিয়েটা হয়েছিল তাই আগে থেকে বোঝাপড়া তৈরী হওয়ার সুযোগ ঘটেনি।বিয়ের পর থেকে সে কখনো আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করেনি কিন্ত মনটা একেবারে খাপে খাপে মিলেছে এটাও দাবী করতে পারবো না।আমি বরাবরই উচ্ছল প্রকৃতির কিন্ত সে বেশ অন্তর্মুখী আর চুপচাপ।সে বয়সে আমার চেয়ে মাত্র চার বছরের বড় ছিল কিন্ত আমার ছেলেমানুষী ইচ্ছাগুলো সে কখনোই বুঝতো না।সে তার কাজ নিয়েই বেশি ব্যাস্ত থাকত।একজন নারীকে একান্তভাবে পেয়ে পুরুষরা প্রথমদিকে যেমন আহলাদে আটখানা হয় তেমন কিছুই আমি তার মাঝে দেখিনি।তার স্বভাব ছিল ভীষন চাপা।তবে তার কোনো বদ অভ্যাস ছিলনা,সে এমনকি সিগারেটও ছুঁয়ে দেখত না।অফিস শেষে সোজা বাসায় চলে আসত তখন আমরা সামনের বারান্দায় বসে গল্প করতে করতে চা নাস্তা খেতাম।বকবক অবশ্য আমিই বেশি করতাম সে শুধু শুনতো তবুও এসময়টা আমার ভীষন ভাল লাগত।বিয়ের পর প্রথম প্রথম আমার বেশ অভিমান হতো ওর উপর।কিন্ত একসময় দেখলাম এই অভিমানও বৃথা কারন সে অভিমানও বোঝেনা,কি করে মান ভাঙ্গাতে হত তা জানেনা।অগত্যা আমার নিজেকেই নরম হতে হলো।বুঝলাম আমার ছোট ছোট সাধগুলো অপূর্নই রয়ে যাবে আর এভাবেই হয়ত আমার সমস্ত জীবনটা কাটাতে হবে।মাঝে মাঝে ভাবতাম মানুষ বোধ হয় পরিপূর্নভাবে সুখী হতে পারেনা।তাই যা পেয়েছি তা নিয়েই জীবন কাটাতে প্রস্তুত হচ্ছিলাম।





ইতোমধ্যে প্রায় তিন মাস হয়ে গেছে এশহরে আমাদের আগমন।একদিন সকাল থেকেই আমার মধ্যে জ্বর জ্বর ভাব,শরীরটা ভাল যাচ্ছিল না।ও অফিসে যাওয়ার পর আমি ক্লান্ত হয়ে আবার ঘুমিয়ে পরেছিলাম।ঘুম ভাঙ্গল কলিংবেলের শব্দে।ভাবলাম কে আসতে পারে,হয়ত দুধওয়ালা হবে।গত চারদিন যাবত সে আসছে না।দরজা খুলে দরজায় সাহেবকে দেখে আমি অবাক হয়ে গেলাম।সে আমার দিকে তাকিয়ে একটা ঝকঝকে হাসি উপহার দিয়ে বললো,আজ তোমার শরীর খারাপ তাই তোমার সাথে লাঞ্চ করবো বলে চলে এলাম।তার এই কথা শুনে আমি যতটা খুশি হলাম ততটাই অবাক হলাম।তার অফিস যে বাসা থেকে খুব বেশি দূর তাও না,মাত্র বিশ টাকা রিক্সাভাড়া কিন্ত ও কখনো বাসায় লাঞ্চ করেনা।প্রতিদিন দুপুরে একা একা খেতে গিয়ে প্রায়ই ভাবতাম ধ্যাত! এভাবে খাওয়া যায় নাকি?কি হয় মাঝেমাঝে বাসায় এসে আমার সাথে খেলে?আজ সে এসেই আমার শরীরের যত্ন নেয়া শুরু করল।জোর করে মাথা ধুইয়ে দিয়ে,গা মুছে খাবার টেবিলে বসাল।ও থাকেনা বলে আমি বেশির ভাগ দিনই দুপুরের রান্না করিনা,খাওয়াও হয় না প্রতিদিন।ও অবশ্য সেটা জানে না।আজ সে ব্যাগ থেকে দু প্যাকেট বিরিয়ানী বের করল,বলল আমার জন্য নাকি স্পেশালভাবে ঝাল মসলা বেশী দিয়ে এনেছে।দুজনে বসে বিরিয়ানী সাবাড় করতে করতে গল্প করলাম।আমার জ্বর মুখে খাবারটা বেশ উপাদেয় লাগল,গোগ্রাসে তৃপ্তি নিয়ে খেলাম।খাওয়ার পরে করে আমাকে জোর করে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে বললো,লক্ষী মেয়ের মত একটা লম্বা ঘুম দাও।তোমার ঘুম ভাঙ্গার আগেই আমি চলে আসবো।যাওয়ার আগে সে আলতো করে আমার কপালে একটা চুমু এঁকে দিল।





