নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিক্ষাসফর আমাদের শিক্ষার একটা অন্যতম অংশ তাই প্রতিবছরই ডিপার্টমেণ্ট থেকে সারা দেশের নানা স্থানে শিক্ষাসফরের আয়োজন করা হয়।এবার ডি্পার্টমেণ্টের বার্ষিক পিকনিক আর প্রথম বর্ষের ছাত্রদের জন্য তাদের প্রথম শিক্ষাসফরের আয়োজন করা হয়েছিল গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্কে।ইচ্ছা ছিল শালবনের ছায়ায় বন্যপশুর বিচরন দেখে আর সুশোভিত বাগানে ঘুরে বন্ধু আর ছোট বা বড় ভাই বোনের সাথে আড্ডা দিয়ে দিনটা সুন্দরভাবে কাটিয়ে দেব।সেই সাথে শিক্ষকদের কাছ থেকে ছোটরা চিনে নেবে অচেনা সব উদ্ভিদ আর আমরাও এই ফাঁকে নিজেরদের জ্ঞানটা সমৃদ্ধ করে নেব।
এই উদ্দেশ্যে চারটি বাসে ডিপার্টমেন্টের প্রায় ২২০ জন ছাত্রছাত্রী সেই সাথে দশজন শিক্ষক তাদের পরিবারের কিছু মানুষ(শিশুসহ) এবং কয়েকজন অফিস সহকারী মিলে সকাল দশটার দিকে ক্যাম্পাস থেকে গাজীপুরের দিকে রওনা হলাম।প্রায় দুইঘন্টার বাস জার্নি শেষ করে দুপুর ১২টার দিকে আমরা সেখানে পৌঁছায়।বিশাল জায়গা নিয়ে গড়ে উঠেছে এই সাফারী পার্ক।অনেক মানুষে এখানে বেড়াতে আসে তা বুঝলাম অনেক স্কুল ড্রেস পড়া ছাত্রছাত্রী এবং অনেক সাধারন মানুষ আর বাস দেখে।আমাদের দুইটি বাস ক্যাম্পাসের আর দুইটি ছিল ভাড়া করা।এলাকায় পৌঁছে আমরা সবাই বাস থেকে নেমে এদিকে সেদিকে ঘুরে দেখছিলাম।এই সুযোগে আমাদের স্যার এবং বন্ধুরা ভেতরে প্রবেশের টিকিটের ব্যবস্থা করতে কাউন্টারে গেলেন।
এটাই মূল প্রবেশ পথ।এর ওপাশে রয়েছে বাগান।তারপর আসল পার্ক।
আমাদের কাছে বন অধিদপ্তরের একটা ছাড়পত্র ছিল।সেটা দেখিয়ে স্বল্পমূল্যে ছাত্রদের জন্য প্রবেশ টিকিট সংগ্রহ করার কথা ছিল।এই ফর্মে সচিবের সাইন ছিল কিন্ত সিল ছিল না।সেটা অবশ্যই আমাদের ভুল নয়।এই অযুহাতে কাউন্টারের লোকজন আমাদের টিকিট দিতে চাইছিল না।তখন আমাদের টিচার এবং ছাত্ররা তাদের বোঝানোর চেষ্টা করে।কিন্ত তারা কোনো কথাই শুনতে চাইছিল না এবং আমাদের সাথে তাদের আচরন দেখে মনে হচ্ছিল আমরা দেশের অন্যতম একটি সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ থেকে নয় বরং গ্রাম্য কোনো পাঠশালা থেকে বেড়াতে এসেছি।আমাদের স্যারদের সাথে তারা অসম্ভব উদ্ধত ব্যবহার করছিল।তবুও যথেষ্ট নম্র ভাষায় তাদের বলা হচ্ছিল যে আপনারা বন অধিদপ্তরে ফোন দিয়ে কথা বলে নিশ্চিত হন কিন্ত তারা কোনো কথাই শুনছিল না।এ পর্যায়ে তারা আমাদের একজন শিক্ষকের বুকে ধাক্কা দিয়ে বাজে কথা বলে।স্বাভাবিক ভাবেই তখন উপস্থিত ছাত্ররা উত্তপ্ত হয়ে উঠে বলে যে আপনি জানেন যে আপনি একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের সাথে কথা বলছেন।তখন তারা এমন ভাব দেখায় যেন এটা কোনো বিষয়ই না।আমাদের একজন ছাত্র তখন রেগে উঠে দরজায় একটা লাথি দেয়।এরপরেই আশেপাশের কয়জন সহ কাউন্টারের লোকজন লাঠি নিয়ে এগিয়ে এসে সবাইকে ঘেরাও করে এবং এলোপাথারী আঘাত করা শুরু করে।এখানে উল্লেখ্য যে বাঁশের লাঠির একটা বোঝা কাউন্টারেই জমা করা ছিল!!!লোকগুলো এগিয়ে এসে সেখান থেকেই লাঠি তুলে নেয়।এসময় তারা বুকের কলার ধরে আমাদের একজন সিনিয়র শিক্ষক কে ভেতরে টেনে নিয়ে যায় এবং অন্য ছাত্রদের সাথে মারামারি শুরু করে।এত গন্ডগোল দেখে আমাদের বাঁকি ছাত্ররাও সেখানে ছুটে যায়।
এরপরে চার থেকে পাঁচ দফায় তারা আমাদের ছাত্রদের ধাওয়া করে এবং তাদের আহত করে।বেশির ভাগ শিক্ষকের গায়েও লাগে লাঠির আঘাত।ভাগ্যক্রমে আমাদের ম্যাডাম এবং ছাত্রীরা মূল প্রবেশদ্বারের কাছেই ছিল তাই তারা দ্রুত ওপাশে নিরাপদ আশ্র্য়ে যেতে পেরেছিল।কাউন্টার থেকে মূল প্রবেশদ্বারের দুরত্ব একশ গজ মত হতে পারে।সেখান থেকে তাড়া দিয়ে আমাদের ছাত্রদের তারা মূল গেটে তাড়িয়ে আনে।এসময় গেট খুলে দেওয়ায় অনেক ছাত্র গেটের ভেতরে ঢুকে পড়ে আর যারা ঢুকতে পারেনি তাদেরকে প্রচন্ড প্রহার করা হয়।আমাদের ডিপার্টমেণ্টের সবচেয়ে সিনিয়র ব্যচের এক ভাইয়াকে রাস্তায় ফেলে এলোপাথারী বাঁশের লাঠি আর কাঠ দিয়ে পিটানো হয়।
আতংকিত অবস্থায় যখন আমরা পার্কের দেয়ালের মাঝে অবস্থান করছিলাম তখন আমরা জানতাম না যে আমাদের ভাগ্যে কি আছে।শিক্ষকদের ফোন পেয়ে প্রায় ঘন্টা খানেকের মধ্যে গাজীপুরের ডিসি সাহেব তার সাথে পুলিশ ফোর্স নিয়ে আসেন।এর ঘন্টা দুয়েক পর পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হলে তিন ভ্যান পুলিশের পাহারায় আমরা এলাকা ছাড়ি।
এই হলো মূল ঘটনা এবার আসি একটু গভীরে।আমরা উদ্ভিদবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী।আমাদের শিক্ষার খাতিরেই দেশের নানা এলাকার বন জঙ্গলে প্রতি বছরই তিন থেকে চারটা শিক্ষাসফর থাকে এক একটা ব্যাচের।আমরা অনেক দূর্গম এলাকাতেও ভ্রমন করি আর এই জন্য উচ্চতম প্রশাসনের ছাড়পত্র আমাদের দরকার হয় বিষয়টাকে সহজ এবং সুলভ করার জন্য।তাই এবিষয়টা নতুন কিছু নয়।গাজীপুএর সাফারী পার্ক ঠিক শিক্ষাসফরের উপযুক্ত জায়গা না হলেও পিকনিকের জন্য এটাকে আদর্শ বলে আমরা মনে করেছিলাম।আর প্রথম বর্ষের ছাত্রদের শিক্ষা দেবার মত উপকরন আছে বলেই আমাদের এখানে আসা।
এই যে পুরো ঘটনাটা ঘটে গেল আমরা কিন্ত কোনো সিকিউরিটি ফোর্স দেখিনি।এতবড় এলাকায় মানুষের জানমালের নিরাপত্তার জন্য সিকিউরিটি থাকবে না এটা কেমন কথা?এমন কি মূল প্রবেশ দ্বারে কিছু পুরুষ আর মহিলা লোকের ব্যাগ চেক করছে এবং কোনো পানি বা খাবার দেখলে তা ছিনিয়ে নিয়ে পাশে জমা করে রাখছে।এছাড়া আলাদা কোনো পাহারার ব্যবস্থা আছে বলে মনে হলো না।এদের আচরন ও খুবই রূঢ়।এমনকি আশেপাশে অনেক লোক থাকলেও কেউ আমাদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি।টিকিট ছাড়া মূল গেটে ঢোকা যায় না তাই ঝামেলা শুরু হলে মেয়েরা গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল।একজন শিক্ষক ধমক দিয়ে তাদের ভেতরে না ঢোকালে তাদের সাথে জঘন্য কাণ্ড হয়ে যেত অবলীলায়।তবে অন্য জায়গাতে তো দেখেছি ঝামেলা বাধলে আশেপাশে যারা থাকে তারা মেয়েদের আগে নিরাপদ স্থানে সরে আসতে পরামর্শ দেয়।এখানে তা হয়নি।বরং মেয়েরা যখন গেটের কাছে পাংশু মুখে প্রিয়বন্ধুর জন্য দুঃশ্চিন্তায় নীল হয়ে অপেক্ষা করছিল তখন গেটে থাকা মানুষ গুলো কর্কষ ভাষায় গেট থেকে সরে যাওয়ার জন্য আদেশ দিচ্ছিল বারবার যাতে তাদের অন্য কাস্টোমারদের ভেতরে যাওয়া সুবিধা হয়।
এখন আসি সব চেয়ে বড় প্রশ্নে।সেটা হচ্ছে কেন ঐ টিকিট কাউন্টারে বাঁশের লাঠি জমা করা ছিল?আর কেনই বা এত তুচ্ছ বিষয় নিয়ে তারা মারামারী করতে এগিয়ে এল?এবং কেন কথা কাটাকাটি শুরু হওয়া মাত্র আশেপাশে থেকে ১৫-২০ জন লোক এগিয়ে আসল এবং নির্দ্বীধায় লাঠি তুলে ছাত্র শিক্ষকদের আঘাত করল?উত্তরগুলোও দিয়ে দিচ্ছি।যতটুকু জেনেছি এই সাফারী পার্কটা সরকারি নয় অর্থাৎ লিজ দেয়া।অবশ্যি লিজ নিয়েছে এলাকার কিছু ক্ষমতাশালী সন্ত্রাসীর দল।তারা কাউন্টারে লাঠি জমা এই জন্যই নিশ্চয় রাখে যাতে অযথা কিছু করে একটা ঝামেলা বাঁধানো যায় এবং এই মারামারির সুযোগে ঘুরতে আসা মানুষদের কাছে থেকে মুল্যবান জিনিস ছিনিয়ে নেয়া যায়।শুনেছি সাফারী পার্কের মূল অংশে(যেটা অনেক ভেতরে এবং পুরোটা ঘুরে দেখতে বাস লাগে।এখানে আমরা প্রবেশ করতেই পারিনি।তাড়া খেয়ে আমরা তার আগের বাগানের মত অংশে আশ্রয় নিয়ছিলাম) ছিনতাই হয় নিয়মিত।ছাত্রীদের নিয়ে ঘুরতে আসা একজন স্কুল শিক্ষকের কাছে শুনলাম আগের দিনও নাকি এখানে কয়জনকে মেরে মাটিতে শোয়ানো হয়েছে এবং এমন ঘটনা নাকি প্রায়ই হয়।আমি ভেতরের একজন খালাকে বিষয়টা জিগাসা করলে তিনি কিন্ত এটা একদমই স্বীকার করেননি।
প্রথম দিকে তারা ২০ জন আর আমাদের ছেলেরা অনেক বেশি থাকায় দফায় দফায় মেরে আহত করা ছাড়া তেমন কিছু করতে পারেনি।কিন্ত আমরা যদি সংখ্যায় কম হতাম তবে সেখানে কারো প্রান যাওয়া অসম্ভব ছিলনা।ছাত্রদের কেউ কেউ বলেছে তারা নাকি এলাকার অন্য লোকদের ফোন করে ডাকছিল এবং ফায়ার আর্মসের কথা বলছিল।বিষয়টা আমি বিশ্বাস করছি কারন আমি নিজ চোখে দেখেছি যে কি নির্মম ভাবে ছেলেগুলোকে লাঠি দিয়ে পেটানো হচ্ছিল।কিন্ত তাদের আসলে কোনো অপরাধ ছিলনা।এবং ঝামেলাটা লোকগুলো অনেকটা ইচ্ছা করেই বাঁধিয়েছিল।আমরা নিশ্চিত ছিলাম যে স্থানীয় প্রশাসন এখানে নাক না গলালে এবং মন্ত্রী পর্যায়ে খবর না গেলে আমরা সুস্থ দেহে আজ ক্যাম্পাসে ফিরতে পারতাম না।
ডিসি সাহেব এসে অনেক আশ্বাস দিয়েছেন কিন্ত আমরা ফাঁকা বুলি শুনতে চাই না। আমরা চাই অপরাধির সাজা হোক।একটা পার্কে পিকনিক করতে গিয়ে যদি সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠের ছাত্রদের প্রানের ঝুঁকি নিতে হয়,যদি আমাদের চোখের সামনে আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের গায়ে হাত তোলা হয় তবে কেন আমরা ফাঁকা বুলিতে সন্তষ্ট থাকব?আমাদের দাবী…
