নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তখন ছিল সোনাঝরা বিকেল,উপসাগরীয় বাতাসে ঝিরঝির করে কাঁপছিল নারিকেল পাতাগুলো।সাগর থেকে উঠে আসছিল নোনা গন্ধের বাস্প।তখন একখন্ড প্রবালের উপর বসে রোজি মিষ্টি রোদটুকু উপভোগ করছিল।বাতাসে দুলছিল তার নরম পেলব শুঁড় আর তার বহুরঙ্গা খোলসে রোদ পরে চকচক করছিল।ঠিক এমন মোহনীয় শান্তিময় মুহুর্তে একবালক তার কাছে ছুটে এল এবং মুগ্ধ গলায় বলে উঠল মা দেখ কি সুন্দর একটা শামুক।মা এক নজর তাকিয়ে বললেন,ছিহ! জীবন্ত!তুমি একদম ধরবেনা ওটা।কিন্ত ছেলেটির মুগ্ধতা মায়ের নিষেধ থেকে বেশি জোরালো ছিল।সে মায়ের অন্যমনষ্কতার সুযোগে এক ফাঁকে রোজিকে তুলে নিজের প্যন্টের পকেটে চালান করে দিল।
রোজির কোনো সময়জ্ঞান নেই।তাই সে জানেনা ঠিক কতদিন আগে এক বহুরঙ্গা মা তাকে সমুদ্রগর্ভে জন্ম দিয়েছিল আর কবেই বা সে নোনা পানিতে শুঁড় ভাসিয়ে ভাইবোনদের সাথে প্লাংকটন শিকার করত।তবে যখন এক প্রকান্ড ঢেউ তাকে সমুদ্রগর্ভ থেকে ভাসিয়ে এই সৈকতে এনে ফেলল তখন থেকেই সে এই দ্বীপে বসবাস করছে।রোজি নিতান্তই এক শামুক তাই সে ছেলেটির পকেটের অন্ধকারে খোলসের ভেতর নিজেকে গুটিয়ে এক লম্বা অলসতাময় ঘুমে অনেকটা সময় পাড় করে দিল।তারপর যখন তার চোখ খুলল তখন চারিদিকে চোখ ধাঁধানো দিনের আলো এবং একটু দূরে সাদাকালো ডোরাকাটা একজন লম্বা শুঁড়গুলো বাতাসে ভাসিয়ে তার দিকে ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে আছে।রোজি বাতাস শুঁকে বুঝতে পারে এখানে নোনাগন্ধ নেই,আকাশরঙ্গা নীলজলও উধাও।টবে রাখা গাছপালার ফাঁক দিয়ে একনজর তাকিয়ে সে দেখে লম্বালম্বা কুতসিত সব স্থাপনা।
সেই থেকে রোজি সাদাকালো ডোরাকাটা জনির সাথে সাততলা ফ্লাটটির ব্যালকনিতে গাছপালা ঘেরা এই বাগানের বাসিন্দা।জনি অনেকদিন থেকে এখানে আছে তাই সে অনেক কিছু জানে।তার তুলনায় রোজির নিজেকে অনেক মুর্খ আর গেঁয়ো বলে মনে হয়।কচিপাতার রস খেয়ে আর জনির সাথে গল্প করে তার দিনগুলো বেশ ভালই কেটে যাচ্ছিল।তারপরে একদিন সে দেখে এক অবাক কান্ড।চারিদিকে লাল আর সবুজ রং।অনেক অনেক মানুষ বের হয়েছে রাস্তায়।সবার গায়েই লাল কিংবা সবুজ রঙের জামা।বাড়ির সামনের স্কুল মাঠে ছেলে মেয়েরা করছে নানা রকমের অনুষ্ঠান।মাঠের এক কোনে মেলা বসেছে।কত রকমের মানুষ যে এসেছে সেখানে!সবারই মুখ কেমন হাসি হাসি।এক লোক সবুজ কাপড়ের মাঝে গোল লাল বসানো কাপড় নিয়ে এসেছে।বাবারা ছেলে মেয়েদের সেসব কিনে দিচ্ছে।রোজি অবাক হয়ে জনিকে শুধায় যে কি হয়েছে লোকগুলোর?তারা এত খুশি কেন?জনি হাসিমুখে জানায় আজ তাদের বিজয়ের দিন।অনেক বছর আগে দেশের স্বাধীনতার জন্য অনেক বড় যুদ্ধ হয়েছিল।