ও চলে গেলে খুশিতে আমার চোখ দিয়ে জল পড়তে লাগলো।সেদিন আমার যত খুশি লাগছিল ততটা যেন এই একবছরের বিবাহিত জীবনে লাগেনি।এই ছোট্ট ছোট্ট যত্নগুলোই তো মানুষকে পরিপূর্ন সুখী করতে পারে।আমিতো চিরকাল এমন সুখই চেয়েছিলাম।যাই হোক সন্ধ্যার পর সে ফিরলো কিছু কমলা আর আপেল নিয়ে।সেই সাথে কিছু ঔষধ।ঠোঙ্গায় আপেল দেখে আমি আপন মনেই হেসে ফেললাম।এতদিন হলো বিয়ে হয়েছে কিন্ত ও এখনো জানে না যে আপেল আমি দুচোখে দেখতে পারিনা।তাতে অবশ্য সমস্যা নেই কারন কমলা আমার খুব পছন্দ।ওকে আমার বেশ ক্লান্ত মনে হলো,ফ্রিজের খাবার গরম করে খেয়েই সে বিছানায় শুয়ে পড়ল।আমিও আর তাকে ঘাটালাম না এই ভেবে যে বেচারার সারাদিন অনেক ধকল গেছে।





এরপর থেকে মাঝেমাঝেই সে অফিস থেকে দুপুরে বাড়িতে আসতে লাগলো।আমি প্রতি দুপুরেই তার জন্য অপেক্ষা করতাম,ঠিকমত রান্না করতাম।এই শহরে আসার পর অযত্নের ফলে আমার স্বাস্থ্য বেশ ভেঙ্গে পড়েছিল এখন তা আবার ভাল হওয়া শুরু করলো বরং আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে ভাল হয়ে উঠল।আর তা হবেই বা না কেন?ও যেরকম পূর্ন দৃষ্টিতে গভিরভাবে আমার দিকে তাকায়,যেভাবে আমার প্রতিটা অঙ্গপ্রত্যঙ্গের প্রশংসা করে তাতে যেকোনো মেয়েই নিজের প্রতি দ্বিগুন সজাগ আর যত্নশীল হয়ে উঠবে।সেই নিঝুম দুপুরগুলির স্বল্প অবসরে আমি তার কাছে অবলীলায় বলতাম আমার পেছনে ফেলে আসা সারাটা জীবনের কথা।এর আগেও অবশ্য চেয়েছিলাম ওর সাথে আমার মধুর স্মৃতিগুলি ভাগ করে নিতে কিন্ত কেন জানিনা ও কখনোই মনোযোগ দিয়ে শুনতো না,ওর অনাগ্রহ বুঝে তাই বাধ্য হয়েই নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলাম।কলেজ জীবনে আমি থিয়েটার করতাম,গানের গলাটাও ভাল ছিল। ও সবই জানত কিন্ত কখনো গান শুনতে আবদার করেনি।কিন্ত সেই দুপুরগুলিতে হঠাত হঠাত বলে উঠত, ঋতু একটা গান শোনাও না।ওর মুগ্ধ দৃষ্টির সামনেই আমার কিন্নর কন্ঠের সুর ছড়িয়ে পড়তো বাড়িময়।





