নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গত ০৫-০২-২০১৪ তারিখে গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্কে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে আজ মৌন মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকবৃন্দ।উপযুক্ত প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহন না করা পর্যন্ত এই আন্দোলন চালিয়ে যেতে চায় শিক্ষার্থীরা।বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং অন্যান্য ছাত্র সংগঠন এই আন্দোলনের সাথে সংহতি প্রকাশ করেছে।জাহাঙ্গীরনগর পরিবার মনে করে যে তার একটা ছাত্রের উপর হামলার অর্থ সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর হামলা,একগুচ্ছ ছাত্রের উপর আক্রমনের অর্থ সমগ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর আক্রমন।তাই ‘আক্রান্ত জাহাঙ্গীরনগর’ শিরোনামটি সামনে রেখে আমরা আমাদের আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সংকল্প করেছি।
আন্দোলনের কিছু ছবি যোগ করছি।
উল্লেখ্য যে গত ৫ই ফেব্রুয়ারী উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ থেকে বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্কে শিক্ষাসফর এবং বার্ষিক পিকনিকের আয়োজন করা হয়েছিল।সে উদ্দেশ্যে প্রায় ২২০জন ছাত্রছাত্রী এবং পরিবারসহ ১২জন শিক্ষকের একটি দল ক্যাম্পাস থেকে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।সেখানে বনবিভাগের অনুমদিত মূল্যে ছাত্রদের জন্য টিকিট প্রদানের জন্য অনুমতি পত্র দেখিয়ে টিকিট প্রদানের অনুরোধ করলে পার্কের ইজারাদার বাহিনী সেই অনুমতি পত্র অস্বীকার করে এবং পূর্নমূল্য দাবী করে।এ বিষয়ে কথা চলা কালে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে অশোভন আচরন প্রদর্শন করে।এ সময় তাদেরকে ফোনে বনবিভাগের কর্মকর্তার সাথে কথা বলানোর চেষ্টা করা হলে তারা শিক্ষকদের অশ্লীল ভাষায় গালি দেয় এবং একজন শিক্ষকের গায়ে হাত তোলে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্রদের সাথে তারা বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে এবং কাউন্টারে জমা থাকা লাঠি দিয়ে ২০-২৫ জন লোক মিলে ছাত্র শিক্ষকদের উপর হামলা চালায়।কয়েক দফা হামলার ফলে বেশ কয়েকজন শিক্ষক এবং ছাত্র আহত হয়।ঘটনার বেশ কিছু সময় পরে জেলা প্রশাসকের উপস্থিতিতে পুলিশ পাহারায় ছাত্রছাত্রীরা সেই স্থান ত্যাগ করে।
আক্রমনের কিছু ছবি যোগ করছি
এ বিষয়ে ঘটনার দিন রাতে আমি ব্লগে ছবি ও ভিডিও সহ একটা পোস্ট দিয়েছিলাম।সেই পোস্টের পর অনেক ধরনের কমেন্ট পাওয়া গেছে।যার মাঝে কিছু উতসাহ দিয়েছে কিছু রীতিমত হতাশ করেছে।কিন্ত পোস্ট টি দেয়ার যে উদ্দেশ্য ছিল তার একট পুরন হয়েছে।পোস্টটির মাধ্যমে আমি চেয়েছিলাম এলাকাটার পরিস্থিতি সম্পর্কে সকলকে জানাতে এবং সতর্ক করতে।আশা করি আমি সেটা পেরেছি কারন মানুষ আমাদের বিষয়টি যেভাবেই দেখুক না কেন সন্ত্রাসের বিষয়টি তারা অবগত হয়েছেন।আমি আশা করি যারা এসকল জায়গাতে ভ্রমনে উতসাহী তারা আমাদের এই অভিজ্ঞতা জানার পর আগে থেকেই সতর্ক থাকবে।
এবার আসি আমার অপর উদ্দেশ্যে।আমাদের উপরে যে হামলা হয়েছে তা ছিল সম্পূর্ন অন্যায়।আমাদের পক্ষ থেকে কোনরকমের উস্কানিদায়ক আচরন তাদের সাথে করা হয়নি।আমাদের যে দাবী ছিল তাও অন্যায্য ছিলনা বরং বন বিভাগ থেকে সকল ছাত্রের জন্য অনুমদিত একটি দাবী ছিল।ইজারাদারদের পক্ষ থেকে অনেকটা ইচ্ছা করে বাধানো একটা বাকবিতন্ডার সুযোগে আমাদের ছাত্রদের যে নির্মম ভাবে প্রহার করা হয়েছে,আমাদের চোখের সামনে যেভাবে আমাদের শিক্ষকরা লাঞ্ছিত হয়েছেন তা আমরা মুখ বন্ধ করে মেনে নিতে পারি না।আমরা এই সন্ত্রাসে বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে চাই।আমরা চাই অপরাধিদের আইনের আওতায় আনা হোক এবং তাদের একটি দৃষ্টান্ত মূলক সাজা হোক।যাতে সারা দেশের সন্ত্রাসী গোষ্ঠির কাছে একটা বার্তা পৌঁছে যেন তারা শুধু ছাত্র-শিক্ষক নয় বরং কোনো নিরীহ ভ্রমনকারীর সাথেও এমন আচরন করতে ভয় করে।
