নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বরের বাবা ছেলে দিতে রাজি ছিলেন কিন্ত কনের বাবা কিছুতেই মেয়ে দিতে রাজি হলেন না।তাই কবির চাকরিটা পাওয়া মাত্র মিলিকে নিয়ে পালিয়ে গেল।পালিয়ে বিয়ে করে বউকে নিয়ে উঠল একেবারে তার অফিসের কাছের এক বাসায়।না জানিয়ে বিয়ে করাতে ছেলের বাবা মা কিছুটা মনক্ষুন্ন হলেও শেষ পর্যন্ত সব মেনে নিলেন।কবির নতুন বউ নিয়ে গ্রামে গিয়ে বাবা-মার আশীর্বাদ নিয়েও আসল দ্রুত।এদিকে মেয়ের বাবা নানাবিধ গালিগালাজের সাথে থেকে থেকেই থানা পুলিশের হুমকি দিতে থাকলেন।তবে তার মাথা ঠান্ডা হতে ছয় মাসের বেশি সময় লাগল না।মেনে না নিয়ে উপায় কি?মেয়েতো বিয়ে করেই ফেলেছে।তাছাড়া কবির ছেলে হিসাবে বেশি খারাপও না।সে উচ্চশিক্ষিত,ভাল চাকরি করে, দেখতে শুনতেও বেশ শুধু দোষের মধ্যে একটা তার বাড়ি ফরিদপুর।মেয়ের বাবার বদ্ধমূল ধারনা ফরিদপুরের ছেলেরা ফটকাবাজ ধরনের হয়।তাছাড়া ঢাকার বাইরে মেয়ে বিয়ে দিতেও তার ভীষন আপত্তি ছিল।কিন্ত যা ঘটার যখন ঘটেই গেছে তখন তিনিও মেনে নিতে বাধ্য হলেন মেয়ে জামাইকে।তাদের বাসায় ডেকে নিয়ে ভালমত খাতির যত্ন করে বরন করার ব্যবস্থাও করা হলো।
এরপর আর কি?চলতে থাকল কবির মিলির সুখের সংসার।মিলি বেশ লক্ষী একটা মেয়ে।ছিপছিপে গড়নের,ফর্সা রঙের মিলির কোমর পর্যন্ত লম্বা কোঁকড়ানো চুল।সেই সাথে টানা টানা চোখের প্রতিমার মত মিষ্টি মুখ।মিলিকে নিয়ে কবিরের মনে একধরনের অহংকার আছে।এমন সুন্দর,শিক্ষিতা আর গুণবতী মেয়ে কয়জন পায়?বিয়ের পরে কবির দেখেছে স্বল্প খরচেই সে বেশ গুছিয়ে সংসার করছে।কবির নতুন চাকরিতে ঢুকেছে।শুরুতে বেতন তেমন বেশিনা কিন্ত এই টাকাতেই মিলি সুন্দরভাবে সব কিছু করে।সংসারের থাকা খাওয়া সুচারুভাবে করা ছাড়াও ঘরের পর্দা,বিছানার চাদর,ওয়ালম্যাট এইসব টুকিটাকি জিনিস দিয়ে সে তাদের ছোট্ট বাসাটা বর্নিল সাজে সাজিয়ে তুলেছে।অফিসের কলিগদের তারা বেশ কয়বার দাওয়াত করে খাইয়েছে।তারাও মিলির প্রশংসায় পঞ্চমুখ।পরিপাটি করে টাঙ্গাইলের শাড়ি পড়ে মিলি যখন বাসায় অতিথিদের আপ্যায়ন করে,হাসি মুখে সবার সাথে কথা বলে তখন তার দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে কবিরের বুকটা গর্বে ভরে ওঠে।
মিলির বড়ভাইয়ের বিয়ে তাই মিলি তার বাবার বাড়িতে গিয়েছে।কবিরের অফিসে এমন চাপ যে সে কোনোক্রমেই চার পাঁচ দিনের ছুটি ম্যানেজ করতে পারেনি।অনেক কষ্টে দুদিনের ছুটি মিলেছে।তাই মিলিকে একাই যেতে হয়েছে।কথা আছে বিয়ের দিন সকালে সে বাসায় গিয়ে বরযাত্রীতে যোগ দেবে।মিলি আগে থেকেই তার জন্য কাপড় ধুয়ে ইস্ত্রী করে রেখে গিয়েছে।কবির ছেলে হিসাবে ভাল।আচার ব্যবহার ভাল,দেখতে ভাল আবার মিলিকে সত্যি সত্যি ভালবাসে বলে তার প্রতি ভীষন যত্নশীল কিন্ত তার একটাই দোষ সে নিজের প্রতি মোটেও যত্নশীল না।তার মাঝে ছন্নছাড়া ভাবটা প্রবল।নিজের চেহারা বা পোশাক নিয়ে তার কোনো মাথা ব্যাথাই নেই।