ওর ব্যস্ততা দিন দিন বাড়ছিল।অফিসের নতুন ব্রাঞ্চটার সমস্ত ভার ছিল তার মাথায়।তাই তার ফিরতে দেরী হওয়া শুরু হলো।কাজের চাপে ওকে খুব কাহিল বলে মনে হতো।হয়ত সে জন্যেই সন্ধ্যার পর সে একটু চুপচাপই থাকত,কখনো রাত জেগে কাজ করতো।আমিও ওকে জ্বালাতন করতাম না,ওর মত করে থাকতে দিতাম।তাছাড়া মনে হচ্ছিল চাপের কারনেই তার একটু স্মৃতিতে সমস্যা হচ্ছে।যেমন অনেকদিন থেকেই বলছিলাম আমার বাগানের জন্য কিছু ফুলের চারা আর বীজ নিয়ে আসতে।দুই তিন মাস চলে গেল তার কোনো খবর নেই কিন্ত একদিন দুপুরে সে হাত ভর্তি করে সেসব নিয়ে আসল।পরদিন আমি অনেক উতসাহ নিয়ে তা বাগানে লাগালাম।এর ঠিক দশদিন পরই আবার সে একগাদা চারা নিয়ে হাজির।আমার হাতে দিয়ে বললো,অফিসের সামনে একটা ভ্যানে করে বিক্রি করছিল দেখে মনে পড়ল তুমি আনতে বলেছিলে তাই কিনে আনলাম।আমি একটু অবাক হয়ে বললাম,আবার এতগুলো চারা?এগুলো লাগাবো কোথায়?সেও কেমন একটু অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে থাকল।



এভাবেই আরো পাঁচ ছয় মাস কেটে গেল।হঠাত খবর আসল আমার বান্ধবীর বিয়ে।আমাকে অন্তত পাঁচ দিন আগে যেতে বলেছে।আমি তো উতসাহে টগবগ করে ফুটছিলাম।এতদিন পর আবার বাবা মা সবার সাথে দেখা হবে।ভাবলাম আট দশদিন আগেই চলে যাই,কিছুদিন সবার সাথে থেকে আসি।তবে দেখলাম সাহেবের মুখ ভার।বুঝলাম আমার থেকে দূরে থাকতে হবে বলে তার ভাল লাগছে না।মনে মনে মুচকি হেসে ভাবলাম,মাঝে মাঝে একটু বি্রহে থাকা ভাল।তাতে ভালবাসার টান বাড়ে।



এতদিন পর পরিচিত সবাইকে পেয়ে আমার আনন্দের সীমা থাকলো না।তবে বেশ দুঃখ নিয়ে লক্ষ্য করলাম সে আমার কোনো খোঁজ নিচ্ছেনা।সেই যে বাসায় পৌঁছে একবার জানিয়ে ছিলাম ঠিকভাবে পৌঁছেছি তারপর থেকে আর কোনো খবর নেই।বুঝলাম সাহেবের অভিমানটা একটু বেশিই হয়েছে,এটা আমার কাছে বাড়াবাড়ি বলেই মনে হলো তাই ঠিক করলাম ও ফোন না দিলে আমিও দেব না।এর কয়দিন পর যখন তিন ঘন্টার ভয়াবহ একটা জার্নি শেষে ছেলের বাড়িতে হলুদ নিয়ে পৌঁছালাম তখন হঠাত ও ফোন দিয়ে জিগাসা করলো আমি ঠিকমত পৌঁছেছি নাকি।আমি ভীষন অবাক হলাম।এতদিন যোগাযোগ বন্ধ,তার তো জানার কথা না আজ আমরা বরের বাড়ি হলুদ নিয়ে যাব।ওর কথাগুলো একটু এলোমেলো মনে হলো।আমি চিন্তায় পড়ে গেলাম।ওর শরীর খারাপ হয়নি তো?তাই বিয়েটা শেষ করেই আর দেরী করিনি ঝটপট ফিরে এলাম।ফিরে অবশ্য দেখলাম সব স্বাভাবিক।তার মাঝেও অভিমানের লেশ মাত্র দেখলাম না।