ঘটনার পর স্থানীয় মানুষদের জিগাসাবাদ করে যা জানা গিয়েছে তার চিত্র ভয়াবহ। আমাদের সাথে যা ঘটেছে এটি এখানের প্রথম এমন ঘটনা নয়।প্রায়দিনই এখানে এধরনের ঘটনা ঘটছে।নিরীহ স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী,পরিবার বা বন্ধুদের নিয়ে বেড়াতে আসা মানুষরা ইজারাদারের পোষা গুন্ডা বাহিনীর দ্বারা লাঞ্ছিত হচ্ছে।কিন্ত উপায় না থাকায় মার খেয়ে কোনোমতে চুপচাপ পালিয়ে আসছে।তাই তাদের আওয়াজ অন্যদের কান পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছে না।আমরা স্থানীয় সাংবাদিককে জিগাসা করে জানতে পারি আমাদের ঘটনাটি ছিল আগের দুদিনের সহ চতুর্থ বা পঞ্চম ঘটনা।খবর পাওয়া গেছে এরা নানা উপায়ে মানুষের সাথে ঝামেলা বাধায়।যেমন সাথে কোনো নারী থাকলে তার সাথে অশোভন আচরন করে যাতে সংগের পুরুষরা উত্তেজিত হয়।এভাবে মারামারি বাধিয়ে তারা মানুষের কাছ থেকে ব্যাগ,ক্যমেরা,মোবাইল ইত্যাদি মূল্যবান সামগ্রী হাতিয়ে নেয়।এরা মূল পার্কের মধ্যে অস্ত্র দেখিয়ে ছিন্তাই করে এমন খবরও পাওয়া গেছে।
যারা পত্রপত্রিকা পড়েন তারা নিশ্চয় লক্ষ্য করে থাকবেন যে ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানসহ আশেপাশের এলাকায় সংগঠিত নানা রকমের অপরাধ নিয়ে প্রায়ই খবর আসে।ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের কিছুদূর পরেই এই সাফারী পার্ক অবস্থিত।তাই এই এলাকার চিত্রটি একেবারেই আলাদা নয় বরং কিছুক্ষেত্রে বেশি ভয়াবহ।ভয়ে কিংবা লাঞ্ছনার লজ্জায় অনেকেই ব্যপারটা জনসন্মুখে প্রকাশ করতে চায় না বিশেষ করে যদি নারী ঘটিত কিছু জড়িত থাকে।আর যারা প্রকাশ করতে চায় প্রকাশ মাধ্যমের অভাবে তাদের কন্ঠ আমাদের কানে এসে পৌঁছায় না।আমরা আরও জানতে পেরেছি এরা মানুষের কাছে বেশি মূল্য নিয়ে সরকার কে দেখায় যে তার আসলে ছাত্রদের জন্য অনুমদিত মূল্যই রেখেছে।আর এভাবে অর্জিত অর্থের সবগুলিই স্থানীয় বনবিভাগের কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সকলের মধ্যে বন্টন হয়।এ থেকে এটাই প্রমানিত হয় যে বেশি মূল্যের টিকিট কেটে ঢুকলেও আসলে সরকারের কোনো লাভ হচ্ছে না বরং পুরোটাই যাচ্ছে এই সকল সন্ত্রাসী আর তাদের মদদ দাতাদের পকেটে।মাঝখান থেকে নিরীহ মানুষগুলো শুধু শুধু লাঞ্ছিত হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ।তাই আমরা আমাদের অবস্থান থেকে এভাবে নির্যাতিত সকলের পক্ষ হতে দেশের মানুষের কাছে আওয়াজ পৌঁছে দিতে চাই।আমরা দোষীদের বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাই যাতে পরবর্তিতে দেশের অন্যান্য ট্যুরিষ্ট স্পটগুলোর মালিক এবং সংশ্লিষ্ট সকলের মধ্য সচেতনতা তৈরী হয় এবং তারা ট্যুরিষ্টদের নিরাপত্তা বিধানে অনেক বেশি ততপর হয়।আমরা এইসকল অসাধু ইজারাদারদের কাছেও এই বার্তা পৌঁছে দিতে চাই যে সন্ত্রাসী লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে জমি দখল করা যায়,মারামারি করা যায় কিন্ত সাফারী পার্কের মত স্থাপনা চালানো যায় না।আমাদের কাছে থাকা ভিডিও এবং ছবি থেকে অপরাধী সনাক্ত করে তাদের শাস্তি দিয়ে তাদের বুঝিয়ে দিতে চাই যে সবসময় নিরীহ জনগনের উপর সন্ত্রাসী আক্রমন করে পার পাওয়া যায়না।সেই সাথে এ অঞ্চলের দায়িত্বে থাকা প্রশাসনিক মানুষদের বলতে চাই,আপনাদের সময় হয়েছে ঘুম ভেঙ্গে জাগে ওঠার।সময় হয়েছে এই অঞ্চলের সন্ত্রাস আর অপরাধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার।