১- ঘটনার সাথে যারা জড়িত আমাদের দেয়া ছবি এবং ভিডিও দেখে তাদের সনাক্ত করতে হবে।
২-জড়িতদের গ্রেফতার করে উপযুক্ত আইনের আওতায় আনতে হবে।
৩-এমন ঘটনার পেছনে কাদের মদদ আছে তাদের খুঁজে বের করতে হবে এবং দিনের পর দিন কিভাবে তারা এত নির্ভয়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাচ্ছে তা খুঁজে বের করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।
৪-গাজীপুর সাফারী পার্ক সহ অন্যসব জাতীয় উদ্যান আর এ জাতীয় অন্যসব ট্যুরিস্ট স্পটগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে যাতে সাধারন ভ্রমনকারীর জানমাল রক্ষা পায় এবং তাদের কোনো অ্প্রীতিকর অবস্থায় পড়তে না হয়।
আপনি যদি গাজীপুর সাফারী পার্কে যাওয়ার প্ল্যান করে থেকেন তবে আরেকবার ভেবে দেখুন।আমাদের মত অবস্থা আপনারও হতে পারে কিংবা তার চেয়ে খারাপও হতে পারে।যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের আড়াইশ ছাত্রের একটা দলের উপর তুচ্ছ কারনে হামলা করতে দ্বিধা করেনা তারা ছোট একটা দলের সাথে কি করতে পারে একটু ভেবে দেখুন।আমি মোটেও আমার দেশের সাফারী পার্ক,ইকো পার্ক বা ন্যাশনাল গার্ডেন গুলোর বিরুদ্ধে প্রচারনা চালানোর জন্য লিখতে বসিনি।বাংলাদেশে এ ধরনের উদ্যোগ সবসময় আমি খুব পছন্দ করে আসছি কারন দেশের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এগুলো খুবই প্রয়োজনীয়। কিন্ত সেখানে বেড়াতে গেলে যদি নিজের জীবনের নিরাপত্তার প্রশ্ন ওঠে তবে আসলেই ভেবে দেখার দরকার আছে আমাদের সবার।
প্রশাসনের কাছে আমার প্রশ্ন যে তারা কেন এমন একটা জায়গা খুলে বসবে যেখানে মানুষকে বেড়ানোর লোভ দেখিয়ে ডাকা হবে ঠিকই কিন্ত নিরাপত্তা দেয়া হবে না।গাজীপুরের প্রশাসনের কাছে আমি প্রশ্ন করতে চাই যে, আপনারা কি জানেন না এখানে প্রায়ই এমন ঘটনা হয়?তবে জেনে শুনে চোখ বন্ধ করে বসে থাকেন কেন?ওখান থেকে পুলিশ ফাঁড়ী খুবই কাছে।ঘটনার সাথে সাথেই যখন আমাদের একজন শিক্ষক ফোন করে সাহায্য চাইলেন তখনই কেন পুলিশ আসলো না।যদি আসত তবে অনেকগুলো ছেলে অযথা মার খাওয়া থেকে বেঁচে যেত আর আমাদের এক লক্ষ বিশ হাজার টাকার আয়োজন পানিতে পড়ত না।সবচেয়ে বড় কথা নিজের বন্ধু, ভাই আর শিক্ষকদের একদল অশিক্ষিত সন্ত্রাসীর হাতে লাঞ্ছিত হতে দেখার দূর্ভাগ্য আমাদের হতো না।
এখানে দেখুন কিভাবে আমাদের এক সিনিয়র ভাইকে পেটানো হয়েছে
এখানে ডিসি সাহেব সকলকে শান্তনার বানী শোনাচ্ছেন
এখানে আতংকিত ছাত্রদের একদল পুলিশ ফোর্সের আশায় অপেক্ষা করছে
পুলিশ প্রহরায় পার্ক ত্যাগ করার সময়
দেখুন কি ভাবে মারামারির পর ছাত্রদের হাত থেকে ক্যমেরা কেড়ে নেয়া হচ্ছে।
গেটের বাইরে একজন ছাত্রকে পিটানো হচ্ছিল তখন একজন শিক্ষিকার প্রতিবাদ এবং ছাত্রীদেরর আতঙ্কিত চিৎকার।
দেখুন কি ভাবে এটি লোক মারার জন্য তেড়ে আসছে।
উত্তেজনার মূহুর্তে সবকিছুর ছবি বা ভিডিও ধারণ করা সম্ভব হয় নি। তবে যা ধারণ করা হয়েছে তার কিছু কিছু অংশ এখানে দেয়া হলো । ঘটনাটি আসলে দুঃখ জনক সাধারণ ভাবে আমরা যা দেখি তাতে ছাত্র গায়ে হাত দেয়া থেকে মানুষ বিরত থাকে কিন্তু একবার ভেবে দেখুন আড়াইশ জন ছাত্রের একটা দলের উপরে মাত্র ২০-২৫ জন যখন হামলা করতে আসে এমন তুচ্ছ কারণে তখন আসলেই আমাদের দেশে মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্নতোলা প্রয়োজন হয়েপড়ে । এ বিষয় থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট হয় যে এই চক্রটি অনেক দিন থেকেই এখানে ও পাশ্ববর্তী ট্যুরিস্ট স্পট গলোতে এই ধরণের আপরাধমূল কাজ করে আসছে। তারা প্রতিনয়তই এই ধরণের কাজ করে বিধায় তাদের কাউন্টারের ভিতরে লাঠি মজুদ থাকত না।কোন অজুহাত না থাকলেও এরা একটা অজুহাত তৈরি করে নিত। যেমন কোন মেয়েকে বিরক্ত করতো বা এধরণের কিছু । উদ্দেশ্যটি স্পষ্ট সাফারী পার্কে ব্যবসার পাশাপাশি এরা ঝামেলার সুযোগে ট্যুরিস্টদের দামী ক্যমেরা , মোবাইল ও অন্যান্য জিনিস-পত্র কেড়ে নেয়।
স্থানীয় লোকদের জিজ্ঞাসা করে জানা গেছে এই ধরণের ঘটনা প্রায়ই ঘটে এখানে । কিন্তু প্রশাসন এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেয় নি। যার ফলে তাদের সাহস এতোটা বেড়েছে যে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এতো বড় একটা দলের উপর হামলা করতে দ্বিধা করে নি। আমরা উচ্চ পর্যয়ের শিক্ষার্থী বিধায় আমরা এই বিষয়টি মানুষকে জানাতে পারছি এবং স্খানীয় প্রশাসনের কাছে এ নিয়ে প্রতিবাদ জানাতে পেরেছি। কিন্ত অসহায মানুষজন যারা এই ধরণের ঘটনার শিকার হয় তার চুপচাপ মার খেয়ে চলে আসে।
আমার এই লেখাটির উদ্দেশ্য সকলকে সতর্ক করা এবং উচ্চ পর্যায়ের প্রশাসনের কাছে এ আবেদন পৌছে দেয়া যাতে এ ধরণের পার্কে বেড়াতে গিয়ে কারো জানমালের ক্ষতি না হয়। এ বিষয়টি স্পষ্ট যে প্রশাসন এই বিষয়গুলো অবহিত থাকা সত্তেও তারা কোন ব্যবস্থা নেয় না। এতো বড় এটি স্থাপনায় কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থাই নেই কেন?? এই প্রশ্নটিও আমি তুলতে চা্ই। ঘটনা জানার সথে সাথে নিকটস্থ পুলিশ ফাঁড়ি থেকে কোন পুলিশ পাঠানো হয় নি কেন?
কেন এদের এতো সাহস হবে যে তারা অবলীলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের গায়ে হাত তোলে। যাদের হাত দিয়ে হাত দিয়ে দেশের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা, মন্ত্রী, সচিব এমনকি রাষ্ট্রপতি একসময় শিক্ষা নিয়েছিল এবং এই মানুষ গুলোও তাদের শ্রদ্ধা করে,সালাম করে, তাদের গায়ে কেন একদল গুণ্ডা হাত দিবে? এবং এই ঘটনা ঘটার পরে কেন সুষ্ঠু বিচার হবে না?
আমরা চাই ঘটনার সাথে জড়িতদের ধরা হোক এবং তাদের বিচারের আওতায় আনা হোক । আমার এই ঘটনার বিচার করে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাই যাতে ভবিষ্যতে দেশের আর কোথাও কোন গুণ্ডা-বদমাশের দল ছাত্র্র-শিক্ষকদের উপরে হামলা করার সাহস না করে।
আমাদের দেশে সম্ভবত একটা পার্কও দেখানো যাবে না যেখানে ছিনতাই বা রাহাজানি হয় না। এই ধরণের নিরাপত্তা হীনতায় দেশের প্রত্যেকটি ভ্রমণকারী কখনো না কখনো ভুক্তভোগী। কিন্তু প্রশাসন বরাবরের মতোই নিরব থাকে। আর কতদিন এমন চলবে??? একবার ভেবে দেখুন আমরা এতো বড় দলনিয়ে নিরাপদের বেড়িযে আসতে পারলাম না, সেখানে আপনি যদি শুধু আপনার পরিবার নিয়ে কোথাও বেড়াতে যান তাহলে এই ধরণের পরিস্থিতিতে আপনার কি হতে পারে। আপনি যতই সাবধানে থাকুন তাতে কোন লাভ হবে না কারণ তারা নিজেরাই অজুহাত তৈরি করে নেবে।
বাংলাদেশে বেকার জনগোষ্ঠীর সংখ্যা কম নয়। যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে সিকিউরিটি ফোর্স না থাকে তবে কেন এসকল জায়গায় নিয়োগ দেয়া হচ্ছে না। আমি মনে করি এখন সময় এসেছে প্রশাসনের হাজার বছরের নিস্তব্ধতা ভাঙ্গার এবং চোখ মেলে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করার।
সারাদেশের অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী কখনো না কখনো শিক্ষা সফরে এসব জায়গায় যায় সেখানে আপনার সন্তান বা আপনজনও থাকে।তাদের সাথেও এমন ঘটনা ঘটুক এটা আমাদের কাম্য নয়। তাই আমরা সকলের কাছে নৈতিক সমর্থন চাই যাতে আমাদের আন্দোলন সফল করতে পারি এবং কিছুটা হলেও প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে নাড়া দিতে পারি, যাতে তারা এই অঞ্চলগুলোর নিরাপত্তা বিধানে সচেষ্ট হয়। আপনাদের কাছে আবেদন এই যে আপনারা আমাদের পাশে থাকুন।
এই বিষয়টি নিয়ে গতকালই স্থানীয় থানায় একটি মামলা করা হয়েছে । কিন্তু আমরা চাই না ব্যপারটি শুধু মামলা পর্যন্তই থেমে থাক । আমাদের কাছে যে ভডিও ও ছবি আছে সেগুলো দিয়ে খুব সহজেই অপরাধীদের সনাক্ত করা যাবে। এদের সনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হোক। এটাই আমাদের একমাত্র দাবি। আজ বিভাগের পক্ষ থেকে ভিসি বরাবর একটি স্মারক লিপি দেয়া হবে এবং দোষীদের শাস্তি দেয়া না পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে।
সন্ত্রাসীদের বোঝানোর সময় এসেছে যে সকলের সাথে যা ইচ্ছে তাই করে পার পাওয়া যায় না এবং প্রশাসনেরও বোঝার সময় হয়েছে যে সবসময় চোখ বন্ধ করে বসে থাকা যায় না।
আমাদের পক্ষ থেকে যে কর্মসূচি ঘোষনা করা হয়েছে তা এই লিঙ্ককে রয়েছে।আমরা সকলের নৈতিক সমর্থন আশা করছি।এখানে দেখুন
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:৪৯
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: ভাই ওদের হাতে অস্ত্র ছিল।তাছাড়া আমরা তো সন্ত্রাসী নই।
আমরা কিছু না করেই এই অবস্থা আর যদি ওদের কাওকে ভালমত ধোলাই দিয়ে আধমরা করা হতো তাহলে সমস্ত গ্রামবাসী আমাদের মারতে আসত।তখন তারা আর এটা বিচার করার সময় পেতনা যে কারা দোষী।আর পুলিশ তো এসেছিল অনেক দেরীতে।আমাদের ছেলেরা মারামারি করে তাদের লাশ পড়ে গেলে কার লাভ হতো?