কিছুদিন কেটে যাওয়ার পর একদিন রাতে খাওয়া শেষে ও কম্পিউটারের সামনে অফিসের কাজ নিয়ে বসলো।আমরা বাসার পেছনের দিকের একটি ঘরকে এমনভাবে সাজিয়েছি যেন সেটা একইসাথে গেস্টরুম আর কাজের ঘর হিসাবে ব্যবহার করা যায়।এই ঘরে আছে বড় বুকশেলফ ভর্তি আমার যত বই,ছোট্ট ডেস্কে ওর কম্পিউটার আর মেঝেতে পাতা নরম কোমল একটা বিছানা।কড়া দুপুর গুলোতে অনেকসময় আমি এইঘরে শুয়েই দুপুর কাটিয়ে দিই।সেদিন ওকে হেডফোন কানে লাগিয়ে কম্পিউটারের সামনে বসতে দেখে বুঝলাম আজ সারারাত সে কাজ করতে করতে ইংলিশ রক মিউজিক শুনবে।কি যে পায় মানুষ এসব গানে!আমিতো সহ্যই করতে পারিনা,তার কাছেও আবার আমার রবীন্দ্রসঙ্গীত প্যানপ্যানানি মনে হয়।সে যাই হোক আজ সে যে আয়োজন করে বসেছে তাতে বাসার উপর আকাশ ভেঙ্গে পড়লেও তো বুঝতে পারবে না।ইশ!লোকটা কি তাহলে ভুলে গেছে যে আজ আমাদের দ্বিতীয় বিবাহ বার্ষিকী।আমি ঠোঁট ফুলিয়ে একটু এদিক ওদিক ঘুরে বেড রুমে গিয়ে লাইট নিভিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম।ঘন্টাখানেক পর মাঝ রাতে আমার ঘুম ভাঙ্গল তার শক্ত আলিঙ্গনে আর ঘাড়ের কাছে উষ্ণ নরোম নিঃশ্বাসে,সেই সাথে কানের কাছে আবৃতি করা মৃদু অথচ স্পষ্ট স্বরের বিখ্যাত এক প্রেমের কবিতায়।ঘুম ভেঙ্গে অদ্ভুত সুখে,খুশিতে আমি দিশেহারা হয়ে গেলাম।আমি কবিতা খুব পছন্দ করি কিন্ত জানতাম না ও এত ভাল কবিতা আবৃতি করতে পারে।সারাটা রাত আমরা পরষ্পরকে জড়িয়ে ধরে গল্প করলাম।তারপর কখন যে ঘুমিয়ে গেছি তা নিজেও জানিনা।



পরদিন ছিল ছুটি।আমি দুপুরে অনেক ভালমন্দ খাবার রান্না করলাম। ওকে দেখে মনে হলো সেও খুব আনন্দে আছে তাই দুপুরের পর যখন আমাকে নদীর ধারে বেড়াতে নিয়ে যেতে চাইল আমি অবাক হলাম না।এই শহরের নদীতীর বেড়ানোর জন্য খুব উপযুক্ত জায়গা।বিকাল হলে অনেক মানুষ এখানে বেড়াতে আসে।আমরা অনেকক্ষন এলোমেলো হেঁটে,বাদাম ফুচকা খেয়ে যখন একটু নিরিবিলি দেখে একটা বেঞ্চে বসলাম,তখন ও পকেট থেকে ছোট্ট একটা বক্স বের করে আমার হাতে দিল,আমি সেটা খুলে দেখি একটা সোনার ব্রেসলেট।আমি বেশ অবাক হয়ে ওকে প্রশ্ন করলাম,কি ব্যাপার রাতেই না তুমি লকেটসহ একটা সোনার চেইন দিলে?এখন আবার এটা কেন?ও বেশ অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে রইল,বললো গিফট বুঝি তোমার পছন্দ হয়নি?আর রাতে কই কিছু দিলাম?রাতে তো দুজনে মিলে সেই ইংরেজি মুভিটা দেখলাম।আমার তো মনেই ছিলনা আজকের দিনের কথা,তোমার রান্নার আয়োজন দেখেই না মনে পড়ল।গিফট অবশ্য অনেক আগেই কিনে রেখেছিলাম ঐ যে তুমি যখন বান্ধবীর বিয়েতে যাওয়ার জন্য রওনা দিয়েও ফিরতি বাসে ফিরে এলে তখন একদিন আমাদের বিয়ের ভিডিও দেখতে দেখতে এই আইডিয়াটা মাথায় এসেছিল।দোকানে তখনি অর্ডার দিয়ে রেখেছিলাম তুমি যখন আবার বিয়েতে গেলে তখন বাসায় এনে লুকিয়ে রেখেছিলাম।আমি ওর কথা শুনে আঁতকে উঠলাম।কিন্ত ও তখনো বলেই চলেছে,একটা কথা তোমাকে না বললেই না ঋতু,আমার নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে হয় তোমাকে পেয়েছি বলে।মাঝে মাঝে আমি যখন রাত জাগি তখন তুমি যে তোমার নীল নাইটি পড়ে আমার পাশে এসে বস,আমার চুলে হাত বুলিয়ে দাও,আমার সাথে মুভি দেখ আমার খুব ভাল লাগে।আমার সমস্ত শরীর কেঁপে উঠল,আমি প্রায় চিতকার করে বলে উঠলাম,থাম জহির!আমার সাথে এভাবে তামাশা কোরোনা।তুমি কিন্ত আমাকে ভয় পাইয়ে দিচ্ছ।