আমার আগের পোস্টে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এই জন্যে যে আমরা কেন তাদের কে মেরে আসিনি।আপনারদের কাছে আমি প্রশ্ন রাখতে চাই সেটা কি কোনো ছাত্রসুলভ আচরন হতো?আমরা শিক্ষা সফরে গিয়েছিলাম,মারামারি করতে নয়।সন্ত্রাসীদের সাথে মারামারি করাটা মোটেও একজন ছাত্র বা শিক্ষকের জন্য সন্মানজনক আচরন হতো না।তবে আমাদের শিক্ষক আর বন্ধুদের গায়ে হাত তোলার পরে যারা তাদেরকে বাঁচাতে ছুটে গিয়েছে এবং খালি হাতে যতটা পারা যায় প্রতিরোধ গড় তুলে সবাইকে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দিয়েছে তাদের আচরনটাকে ছাত্রসুলভ আচরন বলা যায়।আমরা দেশের একটা সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠের শিক্ষার্থী,আমরা কোথাও গিয়ে মানুষের সাথে অযথা অশোভন আচরন করতে পারিনা,আমরা গুন্ডা বদমাশের সাথে তুচ্ছ কারনে হাতাহাতি করতে পারিনা কারন এটা আমাদের মানায় না।তবে আমরা অন্যায় কথা বা আচরন মুখ বুজে সহ্য করতেও পারিনা,অন্যায় দাবী মিটিয়ে লেজ গুটিয়ে চলে আসতেও পারিনা আবার সহপাঠি বা শিক্ষক লাঞ্ছিত হলে এগিয়ে না গিয়ে তাদের সেখানে মার খেতে রেখে পালিয়ে আসতেও পারিনা।এসব কিছুও আমাদের মানায় না।তাই আমি সকলের উদ্দেশ্যে বলতে চাই সেখানে আমাদের আচরন সন্ত্রাসীদের মতও ছিলনা আবার কাপুরুষের মতও ছিলনা।অবস্থা বুঝে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছিলাম তাই আমাদের মার খেতে দেখে খুব বেশি মজা পাওয়ার কিছু নেই তাদের, যারা আমাদের বিরোধিতা করছেন।
ছাত্ররা সবসময়ই অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার অগ্রপথিক।তাই আমরাও এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছি।নিজ নিজ অবস্থান থেকে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি আন্দোলনকে সফল করার।আমাদের এই আন্দোলন কোনো রাজনৈতিক আন্দোলন নয় তাই সম্পূর্ন শান্তিপূর্ন কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা আমাদের দাবী আদায়ের পথে এগিয়ে যেতে চাই।আমাদের সাথে যে অন্যায় হয়েছে তার বিচার পাওয়া আমাদের ন্যায্য দাবী বলে মনে করি।
আমার আগের পোস্টের কমেন্টে অনেকে আবার বলেছেন আমাদের আচরনে কি ভুল ছিল তা খতিয়ে দেখা উচিত।এক্ষেত্রে ব্লগার নবীউল করিম ভাইয়ের কথা উল্লেখ না করে পারছিনা।তিনি সে সময় কি ঘটতে পারে তার অনুমান নির্ভর একটি চিত্র তুলে ধরে সেখানে আমাদের কি কি ভুল হয়েছে সেটি দেখানোর চেষ্টা করেছেন।তাকে আমি একটা জিনিস বলতে চাই যে আপনি যেটা অনুমান করেছেন সেটা এমন একটা ঘটনার সাধারন চিত্র হিসাবে এক্কেবারে ঠিক আছে।কিন্ত ভাই আপনি যেভাবে বলেছেন সবকিছু ঠিক তেমনি ঘটেছে এর নিশ্চয়তা আপনি দিতে পারেন না।কারন অনুমান হচ্ছে অনুমান আর বাস্তবতা হচ্ছে বাস্তবতা।আমরা সেখানে ছিলাম আমরা দেখেছি কি হয়েছে তাই আমরাই ঘটনাটি সঠিক ভাবে বলতে পারবো।আমাদের কে বিশ্বাস করতে আপনার এত সমস্যা কেন?আপনার এতবড় একটি লেখাতে আপনি কিন্ত একবারও বলেন নি যে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার বিচার হওয়া দরকার।অন্যায় কিন্ত অন্যায়ই।একপক্ষের অন্যায় কিন্ত অপরপক্ষের ছোটখাট ভুল খুঁজে বের করলে শুদ্ধ হয়ে যায় না।তাছাড়া এটা কিন্ত আমাদের অভ্যন্তরীন কোন্দল বা এ জাতীয় কিছু নয় যে যাদের জাবি নিয়ে এলার্জি আছে তারা মনের সুখে আমাদের বিরোধিতা করবেন।এই ঘটনার ক্ষেত্রে আমাদের বিরোধিতা করতে গেলে ঐসব সন্ত্রাসীদের পক্ষ নিয়ে আপনাকে কথা বলতে হবে যেটা একজন বিবেকবান মানুষকে মোটেও মানায় না।
নবীউল করিম তার কমেন্টে ছাত্র-শিক্ষকদের চরিত্রের একটি দিক তুলে ধরেছেন।ওনার তুলে ধরা চিত্রটি সামাজিক অবক্ষয়ের একটি দুঃখজনক চিত্র এবং চিত্রটি সে সত্যি তা স্বীকার করতে আমার একটুও বাধা নেই।কিন্ত একবার ভেবে দেখুন চিত্রটি কয়জনের জন্য সত্য?আমরা জাহাঙ্গীরনগরে প্রতিবছরে আসা অতীথি পাখির মতই একসময় ঝাঁক বেঁধে ক্যাম্পাসে আসি,এখানে পাঁচ বছর থাকি এবং তারপর এখানে থেকে বের হয়ে আবার জনস্রোতে মিশে যাই।আমাদের মাঝে গুটিকয়েক ছেলে মেয়ে পথভ্রষ্ট হয়ে অন্য রকম হয়ে যায় কিন্ত বাঁকি যারা আছে তারা তো সব বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারন ছাত্রের মতই সাধারন।যাদের শিক্ষাজীবন শেষ হয়েছে আমরা তো তাদেরই ছোট সময়ের প্রতিনিধি,যারা এখন স্কুলে পড়ছে আমরা তো তাদেরই বড় বেলার চিত্র।