তাছাড়া আমাদের সথে অনেক মেয়ে ছিল।তাদের নিয়ে টানাটানি হলে তখন তো এই ক্যম্পাসের মেয়েদের নিয়ে আর এক দফা নোংরা গল্প বানাতো মানুষ।
ভাই সবখানে কি বীরত্ব দেখাতে আছে?
২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:২৩
হু বলেছেন: সাফারি পার্কের আদূরেই ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান। গত 4-2-2014 তারিখের কালেরকণ্ঠ পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারলাম সেখানকার আরাজক আবস্থার কথা। সেখানকার আপরাধের মাত্রা এত বেড়েগেছে যে স্থানীয় প্রশাসন ও নিজেদের অপারগতার কথা স্বীকার করেছে। তা হলে আমরা কি ভাবব? আমরা মগের মুল্লুকে বসবাস করছি!!!! প্রশাসনের আবশ্যই এই বিষয়ে নজর দেয়া উচিত। বিষয়টা শুনে খারাপ লাগল।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:৪০
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: তাহলে ওটাকে বিপদজনক জায়গা হিসাবে চিহ্নিত করে সিল করে দেয়া উচিত।যা দেখলাম ওখানে বেশির ভাগ নানা বয়সের ছাত্ররাই যায়।এরা মার খেলেও কিছু বলতে পারেনা,কিছু করতে পারেনা।আমাদের উচ্চপর্যায়ে যোগাযোগ ছিল বলেই তুলনামুলক অল্প ক্ষতি দিয়ে গেছে।
ওরা যখন তেড়ে আসছিল তখন যদি একবার দেখতেন।ওরা যে হারে লোক জড়ো করছিল তাতে পুলিশ না আসলে আমাদের বের হতে দিতনা।পুরোটাই তো ওদের এরিয়া।এমন কি গেটের এপাশ থেকে বেরিয়ে গিয়ে কিছু লোক ওপাশের সন্ত্রাসীদের সাথে যোগ দিল আমাদের চোখের সামনে।
আমরা ভয় পাচ্ছিলাম এটা ভেবে যে যদি ওরা গুলি করে!
৩| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:৫৭
অ্যামাটার বলেছেন: এসব পার্ক, থিমপার্কের সিকিউরিটি গার্ডেরা স্রেফ কুত্তার জাত।
আর আপনারা ২২০ জন মিলে কিছুই করতে পারলেন না!
শোনেন, মাইরা যদি ২/৪টা ফেলেও দিতেন, পরবর্তীতে কিছু হতনা, যদি তাৎক্ষনিক পরিস্থিতি সামলানো যায়।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৫৭
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: সেটা করা সম্ভব ছিল।কিন্ত কি লাভ হতোঐ এলাকা থেকে আমাদের বের হতেই দিত না এরা।
ভাই অন্যের এলাকায় গিয়ে কি খুনা খুনি করা যায়।তারউপর আপনি যে মারবেন তার জন্য তো একটা অস্ত্র দরকার।আমাদের হাত ছাড়া আর কিছুই ছিলনা কাছে।তাই ওটা দিয়েই যতটা আঘাত করতে পারা যায় করে দ্রুত নিরাপদে সরে আসা হয়েছে।
৪| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:২২
পাঠক১৯৭১ বলেছেন: আপনার লেখা থেকে,
"
বলছেন।তখন তারা এমন ভাব দেখায় যেন এটা কোনো বিষয়ই না।আমাদের একজন ছাত্র তখন রেগে উঠে দরজায় একটা লাথি দেয়।এরপরেই আশেপাশের কয়জন সহ কাউন্টারের লোকজন লাঠি নিয়ে এগিয়ে এসে সবাইকে ঘেরাও করে এবং এলোপাথারী আঘাত করা শুরু করে "
একজন ছাত্র তখন রেগে উঠে দরজায় একটা লাথি দেয়?
এটাই যথেস্ট!
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:০৯
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: জ্বী ভাই এটা ব্যাপার।কিন্ত এতবড় ঘটনা ঘটার মত ব্যাপার না।আমি কিন্ত বলেছি তার আগেই তারা স্যারের গায়ে হাত তুলেছে।
আমরা ছাত্ররা স্যারদের পছন্দ করি বা না করি নিজের চোখের সামনে তাদের সাথে কেউ বেয়াদবি করলে তা সহ্য করতে পারিনা।এটা যদি অন্য কোথাও হতো এবং সাথে ছাত্রী এবং ম্যাডাম না থাকত তাহলে এই ছাত্ররাই এই রকম বেয়াদবির জন্য এদের মেরে তুষ করে ফেলত।আর সে তো দরজায় লাথি দিয়েছে কারো গায়ে হাতও দেয়নি নিজে থেকে।
ভাই আপনার কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ কিন্ত আপনার কথায় আহত হলাম।আমরা দেশের দূর্গ অঞ্চলগুলোতে ট্যুর করে বেড়াই।আমরা জানি কোথায় কেমন আচরন করতে হয়।
শুধু এটার জন্য এমন ঘটনা হয়েছে এটা আমি মানতে রাজি না।
৫| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:৩৮
হু-কেয়ারস বলেছেন: @গোলক ধাঁধা : শিক্ষাসফরে কেউ মারামারি করার প্রস্তুতি নিয়ে যায় না। যারা যায় তারা শিক্ষাসফরে যায় না
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:১০
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: আপনার সাথে একমত।
৬| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৫:০৭
গোলক ধাঁধা বলেছেন: কোন সফরেই কেহ মারামারি করার প্রস্তুতি নিয়ে যায় না তবে নিজে বা সহপাঠিরা আক্রান্ত হলে সেক্ষেত্রে সাধ্যনুযায়ি অবশ্যই প্রতিহত করা উচিত। আর এই ক্ষেত্রে তো ২০০ শ জন মিলে ১৫/২০ টা কে মাইরা গাড়িতে উঠাইয়া ক্যাম্পাসেই ফেরার কথা ছিল @ হু-কেয়ারস
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:১৮
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: ভাই ধরেন আমরা দুইশ জন আপনার গ্রামের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে আপনারে এবং আপনার ভাইদের মেরে কেটে নিয়ে গাড়িতে তুলে পালিয়ে আসব।সেটা কি সম্ভব হবে যদি আমাদের হাতে অস্ত্র না থাকে?মারামারি করে তো বাতাসে মিলিয়ে যাওয়া যায় না।একটা রাস্তা দিয়ে ফিরতে হয় এবং রাস্তাটি এলাকার ভেতর দিয়েই হয়।
আমি বলেছি কয়েক দফায় সংঘর্ষ হয়ছে।ছেলেরা যদি একবার মার খেয়ে লেজ গুটিয়ে চলে আসত তাহলে তো শেষ দুইটা হতো না।শেষ দিকে ওরা রড বের করছিল।যদি স্যাররা তাড়া দিয়ে ওদের ভেতরে না ঢুকাত তো একজন ছাত্রের লাশ হলেও রাস্তায় পড়ত।
৭| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৭:১২
বিডি আইডল বলেছেন: সমস্যাটা কি ছাত্রছাত্রীরা মারামারি কেন করলোনা সেটা নিয়ে না যে ঘটনা ঘটেছে সেটা নিয়ে??
এই দেশের কিছু হবে না আর
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:২৩
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: আগে একটু হেসে নিই।আপনার কথাটা এক্কেবারে ঠিক।আমি আমরা কেন মারামার করলাম না সেটার উত্তর দিতে দিতে হয়রান হয়ে গেলাম।
মারামারি আমরা কম করতে পারি এটা অতিবড় কোনো মিত্থুকও বলতে পারবে না।
কিন্ত সমস্যাটা হলো কেন সেটাই আসল।এদের শাস্তি দেয়াটাই আসল।অন্যদের এলাকাটা সম্পর্কে সতর্ক করাটাই আসল।
৮| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:৪৯
সরকার আলী বলেছেন: (Extremely sorry to say)
জাতি হিসেবে আমরা going to be দ্বিপদী জানোয়ার।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:২৬
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: সরি হতে হবে কেন সরকার আলী ভাই?জাতির মাঝে দ্বিপদী জানোযার আছে কিন্ত সবাই না।এখন কে কে এই ক্যাটাগরিতে পড়ে আর কে কে স্বেচ্ছায় পড়তে চায় এটাই প্রশ্ন।
৯| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:০৩
বাঁশ আর বাঁশ বলেছেন: এক হাতে তালি বাজে না। ওরা আপনাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করছিল আর আপনারা মধুর কন্ঠে তাদের বোঝানোর চেষ্টা করছিলেন, এই কথা বিশ্বাস করার থেকে সাঈদিকে চাদে দেখার কথা বিশ্বাস করা বেশি সহজ।
আর জাহাঙ্গীর নগরের পোলাপাইনের ব্যবহার সম্পর্কে আমার ভালমতই জানা আছে। ভর্তি পরীক্ষা দিতে গিয়ে মনে হয়েছিল এখানে লেখাপড়া নয়, গুন্ডামি শেখানো হয়।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৩০
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: হ আপনি ও তাহলে এখানে চান্স না পাওয়া অভাগার একজন?
খুবই দুঃখজনক।আপনার জন্য খারাপ লাগছে।আমাদের কথা আপনার বিশ্বাস করতে হবে না বরং আপনি সাঈদির চাঁদে যাওয়া বিশ্বাস কইরেন।
সেটাই আপনার ইমেজের সাথে ভাল যাবে।
১০| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:২৮
মোমেরমানুষ৭১ বলেছেন: আপনারা ২২০ জন কচু খাইছেন সেখানে ? শিক্ষদের আঘাত করল, ছাত্রীদের হেনেস্থা করল। আর আপনারা বসে বসে চুইংগাম চিবাইছেন। একটা করে থাপ্পর দিলেও তো ওদের ১৫/২০ জনের কয়েকটা পরে যায়। যা পারেন ঐ ক্যাম্পাসের ভেতরই সাধারন ছাত্রদের সাথে আর নিরীহ বাসের হেলপারদের সাথেই পারেন। সামনে থেকে চুড়ি আর শাড়ী পইরা সেখানে যাইয়েন কেউ কিচ্ছু কইব না। সবাই স্যালুট দিব......
(মাইন্ড কইরেন না, খুব বেশি হয়ে গেল)
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৩৩
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: কি খাইছি সেইডা সময় আসলে দেইখেন।
তবে আপনি সেখানে গেলে চুড়ি পইরা যাইতে ভুইলেন না।তাইলে অন্তত ব্লগে আইসা বড় বড় কথা বলার চেয়ে বেশি কাজ হবে।
১১| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৩৫
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: দুঃখজনক...!
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৩৪
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: আসলেই।
১২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৫৬
সাইলেন্স বলেছেন: মন খারাপ হয়ে গেছে আপনার ঘটনা পড়ে, সঠিক বিচার পাবেন আশা করি।
আপনারা প্রতিহত করলে অনেক বেশি ক্ষয়ক্ষতি হত হয়তো উভয় পক্ষেরই, উপরন্ত মেয়েদের সমস্যা হবার সম্ভাবনা ছিল।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৪২
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: আমিও তাই মনে করি।যদি সত্যিকার অর্থে মারামারি করা হতো তাহলে কিন্ত যারা জিগাসা করছে আমরা কেন মারামারি করিনি তারাই বলত জাবির ছাত্র রা অসভ্য, তারা ডাকা্ত,তারা বেড়াতে গিয়ে মারামারি করে।
১৩| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:০৪
মামুন রশিদ বলেছেন: দুঃখজনক!
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৪৫
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: আসলেই দুঃখজনক মামুন ভাই।
১৪| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:১৯
মামুন রশিদ বলেছেন: একদল আছে যারা জাবি নিয়ে কিছু দেখলেই বাঁকা কথা বলে, এটা নিয়ে মন খারাপ করার কিছু নাই । আপনিও জাবিয়ান জেনে ভাল লাগছে ।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৫০
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: আমি মন খারাপ করছি না কিন্ত বেশ অবাক হচ্ছি এটা দেখে যে আমরা বেশ লড়াকু জাতি।সবাই মারামারি করার পক্ষে।
এই লড়াকু মানুষদের কাছে প্রশ্ন আপনারা কেন বিশ্বজিতকে বাঁচাতে গেলেন না?কেন হরতালের সহিংসতার সময় এগিয়ে আসেন না মানুষের হয়ে লড়াই করতে?
ওদের হাতে অস্ত্র থাকে বলে?আমাদের ছেলেরা কিন্ত খালি হাতেই প্রতিহত করেছে।বন্ধুকে স্যারকে বাঁচাতে এগিয়ে গেছে।
১৫| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৪৪
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: বিষয়টা বুঝলাম না...সবাই সতর্ক হবার পরিবর্তে আক্রমনাত্নক হওয়াকে প্রাধান্য দিচ্ছে বেশী ?!? ডেস্কে বসে পিসিতে ব্রাউজ করা আর মনে মনে মারামারি করে কুরুক্ষেত্র বাঁধানো ব্লগেই সম্ভব...সামনা সামনি লেজ গুটাতেই আমরা অভ্যস্ত!!!