আমি ভয়ানক রকম আতঙ্কিত হয়ে উঠছিলাম,তবে কি কাজের চাপে ওর মাথা খারাপ হয়ে গেল!ইংলিশ মুভি আর আমি?এমনিতেই আমি মুভি তেমন দেখিনা,যা দেখি তা বড়জোর বাংলা আর হিন্দি পর্যন্তই সীমাবদ্ধ।ইংলিশ তো আমার হজমই হয় না।আমার কাছে একটা হালকা নীল নাইটি আছে বটে কিন্ত আমি তা জীবনে একবারও পড়িনি।এমনকি এটাও বুঝতে পারিনি ও এটা পড়া পছন্দ করবে।আর আমি আবার কবে বাড়ি থেকে ফিরে আসলাম,আমিতো টানা এগারোদিন পর বিয়ে শেষ করে তবেই ফিরেছি।আমি দৃঢ গলায় ওকে বললাম,জহির এমন করোনা।মনে করার চেষ্টা কর কাল রাতে আমরা কোনো মুভি দেখিনি।কাল আমরা আমাদের বেডরুমে শুয়ে অনেক চমতকার একটা রাত কাটিয়েছি।তুমি আমাকে কবিতা আবৃতি করে শুনিয়েছ।এ কথা শুনে ও কেমন যেন অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে রইল।আমি মরিয়া হয়ে বললাম,মনে করার চেষ্টা কর সেই চমতকার দুপুরগুলো যখন তুমি অফিস থেকে ফিরে আসতে,আমরা একসাথে দুপুরের খাবার খেতাম,তোমাকে গান শোনাতাম।আমি আমার গলার কাছে ঠেলে ওঠা কান্না কোনোভাবেই ঠেকাতে পারছিলাম না।আমার সারা শরীর কেঁপে কেঁপে উঠছিল।ও আমার কথা শুনে কেমন যেন হতভম্ব হয়ে গেল,ফিস ফিস করে বললো,ঋতু আমি কখোনোই অফিস থেকে দুপুরে বাড়ি ফিরে আসিনি।অনেকবার ভেবেছি কিন্ত কাজের চাপে তা আর সম্ভব হয়নি,তাছাড়া ভেবেছি এত অল্প সময়ের জন্য গিয়ে কি করবো?





ওর কথা শুনে আমি ফুপিয়ে কেঁদে উঠলাম।তাহলে কি আমার কোনো কঠিন মানসিক রোগ হয়েছে?তাহলে কি আমার বিবাহিত জীবনের সবচেয়ে স্মরনীয় মুহুর্তগুলো আমার মনের কল্পনা বা ভ্রম ছিল?তাই বা কি করে হয়?ভ্রমই যদি হবে তাহলে আমার বিয়েতে যাও্য়ার ব্যাপারটা কিভাবে ব্যাখ্যা করবো।সেখানে তো পরিবারের সবাই সাক্ষী ছিল আমার উপস্থিতির।আর জহিরের বলা কালকের রাতের ঘটনাই বা কিভাবে মেনে নিই।আমি তো জানি,যে আমি বিছানাতে ছিলাম।তাহলে দুজনেই কি একই রোগে ভুগছি?তাই বা কিভাবে হয়?কিন্ত তাহলে কাল রাতে আমার সাথে কে ছিল আর ওর সাথেই বা কে ছিল?

আমার শরীর বেয়ে একটা শীতল শিহরন ছড়িয়ে পড়ল।জহির শক্ত হাতে আমাকে জড়িয়ে ধরে বললো,আমি কিছুই বুঝতে পারছিনা কিন্ত তুমি আমাকে সব কথা খুলে বল।এই শহরে আসার পর থেকে যা যা হয়েছে সব।আমি নিজের স্মৃতির সাথে মিলিয়ে দেখি।তারপর আমরা একে একে নিজেদের অভিজ্ঞতা খুলে বললাম।আমরা অবাক হয়েই লক্ষ্য করলাম দুজনের জীবনের বেশ কিছু অভিজ্ঞতা একে অন্যের সাথে মেলেনা যদিও অভিজ্ঞতাটা একে অন্যকে নিয়েই।সে যেমন কখনোই দুপুরে ফিরে আসেনি,আমিও তেমন কখনোই রাত জেগে তার পাশে বসে থাকিনি।এমনকি আমি শুক্রবারে দুপুরে পাশের বাসার ভাবির সাথে সেলাই শেখার কোর্স বাদ দিয়ে কখনোই তার সাথে সময় কাটাইনি।একে অন্যের অভিজ্ঞতা শুনতে শুনতে আমার গায়ে ভয়ানক কাঁপুনি উঠে গেল।তাহলে কে বা কারা আমাদের রূপ ধরে আমাদের কাছে আসে?ঐ বাড়িতে তবে কারা বাস করে?কি তাদের উদ্দেশ্য?কেন তারা আমাদের মনের কোনে লুকিয়ে থাকা অতৃপ্ত বাসনাগুলো বারবার পুরন করে যায়।তারা আর যাই হোক নিশ্চয় মানুষ নয়।সময়ের সাথে আমরা যতই বুঝতে পারছিলাম এতদিন আমরা আধা বাস্তব আর আধা অবাস্তব জীবনে বাস করছিলাম ততই হতবিহবল হয়ে উঠি।আমার শরীরের কাঁপুনি যেন থামতেই চায় না।তখন সন্ধ্যার আঁধার নামছে।তার মাঝে আমরা দুজন পরষ্পরকে আঁকড়ে ধরে বসে থাকি।