হয়ত একটা কুঁচকানো শার্ট পড়ে সে অফিসে চলে গেল কিংবা একটা রাবারের স্যান্ডেল পড়ে কারো বাড়িতে দাওয়াত খেতে গেল।ছাত্রজীবনে তার মধ্যে এই স্বভাব আরো প্রবল ছিল।পরিপাটি থাকলে তাকে বরাবরই ভাল দেখায় কিন্ত উশকুখুশকু চুল,খোঁচা খোঁচা দাড়ি আর খসখসে চামড়ার কারনে তাকে দেখলে মাঝেমাঝেই নেশাখোর চ্যংড়াদের মত দেখাত।পোশাক নিয়েও তার মনে কোনো সখ নেই।নিতান্ত বাধ্য হয়েই সে নতুন জামা কিনতো যখন তার পুরোনো পোশাক আর পড়ার যোগ্য থাকত না।অথচ তার পরিবার যথেষ্ট স্বচ্ছল।ছোটবেলায় কবিরের মা ধরে ধরে তাকে তেল সাবান দিয়ে ভদ্রলোক বানিয়ে রাখতেন।একটু বড় হলে মা তাকে আর হাতে পেত না তাই ইচ্ছামত ধুলামাটি মেখে সে মনের সুখে ঘুরে বেড়াত।বকে বকে তার মা একসময় হাল ছেড়ে দিলেন।তবে কবির পড়ালেখা করতে ঢাকায় আসার পর তার মনে একটু আশা দেখা দিল যে এইবার ছেলে মানুষ হবে।কিন্ত কিসের কি মায়ের থেকে দূরে এসে কবির যেন আরো ছন্নছাড়া হয়ে গেল।কবিরের যেমন নিজের দিকে খেয়াল নেই তেমনি তাকে নিয়ে কে কি বলল বা ভাবল তাতে তার কিছুই এসে যায় না।মাঝে মাঝে দু একটা কটু কথা শুনে বেশি খারাপ লাগলে মনে মনে সে ভাবে,নাহ একটু যত্ন নিতে হবে কিন্ত পরক্ষনেই আবার ভুলে যায়।তার বন্ধুরা মাঝে মাঝে বলে যে যদি মিলির সাথে তার আগে থেকে ফোনে পরিচয় না থাকত তাহলে কখনোই এই মেয়ের সাথে সে প্রেম করতে পারত না।
পরিচয়ের কিছুদিনের মাঝেই মিলি জেনে গিয়েছিল যে কবির একটা ভাল মনের ছেলে তাই তার এই ছন্নছাড়া স্বভাব তার মনে প্রভাব ফেলেনি।তবে মাঝে মাঝে সে বিব্রত হয়েছে আবার কখনো কখনো বিশেষ দিনগুলোতে তার খুব মন খারাপ হয়েছে।তবে কবিরকে বলে কোনো লাভ হয়নি।তাই বিয়ে পর মিলি নিজেই কবিরের যত্ন নেয়ার ভার নিয়েছে।সে এখনো চাকরি পায়নি তাই সারাদিনের অফুরন্ত সময় সে ব্যয় করে ঘর সংসার করে আর কবিরের যত্ন নিয়ে।এই ছেলেটিকে তার একটা বাবুর মত করে যত্ন করতে হয়।কবির নিজে নিজে কিছুই করে না এমনকি অফিসে যাওয়ার সময় মিলি তার চুলটাও আঁচড়ে দেয়।এই দেড় বছরের বিবাহিত জীবনে মিলি কবিরের কোনো বদঅভ্যাসই দূর করতে পারেনি।এমন কেন ছেলেটা?মিলি মনে মনে ভাবে।একটু একটু বিরক্ত হলেও তার মাঝে মাঝে ভীষন মায়া লাগে কবিরের জন্য।
মিলি চলে যাওয়ার পর রাতে বাসাটা অনেক ফাঁকা লাগছিল কবিরের কাছে তাই সে কিছু কলিগ প্লাস বন্ধুকে বাসায় ডেকে বেশ একটা তাসের আসর জমিয়ে ফেলল।আড্ডা দিয়ে,তাস খেলে সিগারেট ফুঁকে বেশ একটা ব্যাচেলার লাইফের মত সময় কাটিয়ে দিল কবির সাতটা দিন।এই কয়দিনে সে তার ছন্নছাড়া স্বভাবটা পুরোদমে ফিরে পেয়েছে।বিয়ের আগের দিন অফিসের কাজ আগে আগে শেষ হয়েছে জেনে মিলি যখন তাকে রওনা দিতে বলল তখন সে নানা অযুহাতে তা এড়িয়ে গেল।আসলে সেদিন রাতের শেষ আড্ডাটা সে মিস করতে চাইছিল না তাছাড়া বাসে আড়াই ঘন্টার পথ গেলেই সেখানে পৌঁছানো যাবে,সকাল সকাল উঠে চলে গেলেই তো হয়,আগে তো এমনই কথা ছিল।