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৫২
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: আপনি ভাই ঠিক বলেছেন।ওখানে কি পরিস্থিতি ছিল তা আমরা দেখেছি।তাই আমরা জানি ।
১৬| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:১৪
আরাফআহনাফ বলেছেন: মন খারাপ হয়ে গেল আপনার ঘটনা পড়ে.......
কোথায় চলেছি আমরা...........
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৫
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: আমার এই লেখাটি সকলকে সতর্ক করার জন্য সেই সাথে বিষয়টি যাতে উচ্চপর্যায়ের প্রশাসনের নজরে আসে এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হয় সেই জন্য।
সাথে থাকুন।ধন্যবাদ।
১৭| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:২০
পাগলামৃদুল বলেছেন: খুব দুঃখজনক ঘটনা। তবে সবাই কেন মারামারি করার উৎসাহ দিচ্ছেন সেটা বুঝলামনা। মনে হয় যে কোন সমস্যায় সবাই মারামারি করে সমাধান বের করেন!!!!!! তবে প্রশাসনিক ব্যবস্হা অতিসত্বর নেয়া প্রয়োজন।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৯
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: আমরাও তাই চাই।আপনাদের জানিয়ে দিই যে বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্ক দক্ষিন এশিয়ার বৃহত্তম এবং এশিয়ার ২য় বৃহত্তম সাফারী পার্ক।এটা আমাদের দেশের সম্পদ।অনেক সম্ভাবনা জড়িয়ে আছে এর সাথে।এমন একটা জায়গা কেন সন্ত্রাসীদের হাতে ছেড়ে দেয়া হবে?
১৮| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:০০
দি সুফি বলেছেন: সবাই দেখি মারামারির প্রতি খুবই আগ্রহী। আপনার মারামারি করে ২-৪টা লাশ ফেলে দিলে উপরের মন্তব্যকারীদের অনেকেই বেশ খুশি হতেন! মানষিকতার পরিবর্তন দরকার।
খুবই দুঃখজনক ঘটনা। সামান্য টিকেট কাটা নিয়ে এরকম মারমারি কাম্য নয়। জানি কোন বিচার হবেনা, তারপরও অপরাধীদের বিচার চাচ্ছি।
আচ্ছা টিকেটের দাম কত করে?
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৪
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: আসলেই টিকিটের দাম নিয়ে ছাত্র শিক্ষকদের সাথে এমন ঘটনা কাম্য নয়।আসলেই মানসিকতার পরিবর্তন দরকার।
তারা আমাদের কাছে সব মিলিয়ে দশ হাজার টাকা দাবী করছিল।বন বিভাগের অনুমতি থাকলে যেটা অনেক কম হওয়ার কথা।
১৯| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:১৫
সুমন কর বলেছেন: দুঃখজনক!
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৪২
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: আসলেই দুঃখজনক!!!!
২০| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:২৪
পথহারা নাবিক বলেছেন: আমরা দেশের অন্যতম একটি সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ থেকে নয় বরং গ্রাম্য কোনো পাঠশালা থেকে বেড়াতে এসেছি।
ভাই প্রথমেই বলে নেই এই ঘটনা কাম্য নয় !! পার্ক কতৃপক্ষ যে তা করেছে তা জানোয়ার সমতুল্য!!
আবার আসুন আপনাদের ব্যাপারটায়!! বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসলে ভালো ব্যাবহার আর পাঠশালা থেকে আসলে খারাপ ব্যাবহার এইটা কই পাইছেন!! পার্ক কতৃপক্ষ যা বলছে তা তো ভুল বলে নাই! একজনে সিল ছাড়া একটা সুপারিনামা নিয়া এতো ঝগড়া করারতো কিছু নাই!! আমি খুব ভালো মতো জানি জাহাঙ্গীরনগরের ছেলেদের ব্যাবহার কি রকম!! সবার কথা বলছি না তবে আমি দেখেছি সামান্য ২/৩ টাকার জন্য কিভাবে হেল্পারকে মেরে রক্ত বের করে ফেলেছে!! ওই হেলাপারের কাছে আপনার বড় ভাই কিছুই না!! যদিও আপনি বলতে পারেন ওই মূর্খ তাই মার খাবে অন্যায় করুক আর না করুক!! আপনারা প্রধানমন্ত্রী সমমর্যাদার আপনাদের ফুলের টুক্কা দিলেও সমস্যা!! চিন্তা ধারা পরিবর্তন করেন!! পাঠশালা সম্পর্কে যেই মন্তব্য করেছেন আপনার উচিৎ বলে একটা পোষ্ট দিয়ে ব্লগে পা ধরে জাতির কাছে মাপ চাইতে। কথাটা আমার খুব লাগছে কারণ আমি পাঠশালা থেকে এসেছি!! আপনার মতো সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই না!!
সব শেষে বলছি এলাকার কুত্তাও বাঘ!! এইটা আপনাদের ক্ষেত্রে যেমন প্রযেয্যে তেমনি পার্ক কতৃপক্ষ এর ক্ষেত্রেও প্রযেয্যে!
বিঃদ্রঃ আমার মন্তব্য সব বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের জন্য নয়!! শুধুমাত্র মুক কি হনুরে টাইপ ছাত্রদের জন্য!!
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৬
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: আপনি লিখেছেন,
আবার আসুন আপনাদের ব্যাপারটায়!! বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসলে ভালো ব্যাবহার আর পাঠশালা থেকে আসলে খারাপ ব্যাবহার এইটা কই পাইছেন!!
আমি এখানে পাঠশালাকে হেয় করিনি।আমার নিজেরও স্কুল কলেজ গ্রামে।টিনের চালের ঘরে বসে ক্লাস করতাম।বেশি বৃষ্টি হলে পানিতে রুম ভিজে যেত বলে ক্লাস করা যেত না।
আপনাদের মানসিকতা পরিবর্তন করা খুবই জরুরি।আপনারা জানেন যে ঢাকা শহরে ছাত্রদের আলাদা মর্যাদা আছে।ছাত্র জানলে অভদ্র লোকও ভদ্র আচরন করার চেষ্টা করে।আমি বোঝাতে চেয়েছিলাম যে দুরের গ্রাম থেকে অসহায় ছাত্ররা ঢাকায় আসলে স্থানীয়রা তাদের সাথে যে আচরন করে,যে ভাবে পাত্তা দেয় না আমাদের সাথেও তেমন আচরন করা হচ্ছিল।যদিও এই বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে না জানার কিছু নেই গাজীপুরএর মানুষের।
আর এটা সত্যি যে স্কুল আর বিশ্ববিদ্যালয় এক নয়।স্কুলের একটা ছাত্রকে মানুষ যে মর্যাদা দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রকে তার চেয়ে বেশি মর্যাদা দেয়।
জাতির পা ধরে ক্ষমা আপনার ই চাওয়া উচিত কারন জাবির ছাত্র শিক্ষকদের বিরোধিতা করতে গিয়ে আপনি এই ন্যক্কারজনক ঘটনাকে আসলে সাপোর্ট করছেন।জাবির কোনো ছাত্র কোনোদিন কোথাও অপরাধ করে থাকে তার জন্য আমাদের সাথেও এমন হওয়া উচিত এটাই কি আপনার মনে হয়?এমনই কি আপনার বিবেক?লজ্জা করল না কথাটা বলতে?
২১| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:২৪
পথহারা নাবিক বলেছেন: আমরা দেশের অন্যতম একটি সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ থেকে নয় বরং গ্রাম্য কোনো পাঠশালা থেকে বেড়াতে এসেছি।
ভাই প্রথমেই বলে নেই এই ঘটনা কাম্য নয় !! পার্ক কতৃপক্ষ যে তা করেছে তা জানোয়ার সমতুল্য!!
আবার আসুন আপনাদের ব্যাপারটায়!! বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসলে ভালো ব্যাবহার আর পাঠশালা থেকে আসলে খারাপ ব্যাবহার এইটা কই পাইছেন!! পার্ক কতৃপক্ষ যা বলছে তা তো ভুল বলে নাই! একজনে সিল ছাড়া একটা সুপারিনামা নিয়া এতো ঝগড়া করারতো কিছু নাই!! আমি খুব ভালো মতো জানি জাহাঙ্গীরনগরের ছেলেদের ব্যাবহার কি রকম!! সবার কথা বলছি না তবে আমি দেখেছি সামান্য ২/৩ টাকার জন্য কিভাবে হেল্পারকে মেরে রক্ত বের করে ফেলেছে!! ওই হেলাপারের কাছে আপনার বড় ভাই কিছুই না!! যদিও আপনি বলতে পারেন ওই মূর্খ তাই মার খাবে অন্যায় করুক আর না করুক!! আপনারা প্রধানমন্ত্রী সমমর্যাদার আপনাদের ফুলের টুক্কা দিলেও সমস্যা!! চিন্তা ধারা পরিবর্তন করেন!! পাঠশালা সম্পর্কে যেই মন্তব্য করেছেন আপনার উচিৎ বলে একটা পোষ্ট দিয়ে ব্লগে পা ধরে জাতির কাছে মাপ চাইতে। কথাটা আমার খুব লাগছে কারণ আমি পাঠশালা থেকে এসেছি!! আপনার মতো সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই না!!
সব শেষে বলছি এলাকার কুত্তাও বাঘ!! এইটা আপনাদের ক্ষেত্রে যেমন প্রযেয্যে তেমনি পার্ক কতৃপক্ষ এর ক্ষেত্রেও প্রযেয্যে!
বিঃদ্রঃ আমার মন্তব্য সব বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের জন্য নয়!! শুধুমাত্র মুক কি হনুরে টাইপ ছাত্রদের জন্য!!
২২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৮
নবীউল করিম বলেছেন: প্রথমে নিজেদের ভুল গুলো কি কি সেটা সনাক্ত করেন, যেমন বন অধিদপ্তরের ছাড়পত্রে সই থাকবে কিন্তু সিল থাকবে না! এটা হতে পারে না। আপনি বলেছেন “অনেক দুর্গম জায়গায় ভ্রমণ করেন,উচ্চতম প্রশাসনের ছাড়পত্র আমাদের দরকার হয় বিষয়টাকে সহজ এবং সুলভ করার জন্য”
যদি তাই হয়, তবে আপনারা কেন জানবেন না সিলের গুরুত্ব? ধরে নিলাম আপনারা ছাত্র তাই বুঝছেন না। কিন্তু সিল না থাকাটা যে যথেষ্টরও বেশী আপনাদের ছাড়পত্রকে জ্বাল মনে করার, শিক্ষকরা এটা জানে না, মানতে পারলাম না। এটা ওনাদের অনেক বড় একটা গাফিলতি! অন্তত যে এই ছাড়পত্র সংগ্রহ করার দায়িত্বে ছিল এবং এই প্রজেক্টের তদারকিতে ছিল, তাকে/তাঁদেরকে এ ব্যাপারে অবশ্যই শাস্তি দেওয়া উচিৎ। নতুবা এই ঘোটনার পুনরাবৃত্তি আবার ঘটব
দরজায় লাথি দেওয়া “অফেন্সিভ এক্টিভেটিস”! এটাও যথেষ্ট আপনাদেরকে প্রবেশে অনুমতি না দেবার জন্য।
আমার উপরের কথাগুলো আপনাদের ভালো লাগবে না জানি, নীচের কথাগুলো আপনাদের রাগিয়ে দেবার জন্য যথেষ্ট মনে করার পরও লিখছি কাড়ন, আমাদের দেশের অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে কথাগুলো বাস্তব বোলে বিশ্বাস করি।
প্রথমত, নিশ্চয়ই ৮-১০ জন দায়িত্ববান শিক্ষক ও ছাত্র মিলে ২-৩ জন টিকেট ম্যানের সাথে কথা বলেছিল। নিশ্চয়ই সেখানে আপাত দৃষ্টিতে জ্বাল ছাড়পত্র নিয়ে প্রথম কথা কাটাকাটি হয়। একজন অতি অল্প শিক্ষিত টিকেট-ম্যান কনও অবস্থাতেই মেনে নিতে পারবে না যে আপনার শিক্ষকরা সিলের গুরুত্ব বুঝবে না। শিক্ষকের শরীরে ধাক্কা মারার ঘটনা ঘটার আগে নিশ্চয়ই এমন অনেক অপ্রাসঙ্গিক কথা ও যুক্তি- তর্ক হয়েছে যাতে উভয়েরই মাথা গরম হয়ে গিয়েছিলো। আমি মনে করিয়ে দিতে চাই যে, এক হাতে তালি বাজে না।
শিক্ষক এবং ডাক্তারদের পীর/ সাধু হিসাবে যে ছবি দেশের মানুষের মনে আঁকা ছিল, সে ছবি এখন ফিকে হতে হতে সুবিধাবাদী, দুর্নীতিবাজের ছবি হয়ে গিয়েছে! এটার জন্য দায়ী অনেকটাই ওনারা নিজেই। কিন্তু ওনারা মনে করেন সাধারণ মানুষ এখনো ওনাদেরকে ঐ সাধু হিসাবেই দেখে, সম্মান করে! আর এই ভুল ও মিথ্যা ধারণা নিয়ে যখন ওনারা এই রকম পরিস্থিতিতে নিজেদের সুপিরিয়টি কমপ্লেক্সের চরিত্র উপস্থাপন করে, তখন ধাক্কা খায়! কেননা বাস্তবতা যে ভিন্ন এটা তাঁরা স্বীকার কোরতে বা মানতে চায় না। আপনার লেখাতেই এটার প্রমাণ আছে। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সাধারণ মানুষের কাছে দেবতার মতো না হোলেও অনেক সম্মানের আচরণ পাবে বা সেই শিক্ষক সাধারণ মানুষ থেকে বেশী কিছু ডিজারভ করে.