ধীরে ধীরে আমার দেখা সমস্ত কিছু খাপে খাপে মিলে যায়।বুঝতে পারি দুপুরে দেখা ও আর রাতের ওর মাঝে এত পার্থক্য কেন ছিল।মনে পড়ে বাড়িটা কেন যেন বেশি রকমের নীরব।এত গাছপালা কিন্ত কোনো পাখি বসেনা।আমার বাগানে এত ফুল কিন্ত কেন যেন কোনো প্রজাপতি আসেনা।তাহলে কি সমস্ত বাড়িটা ঘিরেই অশুভ কিছু আছে।কই এতদিন আছি প্রতিবেশিরা তো কেউ এমন ইঙ্গিত দেয় নি।কিন্ত বাড়ির বাইরেও তো আমাদের কোনো অদ্ভুত অভিজ্ঞতা হয়নি। ওখানে বসেই আমরা ঠিক করলাম আজ রাতটা সাবধানে বাড়িতে কাটাবো।সকালে উঠে খোঁজ নিয়ে জানার চেষ্টা করবো বাড়ির রহস্য।যদিও সে বা তারা আমাদের কোনো ক্ষতি করেনি তবুও বাড়িতে ঢুকতে আমার পা কাঁপছিল।ওকে বলেছিলাম কোনো হোটেলে রাতটা কাটিয়ে দিই কিন্ত ও বউকে নিয়ে বাজে হোটেলে রাত কাটানোর সাহস করেনি।সে রাতটা আমারা একে অন্যকে একেবারেই কাছ ছাড়া করলাম না।এমনকি বাথরুমে গেলেও না।সারা রাত দুজনে ঘুমাতেও পারলাম না বরং এক অবর্ননীয় আতংক নিয়ে জেগে রইলাম।পরদিন ও আমাকে পাশের বাড়ির ভাবির কাছে নামিয়ে দিয়ে বাইরে গেল।আমি কথায় কথায় ভাবির কাছে আগের ভাড়াটিয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলাম।তিনি বললেন,আগেও এখানে আমাদের মত একাধিক দম্পতি থেকেছে তবে কেউই একবছরের বেশি ঐ বাড়িতে থাকেনা।উনি আফসোস করে বললো,এমন সুন্দর আর আরামদায়ক বাড়ি ছেড়ে কেন যে মানুষ অন্য জায়গায় যায় তা সে বোঝেনা।কেউ কিছু জানিয়েও যায় না।মালপত্র গুছিয়ে একদিন হুট করে চলে যায়।আমি বুঝলাম আগের বাসিন্দারাও হয়ত আমাদের মত ঘটনার স্বীকার হয়েছে।



সেদিন ও দুপুরে ফিরলো কেন্দ্রীয় মসজিদের এক মওলানাকে সাথে নিয়ে।মওলানা সাহেব বাড়িতে ঢুকেই মুখ কালো করে ফেললেন।গম্ভির মুখে পুরো বাড়ি চক্কর দিয়ে বাড়ির বাইরে এসে বললেন,আমরা যেন আর একটা রাতও এই বাড়িতে না কাটাই।বারবার জিগাসা করেও তার মুখ থেকে বেশি কিছু বের করা গেলনা।শুধু বোঝা গেল এখানে ভয়ঙ্কর অশুভ কিছুর অস্তিত্ব রয়েছে কিন্ত তা যে কি সেটা তিনি একবারও উচ্চারন করলেন না।শুধু বললেন এসব বিষয়ে যত কম জানবো ততই আমাদের জন্য ভাল।সেদিনই কিছু শ্রমিক ডেকে আমরা গোছগাছ সেরে ফেললাম।মওলানা সাহেব পুরো সময় বাড়িতে উপস্থিত থাকলেন।এমনকি এটাও বললেন যে,মালপত্র আমরা আপাতত তার বাসায় রাখতে পারি।সব গুছিয়ে নিয়ে যখন আমরা বের হচ্ছি পাশের বাসার ভাবি অবাক হয়ে প্রশ্ন করলেন আমরা কেন এভাবে চলে যাচ্ছি।আমিও অন্যদের মতই সত্যি উত্তরটা দিতে পারলাম না,শুধু হাসলাম।