মিলি তার স্বভাব জানে তাই তাকে বার বার মনে করিয়ে দিচ্ছিল ইস্ত্রী করা কাপড়গুলো ঠিক করে ব্যাগে ভরতে আর চুল কেটে সেভ করে পরিপাটি হয়ে আসতে।কবির হ্যাঁ হ্যাঁ করে মিলিকে ঠান্ডা করল বটে কিন্ত কোনোকিছুই ঠিকমত করতে পারল না।সেদিন অনেক রাত পর্যন্ত আড্ডা দিয়ে ঘুমানোর ফলে কবিরের ঘুম ভাঙল সকাল আটটায়।ঘুম ভেঙ্গে ঘড়ির দিকে চোখ পড়তেই সে তারাতারি উঠে ব্যাগে কাপড় ভরে ফেলল।চুলটা আগেই ছেটে রেখেছে কিন্ত মুখে চার দিনের দাড়ি।কিন্ত এখন গোসল করে সেভ করার সময় নেই তাছাড়া আয়না দেখে তার নিজেকে তেমন খারাপ লাগছে না তাই সে সেটা নিয়ে বেশি মাথা ঘামালো না।তবে ঝামেলা বাধল আরেক জায়গাতে।সে কিছুতেই তার ভাল পাঞ্জাবিটা খুঁজে পাচ্ছিলনা।মিলি ওটা ইস্ত্রী করে রেখে গিয়েছিল কিন্ত একদিন রাতে বন্ধুদের সাথে হোটেলে খেতে গিয়ে সে ওটা সামনে পেয়ে পড়ে ফেলেছে।পোশাক নিয়ে এমনিতেই তার মাথা ব্যাথা নেই তাই একবারও ভাবেনি ওটা নষ্ট করলে বিয়েতে কি পড়বে।পাঞ্জাবিটা খুঁজে না পেয়ে কবির একটু ভয় পেয়ে গেল।ওটা না পড়ে গেলে নিশ্চয় মিলি অনেক রাগ করবে।শেষ পর্যন্ত এলোমেলো বিছানার নিচে একটা কাঁথার সাথে জড়ানো অবস্থায় পাওয়া গেল ওটাকে।একটু কুঁচকে গেছে কিন্ত তাতে কি?এই ভেবে কবির ওটা পড়ে ব্যাগ নিয়ে বের হয়ে গেল।কিন্ত সেদিন কবিরের কপালটাই ছিল খারাপ।বাসটা কিছুদূর গিয়ে একটা বিরান মাঠের মধ্যে বিকল হয়ে গেল।বাধ্য হয়ে কবির কিছুটা পায়ে হেঁটে, কিছুটা রিক্সা আর অটোতে এবং বাকিটা লক্করঝক্কর লোকাল বাসে করে আড়াই ঘন্টার জায়গাতে সাড়ে চার ঘন্টায় ঢাকায় পৌঁছালো।ততক্ষনে বরযাত্রী রওনা দিয়েছে এবং কনের বাড়িতে পৌঁছে গেছে তাই ঠিকানা নিয়ে শহরের বাইরে কনের বাড়িতে যেতে তার লাগল আরো দেড় ঘন্টা।
কবির যখন বিয়ে বাড়িতে পৌঁছাল তখন তার চেহারা হয়েছে ঝোড়ো কাকের মত।ব্যাগ হাতে তাকে দেখে অপরিচিত সবাই কেমন যেন সন্দেহ নিয়ে তাকাচ্ছিল।তার ছোটশালী তাকে দেখে চিনতে পারা মাত্র ভ্রু কুঁচকে ফেলল এবং জিগাসা করল আপনার এই অবস্থা কেন?কবির এই প্রশ্নের যথাসাধ্য উত্তর দিল।বিয়ে বাড়ি লোকে লোকারন্য।মিলিদের প্রায় সমস্ত আত্মীয়স্বজন উপস্থিত হয়েছে বিয়েতে।তাদের বিয়েতে অনুষ্ঠান হয়নি বলে বেশিরভাগই তাকে দেখেনি।দ্রুত তাকে ঘিরে ভিড় জমে উঠল আর শুরু হলো পরিচয়ের পালা।বিয়ের বরের চেয়ে যেন তাকে ঘিরে বেশি লোক জমে গেল।আর এটা হবেই বা না কেন?এমন লক্ষী মেয়ে পালিয়ে গিয়ে কাকে বিয়ে করল তা দেখার আগ্রহ তো থাকবেই।কিছুক্ষনের মধ্যেই তাকে নিয়ে কানাঘুসা শুরু হলো কিন্ত এসবের দিকে তখন কবিরের খেয়াল নেই।মিলি যখন কবিরকে দেখল তখন সে স্তম্ভিত হয়ে গেল।কি হাল করে এসেছে ছেলেটা নিজের চেহারার!সেভ করেনি,সারা গা মাথা ধুলায় ধুসরিত,চোখমুখ শুকনো,চোখের নিচে কালি সাক্ষ্য দিচ্ছে রাত্রিজাগরনের।নিশ্চয় ছেলেটা গোসল করেনি সকালে।ফাল্গুনের বাতাসে হাত মুখের চামড়া শুকিয়ে সাদা সাদা চামড়া উঠছে।