তাহলে গুটিকয়েক পথভ্রষ্ট ছেলে মেয়ের জন্য আমাদের সকলকে কেন বদনাম নিতে হবে?একাত্তরে কয়েকজন বেঈমান আমাদের মাঝে ছিল বলে তো এদেশের ষোল কোটি মানুষকে এখন রাজাকার বলে ডাকা হয়না।তবে আমাদের ক্ষেত্রে কেন একচোখা নীতি হবে?জাবি নিয়ে বাজারে অনেক গরম গরম খবর আছে বলেই কেন আমরা সন্ত্রাসীদের হাতে নির্যাতিত হলেও মানুষের ন্যুনতম সমবেদনা পাব না বরং বানিয়ে বানিয়ে আমাদের দোষ তৈরী করার চেষ্টা হবে।আমি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতি কিছু মানুষের এই একচোখা নীতির তীব্র বিরোধিতা করছি।
বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্ক দক্ষিন এশিয়ার বৃহত্তম সাফারী পার্ক।এটি আমাদের জাতীয় সম্পদ।আমরা এটিকে এমন সন্ত্রাসী লাঠিয়াল বাহিনীর হাতে পরিচালিত হতে দিতে পারিনা।আমরা চাই সন্ত্রাসীদের বিচার প্রক্রিয়ার মাঝেই এই নিয়মটি পরিবর্তিত হোক এবং সঠিক মানুষের তত্তাবধানে এই সাফারী পার্কটিকে হস্তান্তর করা হোক।আজ হয়ত লাঞ্ছিত হওয়ার লজ্জাটি শুধু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কিন্ত যখন একদল বিদেশি পর্যটক এভাবে লাঞ্ছিত হবে তখন লজ্জার ভাগটি আমাদের দেশের প্রতিটি নাগরিকের উপর পড়বে।তাই সময় থাকতেই আসুন এই সন্ত্রাসের বিরোধিতা করি।আমি মনে করি এই ব্লগের প্লাটফর্মটিতে যারা নিয়মিত লেখালেখি করেন,যারা এইটিকে ভালবাসেন তারা বেশিরভাগই খুব রুচিশীল,বিবেকবান,বিবেচনাবোধ সম্পন্ন সহানুভুতিশীল মানুষ।আমার বিশ্বাস তারা সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপের গুরুত্বটুকু বুঝবেন এবং আমাদের নৈতিক সমর্থন দেবেন।
সকল ব্লগার ভাইয়ের কাছে আমার অনুরোধ আপনারা আমাদের আন্দোলনএর সাথে থাকুন এবং আমাদের সমর্থন দিন যাতে আমরা এই অন্যায় ঘটনার বিচার করতে সক্ষম হই।আপনাদের সমর্থন পেলে হয়ত আমাদের আজকের আন্দোলোনটির সফলতা এমন একটি প্রেরনার সৃষ্টি করতে পারে যেটা সন্ত্রাসে জর্জরিত এই সমাজ থেকে এই ঘৃন্য কীটগুলোকে উচ্ছেদ করে দেশকে নিরাপদ করার ক্ষেত্রে অগ্রগামী ভুমিকা রাখবে।
নিচে আমাদের কর্মসূচির একটা কপি তুলে দেয়া হলো।আশা করি আমাদের এই শান্তিপূর্ন ন্যায্য দাবী আদায়ের আন্দোলনে আমরা আপনাদের পাশে পাব।
আমরা দৃশ্যমান ও সুষ্ঠু বিচারের নিমিত্তে নিম্নোক্ত দাবী পেশ করছি।
দাবীসমূহঃ
১. সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
২. অবিলম্বে এসব সন্ত্রাসীদের হাত থেকে ইজারাচুক্তি বাতিল এবং ভবিষ্যতে পুনরায় নতুন সন্ত্রাসীদের ইজারা না দেয়া সুনিশ্চিত করতে হবে।
৩. আমাদের কর্তৃক দায়েরকৃত মামলাটি শ্রীপুর, গাজীপুর থানা থেকে ন্যূনতম কার্যদিবসের মধ্যে সাভার থানায় স্থানান্তর করতে হবে।
৪. আহতদের সুচিকিৎসার জন্য এই মুহূর্তে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
৫. দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে স্থায়ী পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনের ব্যবস্থা করতে হবে।
৬. অপরাধীদের ছবি ও ভিডিও ক্লিপস প্রকাশ করতে হবে।
সাফারি পার্কে এমন ঘটনা অনেকবার ঘটলেও কোন প্রতিবাদ ও প্রতিকারের ব্যবস্থা স্থানীয় প্রশাসন কখনই নেয় নি। এরকম জাতীয় বিনোদন ও শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠান কি করে সন্ত্রাসীদের হাতে থাকে তা আমাদের বোধগম্য নয়। এমনকি এই প্রতিষ্ঠানের ১৩ কিমি. এর মধ্যে নিরাপত্তা বিধানের জন্য কোন পুলিশ-ফাঁড়ি বা আনসার বাহিনীর ব্যবস্থা নেই। যার দরুন প্রতিষ্ঠানটি স্থানীয় ইজারাদার নামধারী সন্ত্রাসীদের অভয়ারন্যে পরিণত হয়েছে। অবিলম্বে এই জাতীয় প্রতিষ্ঠানকে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে উদ্ধার না করলে ভবিষ্যতে এর শিক্ষামূলক ও বিনোদন ব্যবস্থা সম্পুর্ন ধ্বংস হয়ে যাবে। আগামীকাল যে অন্য কোন ছাত্র-শিক্ষক এই লাঞ্ছনার শিকার হবে না তার নিশ্চয়তা কোথায় ?