এই মাইন্ড সেটআপ ভুলে যেতে হবে! কাড়ন সেই যোগ্যতা তাঁরা সময়ের সাথে সাথে তাঁদেরই কর্ম কাণ্ডের কারণে হারিয়ে ফেলেছে। এখন শিক্ষক হতে একাডেমিক যোগ্যতার থেকে ক্যু রাজনীতি, তোষামোদি আর চাপাবাজির যোগ্যতাকে দাম দেওয়া হয়। "সন্মান" কনও বাজারে কিনতে পাওয়া যাওয়া চকলেট না যে ১,২,৩ দিনে মানুষের মনে বসে যাওয়া যায়! এটা তিলে তিলে অর্জন কোরতে হয় দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর সু কর্ম দ্বারা। এটা একটা ব্র্যান্ড এর মতো। গুড-উইল। আই ফোন যদি হয় ৫০,০০০ টাকা, কিংস্টন ৫,০০০ টাকাতেই!
ছাত্রদের যে চরিত্র আঁকা ছিল, তা এখন অপরাধী, সন্ত্রাসী, হাইজ্যাকার আর টেন্ডার-বাজ এর মাল্টি কালার পেইন্ট এ রূপান্তর হয়েছে! সুতরাং ছাত্ররাও এখন আর সাধারণ মানুষের কাছে দেব-শিশু না। দেব-শিশু ব্র্যান্ড নামতে নামতে তা এখন খুনি শিশু হয়ে গিয়েছে! কিন্তু ছাত্রদেরও মাইন্ড সেটআপ ঐ একই আছে! কিন্তু ভাই অন্ধ হোলে তো প্রলয় বন্ধ হবে না!
যে বিব্রতকর অবস্থার স্বীকার আপনারা হয়েছেন, সেটার আরও অনেক কাড়ন আছে। এই অবস্থা এক দিনে তৈরি হয় নাই। সঠিক এবং যোগ্য মানুষকে ঘার ধাক্কা দিয়ে অযোগ্য কে চেয়ার দিয়েছি আমরা! কি শিক্ষক, কি ছাত্র! কি প্রশাসন! কোটার নামে, রাজনীতির নামে, ক্ষমতার আস্ফালনে............
যে বৈষম্য সমাজে তৈরি করা হয়েছে, সেই সমাজে সাধারণ কয়েকটা লোক অসাধারণদের সঠিক মূল্যায়ন করে নিজেদেরকে মহামানব প্রমাণ করবে আশা করেন কি করে? মহামানব দাবীদার নিজেরাইতো সাধারণের থেকেও নীচে নেমে গেছে।
আমরা গাছে যে আম হয় না,এটা আমরা স্বীকার না করলেও আম আর আমরা গাছের কিছুই যায় আসে না।
*** ওঁরা অপরাধ করেছে সত্যি, কিন্তু ওঁদের অপরাধ ধরার দেবতুল্য গুন যে আমি অর্জন করি নাই!
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৮
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: আপনিই প্রমান করে দিচ্ছেন যে দেশের বড় বড় জায়গাগুলো কেন চোর,বাটপার আর সন্ত্রাসীতে ভরে গেছে।আপনি একদল ছাত্র শিক্ষকের সাথে এমন জঘন্য ঘটনা হওয়ার পর কি কি ব্যাবস্থা নেয়া যায় সেটা নিয়ে কথা না বলে উলটা এটা প্রমান করতে লেগে গেছেন যে আমাদের কতটা ভুল ছিল এবং আমরা কিভাবে ঝগড়াটা বাঁধিয়েছি।
সন্ত্রাসীদের পক্ষ নিয়ে এত্তবড় কমেন্ট না লিখে এইটা দিয়ে নিজে একটা পোস্ট দিতেন।তাইলে সেইটা হিট খাইত।জাবির বিপক্ষ দল তো কম নাই ব্লগে।
সন্ত্রাসীদের পক্ষ নিতে গিয়ে নিজেকে কতটা নিচে নামিয়েছেন সেটা কি খেয়াল করেছেন?সন্ত্রাসীদের ভাল প্রমান করার জন্য যে পরিমান কষ্ট করে আপনি এই কমেন্ট টা লিখেছেন তার জন্য আপনাকে মেডেল দেয়া উচিত।
২৩| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৬
ডট কম ০০৯ বলেছেন: গোলক ধাঁধা বলেছেন: কোন সফরেই কেহ মারামারি করার প্রস্তুতি নিয়ে যায় না তবে নিজে বা সহপাঠিরা আক্রান্ত হলে সেক্ষেত্রে সাধ্যনুযায়ি অবশ্যই প্রতিহত করা উচিত। আর এই ক্ষেত্রে তো ২০০ শ জন মিলে ১৫/২০ টা কে মাইরা গাড়িতে উঠাইয়া ক্যাম্পাসেই ফেরার কথা ছিল @ হু-কেয়ারস
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২০
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: ভাই আপনারা মারামারি সাপোর্ট না করে বরং কিছু গঠনমুলক কথা বলুন।প্রশাসনের কি করা উচিত সেটা নিয়ে কথা বলুন।
২৪| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৫
বাঁশ আর বাঁশ বলেছেন: জাহাঙ্গীর নগরের পোলাপাইনরে তো সবাই শ্রদ্ধা করে। ভয়ে করে। নাহলে তো কুকুর গুলো ছিড়ে খেয়ে ফেলবে।।।। কত দেখলাম, ২টাকা ভাড়ার জন্য কন্টাকটারের উপরে কুকুরের মত ঝাপিয়ে পড়ে। আসলে, কুকুর গুলা বিলাইয়ের সামনে বাঘ আর বাঘের সামনে ইদুর।।।। [প্রমাণিত]
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৪
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: জাবির পোলাপান কেন সব বিশ্ববিদ্যালয়ের পোলাপানকেই মানুষ শ্রদ্ধা করে।
আর যেসব জঘন্য মানসিকতার লোক সেই শ্রদ্ধা থেকে বঞ্চিত হয় তারা ব্লগে এসে মানুষ কে বাঁশ দেয়ার ছলে নিজের দিকে পাঠকদের এটেনশন টানার চেষ্টা করে আর মনে মনে ভাবে এই সুযোগে যদি নিজেকে মহামানব প্রমানিত করে একটু শ্রদ্ধা পাওয়া যায়!!!!!
মাথাটা ঠান্ডা করুন ভাই।আর ভালথাকুন।বেশি উত্তেজনার ফলে যদি আপনার কিছু হয়ে যায় তো সামু একটা বাঁশ হারাবে।
২৫| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৭
পথহারা নাবিক বলেছেন: অসহায় ছাত্ররা ঢাকায় আসলে স্থানীয়রা তাদের সাথে যে আচরন করে,যে ভাবে পাত্তা দেয় না আমাদের সাথেও তেমন আচরন করা হচ্ছিল।
স্কুলের একটা ছাত্রকে মানুষ যে মর্যাদা দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রকে তার চেয়ে বেশি মর্যাদা দেয়।
গ্রামের জরিনা ঢাকা আইসা হইলো জেইনা!! তোর অবস্থা ঠিক এই রকম!! গ্রামের নিচু মন মানুসিকতার মাফিজ জাবিতে আইসা হইছোছ মাক্স!!
অসহায় ছাত্রদের ঢাকায় কেউ পাত্তা দেয় না এইটা তুই কই পাইছছ!! আমি জন্ম থেকে ঢাকায় থাকি কখনো এই রকম দেখি নাই!! ছোটবেলায় কেউ গ্রাম থেকে বাসা খুজতে এলে তাকে বাসা দেখিয়ে দিতাম মাঝে মাঝে তাকে ওই বাসা পর্যন্ত পৌছিয়ে দিতাম!! তোর মতো নিচু জাতের পোলাপাইন গ্রামের পোলা পাইঙ্কে পাত্তা দেয় না!! মনে করে আমি গ্রাম থেকে উঠে আইছি এরা যদি তা যেনে ফেলে তাহলে আমার ভাব কমে যাবে!! স্কুল কলেজে যখন পড়তাম তখন গ্রাম থেকে আসা ছেলেদের আরো বেশী করে সাহায্য করতাম ঢাকার সাথে খাপ খাওয়ানোর জন্য!!
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের বেশী মর্যাদা দেয়!!!
মর্যাদা কারে কয় বুঝছ!! বুঝলে আর এই কথা কইতি না!! আমাদের সাথে এক ছেলে ছিলো ওর বংশে ওই প্রথম ঢাকায় আইসা লেখাপড়া করছে!! বংশের কেউ ৫ এর উপর পড়তে পারে নাই!! তার সে কি ভাব আর কথায় কথা বলে আমি চেয়্যারম্যানের পোলা!! প্যান্ট বুকের উপর পইড়া তার সে কি ভাব!! তুই মনে হয় সে ক্যাটাগরির!!
পরিশেষে বলতে চাই তোর মতো ছাগুদের যারা মাইর দিছে তাদেরকে ধন্যবাদ কিন্তু তোদের সাথে নিরীহ ছাত্র যারা মাইর খাইছে তাদের জন্য সমবেদনা!!
পরিশেষে বলতে চাই তুই একটা উন্নত মানে নেপালী জাতের ছাগল!!
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৪
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান কমেন্টের জন্য।
নিজের কমেন্টে নিজেই নিজের ক্যাটেগরি প্রমান করে দিলেন।
শুধু এটুকুই বলতে চাই আল্লাহ আপনার হেদায়েত করুক।
২৬| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫০
পথহারা নাবিক বলেছেন: আচ্ছা তুমি ২টাকা কইরা জমাইয়া এক বছরে কই টাকা জমাইছো!!
আচ্ছা তুমাদের দৌড় কেন শুধু জাহাঙ্গীর নগর পর্যন্ত এর বাহিরে গেলে কেনো তুমরা পোন মারা খাও!! আহা মান্না দের ওই গানটা খুব শুনতে ইচ্ছা করছে!!
তুমি কি সেই আগের মতো আছো
নাকি মাক্স হয়ে গেছো!!
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২১
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: এবার বোঝো ঠেলা!!!!!!
মারলে কয়,ক্যান মারছি?
না মারলে কয়,ক্যাম্পাসের বাইরে পাওয়ার নাই ক্যান?
ভাই একটা কথা কই,যে জিনিসে এলার্জি থাকে তার থেকে দূরে থাকলে চুল্কানি থেকে বাঁচা যায়।
তাই জাবি সংক্রান্ত যে কোনো পোস্ট থেকে দূরে থাকুন।
২৭| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৪
লোপা এসহক বলেছেন:
এসব সাফারি পার্ক, থিমপার্কের কি ফালতু নিয়ম!
পানি নিতে দেয় না! সুধু আইন দেখায়!
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৪৪
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
২৮| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৫
দি সুফি বলেছেন: হয়ত আপনি মাইন্ড করবেন, কিন্তু তারপরও বলতে হচ্ছ। ২২০ জন শীক্ষার্থী এবং ১০ জন শিক্ষক, মোট ২৩০ জনের জন্য দশ হাজার টাকা মানে জনপ্রতি ৪৪ টাকার মত। এটা নিয়ে বাকবিতন্ডায় যাওয়ারইতো কোন দরকার ছিল না! আমি জানিনা ওখানে প্রবেশ ফি কত, কিন্তু জনপ্রতি ৪৪ টাকা বেশি মনে হয় নি। যেহেতু আপনাদের ডকুমেন্টে সীল ছিল না, সুতরাং এটা নিয়ে তর্কাতর্কীরই কোন দরকার ছিল না!
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৮
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: ভাল কথা বলেছেন ভাই।টাকা আমাদের সাথে ছিল এবং তা দেয়া যেতনা তা নয়।কিন্ত তার আগেই কিন্ত এই ঝামেলাটা বাঁধিয়ে ফেলে লোকগুলো।
বুঝে দেখার চেষ্টা করুন,যদি আপনার কাছে উপযুক্ত কাগজপত্র থাকার পরেও তারা সেটা অস্বীকার করে তবে আপনি কি তাদের ্বোঝানোর চেষ্টা করবেন না?