বাসাতে মিলি এসময় তাকে ধরে ধরে লোশন মাখিয়ে দেয়।ছেলেটা নিশ্চয় একয়দিন নিজের যত্ন নেয়নি একেবারেই।আর রাস্তায় বের হবার সময় সে কেন পাঞ্জাবি পড়ে বের হয়েছে?তাছাড়া নতুন পাঞ্জাবিটা এত ময়লা হয়ে কুঁচকালো কিভাবে?সে তো সবই পরিপাটি করে রেখে এসেছিল।মিলি অনেক কষ্টে চোখের পানি আঁটকালো।মিলিকে তার শাশুড়ি তিন হাজার টাকা দিয়েছিল শাড়ি কেনার জন্য।ভাইয়ের বিয়ে ঠিক হলে মিলি তার থেকে আড়াই হাজার টাকা দিয়ে কবিরের জন্য পাঞ্জাবিটা কিনেছে যাতে সে বিয়েতে পড়তে পারে।তাদের বিয়েটা ঘটা করে হয়নি বলেই তাদের দুজনের তেমন ভাল আর দামী পোশাক নেই যা পড়ে ভাইয়ের বিয়েতে আসা যায়।কবিরের স্বভাব মিলির অজানা নয় কিন্ত মিলির এত কষ্টের আয়োজনে সে এমন করে পানি ঢেলে দেবে তা মিলি একদম ভাবেনি।বাস নষ্ট হয়ে দেরী হয়েছে সেটা ঠিক কিন্ত সে কি পারত না ঢাকায় নেমে রেস্টুরেন্টের ওয়াশরুমে গিয়ে ভালকরে হাতমুখ ধুয়ে,ইস্ত্রী করা পাঞ্জাবিটা পড়ে চুল আঁচড়ে এখানে আসতে।কাপড় বদল না করতে পারুক অন্তত হাতমুখ ধুয়ে ফ্রেস হয়ে তো আসতে পারত!মিলি নিজেকে সামলে নিয়ে ছোটবোনকে বলে দেয় কবিরকে বাথরুম দেখিয়ে দিতে।
সেদিন রাতে বাড়িতে অনেক ভীড় হলেও নতুন দম্পতি আর বাড়ির মেয়ে জামাই অর্থাৎ কবির মিলির জন্য আলাদা রুম দেয়া হলো।সকলের সাথে আড্ডা দিয়ে অনেক রাতে রুমে ফিরে কবির দেখল মিলির চোখ লাল।মনে হচ্ছিল যেন সে অনেকখন ধরে কেঁদেছে।কবির ভয় পেয়ে জিগাসা করল,কি হয়েছে?মিলি উত্তর দিল,কই কিছুনা তো।তুমি ঘুমাও,কাল সকালে উঠতে হবে।কবির ঘুমিয়ে গেছে নিশ্চিত হবার পর সে আবার ফুলে ফুলে কাঁদতে লাগল।আজ সে কিছুতেই তার মনের কষ্ট কমাতে পারছে না।কবিরকে নিয়ে আত্মীয়দের কথাগুলো কিছুতেই ভুলতে পারছেনা।একজন বলেছে,মেয়ে কি দেখে এই ছেলে কে বিয়ে করল?ছেলে তো দেখতে একদমই ভাল না।অন্যজন বলল,শুনলাম অনেক লেখাপড়া জানা ছেলে,সরকারি চাকরি করে কিন্ত দেখেতো মনে হচ্ছে মাটি কাটা লেবার,আমাদের সুমির বর তো এর থেকে ভাল(সুমির বর বংশের সবচেয়ে বাজে জামাই বলে পরিচিত) আর একজন দজ্জাল টাইপের আত্মীয় বলল,এই মেয়ের রুচিই খারাপ তাই অমন ছেলে পছন্দ করেছে।যখন পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করল ভাবলাম না জানি কোন রসগোল্লা।দেখ গিয়ে কোথাকার কোন বখাটে ছোকড়া ধরেছে।ভাল ছেলে হলে মেয়ে নিয়ে পালায় নাকি?এক চাচী বলল,যাই বল মেয়ের দোষ আছে।সে নিশ্চয় বরের যত্ন নেয় না।ভাইয়ের বিয়ে,বরের জন্য একটা ইস্ত্রী করা ভাল কাপড় রাখতে পারেনি সে?ছেলেরা যেমনই হোক তাদের সাজিয়ে গুছিয়ে ভদ্রসভ্য করে রাখার দায়ীত্ব তো বউদেরই।সারাদিনে এমনই সব কথা কানে এসেছে মিলির।মিলির কাছাকাছি বয়েসি অবিবাহিত চাচাতো মামাতো বোনরা কবিরকে দেখে বিদ্রুপ করে হেসেছে।আর ভাইয়ের শাশুড়ি মিলির বড় খালাকে বলেই বসেছে,ঐটা জামাই!!এমন সুন্দর মেয়েকে অমন ছেলের সাথে বিয়ে কেন দিলেন?