এই প্রশ্নকে সামনে রেখে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী সকলের প্রতি আমাদের উদাত্ত আহবান- আমাদের এ যৌক্তিক আন্দোলনে অংশগ্রহন ও সহযোগিতা করে নৈতিক আন্দোলনে সামিল হোন।
উল্লেখিত দাবীসমূহের বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের নিম্নোক্ত কার্যক্রম আমরা শান্তিপুর্ন ভাবে পালন করে যাব।
কর্মসূচীঃ
শনিবারঃ মৌন মিছিল
রবিবারঃ মানব-বন্ধন
সোমবারঃ প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান ধর্মঘট
মঙ্গলবারঃ ঢাকা আরিচা মহাসড়কে মানব-বন্ধন।
বুধবারঃ শহীদ মিনারে প্রতীকী অনশন।
উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ।
পূর্বের পোস্টের লিঙ্ক।এখানে দেখুন
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৪৩
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: আসলেই ভয়াবহ!
দ্রুত বিচার চাই।ধন্যবাদ।
২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৪২
হু বলেছেন: আমিও আপনাদের এই আন্দোলনের সাথে একত্বতা ঘোষণা করছি। পর্যটন কেন্দ্রগুলো সন্ত্রাসীদের আশ্রয় কেন্দ্র হতে পারে না। এখানে ভ্রমণ কারীরা আসবে, দেখবে, এবং সুন্দর কিছু স্মৃতি বুকে ধারণ করে বাড়ি ফিরে যাবে। আমরা কেউ চাই না যে - বেড়াতে এসে বাজে স্মৃতি নিয়ে বাড়ি ফিরতে।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৪৪
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: আপনার কথার সাথে সম্পূর্ন একমত।
আন্দোলনে পাশে থাকার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৪৫
তূর্য হাসান বলেছেন: শিগগিরই যাওয়ার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু যা শোনালেন তাতে যাওয়ার প্ল্যান বাতিল করলাম। আন্দোলন চালিয়ে যান। এই শুয়োর ইজাদারদের কারণে কোনো পর্যটন স্পটেই নিরুপদ্রবে যাওয়া যায় না।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:০৯
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: ঠিক বলেছেন।আমি এই মাত্র আর একটি ব্লগ পড়লাম যেখানে দেশের পর্যটন ব্যবস্থায় নিরাপত্তাহীনতার কথা বিশদ ভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
এই যে তার লিংক
Click This Link
৪| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৫৮
গোলক ধাঁধা বলেছেন: ২০০ শতাধিক ছাত্র ছাত্রীর সামনে গুটিকয়েক সন্ত্রাসীদের দ্বারা শিক্ষকদের গায়ে হাত তোলা এবং তাদেরকে লাঞ্চিত করা এটাই মেনে নিতে সবচেয়ে কষ্ট হচ্ছিল ,যাই হোক আপনাদের আন্দোলনের সাথে অবশ্যই পুর্ণ সমর্থন আছে এবং সকল দোষীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তিসহ এই ঘটনার যেন আর না ঘটে তার নিশ্চয়তা দাবি করছি
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:১৫
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: এটা আমাদের জন্য মেনে নেয়াও অনেক কঠিন।শিক্ষকদের বাঁচাতে গিয়ে ছাত্রের গায়ে বাড়ি পড়ে ছাত্রকে বাঁচাতে গিয়ে শিক্ষক মার খায়!!!!!!সে যে কি দৃশ্য ছিল তা না দেখলে বুঝিয়ে বলা সম্ভব নয়।সেই সাথে ছাত্রীদের কান্নাকাটি,বন্ধুদের নাম ধরে ডাকাডাকি আর চিতকার!!!
আমরা এই অপমান তখনও মেনে নেইনি এখনও নেবনা।
আমাদের উতসাহ দেবার জন্য ধন্যবাদ।
৫| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:০৭
উদাস কিশোর বলেছেন: গোলক ধাঁধা বলেছেন: ২০০ শতাধিক ছাত্র ছাত্রীর সামনে গুটিকয়েক সন্ত্রাসীদের দ্বারা শিক্ষকদের গায়ে হাত তোলা এবং তাদেরকে লাঞ্চিত করা এটাই মেনে নিতে সবচেয়ে কষ্ট হচ্ছিল
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:১৬
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: এটা আমাদের জন্য মেনে নেয়াও অনেক কঠিন।শিক্ষকদের বাঁচাতে গিয়ে ছাত্রের গায়ে বাড়ি পড়ে ছাত্রকে বাঁচাতে গিয়ে শিক্ষক মার খায়!!!!!!সে যে কি দৃশ্য ছিল তা না দেখলে বুঝিয়ে বলা সম্ভব নয়।সেই সাথে ছাত্রীদের কান্নাকাটি,বন্ধুদের নাম ধরে ডাকাডাকি আর চিতকার!!!