লড়াই করে যেদিন মানুষগুলো জিতেছিল সেই দিনটিকে তারা এমন আনন্দের সাথে পালন করে।রোজি প্রশ্ন করে দেশ কি?আর স্বাধীনতায় বা কি?জনি ধৈর্য নিয়ে বোঝায় দেশ হল এমন একটা স্থান যেখানে সবাই নিরাপদে নিশ্চিন্তে নির্ভয়ে বসবাস করতে পারে।যেমন ধর এই বাগানটা হচ্ছে আমাদের দেশ।তবে স্বাধীনতার সংজ্ঞা দিতে গিয়ে জনির অনেক ভাবতে হয় তারপর সে একসময় বলে,ধর এই যে এই বাগানে আমরা কারো ক্ষতি না করে নিজের মত থাকতে পারছি,যখন যেখানে ইচ্ছা বেড়াতে পারছি যখন ইচ্ছা খেতে পারছি পেটপুরে, এটাই বোধহয় স্বাধীনতা।রোজি বললো বুঝেছি।জনি বড় ভাবনায় পড়ে যায়।স্বাধীনতার মানে বুঝতে গিয়ে সে কত টেলিভিশন দেখেছে,চুপি চুপি বই এর সেলফ থেকে বই পড়েছে, তারপর গিয়ে এটুকু বুঝতে পেরেছে আর রোজি এত সহজেই এত কঠিন কথা বুঝে গেল!নিচে তখন চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দেয় যে ছেলেগুলো তারা বড় মাইক লাগিয়েছে।সেখানে বাজছে মনোমুগ্ধকর সুরের গান।একটি ছেলে একটি লম্বা লাঠির মাথায় সেই লাল সবুজ কাপড় বেঁধে লাগিয়ে দেয় চায়ের দোকানটির মাথায়।রোজি জিজ্ঞাসা করে ঐ কাপড়টি কি,কি হয় ওটা দিয়ে?জনি উত্তর করে,মানুষরা ওটাকে বলে পতাকা।ওটা দিয়ে কি হয় তা ঠিক জানিনা তবে ওটা অনেক দামী জিনিস।মানুষগুলো ওটাকে অনেক সন্মান করে,এটার সাথে মনেহয় দেশের সন্মান জড়িত।রোজি শুঁড় ঝাঁকিয়ে সব মেনে নেয়।এরপর তারা বারান্দার গ্রিলের উপর বসে বসে উপভোগ করে নিচ থেকে ভেসে আসা মধুর সঙ্গীত আর মানুষের স্বাধীনতার উতসব।
দিন যায়,রাত আসে।কুয়াশা ভেজা শীত কাল চলে গিয়ে বইতে থাকে বসন্তের মৃদু মৃদু হাওয়া।রোজির জনির সাথে ভাব হয়।বসন্ত গিয়ে গ্রীষ্ম আসে সেইসাথে তারা ঘরসংসার করতে শুরু করে।তারপর একদিন রোদজ্বলা সকালে তারা যখন পাতার ছায়ায় বসে বাইরের জনস্রোত দেখছিল তখনি সামনের রাস্তা থেকে বিকট শব্দ আসে।মুহুর্তের মাঝে মানুষগুলো ছত্রভঙ্গ হয়ে দৌড়াতে থাকে দিকবিদিক।একদল মানুষ ছুটে আসে নানারকম লাঠিসোটা নিয়ে।তাদের আঘাতে এলোপাথাড়ি ভাবে যে কত লোক আহত হয় তার ঠিক নেই।লোকগুলো রাস্তায় চলন্ত বাস থামিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় আর মুহুর্তের মাঝেই সেটা এক বিশাল মশালের মত জ্বলতে থাকে।এইসব গন্ডগোলের মধ্যে বিকট শব্দ করে কি একটা যেন ফুটতে থাকে।সামনের চায়ের দোকানে বসে থাকা ছেলেগুলোও তখন যোগ দিয়েছে লোকগুলোর সাথে।তাদের মধ্যে একজন সেই পতাকা টাঙ্গানো লাঠিটি পেড়ে নেয় দোকানের চাল থেকে।লাঠিটি সংগ্রহ করে সে দৌড় দেয় মারামারিতে যোগ দিতে।আর সেই লালসবুজ পতাকা ধুলায় লুটায়।কয়েকজন সেই পতাকার উপর দিয়েই দৌড়িয়ে যায়।রোজি ভয়ে খোলসের মাঝে শরীর গুটিয়ে মাথাটা বের করে তাকিয়ে থাকে ধুলিমলিন পতাকার দিকে।