কবির এসব দিকে উদাসীন কিন্ত সবসময় কি উদাসীনতা দেখালে চলে?মিলি কত যত্ন করে তাকে কিন্ত আজ শুধু তার উদাসীনতার জন্য ভরা বিয়ে বাড়িতে সবার সামনে তারা দুজন হেয় প্রতিপন্ন হলো।মিলি কিভাবে তার আত্মীয়দের বোঝাবে কবির কত ভাল আর যোগ্য একটা ছেলে?তারাতো তার বাইরেরটা দেখেই একটা বাজে ধারনা করে নিয়েছে।এমনিতে পালিয়ে বিয়ে করে সে সবার চোখে ছোট হয়ে আছে।তার আশা ছিল ভাইয়ের বিয়েতে যখন সবাই কবিরকে দেখবে আর তার সাথে মিশবে তখন আর কোনো ভুল ধারনা রাখবে না।কিন্ত কবির সব পন্ড করে দিল।মিলির ভীষন কষ্ট হয়।ও কি কখোনো বুঝবে না যে তাকে কেউ খারাপ বললে মিলির কতটা আঘাত লাগে।
কবির সবসময় বলে পোশাক বা বাইরের চেহারা কি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন?মিলি তর্ক করে বলে,সেটা সবচেয়ে জরুরি না মানছি কিন্ত যথেষ্ট জরুরি।তোমার পোশাক আর বাইরের চেহারা তোমার রুচির প্রতিফলন।ধর একটা লোক যদি নোংরা দূর্গন্ধ কাপড় পড়ে জটা ধরা চুল নিয়ে তোমার সামনে আসে তাহলে কি তুমি তাকে ভাল চোখে দেখবে?যদি সে ছদ্দবেশি সাধুও হয় তবুও তুমি প্রথমে দেখেই তার সম্পর্কে বাজে ধারনা করবে।কবির হেসে বলে,এদেশে কত লোক আছে যাদের ইচ্ছা আছে কিন্ত অভাবের কারনে ভাল আর দামী পোশাক দিয়ে রুচির প্রতিফলন দেখাতে পারেনা।মিলি ধৈর্য নিয়ে বোঝায়,জানি এদেশে অনেক মানুষ গরিব এবং ইচ্ছামত নতুন কাপড় কিনতে পারেনা কিন্ত যার রুচি আছে সে তার পুরোনো কাপড়ও পরিস্কার আর পরিপাটি করে পড়ে, সেই সাথে নিজেকে পরিপাটি রাখে।যার ঘরে ক্রীম নেই সে সরিষার তেল মাখে।আর দামের সাথে রুচির সম্পর্ক খুব বেশি না।কোনো মহিলা ঝলমলে দামী পোশাক আর উগ্র সাজ দিয়ে ঘুরে বেড়ালে তাকে তুমি রুচিশীল বলতে পারবা না।চাইলে নিজের সামর্থের ভেতরেও পরিপাটি থাকা যায়।যারা শিক্ষিত তাদের রুচি উন্নত হবে এবং তারা ভদ্রসভ্য হয়ে থাকবে এটাই সবাই আশা করে।এই পর্যায়ে কবির বলে আমি কিচ্ছু জানিনা,আমাকে দেখার জন্য তুমি আছ তাই আমার এসব ভাবার দরকার নেই।মিলি দীর্ঘশ্বাস ফেলে ভাবে সে তো কোনো ত্রুটি রাখেনা যত্নে তবুও কবিরের একটু বোধদয় হয়না কেন?