আমরা একটা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কি জাল দলিল নিয়ে যাব?সেটা যদি কেউ প্রমান করতে চায় তাহলে কি আগে বিষয়টির মীমাংশা করা হবে না।
ভাই টাকাটা এখানে ব্যাপার ছিলনা।তাদের আচরন অসম্ভব রকমখারাপ ছিল এবং তারা প্রথমেই আমাদের স্যারের গায়ে হাত তুলেছে।এরা এই স্যারকে কলার ধরে টেনে ভেতরে নিয়েছিল এবং পুলিশ আসার আগে পর্যন্ত আটকে রেখেছিল।
২৯| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪২
সিদ্ধার্থ. বলেছেন: উপরের কয়েকজনের কমেন্ট পড়ে মনে হচ্ছে আইনের শাসন অনেকেই চায় না ।
তৃতীয় বিশ্ব মানুষ আমরা তাই তৃতীয় শ্রেনীর মতো মানসিকতা ।
ভাই ..আপনি যথার্থ কাজ করেছেন ভিডিও গুলো তুলে ।আপনাদের মানসিকতাকে ধন্যবাদ ।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৫১
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: আমারও মনে হচ্ছে আসলে বিষয়টির সমাধান হোক এবং অপরাধিদের সাজা হোক এটা অনেকে চাইছে না।
আমরা জাবির ছাত্রছাত্রী তাই আমরা খারাপ।আমাদের সাথে এমনই হওয়া উচিত- এমন ধরনের আলোচনার জন্য কিন্ত এই পোস্ট দেয়া না।সে আলোচনা হয়ত অন্য কোনোদিন করা যাবে।
এই পোস্টের আসল দিকটি নানা ধরনের ক্যাচালীয় কথার মাঝে হারিয়ে যাচ্ছে।
আপনাকে ধন্যবাদ কমেন্টের জন্য।
৩০| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৩
সিদ্ধার্থ. বলেছেন: দি সুফি বলেছেন: হয়ত আপনি মাইন্ড করবেন, কিন্তু তারপরও বলতে হচ্ছ। ২২০ জন শীক্ষার্থী এবং ১০ জন শিক্ষক, মোট ২৩০ জনের জন্য দশ হাজার টাকা মানে জনপ্রতি ৪৪ টাকার মত। এটা নিয়ে বাকবিতন্ডায় যাওয়ারইতো কোন দরকার ছিল না!
না ভাই। .আমি নাক গলাচ্ছি বলে কিছু মনে করবেন না ।আমার অধিকারে যদি ৫ পয়্সোয় থাকে তাও ছাড়ব না ।যে দেশের মানুষ নিজেদের অধিকার নিয়ে সচেতন ,তাদের কেই উন্নত দেশ বলা হয় ।
আজ এই কান্ড তা ঘটল ,এর কিছু হলেও ইফেক্ট পড়বে ।এমন ভাবে সবাই যদি নিজেদের অধিকার চেয়ে নিতে থাকে তবে দেশ এমনি এমনিই সঠিক রাস্তায় চলবে ।
সরকারী কর্মচারী যারা সাধারণ মানুষ দের বাজে ব্যবহার করে তাদের ব্যবহার করা উচিত তার একটা ভিডিও
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:১১
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: আমি আপনার সাথে একমত।
ওখানে টিকিট জনসাধারনের জন্য ৫০ টাকা করে আর ছাত্রদের জন্য ১০ টাকা।তবে ১০০ জনের ছাত্র হলে ৪০০ টাকা।তাই ২০০ জনের জন্য ৮০০ টাকা।এটা বন বিভাগের নির্ধারিত মূল্য।বন বিভাগের অনুমতি পত্র আমাদের কাছে ছিল তাই সেভাবেই সব আয়োজন করা হয়েছিল।
তারা বন বিভাগের ছাড়পত্র মানতে চায়নি।আমরা যখন তাদের কথা বলে বিষয়টা শিওর হতে বললাম তখনও তারা মানল না।এমনকি ফোনে কথা বলানোর চেষ্টা করলেও তারা মানল না।তারা আমাদের কাছে জন প্রতি ৫০ টাকা করে মোট দশ হাজারের উপরে টাকা দাবী করছিল।
স্যারদের কাছে টাকা মজুদ ছিল কিন্ত আপনাদের কি মনে হয় এটা তাদের লীগ্যাল দাবী ছিল?তাদের এই দাবী লেজ গুটিয়ে মানে নেয়া কি উচিত হতো?আমাদের সব খরচের হিসাব করে একটা চাঁদা নির্ধারন করা হয়েছিল।তাদের দশ হাজার টাকা বেশি করে দিতে গেলে আমাদের চাঁদার পরিমান বাড়ত।
কিন্ত এটিই তো শেষ নয়।এটি প্রবেশ মুল্য।মূল পার্কে বাসে উঠতে গেলে আবার টিকিট কাটতে হয়।সেখানেও আমাদের পুরো টাকা দিয়ে উঠতে হতো।
আমরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।আমাদের রাস্তায় ছড়িয়ে বেড়ানোর মত কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা থাকেনা।
ভাই আমি আপনার সাথে একমত।অন্যায় দাবী মেনে নেয়া উচিত নয়।
৩১| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:২৬
গ্রীনলাভার বলেছেন: বিচার চাচ্ছেন, সম্ভবত পাবেন। কিন্তু জরুরী হল সবাইকে শিষ্ঠতা শেখানো। এটা যদি না করা যায় তাহলে নিশ্চিত আবার অপমানিত হতে প্রস্তুত হোন।
অবশ্য আমাদের দেশের লিডারদেরই তো শিক্ষা দরকার আগে। তাদের কর্মচারী আর সাধারন মানুষদের কি দোষ?
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:২০
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: আপনাকে আর কি বলবো?আপনি তো আমরা বিচার পাই এই কামনাটাও মন খুলে করতে পারছেন না।
কোন আচরনের কারনে আপনি ধরে নিলেন যে আমাদের শিষ্টতার অভাব ছিল????বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর শিষ্টতার প্রমান যদি চান তবে দয়া করে উ্পরের কমেন্টগুলো পড়ে আসুন।কিছু মানুষের কমেন্টের বিপরিতে আমার কমেন্টগুলো দেখলেই শিষ্টতার ব্যাপারটা আপনার কাছে পরিষ্কার হয়ে যাবে।
৩২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৩৮
ধানের চাষী বলেছেন: জাবির স্টুডেন্টরা মারপিট করে নাই দেইখা কয়েকজন এর চুলকানি শুরু হইয়া গেছে দেখতাছি, কোন ঝামেলায় পড়লে নেক্সট টাইম এইগুলানরে ডাক দিতে হইবো ....... এরা মনে হয় জন্মগতভাবেই মারপিটের সাপোর্টার
স্টুডেন্টদের ধন্যবাদ এমন পরিস্থিতিতে শান্ত থাকার জন্য, প্রশাসন কতটা সফল হয় সেটাই এখন দেখবো
**** এক ছাত্র গেটে লাথি মারায় বাঁশ দিয়ে পিটানো শুরু করলো ! লাথি কি সে শখ কইরা মারছে নাকি রে বলদের সন্তান? নিজ ডিপার্টমেন্ট এর শিক্ষকের গায়ে হাত তোলার দৃশ্য দেখলে লাথি তো লাথি, পুরা বাঁশ ভইরা দিতাম .........
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:২৫
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: ভাল লাগল এটা দেখে যে আপনি পরিস্থিতিটা বুঝতে পেরেছেন।
যারা এখানে মারপিটের পরামর্শ দিচ্ছে তাদের অনেকেই সেটা হলে সম্পূর্ন উলটা কথা বলতো।
প্রশাসনের সঠিক উদ্যোগের জন্য আমরা অপেক্ষা করছি।
৩৩| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৪২
দুঃখী__ বন্ধু বলেছেন: ঘটনা দেখে আতঙ্কিত বোধ করছি । শয়তানগুলোর বিচার হওয়া দরকার ।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:২৬
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: আসলেই এদের বিচার হওয়া দরকার যাতে অন্যান্য পার্কের কতৃপক্ষ ও বিষয়টি নিয়ে সচেতন হন।
৩৪| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৫০
জাহাঙ্গীর জান বলেছেন: প্রশাসনের সাহায্য নেওয়া উচিত ছিল, আসে পাশে পুলিশ পাড়ি ছিলনা ? নিজের হাতে আইন তুলে নিলে যাহা হওয়ার সেটাই হয়েছে । হতে পারে সেখানকার কর্মচারী অস্বাভাবিক আচরণ করেছেন, সেখানে আপনাদের আচরণ স্বাভাবিক থাকা উচিত ছিলো আপনারা শিক্ষক আর শিক্ষিত লোকজন ছিলেন,হয়ত আপনাদের মাঝখানে কেউ তাদের সাথেও খারাপ ব্যবহার করে থাকতে পারে ।দুই শত মানুষের মাঝে কে কার খবরটা রাখতে পেরেছেন ।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৩৫
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: ভাই আপনি মূল পোস্টটি ভালমত পড়েছেন তো???দয়া করে পোস্ট পড়ে তারপরে কমেন্ট করবেন।আমি পোস্টেই বলেছি ঐ এলাকায় কোনো সিকিউরিটি ফোর্স ছিলনা।
আর যখন মাথায় লাঠির বাড়ি পড়ে তখন ঐ আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না জাতীয় বাংলা সিনেমার ডায়লোগ দেয়া যায় না।
আগে ছাত্ররা কেউ তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেনি তা আমরা জানি।তাও বলছি যে,
খারাপ ব্যবহারের বদলে লাঠি দিয়ে আঘাত করতে হবে???????!!!!!!!ভালই বলেছেন ভাই।আপনার বাড়ি বুঝি মগের মুল্লুকে?তাই এ ধরনের অন্যায়ের সাথে নিজেকে ভালমত মানিয়ে নিয়েছেন।
৩৫| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:০২
পড়শী বলেছেন: পোস্ট টি কিছু সময়ের জন্য স্টিকি করা যেতে পারত। অপরাধীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া দরকার। আপনাদের প্রচেষ্টা সাধুবাদ পাবার যোগ্য।
তবে নবিউল করিম সাহেবের অত্যন্ত বিচক্ষন এবং সুচিন্তিত মন্তব্যের প্রতিউত্তরে আপনি যা বলেছেন, মর্মাহত হলাম।
সবগুলো মন্তব্যের ভেতরে উনারটাই সবচেয়ে গঠনমূলক ও সুচিন্তিত বলে মনে করি।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৩৫
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: আপনার কথা শুনে আমি নবিউল করিমের কমেন্টটি আবার পড়ে দেখলাম এবং আবার ও তার সাথে একমত হতে পারলামনা।
সামাজিক অবক্ষয় আছে আমরা জানি তার কিছু প্রভাব আছে সেটাও জানি।কিন্ত এই ঘটনার জন্য এভাবে ছাত্র এবং শিক্ষকদের দোষী প্রমানিত করার চেষ্টা করার ব্যাপারে নিন্দা না জানিয়ে পারছি না।দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা সামাজিক অবক্ষয়ের সাথে কি আকস্মিক ভাবে ঘটে যাওয়া এই অপরাধটিকে মিলানো সংগতিপূর্ন?তার কমেন্টের মূল বিষয়টি কি এখানে প্রযোজ্য?
নবিউল করিমের কথা মেনে নাহয় ধরে নিচ্ছি তখন দুপক্ষের মধ্যে তুমুল কথা কাটাকাটি হয়েছিল। তা থেকে বড়জোর হাতাহাতি হতে পারে তার চেয়ে বেশি কিছু হওয়া কি আপনি স্বাভাবিক মনে করছেন?
খারাপ কে খারাপ বলে স্বীকার করতে বাধা কোথায়?একটা খারাপ ঘটনাকে সমাজের অন্যসব খারাপ দিক তুলে ঢেকে দেয়া বা হালকা করে দেখাটাকে কি আপনি সমর্থন করছেন?
নবিউল করিম একবারও বলেননি যে দোষীদের বিচার হোক।তিনি একতরফা ভাবে প্রমান করতে চেয়েছেন দোষটা আমাদেরই ছিল।সীলের বিষয়টি মীমাংশা করতে তারা রাজিই হয়নি।রাজি হয়নি বনবিভাগে ফোন দিতে।তবুও তিনি সব দোষ আমাদের উপরে চাপানোর চেষ্টা করছেন।কিন্ত দোষটা যে বনবিভাগের সে কথা একবারও বলেননি।তার কমেন্ট আপনার কাছে সব কমেন্টের চেয়ে গ্রহনযোগ্য মনে হয়েছে শুনে আমি নিজেই প্রচন্ড মর্মাহত হলাম।
আমরা জাবির শিক্ষার্থী বলেই যা কিছু হবে তার সবকিছু আমরা আগে শুরু করেছি বা সব দোষ আমাদের এমন ধারনার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
৩৬| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৪৫
দি সুফি বলেছেন: @লেখকঃ তারা খারাপ ব্যবহার করেছে, এবং আক্রমণও করেছে। অবশ্যই তাদের বিচার হওয়া উচিত। বিচার না হলে, তাদের ক্ষমতা আরো বেড়ে যাবে।
@সিদ্ধার্থঃ টাকাটা মুখ্য ব্যাপার না। মূল ঝামেলার সূত্রপাত সীল না থাকা নিয়ে। তর্কে যেতে চাচ্ছি না। প্রশাসনিক কাগজপত্রে সীল না থাকাটা কিন্ত একটা ভুল। সীল ছাড়া কাগজ, যেকোন যায়গাতেই অগ্রহণযোগ্য হতে পারে। যেহেতু তাদের কাগজে সীল ছিল না, তাই টাকার ব্যাপারটা তুলেছিলাম।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৪৬
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: আপনার কথা ঠিক।সীল না থাকা ভুল।কিন্ত এই ভুলটা আমাদের নয় বন বিভাগের।তারা সাইন দিয়েছে কিন্ত সীল না দিয়ে কাগজটি আমাদের ধরিয়ে দিয়েছে।
এই বিষয়টিই মীমাংশা করার চেষ্টা চলছিল।তাদের বলা হয়েছিল বনবিভাগে ফোন দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করতে।কিন্ত তারা রাজি হয়নি ।আমরা কথা বলিয়ে দিতে চাইলেও তারা রাজি হয়নি।
একটা কথা জিগাসা করি?সীল না থাকলে যদি বেশি সমস্যা হয় তাহলে ঢুকতে দেবে না।কিন্ত স্যারের গায়ে হাত তুলবে কেন?আর লাঠি বের করে আক্রমনই বা করবে কেন?