আমরা এই অপমান তখনও মেনে নেইনি এখনও নেবনা।
আমাদের উতসাহ দেবার জন্য ধন্যবাদ।
৬| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:১৯
তুহিন আল মামুন বলেছেন: লেখক উল্লেখ করেছেন যে ১৩ কি:মি এর ভিতরে কোন পুলিশ ফাড়ি বা থানা নেই!!!! প্রশাসনকি জানে না যে এই ধরণের এলাকায় অনেক ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে??? ইজরাদার ও প্রশাসন দুই এরই বিচার হওয়া উচিত।
ছিনতাইকারীদের ছিনতাইয়ের মালামালের ভাগ এই পুশিল ব্যটাও পায়। পুলিশের হাতেও মানুষ হয়রানির শিকার হয়।
যখন কেউ বেড়ানোর উদ্দেশ্যে কোথাও যায় তখন সে একটু খুশি মন নিয়ে সেখানে যায়- কেউ চায় না কোন প্রকার ঝামেলা হোক। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাও সেট চায়নি মনে হয়। এই ঝামেলা হওয়ার পিছনে পার্ক কতৃপক্ষের বড় ধরণের লাভ আছে। কারণ তারা যদি পর্যটকদের কাছ থেকে কিছু রেখে দিতে পারে সেটাই তাদের ব্যক্তিগত লাভ।
উপরের ছবি দেখে সত্যিই মনে হচ্ছে সন্ত্রাসী গ্রুপের হামলা। এদের চেহারটা একবার দেখুন তাহলেই বুঝা যাবে।
আপনাদের আন্দোলনের সাথে একত্ততা ঘোষণা করছি কারণ আমি নিজেও চাই না কোথাও বেড়াতে গিয়ে এই ধরণের বিপত্তিতে পড়ি।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:২৩
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
৭| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:২২
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: এই মাত্র একটি লেখা পড়লাম যেখানে বাংলাদেশের পর্যটন স্থানগুলোর নিরাপত্তাহীনতার কথা বিষদ ভাবে অনেক ধরনের তথ্য প্রমান সহ বলা হয়েছে।লেখাটির সত্যতা আমাদের দাবীর যথার্থতা প্রমান করে তাই লিংকটি শেয়ার করে লেখাটি পড়ে দখার অনুরোধ করছি।
Click This Link
৮| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:০২
দি সুফি বলেছেন: আপনাদের ৬ দফা দাবির একদফাও মেনে নেওয়া হবে না, তবে আশ্বাস দেয়া হবে। ভূত তাড়ানোর মত কেউ নেই। ভূত সর্ষের ভিতরেই।
অবশ্যই অপরাধীদের বিচার চাই। ক্ষমতাসীনদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৩২
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: হ্যাঁ আজকের বাস্তবতা খুবই দুঃখজনক।তবুও আমরা যদি বড় ভুত গুলিকে চাপ দিতে পারি ছোট ভুতগুলি তাড়াতে তবে সেটা কিন্ত মন্দ হয়না।আর বড় ভুতগুলির ব্যবস্থা না হয় কোনো একদিন আপনারা আমরা সবাই মিলে করা যাবে।
৯| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৬:০১
পড়শী বলেছেন: ইজারাদাররা নিশ্চয়ই অনেক প্রভাবশালী মহল দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। না হলে এদের এত সাহস হবার কথা নয়।
সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সদিচ্ছা ছাড়া সুবিচার পাওয়া অসম্ভব।
মিডিয়ার সহায়তা পাওয়া গেলে এসব ক্ষেত্রে দ্রুত কাজ হতে পারে।
এ সমস্ত ছিচকে মাস্তান দের লোক দেখানো বিচার হলেও, অপরাধীদের মূল হোতাকে বিচারের আওতায় আনতে না পারলে, মূল সমস্যা রয়েই যাবে।
তাই শুধুমাত্র গোল বৃত্ত চিহ্নিত মাস্তান দের নয়, পেছনের মূল হোতাদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যান।
শুভকামনা।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:২৪
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: হ্যাঁ ইজারাদার রা আসলেই প্রভাবশালী মহল দ্বারা পরিচালিত।তবে এমন ঘটনা এখানে প্রতি্নিয়ত ঘটছে।আমাদের টা বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা ছিলনা।স্থানীয়দের কাছে জানা গিয়েছে এসকল কারনে দিন দিন এখানে দর্শনার্থীর সংখ্যা কমছে।
তাই আমরা আশা করি উচ্চ মহলের হস্তক্ষেপ এবং সহায়তা পাওয়ার।প্রথম থেকেই কিছু কিছু মিডিয়ার সহায়তা আমরা পেয়ে আসছি।অনেকগুলো প্রিন্ট এবং অনলাইন পত্রিকায় খবরটি ছাপা হয়েছে।এছাড়া আমাদের আন্দোলোনের খবরের আপডেট জানানোর কাজও করছে অনেক ইলেক্ট্রনিক এবন প্রিন্ট মিডিয়া।আজ আমাদের মানব বন্ধনের মিডিয়া কাভারেজ দিয়েছে সময় এং চ্যানেল একাত্তর।
এদের যেনধু লোক দেখানো শাস্তি না হয় এটা আমরা নিশ্চিত করতে চাই।শুভকামনা জানানোর জন্য ধন্যবাদ।
১০| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:২২
রমিত বলেছেন: ভয়াবহ অবস্থা!!!!
সন্ত্রাসী হামলার দ্রুত বিচার চাই।
কিন্তু কার কাছে বিচার চাই? কে করবে বিচার?
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:১১
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: আসলেই ভয়াবহ অবস্থা।দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়া হলে অবস্থা আরো ভয়াবহ হবে।
উচ্চ পর্যায়ের প্রশাসনকে চাপ দিলে তারা বিচার করবে কারন তাদের সে ক্ষমতা আছে।আসুন আমরা আশাবাদী হই।
১১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৭
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন:
কার বিচার হবে? কেন হবে? সবাই তো আমাদের স্বার্থেই ব্যবহৃত হচ্ছে। তাহলে বিচার কেন?
বিচার যে চাইবে তারই বিচার হবে। এমন বিচার হবে যেন কোন দিন বিচারের নাম পর্যন্ত না নিতে পারে। অতঃএব সাবধান!