পরদিন সকালে কাপড় পড়ার সময় দেখা গেল কবির শার্টগুলো এনেছে আরো অনেক কিছু এনেছে কিন্ত প্যান্ট আনেনি একটাও অথচ মিলি বার বার বলেছে নিচের ড্র্য়ার থেকে প্যান্ট নিয়ে নিতে।মিলি এবারে আর অবাক হলোনা বরং কবিরের কাচুমাচু চেহারা দেখে দুঃখের মাঝেও হেসে ফেলল তারপর ইস্ত্রী দিয়ে গতকালের পাঞ্জাবিটাই টানটান করে দিল।তাই গায়ে দিয়েই কবির বাড়িময় ছুটে কাজ করতে লাগল।এবার নিন্দুকদের মধ্যে নতুন করে কানাঘুসা শুরু হলো কিন্ত অনেকেই ওকে পছন্দ করে ফেলল।করবেই বা না কেন?সে বাড়ির সবার সাথে হাত লাগিয়ে বৌভাতের আয়োজনে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।বাড়ির ছেলের মতই দায়ীত্ব নিয়ে সব কাজ করছে,সবার সাথে হাসিমুখে মিশছে।
কবির মিলিকে নিয়ে নিজের বাড়িতে ফিরে এসেছে,তাদের জীবনে আগের মত চলছে।না ঠিক আগের মত নয় কিছুটা বদল হয়েছে সেখানে।মিলি যেন নিজের প্রতি কিছুটা কম যত্নশীল হয়ে গিয়েছে।সে যেন আর আগের মত পরিপাটি থাকেনা।পরিবর্তনটা আস্তে আস্তে শুরু হয়েছে তাই কবির প্রথমে বুঝতে পারেনি।প্রথম যেদিন বুঝতে পারল তখন সে জিগাসা করলে মিলি ঝকঝকে হাসি দিয়ে উত্তর দিল তার কিছুই হয়নি।তবে কবির সেদিন বেশ অবাক হলো যেদিন বাসায় কলিগরা খেতে আসলে মিলি আধাময়লা ফ্যাকাসে শাড়ি পড়ে সবার সামনে আসল।শুধু তাই না তার মাথায় ছিল এলমেলো করে বাঁধা একটা খোপা।ঘামের কারনে মুখ তেলতেলে আর কালচে দেখাচ্ছে।কাছে আসলে ঘামের তীব্র গন্ধও পাওয়া যায়।মিলিকে এমন দেখে তার বন্ধুদের সাথে কবির ও হতভম্ব।অতিথি বিদায় হলে কবিরের প্রশ্নের উত্তরে মিলি বলল রান্না করতে করতে দেরী হয়েছে তাই সে পোশাক পাল্টাতে পারেনি।কবির বিষয়টা হালকাভাবে নিলেও অফিসে বেশ কয়দিন আলোচনা হলো এটা নিয়ে।আসলে মিলি তার রুচির জন্য সবার মাঝে সমাদ্রিত।তাকে এভাবে দেখলে যে কেউ একটা ধাক্কা খাবে।এমনকি অনেকে কবিরকে নানা রকম বিব্রতকর প্রশ্ন করতেও ছাড়ল না।
এর মাসখানেক পরে কবিরের বসের মেয়ের জন্মদিনের পার্টিতে অফিসের সকলের সস্ত্রীক দাওয়াত।এই নিমন্ত্রন নিয়ে সকলের মাঝে ভীষন জল্পনাকল্পনা।সপ্তাহ ধরে অফিসে এই নিমন্ত্রনের আলোচনা চলতে লাগল।সকলে বলে বস নাকি ভীষন রোমান্টিক মানুষ।কোন দম্পতিকে মনে ধরে গেলে তারা নাকি তার প্রিয়পাত্র হয়ে যায়।তাতে সুবিধাও আছে অনেক কারন বসের সুনজরে থাকলে প্রমোশন আর বদলির ব্যাপারে খুব সাহায্য হয়।কবিরের অবশ্য এসবে আগ্রহ নেই,সে শুধু দেখতে চায় সকলের সঙ্গিনীদের কারন তার মনহয় তার মত সুন্দর বউ আর কারো নেই।তাই সেদিন অফিসের পর গিফট নিয়ে সে তারাতারি বসায় চলে গেল।নিজের সবচেয়ে ভাল শার্ট প্যান্ট পড়ে চকচকে জুতা পায়ে দিয়ে সে দ্রুতই পরিপাটি হয়ে গেল।শোবার ঘরে দরজা বন্ধ করে মিলি রেডী হচ্ছে।কবির মিলিকে তাড়া দিতে থাকল।মিলি তাকে জবাব দিল সে যেন একটা অটোরিক্সা ডাকে ততক্ষনে মিলির হয়ে যাবে।রিক্সা ডেকে আনতে আনতেই মিলি সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামল।তাকে দেখে কবির অবাক!মিলির পড়নে ম্যাটম্যাটে ক্রিম কালারের একটা শাড়ি।কবির যখন জিগাসা করল তার আর শাড়ি ছিলনা তখন সে উত্তর দিল,কবির কি ভুলে গেছে যে কিছুদিন আগে তার ভাল শাড়িগুলো রোদে দেয়ার পর ছাঁদ থেকে চুরি গেছে।