তখনো বুঝিনি কিন্ত নতুন বাসায় উঠার পর সেসব ছায়ামানবদের সত্যিকারের অশুভ দিকটি বুঝতে পারলাম।আমরা স্বামী স্ত্রী একে অন্যকে দেখে চমকে উঠতাম,ভয় পেতাম।আমার অবস্থা এত খারাপ হলো যে বাসায় সার্বক্ষনিক কাজের লোক রেখেও কোনো লাভ হলোনা।দুজনেই দুজনকে চাই তবুও একে অন্যকে ভয় পাই,সন্দেহ করি।আমি প্রায় মানসিক ভাবে বিকারগ্রস্থ হয়ে গেলাম।অবশেষে বাধ্য হয়ে সে আমাকে বাবার বাড়ি রেখে আসল।অনেক চেষ্টা করেও সে ঐ শহর থেকে মেয়াদের আগে বদলী হতে পারলোনা তাই নিরুপায় হয়ে আমরা টানা দেড় বছর আলাদা থাকলাম।





এখন ও আবার বদলী হয়েছে,আমরা আবার একসাথে থাকার সুযোগ পেয়েছি।ইতোমধ্যে আমার কোল জুড়ে সন্তান এসেছে।ঐ ব্যাখ্যাতিত ঘটনার জন্য আমাদের যত ভোগান্তিই হোক না কেন কিছু সুবিধাও আমরা পেয়েছি।এখন আমি জানি যে যতই নির্লীপ্তই থাকুক ভেতরে ভেতরে আমার সাহেব আমাকে খুবই পছন্দ করে,আমাকে এক মুহুর্ত কাছছাড়া করতে তার ইচ্ছা করেনা।তাই যখন আমাদের বাবুটা ঘুমিয়ে যায় তখন মাঝে মাঝে আমি আমার নীল নাইটি পড়ে ওর পাশে গিয়ে বসি।ওর সাথে রাত জেগে বসে ইংলিশ মুভি দেখতেও এখন আমার বেশ ভাল লাগে।সেও আজকাল আমাকে কবিতা আবৃতি করে শোনায়,যদিও কিছু লাইন উলটাপালটা হয়ে যায় তবুও আমার খুব ভাল লাগে।শুধু গভির রাতে ও যখন ঘুমন্ত আমাকে জড়িয়ে ধরে তখন আমি ভয়ানক চমকে উঠি,ওর দিকে তাকিয়ে বোঝার চেষ্টা করি একি সত্যিই সে না অন্য কেউ!

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৫

নিজাম বলেছেন: এটা কী সত্যি ঘটনা নাকি গল্প???

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৫২

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: তা তো বলা যাবেনা। :)
যদি কেউ গল্প ভাবে তবে গল্প আর যদি কেউ সত্যি ভাবতে চায় তবে সত্যি।
থাক না এটুকু রহস্য হয়ে।

তবে গল্পটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। :)

২| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:২৮

হু বলেছেন: সুন্দর আতঙ্কজনক গল্প। ভাল লাগল.....। প্রথমে মনে হয়েছিল একজনের ক্ষেত্রে ঘটনা টি ঘটেছে ... কিন্তু পরে দেখলাম দুইজন ই একই সমস্যার সম্মুখীন।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৪

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: ধন্যবাদ গল্পটি পড়ার জন্য।
ভাল লেগেছে জেনে কৃতজ্ঞবোধ করছি।

৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৩২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: খাইছে!!!

কি ভয়ানক কাহিনী!!!!! ;)

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৬

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: হায় হায়।সত্যিই কি ডরাইলেন??????? ;)

৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৯

আমি ইহতিব বলেছেন: আসলেই রহস্যময় একটা গল্প। এমন ঘটনা সত্য না হওয়াই ভালো।

ভালো লিখেছেন।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৮

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: আসলেই সত্যি না হওয়াই ভাল।

শুভেচ্ছা রইল।

৫| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১০

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: চরম! খুব ভালো লেগেছে!