তারা ঝামেলা না বাধালে বন বিভাগ থেকে লোক এসে বিষয়টি মীমাংশা করে যেত কিংবা আমরা বাড়তি টাকা দিয়ে ঢুকতাম।
৩৭| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৩৪
মোমেরমানুষ৭১ বলেছেন: মডুদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। পোস্টটি স্টিকি করা হউক, অবিলম্বে অপরাধীদের গ্রেফতার দাবী করছি
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:১৫
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: ভাই আপনি না প্রথমে আমাদের চুড়ি পড়ার কথা বলেছিলেন?এখন আবার এসব কথা বলছেন কেন ঠিক বুঝলাম না।!!!!!!!!
তবে এটুকু যে বলেছেন তার জন্য ধন্যবাদ।
৩৮| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৩৫
মোমেরমানুষ৭১ বলেছেন: সম্ভব হলে ওদের প্রত্যেকের আলাদা বা স্পষ্ট ছবি প্রকাশ করুন
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৫২
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: সেই চেষ্টা চলছে।হয়ত লক্ষ্য করেছেন টিভি এবং পেপারে এ নিয়ে নিউজ এসেছে।সেসময়ে তোলা সব ভিডিও এবং ছবি সংগ্রহ করে সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো হয়েছে।আশা করি সেখান থেকে তাদের সনাক্ত করা যাবে।
৩৯| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৪৮
বিপ্লব06 বলেছেন: কর্মাচারীদের বারাবাড়িটা এখানে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে। কিন্তু স্যারেরা আরো ভালোভাবে ব্যাপারটাকে ট্যাকল দিতে পারতেন বলে আমি মনে করি।
আহতদের জন্য থাকল সমবেদনা।
সাফারি পার্কের পরিবেশের উন্নতি হউয়া উচিত।
আর ঘটনাটার বিচার হবে না এটা আমরা সবাই জানি।
আপনার গঠনমূলক সমালোচনাকে অ্যাকসেপ্ট করা উচিত। আপনার মতের অপজিশনে কেউ কিছু বললেই সে আপনার শত্রু না। গঠনমূলক সমালোচনা কিন্তু খুব দুর্লভ।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:১১
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: গঠনমুলক সমালোচনার ব্যাপারে আমি আপনার সাথে একমত।কিন্ত ভাইয়া স্যাররা এর চেয়ে ভাল করে ব্যাপারটা ট্যাকল দিতে পারতেন না।তারা চেষ্টা করেছেন বারবার পরিস্থিতি সামলানোর কিন্ত সম্ভব হয়নি।তাদেরকেও এলোপাথারি পেটানো হয়েছে।আমার কথা বিশ্বাস না হলে আজকের কালের কন্ঠ বা প্রথম আলোর নিউজগুলো দেখুন।শেষে তারা সব ছাত্রকে গেটের ভেতরে নিয়ে আসার চেষ্টা করেছেন।
আমরা কেউ ধারনা করতে পারিনি যে তারা হঠাত লাঠি বের করে পেটানো শুরু করবে।এমন পাবলিক প্লেসে পিকনিকে গেলে আপনি কি সেটা ধারনা করতে পারতেন?কত জায়গাতেই তো কথা কাটাকাটি হয় কিন্ত এমনটা হয়না।
ভাইয়া যারা স্যারের গায়ে প্রথমেই হাত তুলেছে আপনার কি মনে হয় তারা স্যারদের কথা শুনবে?তারা যদি স্যারদের কথা শুনত তাহলে কিন্ত এ ঘটনার সূত্রপাত হয় না।
মতের অপজিশনে বললে সে শত্রু নয় এটা ঠিক।কিন্ত বলার ভঙ্গির ভেতরে একটা ব্যাপার আছে।জাবির ছাত্ররা সবক্ষানেই দোষী এটা ধরে নিয়ে যখন অভিযোগ করে কথা বলা হয় তখন তাকে গঠনমুলক সমা্লোচনা বলা যায় না।আর অভিযোগের মধ্যে যদি ভুল থাকে তবে তার প্রতিবাদ জানানো আমার কর্তব্য বলেই মনে করি।
ভাল থাকবেন।কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ।
৪০| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৪১
তুহিন আল মামুন বলেছেন: অনেক দিন হয় ব্লগে আসি না। আজ অনেক দিন পরে ব্লগে ঢুকলাম। ঢুকার পরে একটি বিষয় লক্ষ করলা এই পোস্টিতে গত একদিন সবচেয়ে বেশি কমেন্ট হয়েছে। ব্লগের বিষয়টি সত্যিই দুঃখ জনক। কিন্তু তাতে অনেকই দুঃখ প্রকাশের চেয়ে বেশি আনন্দিত হচ্ছে এবং তাদের কমেন্টস দেখে মনে হচ্ছে তারা সংঘর্ষের পথটাকেই সমর্থন করছে। তবে একথা সত্যি যে - আপনি বাংলাদেশে একটি পার্কও দেখাতে পরবেন না যে - সেখানে ট্যুরিস্টরা নিরাপদ । প্রতিনিয়তই ছিনতাই-রাহাজানি হয় এই সকল জায়গাতে। আমি নতুন কিছু লিখব না, আমি লেখকের হয়ে কয়েকটি কথা বলতে চাই কমেন্টসকারীদের। যদি বলেন আমার এই কমেন্টসটি কমেন্ট পর্যালোচনা তাহলেই মনে হয় ভাল হয়
প্রথমেই পাঠক১৯৭১ কে বলছি- বন বিভাগের স্বীকৃতী পত্রে সীল না থাকাটা একটা ভুল। তবে এই ভুলের জন্য দায়ীকে বনবিভাগ নাকি ছাত্র-ছাত্রীরা। আবার এই কাগজে যে সীল থাকে এটা নিশ্চয় তারদের জানার কথা না করণ তারা নতুন ভিজিটর। আবার ধরুন কথা-কাটাকাটি হচ্ছে তখন যদি আপনার শিক্ষককে তারা আক্রমণ করে তবে আপনি ছাত্র হিসেবে কি করবেন??? লেজ গুটিয়ে পালাবেন???
গোলক ধাঁধা আপনাকে বলছি- অবস্থা যাই হোক কেউ সহিংসতা চায় না। আর এখানে তো সহিংসতার প্রশ্নই আসে না কারণ তারা শিক্ষা সফর ও আনন্দ ভ্রমণে গিয়েছিল। আনন্দ করতে গিয়ে কেউ মারামারি করবে এটা সত্যিই খারাপ একটি বিষয়। আপনার কমেন্টসটা কেমন যেন সহিংসতাকে উষ্কে দিচ্ছে।
বাঁশ আর বাঁশকে বলছি- হ্যাঁ আমিও মানছি এক হাতে তালি বাজে না। তবে এই বিষয়টি আরেক বার পরীক্ষা করুণ। আপনার এক হাত স্থির রাখুন এবং আরেক হাত সজোরে আপনার স্থির হাতের উপর ছুড়ে মারুন দেখুন তালি বাজে কি না??? তালি অবশ্যই বাজবে কিন্তু কথা হলো কার ইচ্ছে ।।। আমি যতদুর জানি এই পার্কের আশে পাশে কখনো পুলিশ থাকে না। অর্থাৎ এখানকার সিকিউরিটি ব্যবস্থা খুবই দূর্বল। তারা ইচ্ছে করলেই আপনার সাথে ঝগড়া লাগতে পারে। ধরুন আপনি আপনার গর্ল ফ্রেন্ড বা বউকে অথবা বোনকে নিয়ে এখানে বেড়াতে গিয়েছেন এর মধ্যে একটা বাজে ছেলে আপনার সাথে যাওয়া মেয়ে লোকদের বাজে কমেন্ট করল। আপনি তা সহ্য করতে না পেরে প্রতিবাদ করলেন ।তারা আপনাকে উত্তম-মাধ্যাম দিয়ে সাথে যা ছিল সব কিছু নিয়ে গেল। এখন নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন তালিতে দুই হাতই লাগে কিন্তু কোন হাতের ইচ্ছে ও লাভ সেটিও বিবেচনা করা দরকার।
বাঁশ আর বাঁশ এর দ্বিতীয় কমেন্টসের জবাবে বলছি- আচ্ছা আপনার সামনে কয়জন পড়ছে যারা দুই টাকার জন্য এই রকম করে???? দেখুন আমার মনে হয় আপনিও এই কাজটি করেছেন অতীতে তাই এতো সুন্দর করে বলতে পেরেছেন। আপনি দুই একজনের জন্য সবাইকে দোষ দিতে পারেনা। আর যদি সেটা হয় আমি নিশ্চিত যে আপনার আত্মীয় স্বজনদের মাঝেও দুই একজন এই রকম আছে- সেই হিসেবে আপনিও এর মধ্যে পড়েন।
মামুন রশিদ ভাই আপনি একে বারে ঠিক কথা বলেছেন- কিছু পাবলিক আছে যারা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বাজে কথা বলতে খুবই ভালবাসে। আমার মনে হয় তাদের একটা দুঃখ আছে- তারা কেউ জাবিতে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে ভর্তি হতে পারে নি।
মাঘের আকাশ নীল আপনি ঠিকই বলেছেন এমন অনেক ব্লগার আছে যাদের স্বভাবই হচ্ছে - ভুল কোথায় সেটা খোজে বের করা এবং অন্যকে খোচানো। অবশ্য এক্ষেত্রে তাদের একটা উদ্দেশ্য থাকতে পারে কারণ এর মধ্যমে খুব তারাতারি ব্লগে পরিচিত পাওয়া যায়। আপনার কমেন্টসাট সত্যি সুন্দর।
পথহার নাবিক আপনার জন্য আমার অনেক কথা রয়েছে- আশা করি সবকিছু বলতে পারব- আপনি নিজে আপনার প্রথম কমেন্টের পরের কমেন্টগুলোতে প্রমাণ করেছেন যে গ্রামের ছেলে মেয়েগুলোকে আপনার মতো শহুরে ইদুর গুলো ভাল চোখে দেখে না। আপনি যদি বাক্য গঠনরীতি বা বাক্য নিয়ে প্রশ্ন করেন তবে সেই প্রশ্ন আমিও আপনাকে করতে পারি। আপনি বলেছেন “বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসলে ভালো ব্যাবহার আর পাঠশালা থেকে আসলে খারাপ ব্যাবহার এইটা কই পাইছেন” এখানে লক্ষ্যনীয় যে- হয় ভাল ব্যবহার পাবে না হয় খারাপ ব্যবহার পাবে - কোন বৈশম্য করা যাবে না। তাই বলছি যেহেতু পার্ক কর্তিপক্ষ ভাল ব্যবহার করে নি তাই বলা যায় তারা সবার সাথে খারাপ ব্যবহার করে। আর আপনি সেই খারপ ব্যবহারকে সমর্থন করছেন। এখন বলেন - যারা এখানে নতুন দর্শনার্থী তারা কি ভাবে জানবে যে এখানে একটি সীল থাকে। আর মানলাম থাকে সেটা যদি ভুল ক্রমে না খেয়ল করা হয় তাহলে সেটা নিয়েতো একটু আলোচনা করতে পারে।আমি যতদুর জানি তারা আলোচনার কোন টাইমই দেয় নি। কাউন্টারের লোকেদের সাথে বনবিভাগের কর্মকর্তাদের ফোনে কথা বলানোর চেষ্টা করা হয়েছিল তাতে তারা রাজি হয় নি। আমি নিজের অভিজ্ঞতা বলি-আমরাও সেখানে গিয়েছিলাম- বনবিভাগের সনদপত্রও দেখিয়ে ছিলাম তা নিয়ে তারা গড়ি মসী করছিল । এজন বলে বসল এটা যদি ছিড়ে ফেলি তাহলে আর কি প্রমাণ আছে আপনাদের কাছে। এখন এখানে যদি কথা বলতে যেতাম তাহলে বুঝুন কি হতো।
পথহারা নাবিক আপনার তিন নাম্বার কমেন্টসে আপনার মুখোশ খুলে গেল যে!!! এখন কি করবেন। গ্রামের ছাত্র-ছাত্রীদের সম্পর্কে আপনার যে সাধারণ ধারণা তার বাস্তব প্রতিফলন ঘটেছে এই কমেন্টসে। এর পরে আপনি যা বলেছেন তা সব মিথ্যা কথা। আমি নিশ্চিত যে আপনিও এই সুন্দর ক্যম্পাসে পড়তে পারেন নি তাই মনের ক্ষোভ মেটাচ্ছেন। ক্ষোভ মেটানো নয় আমি একটা বিষয় খেয়াল করেছি আপনার একটা স্বভাব আছে অন্যকে খোচানো এবং ভুল খোজে বের করা। আপনার ছাগু চ্যপ্টারে আসি- আপনি কাকে ছাগু বলছেন???? এবং কি প্রসঙ্গে বলছেন আমি বুঝলাম না। আমার একটি বিষয় মনে হয় - মানিকে মানিক চিনে, রতনে রতন আর ছাগু চিনে ছাগুরে। আমি নিশ্চিত যে আপনি অত্যান্ত পুরোনো একটি ছাগু কারণ - আপনিই প্রথম তাকে ছাগু বলে অভিহিত করেছেন। চোর কখনো স্বীকার করে না সে চোর। চোর সবসময়ই বলে অন্যের কথা সেই সূত্র মতেও আপনিও একজন ছাগু তাই নিজের কথা স্বীকার না করে অন্যকে ছাগু বলছেন। আরেকটি বিষয় আপনার ভাষার কথা- আপনি তুই-তুকারি শুরু করেছেন যেটি একজন বিবেকবান মানুষের মানায় না। আশা করি আপনি নিজেকে বিবেকহীন প্রমাণ করবে না আমাকে গালি দিয়ে। শিক্ষত লোকেদের কথা বা খোচা হয় শিক্ষত লোকেদের মতো এমন জঘন্য ভাবে নয় যেটি আপনি করেছেন। আপনার চার নাম্বার কমেন্টস- আমি বলছি এই ক্যম্পাসেও কিছু ছেলে আছে ঠিক আপনারই মতো তারা ক্যচাল পছন্দ করে। আবার কিছু আছে ভদ্র ও ভাল। এই আপনার মতো লেকেদের সংখ্যা হাতে গুনা কয়েকজন আর তাদের কারণেই অন্যরা ভোক্ত ভোগী হয়। এখন বলবেন এই কয়েক জনই যথেষ্ট--- আমি আপনাকে বলব আপনার মতো লেকের জন্য সমগ্র দোষ নিতে চাইবে????