কবিরের মনে পড়ল কথা সত্যি কিন্ত মিলিতো ভাল দেখে একটা শাড়ি কিনে নিতেও পারত।কি আর করা!এই ভেবে সে বসের বাসায় রওনা দিল।সেখানে বসের বিশাল বাড়ি লোকের ভীড়ে গমগম করছে।অফিসের লোকরা ছাড়াও শহরের সব গন্যমান্য লোক এসেছেন। তাদের স্ত্রীদের কি শাড়িগহনার ঝলক!কবির তখন অন্ধকারে বুঝতে পারেনি কিন্ত আলোতে এসে মিলির দিকে তাকিয়ে দেখল তাকে এসব আধুনিক রুপসীদের মাঝে একেবারেই বেমানান লাগছে।সে যে শুধু ম্যাটম্যাটে শাড়ি পড়েছে তাই নয়,সে গলায় একটা ফিনফিনে পুরোনো ডিজাইনের সোনার হার পড়েছে,মাথার চুলও কেমন যেন তেলতেলে লাগছে।কবির ভেবে পায়না মিলির এত গহনা থাকতে মিলি কবিরের দাদির রেখে যাওয়া আদিকালের হারটাই কেন পড়ল।সেইসাথে তার মুখের মেকাপও ঠিক হয়নি কেমন যেন সাদাসাদা হয়ে ভেসে আছে।শুধু তাই না মিলি ঠোঁটে লাল রঙের লিপস্টিক দিয়েছে,শাড়িটাও কেমন জবুথবু করে পড়েছে।সবমিলিয়ে তাকে সাজগোজে অপটু অশিক্ষিত গ্রামের বধুর মত দেখাচ্ছে।যারা তাকে চেনে তারা তো অবাক হয়েছেই যারা তার কথা এতদিন শুনেছে তারাও তাকে দেখে চমকে গেল।অনেকেই তাকে ঘুরে ঘুরে দেখছে।সবার সাথে পরিচয় করানোর সময় তার কলিগরা তাদের স্ত্রীদের সাথে অর্থপূর্ন নজর বিনিময় করতে লাগল আর কবিরের গর্বে ভরা বুকের ছাতি একটু করে চুপসে যেতে লাগল।বসের সাথে পরিচয় করানোর সময় কবির রীতিমত ঘামতে লাগল।বস মিলির দিকে তাকিয়ে যখন বললেন যে আপনার কথা অনেক শুনেছি অন্যদের কাছে তখন কবির মনে মনে বলতে লাগল,আপনি যার কথা শুনেছেন সেটা অন্য একজন আর এখন যাকে দেখছেন সে কে আমি জানিনা।এ যেই হোক ,আমার বউ না।আমার বউ এমন না,কখনো এমন ছিলও না।
বাড়ি ফেরার পথে কবির একটা কথাও বলল না কিন্ত ঘরে ঢুকেই রাগে ফেটে পড়ল।পুরোটা সময় যে অভিযোগগুলো তার মনের মধ্যে ফুসছিল সেগুলো সে উগরে দিল।এত কথার তোড়ের মাঝেও মিলি কিছুই বললো না শুধু কয়েকবার তার চোখে জলের ঝলক দেখা দিল।রাতে যখন তার মাথা একটু ঠান্ডা হলো তখন তার মনে হলো সে একটু বেশিই বলে ফেলেছে।আসলে আজমল ভাই যখন ঠাট্টা করে বলছিল যে তাকে দেখলে বোঝা যায় না যে সে এত কৃপণ তখন কার মাথা ঠিক থাকবে?ইঙ্গিতে সে যে মিলির কাপড় গহনার খোঁটা দিল সেটা তো সবাই বুঝল।আর হা হা করে তাদের কি হাসি!!!!কবির ভাবল মিলিকে একটু মিষ্টি কথা বলে তার মান ভাঙ্গাবে কিন্ত গায়ে হাত দিয়ে দেখে সে গভীর ঘুমে অচেতন।
পরদিন বিকেলে অফিস থেকে ফিরে কবির অবাক।বাসায় মিলি নেই তার ফোন বন্ধ শুধু টেবিলের উপরে একটা চিরকুট রাখা যেখানে লেখা-
হ্যাঁ কাল তুমি যা যা বললে আমি তার সবই করতে পারতাম।সবকিছুরই বিকল্প থাকে সেই বিকল্প পথে যেতে পারতাম যদি তোমার সন্মানের বিষয়ে সচেতন হতাম।তুমিও কিন্ত ভাইয়ার বিয়েতে অনেককিছু করতে পারতে যদি আমার সন্মানের ব্যাপারে সচেতন হতে।আমি তোমার চেয়েও জঘন্য কথা শুনেছিলাম আমার আত্মীয়দের কাছে থেকে।তখন কিন্ত আমি তোমাকে কিছু বলিনি যদিও এমন কাজ তুমি বারবার করো।কাল পার্টির পর তুমি আমাকে অনেক কিছু বলেছ,যদিও আমার ভুল এই একবারই হয়েছে।আমি ঢাকা যাচ্ছি কারন কালকে তুমি আমায় যেভাবে বকেছ সেটা আমি সহ্য করতে পারছিনা।