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:০৬
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: কি যে বলবো তাই বুঝতে পারছি না।
১২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:২৯
মামুন রশিদ বলেছেন: সন্ত্রাসীদের ধরে দ্রুত বিচার করা হোক ।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:১৩
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: সন্ত্রাসীদের দ্রুত বিচার করা হোক!!!!
পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ মামুন ভাই।
১৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৩০
ধানের চাষী বলেছেন: এরকম জঘন্য কাজের দ্রুত বিচার চাই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-ছাত্রদের উপর হামলা করার মতো কাজ করার সাহস পায় কোথা থেকে ?
এই লজ্জা আমাদের সবার।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:২৪
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: আমরাও মনে করি লজ্জাটা সবার।তাই এভাবে নির্যাতিত সকল মানুষের পক্ষ থেকে আমরা প্রতিবাদ করছি।জানিনা কতটা সফলতা আসবে কিন্ত চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া তারুন্যের ধর্ম।
পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
১৪| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৫৬
একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
বিচার চাই
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:০৯
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: হ্যাঁ অবশ্যই বিচার চাই।
১৫| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:২৬
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: লজ্জাজনক !
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:১১
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: আসলেই অনেক লজ্জা আর অপমানজনক!!
১৬| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৩৬
প্রান্তিক জন বলেছেন: বিচার অবশ্যই জরুরী। কিন্তু যার নিজের ঘরেই অবিচার চলে, সেখানে এই সব বিচারিক কথাবার্তা মাতলামোর মতো ঠেকে।
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:০৫
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: অবিচার নেই কোন জায়গাটিতে আপনি কি দেখাতে পারবেন????তাই বলে কি বিচার চাওয়াটা পাপ???বিচার করার চেষ্টা পাপ??
আমাদের সাথে যে অবিচার হয়েছে আমরা তার বিচার চাইছি এবং বিচার যাতে হয় তার জন্য রাস্তায় আন্দোলনে নেমেছি।আপনাদের সাথে হওয়া অন্যায়ের বিচার করার চেষ্টা আপনারা করেন না তাই বিচার পান না।জানিনা জাবি আপনার সাথে কি অবিচার করেছে।তবে এটা অবশ্যই মনে করি যে অবিচার করে থাকলে তার প্রতিবাদ তখনি আপনার করা উচিত ছিল।
আপনারা নিজেরা কিছু করবেন না,অন্যায় দেখে লেজ গুটিয়ে বসে থাকবেন আবার কোনো অন্যায়ের প্রতিবাদ কেউ করতে গেলে সেখানে কটু মন্তব্য করবেন।ভালই তো।চমতকার আপনার নীতি!!!!!!!
মনে রাখবেন খুলনার সখিনার মায়ের মুরগী চুরি হলে ঢাকার জরিনার নানি প্রতিবাদ করতে যাবে না।যে ভুক্তভোগী তাকেই প্রতিবাদ শুরু করতে হবে।পরে যদি সখিনার মায়ের প্রতিবাদ জরিনার নানিকে অনুপ্রানিত করে তো সে এসে যোগ দেবে।অন্যায়ের বিরুদ্ধে যার যার জায়গা থেকে মানুষ যদি প্রথমেই রুখে দাঁড়াতো তাহলে কি আজ দেশের অবস্থা এমন হয়???
আপনি বলেছেন বিচার জরুরি।হ্যাঁ বিচার অবশ্যই হওয়া দরকার।এতগুলো ছাত্রছাত্রী বেড়াতে গিয়ে আক্রমনের শিকার হয়েছে,অপমানিত হয়েছে।তার প্রতিবাদ করতে গিয়ে কড়া রোদের মাঝে গত কয়দিন ধরে রাস্তায় দাঁড়িয়ে কর্মসূচি পালন করছে,এসবের কি কোনো মূল্য থাকবে না?
যদি মনে করেন যে আমাদের বিচার পাওয়া উচিত তবে উতসাহ দিন।তা না পারলে অযথা অপ্রাসঙ্গিক কথা বলে আমাদের নিরুতসাহিত করবেন না।
১৭| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৩৮
অপ্রচলিত বলেছেন: আপনি বলেছেন
আজ হয়ত লাঞ্ছিত হওয়ার লজ্জাটি শুধু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কিন্ত যখন একদল বিদেশি পর্যটক এভাবে লাঞ্ছিত হবে তখন লজ্জার ভাগটি আমাদের দেশের প্রতিটি নাগরিকের উপর পড়বে।
আমি সবিনয়ে দ্বিমত পোষণ করছি। জাবির ছাত্রছাত্রীদের প্রতি এই অযাচিত সন্ত্রাসী আক্রমণ আপনাদের একার লজ্জা নয়। যে দেশে ন্যায় বিচার নেই, যে দেশের আইন দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের সাধারণ নিরাপত্তাটুকু দিতে পারেনা, সেই দেশের একজন নাগরিক হিসেবে এ লজ্জা আমাদের সবার।
এ বিষয়ে আপনার দুটো পোস্টই পড়লাম। কিছু মানুষের মন্তব্য সত্যিই পীড়াদায়ক। অনেকেই দেখলাম অপ্রাসঙ্গিকভাবে অন্যায়কে ন্যায়সঙ্গত করার প্রয়াস চালাচ্ছে। জাবির ছাত্ররা ধোঁয়া তুলসী পাতা নয়, অতীতে হয়তো অনেক অন্যায় কাজই করেছে। এটুকু মেনে নিতে আমার কোন সমস্যা নেই। তবে অপ্রাসঙ্গিকভাবে এই ঘটনার মধ্যে সেসব অহেতুক টেনে আনা কেন?