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৪৪

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: ধন্যবা্দ নাভিদ কায়সার রায়ান।
ভাল থাকবেন।

৬| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৫

গেন্দু মিয়া বলেছেন: বুক কেপে উঠেছে।

ওসাধারণ!! B:-/ B:-/ B:-/

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৪৬

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: ধন্যবাদ।
ভাল থাকবেন।

৭| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৩৮

সাইফুদ্দিন আযাদ বলেছেন: পড়তে পড়তে মইরা গেলাম! মজার সংসার জীবনের কিচ্ছা কাহিনী। ভালো লাগলো......

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৪৯

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: এত অল্পতে তো মরে যাওয়া চলবে না সাইফুদ্দিন আযাদ ভাই।
গল্পটি আপনার ভাললেগেছে জেনে ভাল লাগছে।

৮| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:০৯

নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: এই পালটা যে বাস্তবতার শিকার।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৫১

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: ক্ষমা করবেন,আমি ঠিক আপনার বক্তব্য বঝতে পারলাম না।
তবে গল্পটি পড়া এবং কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ।

৯| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:২৬

আম্মানসুরা বলেছেন: বাহ! খুব রোমান্টিক ভুত তো!

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৫৪

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: দম্পতিটা রোমান্টিক তাই ভুতটাও রোমান্টিক।কপাল ভাল,যদি ঐ বাসায় কোনো শীর্ষ সন্ত্রাসী থাকত তবে ভুতটা না জানি কেমন হত!!!!!!!!!

১০| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:১৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: লেখক বলেছেন: "যদি কেউ গল্প ভাবে তবে গল্প আর
যদি কেউ সত্যি ভাবতে চায় তবে সত্যি। থাক না এটুকু রহস্য হয়ে।" (Y) :)

গল্পে ভালো লাগা। ++++

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:২৪

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ------ :) :) :) :)

১১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:২৭

ড্রীমার বলেছেন: রাত একটা তেইশ, আমি বাসায় একা... এরকম পরিবেশে এই গল্পটা পড়ছিলাম। একেকটা লাইন পড়ছিলাম, আর চোখের সামনে দৃশ্যগুলো ভেসে আসছিল। মোটকথা গল্পটাতে একদম ঢুকে গিয়েছিলাম!

শেষের দিকেত ভাল রকম ভয় পেয়েছিলাম...! well done. Carry on. আমি ভূতের গল্পের দারুণ ভক্ত।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩২

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: আমিও ভুতের গল্পের অনেক ভক্ত।আমার হরর বইয়ের কালেকশন ও বেশ বড়।এই লেখাটি দিয়ে একটা জিনিস বুঝলাম পাঠকদের অবস্থাও আমার মত---যদিও অন্য লেখাগুলোর চেয়ে কম খাটাখাটনি দিয়েছি তবুও এই গল্পটিতে খুব ভাল সাড়া পাওয়া গেছে---

লেখা চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা আছে তবে ভৌতিক গল্প কতটা লেখতে পারবো ঠিক জানিনা কারন দুনিয়ার সব রকমের ভুত নিয়ে সব রকমের গল্প আগেই কেউ না কেউ লিখে ফেলেছে।আফসোস!!!

যাইহোক গল্পপাঠে কৃতজ্ঞতা।ভাল থাকুন। :)

১২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩০

ড্রীমার বলেছেন: কেউনা কেউ লিখে ফেলেছে বলে আপনি লিখবেন না, এটা ঠিকনা। সবার লেখার ধরন আলাদা। আর আপনার সেই কোয়ালিটি ভাল রকমই আছে...

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৪৪

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য...দেখি আর কত গাঁজাখুরি গল্প সকল কে শোনাতে পারি............ :)

১৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৪২

ইমরান নিলয় বলেছেন: আরাম করে পড়লাম। কিপিটাপ।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ২:১৬

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: ধন্যবাদ এন্ড থ্যাংক ইউ।

১৪| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:২৪

অপু তানভীর বলেছেন: খাইছে ! বাইত বিরাইতে এই সব কি পড়লাম !

আসলে সব সমস্যা ঐ বাড়ির ! বড় রোমান্টিক বাড়ি মনে হচ্ছে ! নিজের মন মত মানুষকে সামনে এনে হাজির করে !

বাড়ির ঠিকানা টা কন তো দেখি ;););)

২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:৫৪

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: বাড়ির ঠিকানাটা তো ভাই মনে নাই।মনে পড়লে জানাবো। :P :P :P

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.