কবির অদ্ভুত এক উপলব্ধি নিয়ে হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে থাকল।বুঝল হয়ত এবার তার বদলানোর সময় এসেছে।তারপর সে ঝটপট ব্যাগ গুছিয়ে রওনা দিল ঢাকার পথে।
০৯ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৫৯
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ০৯ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:৩২
মামুন রশিদ বলেছেন: বরের বাবা ছেলে দিতে রাজি ছিলেন কিন্ত কনের বাবা কিছুতেই মেয়ে দিতে রাজি হলেন না।
প্রথম লাইনটা ইংগিত দিচ্ছিলো গল্পে দারুণ কিছু ঘটতে চলেছে । হয়ত অনেক ঘটনা, বাঁক আর ট্যুইস্ট অপেক্ষা করছে । কিন্তু শেষ পর্যন্ত গল্পটা 'পোষাকের মুল্য' তেই আটকে গেল । তবে সুন্দর বর্ণনার গুনে গল্প বেশ উপভোগ্য হয়েছে ।
০৯ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:১৯
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: আসলেই গল্পটা আরো মজা করে লেখা যেত বলে মনে হচ্ছে।কিন্ত তারাতারি করার ফসল আসলে তেমন উপাদেয় হয় না।
বইমেলা গেছে ।তাই কিছুদিন লেখা বাদ দিয়ে শুধু পড়ছি এমনকি ব্লগও পড়ার সময় হচ্ছে না। একজনের এমন উদ্ভট সমস্যা জানার পর গল্পটা হঠাত করে মাথায় এসে গেল।তাই ঝটপট লিখে ফেললাম।ভেবেছিলাম তিন পৃষ্ঠার বেশি হবেনা।দেখি গল্প বাড়তেই আছে।শেষও হয়না আমিও উঠতে পারিনা।
প্রথম লাইনটা কবিগুরুর হৈমন্তির শুরুর লাইনের সহোদরা বোন হয়ে গেছে!!!!!!!!সেই জন্যেই বোধহয় আকর্ষন তৈরী করছে।
কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ মামুন ভাই।
৩| ০৯ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:২৩
এক্সপেরিয়া বলেছেন: ভালোই লাগল! নীতিমুলক!
০৯ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:২৪
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: হ্যাঁ ভাই।একধরনের নীতিমুলকই বলা যায়।কিন্ত যেসব ভাইজানেরা বউদের দারোগাগিরির জ্বালায় অতিষ্ঠ তারা নিশ্চয় মনে মনে গালি দিয়ে আমার ভুত ছাড়াবে।
৪| ১০ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:২৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
লেখাটা ভালই লাগল।
১০ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:৫৫
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: কৃতজ্ঞতা রইল।
৫| ১১ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:০৬
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: ভালো লেগেছে । তবে অনুচ্ছেদগুলো যদি নাম্বার দিয়ে দিতে তাহলে পড়ে আরেক্তু আরাম হতো । টানা পড়তে পড়তে মনোযোগ ছুঁতে যেতে চায় ।
ভালো থাকবেন, আরও ভালো লিখবেন
১৩ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:০১
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: ভাললেগেছে জেনে কৃতজ্ঞতা বোধ করছি।আসলে ছোট গল্পে নাম্বার দিতে গেলে আমার কেমন যেন উপন্যাস উপন্যাস মনে হয়।
আপনিও ভাল থাকবেন
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪১
বেলা শেষে বলেছেন: কবির অদ্ভুত এক উপলব্ধি নিয়ে হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে থাকল।বুঝল হয়ত এবার তার বদলানোর সময় এসেছে।তারপর সে ঝটপট ব্যাগ গুছিয়ে রওনা দিল ঢাকার পথে।
beautiful writing....