আশা করি সুবিচার পাবেন। কর্মসূচি চালিয়ে যান, পাশেই আছি।
কোনভাবে সাহায্য করতে পারলে জানাবেন। তবে মিডিয়ার সমর্থন কিন্তু সুবিচার পাওয়ার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। দেশের অবস্থা এখন এমন হয়ে গেছে যে লাফালাফি না করলে ফল পাওয়া যায়না (যদিও এমনটা অবশ্যই কাম্য নয়)।
অনেক কথা বলে ফেললাম। সমবেদনা জানানোর ভাষা খুঁজে পাচ্ছিনা, সাধ্যমত পাশে থাকব, প্রতিবাদ চালিয়ে যান।
নিরন্তর শুভ কামনা।
আর হ্যাঁ, আমি জাবির কেউ নই, কখনো ছিলামও না। তবে অন্যায়কে অন্যায় বলে মেনে নিতে কিন্তু কোন সমস্যা নেই।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:০৪
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: আপনার কথাগুলি মূল্যবান।অনেকেই সেটা বুঝতে চাইছে না।আমি সারাদিন অভুক্ত শরীরের ধকল নিয়ে রুমে ফিরে না ঘুমিয়ে যখন প্রথম পোস্ট দিয়েছিলাম তখন কিন্ত জানতাম না আমরা আন্দোলোনে নামতে যাচ্ছি।
হয়ত খেয়েল করেছেন আমি লাথির কথাটি উল্লেখ করেছি।না করলে আপনারা কি করে জানতেন?কোনো পত্রিকা সেটা প্রকাশ করেনি করবেও না কারন ওখানে এটা কিন্ত ঝামেলা বাধার কারন ছিলনা। আমি প্রথমেই চেয়েছি সকল কে আতংকজনক সত্যটা জানাতে যাতে সকলে সাবধান হয়।সেই সাথে একটা জনমত গড়ে তুলতে যাতে আমাদের দ্বরা সম্ভব না হলেও অন্যকেউ এই পর্যটন স্থানগুলো নিরাপদ করা পদক্ষেপ নেয়।আর একটা কারন হচ্ছে আমাদের কাহিনি শুনে যারা বুঝতে পারবে আমাদের বেলায় কি কি না হলে এই ঘটনাটি এড়ানো সম্ভব হতো তারা নিজেরা সেখানে গেলে সেগুল না করার ব্যাপারে আগে থেকে সতর্ক থাকে।
আপনার মন্তব্য আর শুভকামনার জন্য ধন্যবাদ।
১৮| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৫:৪২
কামের কথা কন!! বলেছেন: ভাই আপনার সব পোস্ট পড়লাম আপনার তোলা ভিডিও এবং ছবি থেকে সব গুলোরে থাবড়ায়ে কানে ধরে বাঁশ ডলা দিতে হবে তা হলে সব ঠিক হবে। আন্দলন চালিয়ে যান এট লিস্ট লোকজন তো জানতে পারল কি হচ্ছে ওখানে। আর যারা চুলকানি মার্কা কমেন্ট করেছে সেই গুলোকে ও ব্লগ থেকে থাবড়ায়ে বের করে দেয়া দরকার । আমাদের এক মিরজাফর গেছে কিন্তু সেই মিরজাফর এর ডি এন এ যে এখনও ছড়ায়ে ছিটায় আছে এবং নব্য মিরজাফর তৈরি করছে তা এই বিষয় এর আগের পোস্ট গুলোর নেতিবাচক কমেন্ট দেখলে বুঝা যায়। তাই সরকার, প্রশাসন, রাজনীতি বিদ গো ঠিক করার আগে এই নব্য মিরজাফর গুলোকে থাবড়ায় থাবড়ায় দেশ থেকে বের করা দরকার।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৪৫
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: আমাদের যে দাবী তাতে কার কোনো লাভ হওয়ার সম্ভবনা কম তাই ক্যাম্পাসের স্বার্থান্বেষী মহল এই আন্দোলনে আমাদের পেছনে থাকবে না।হয়ত ক্যাম্পাস প্রশাসন সহ কেউ থাকবে না।তাতে কিন্ত তেমন সমস্যা নেই।বিবেকে বেধেছে তাই রাস্তায় দাঁড়িয়েছি।এটা ভেবে দাঁড়াইনি যে কে কে পেছন থেকে ব্যাকয়াপ দেবে।
আমি যে ব্লগে এসব লিখছি সেটা কিন্ত এসব চিন্তা করে লিখছি না যে সহ ব্লগার রা জাবিতে এসে আন্দোলনে যোগ দেবে বরং এটা জানানোর জন্য লিখছি যে সেখানে ইজারাদারের পোষা গুন্ডা দিয়ে পর্যটকদের কাছ থেকে বেশি টাকা আদায় করা হয় এবং তুচ্ছ কারনে গন্ডগোল পাকিয়ে আক্রমন করা হয়।আমি তো ওখানে আর যাব না আমার কি লাভ হবে এসব লিখে?কিন্ত যারা যেতে চান তাদের লাভ হতে পারে।আর এভাবে যদি প্রশাসনের টনক নড়ে তাহলে পার্কটিকে যোগ্য হাতে হস্তান্তর করা হতে পারে।
ভাই আমি বুঝলামই না যে পোস্টের মূল প্রতিপাদ্যটি এড়িয়ে গিয়ে মানুষ কেন আমাদের ছিদ্র খোঁজায় এত মনোযোগী হচ্ছে?
ভাল থাকবেন।শুভ কামনা রইল।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৪১
খেয়া ঘাট বলেছেন: ভয়াবহ অবস্থা!!!!
সন্ত্রাসী হামলার দ্রুত বিচার চাই।