দি সুফি - হ্যা মাত্র ১০০০০ টাকা এবং জন প্রতি মাত্র ৪৪টাকা কিন্তু এটাতো শুধু মাত্র প্রধান ফটকের মূল্য । তারপর আরো অনেক ফটক আছে সেখানে আপনাকে বারবার টাকা দিতে হবে ফটকগুলোতে প্রবেশের জন্য। আপনি হয়তো বিশ্বাস করবেন এখনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ৭৫% ছাত্র-ছাত্রী আসে গ্রাম থেকে । আমি এমনো অনেককে চিনি যারা এই বাজারেও মাত্র ২৫০০টাকায় মাস কাটায়। সবাইতো আর পথহারা নাবিকের মতো শহুরে ইদুর না।
সিদ্ধার্থ আপনি আপনার জায়গায় ঠিক আছেন।
ধানের চাষী -- অসাধারণ জবাব
নবিউল করিমকে বলছি- আশা করি উপরের কথা গুলো পড়ে আপনার জন্য কি ধরণের মন্তব্য থাকতে পারে তা বুঝে নিতে পারবেন। আর যদি না বুঝেন তাহলে বলবেন আমি বুঝিয়ে দিব
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:২৬
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: আপনাকে আর কি বলবো?আমার অনেক কথাই আপনি উপরের কমেন্টে বলে দিয়েছেন।
ধন্যবাদ সমস্যাটির প্রকৃত স্বরূপ বোঝার জন্য এবং পাশে থাকার জন্য
৪১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:২৪
পথহারা নাবিক বলেছেন: ওহে দাদা @তুহিল আল মাহমুদ তুমি দেখি উধাও হয়ে গেলে!!
৪২| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:২৫
পথহারা নাবিক বলেছেন: তুমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের কান্ড!!
Click This Link
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৩৬
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: আপনার আবার এলার্জি শুরু হলো দেখছি!!!!!!!
ধান ভানতে শিবের গীত কারা শুরু করে জানেন?যাদের ধান ভানার গীত জানা থাকে না।
৪৩| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:২৪
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: উফ!!!কাল এইরকম একটা দৌড়ানি খেলাম।তারপর সারাটা দিন না খাওয়া অবস্থায় রাত নয়টায় ক্যাম্পাসে পৌঁছে কিছু দানা পানি পেটে দিয়ে প্রথম যে কাজটি করেছি সেটা হচ্ছে এই পোস্ট লেখা।অভুক্ত শরীরে সারাদিনের ধকলের পর টাইপ করতে গিয়ে হাত কাঁপছিল কিন্ত তাও এই পোস্ট টি দিয়েছিলাম মানুষকে জানানোর জন্য যে আমাদের সাথে কি হয়েছে।
তারপর ব্লগে এই ব্যাপারটি নিয়ে নানা প্রকারের ক্যাচাল শুরু হয়ে গেল এবং বরাবর যা হয় তাই হলো।বহুবর্নের ক্যাচালের ভীরে আসল বিষয়টি উধাউ হওয়ার উপক্রম হলো।তাই আমি ভাবলাম এই পোস্টের মূল বিষয়টি নিয়ে একটু আলোচনা করি।
বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্ক এশিয়ার ২য় আর দক্ষিন এশিয়ার বৃহত্তম সাফারী পার্ক।যেটুকু দেখেছি তাতে মনে হয়েছে জায়গাটা আসলেই সুন্দর।বুঝতেই পারছেন এটা আমাদের দেশের একটা সম্পদ।এই স্থানটি সন্ত্রাসীদের হাতে নিয়ন্ত্রিত হওয়া উচিত নয়।
আপনারা অনেকেই অনেক কমেন্ট করেছেন কিন্ত আসল কথা হচ্ছে এটি একটি ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান।তারা মানুষকে বিনোদন মূলক সেবা দেবে।তার বদলে অর্থ উপার্জন করবে।এখানে ঘুরতে আসা মানুষের সাথে তারা যেমন খারাপ আচরন করতে পারেনা,তেমনি তুচ্ছ ঝগড়ার সূচনাতে আক্রমনও করতে পারেনা।এমন করলে কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানই বেশি দিন টিকে থাকতে পারেনা।
সাফারী পার্ক কিন্ত যেন তেন ব্যাপার নয়।অনেক টাকা এবং সময় ব্যয় করে এটি গড়ে তোলা হয়েছে।দেশে যোগ্য লোকের কিন্ত অভাব নেই তা সত্তেও কেন এমন লোকের হাতে পার্কটি ইজারা দেয়া হলো যারা সন্ত্রাসী পোষে?এত্তবড় জায়গাতে কেন সিকিউরিটি ফোর্স নেই?আমাদের সাথে হওয়া ঘটনা থেকে বোঝা যায় এই সন্ত্রাসীরাই এখানে সিকিউরিটির দায়ীত্ব পালন করে।
যারা ঢাকা বা তার আশে পাশে থাকেন তারা অনেকেই কোনোসময় পরিবারের সাথে এই নয়নাভিরাম স্থানটিতে যেতে চাইবেন।কিন্ত আপনার সাথে ঝগড়ার সুযোগে যদি আপনাদের উপর হামলা হয় তবে এর দায়ীত্ব কে নেবে?স্কুল কলেজ থেকে যে ছেলে মেয়েরা আসে তাদের সাথে এমন হলে সেটাই বা কে ঠেকাবে?
প্রশাসন যেন এ ঘটনায় চুপ করে না থাকে এবং পরবর্তিতে এমন ঘটলে তার দায়িত্ব নেয় সেটা নিশ্চিত করার জন্যেই আমার এই পোস্ট টি ছিল।ক্যাচাল না করে একবার ভেবে দেখুন যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের গায়ে সহজে কেউ হাত দেয় না কারন এতে অনেক উচ্চ পর্যায় পর্যন্ত নাড়াচাড়া হয়ে যায়।আর এ বিষয়টা সবাই জানে।এটা সত্তেও তার আমাদের গায়ে হাত তুলেছে।এটা কি প্রমান করেনা যে তারা কত বেপরোয়া?
আসলেই কি আমাদের দেশে এমন খারাপ দিন এসে গেছে যে কোথাও বেড়াতে গিয়ে লাঠির বাড়ি খেতে হবে।আমাদের বেলায় নাহয় অল্পের উপর দিয়ে গেছে কিন্ত এটা নিয়ে যদি উপযুক্ত পদক্ষেপ এখনি না নেয়া হয় তাহলে হয়ত ভবিষ্যতে ওখানে ছাত্রদের লাশ পড়বে।
সকলের কাছে অনুরোধ রাখছি আমরা কি কি ভুল করেছি এবং কি কি করলে ঘটনাটা এড়ানো যেত সেটার চুলচেরা বিশ্লেষনে না গিয়ে কি করে সমস্যাটার সমাধান হয় সেটা ভাবুন।এদের পেছনে কতটা শক্ত প্ল্যাটফর্ম থাকলে এরা দিন দুপুরে সকলের চোখের সামনে মানুষের উপর হামলা করে সেটা ভাবুন।যদি আমাদের ভুল হয়ে থাকে তার খেসারত আমাদের দিতে হয়েছে।এমন ভুল যে অন্য একটা দল করবে না বা তাদের ক্ষেত্রে অবস্থা এর চেয়ে ভয়াবহ হবে না তার নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারবে না।
চেয়েছিলাম লেখাটির সাহায্যে মানুষকে সতর্ক করে প্রশাসনের ঘুম ভাঙ্গাতে।তবে আমরা জাবির ছাত্র হওয়ার দোষেই মনেহয় বিষয়টা খালি ফালতু আলোচনার দিকে যাচ্ছে।
দেখুন এসব আজেবাজে আলোচনা করে কারো কোনো লাভই হবে না।তারচেয়ে একটু গঠন মূলক আলোচনা করলে কিছু হলেও লাভ হতে পারে।
৪৪| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:২৯
আর ভি এফ বলেছেন: গাজীপুরের পার্কে প্রায়ই সমস্যা হয়। কিন্তু এই বার মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। আগেও এখানে ছিনতাই হয়েছে। তবে প্রশাষনের কোন সাহায্য পাওয়া যায় নি কখনই।
৪৫| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:২৯
আর ভি এফ বলেছেন: গাজীপুরের পার্কে প্রায়ই সমস্যা হয়। কিন্তু এই বার মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। আগেও এখানে ছিনতাই হয়েছে। তবে প্রশাষনের কোন সাহায্য পাওয়া যায় নি কখনই।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৯
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: জ্বী এখানে প্রায়ই এমন হয়।প্রশাসন চুপ থাকে বলে তারা এমন মাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পেরেছে।শুনলে অবাক হবেন যে এবারই প্রথম সেখানে পুলিশ গেছে যা আগে কখোনোই হয়নি।
এখন ব্যবস্থা না নিলে দুদিন পর প্রকাশ্যে খুন হবে।
৪৬| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৯
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: সবই মানলাম...জাবি'র পোলাপাইন পুরাই ফাউল, গুন্ডা...
মাইর খাইসে খুব ভাল হইসে...আমার কোন আপত্তি নাই! মার খাইয়া মরুক সব।
কিন্তু, কথা হইলো, কালকা এই ২০/২৫ জন যদি আরেক উসিলায় আপনে আর আপনার ফ্যামিলির উপরে হামলা চালায় তখন কি কইবেন?
তখনতো এই ব্লগে এই লইয়া পোস্ট দিলে পাবলিক কইবো আপনের ফ্যামিলি খারাপ...
আমরা মানুষই খারাপ...
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:০৫
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: ভাল বলেছেন ভাই।
ঠ্যালায় না পড়লে এদের কখোনো বোধোদয় হবেনা।
৪৭| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৬
আল ইফরান বলেছেন: আরে ভাই, মাইরা দুই-চাইরটা কুত্তার লাশ ফালায়া দিয়া আসতে পারলেন না
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৭
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: স্যাররা সবাইকে কন্ট্রোল না করলে লাশ পড়তেও পারত...ওদের বা আমাদের কারো
৪৮| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩০
অবাধ্য সৈনিক বলেছেন: আমি ওখানে গিয়েছিলাম...গেটে লোকদের আচরন আসলেই rough
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৫৫
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য।অন্তত এমন একজনকে পাওয়া গেল যে ওদের আচরন সম্পর্কে কিছু জানে...
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:১৭
গোলক ধাঁধা বলেছেন: ৪ টা বাস নিয়ে গিয়ে ১৫/২০ জন স্থানিয়দের হাতে সাইজ হইলেন