পরদিন পাশের ফ্লাটে শুরু হয় হইচই।কাদের যেন ছুঁড়ে মারা ইঁটের টুকরায় পাশের বাড়ির ছোট মেয়েটির মুখ থেঁতলে গিয়েছে।মায়ের সাথে স্কুল থেকে ফেরার পথে তার উপরে নেমে এসেছে গজব।পুতুলের মত চেহারার সেই যে ছোট মেয়েটি যে রোজ এই বাসার ছেলেটির সাথে খেলতে আসত,যে একবার রোজির খোলসে হাত বুলিয়ে মুগ্ধ চোখে বলেছিল,কি সুন্দর!সেই সময় রোজি দেখেছিল মেয়েটির চোখগুলো কেমন যেন ভাটার সময় প্রবালের গর্তে আটকে থাকা পানির মত স্বচ্ছ।সেই টলটলে দুচোখের একটি দিয়ে নাকি মেয়েটি আর কখনোই দেখতে পাবে না।
তারপর দিন এই ফ্লাটে নেমে আসে শোকের ছায়া।অফিসে যাওয়ার পথে এই বাড়ির বাবার গাড়িটি কারা যেন পুড়িয়ে দিয়েছে।গাড়ি থেকে বের হতে হতে তার গায়েও নাকি লেগেছে আগুন।ঝলসানো শরীরে নাকি সে এখন জীবন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
আজকাল বাসার মানুষগুলো সারাদিন খালি গম্ভীর মুখে টেলিভিশন দেখে।জনি সারাদিন আজকাল সেখানেই থাকে।সেখানে দেখায় শুধু আগুন,শুধু কান্না আর শুধু মৃত্যু।রাত গভীর হয়ে যখন সমস্ত আলো নিভে গেল তখন বাগানে তাদের ঘরের কাছে বসে আকাশের নক্ষত্র দেখতে দেখতে রোজি জনিকে শুধায় লোকগুলো আজকাল এমন করছে কেন?জনি কয়দিন এই ভয়েই ছিল যে রোজি প্রশ্ন করবে কিন্ত সে নিজেই সবকিছু নিয়ে এত তালগোল পাকিয়ে আছে যে কি বলবে প্রথমে ভেবে পায়না তারপর বলে যে এই লোকগুলো মুক্তি চায়,যারা তাদের শাষন করছে তাদের সাথে এদের মত মিলছে না।রোজি শুধায় যারা শাষন করছে তারা মত মিলায় না কেন?জনি বলে,তারা দুই ভিন্ন পক্ষ।একপক্ষের সাথে অন্য পক্ষের মত কখনোই মিলে না।রোজি প্রশ্ন করে তুমি না বলেছিলে একসময় তারা অন্যদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল তখন তো তাদের মত মিলেছিল?জনি সায় দিয়ে বলে,তাদের পুর্বপুরুষরা এক হয়ে এক সঙ্গে অত্যাচারী লোকদের তাড়িয়ে দিয়েছিল।তখন তাদের অনেক কষ্ট হয়েছিল,অনেকে মরে গিয়েছিল কিন্ত তাদের ইচ্ছাশক্তির জোরে তারা দেশ স্বাধীন করেছিল।রোজি বলে তুমি তো বলেছিলে দেশ মানে ভাল জায়গা আর স্বাধীনতা মানে ভালভাবে বেঁচে থাকা।তারা তো ভালভাবেই বেঁচে ছিল তাহলে আবার কেন লড়াই করছে?জনি উত্তর দিল,তাদের নেতারা বলছে তাই করছে।
ঠিক এইসময় আকাশ থেকে একটা তারা খসে পড়ে ,রোজির মনে পড়ে যায় বহুদুরের নারিকেলের ছায়ায় ঢাকা দ্বীপটির কথা।সেখানে সে রাতের আকাশে এমনি করে তারা খসে পড়া দেখত।সেখানে কি সুন্দর শান্তি ছিল।মানুষগুলো সারাদিন পরিশ্রম করে রাতে নিশ্চিন্তে ঘুমাত।সেখানে রোজি কখনও একজন মানুষ অন্যজনকে আঘাত করছে বা পুড়িয়ে মারছে এমনটি দেখেনি।সেটাই তাহলে আসল দেশ,সেখানেই মনেহয় আছে আসল স্বাধীনতা রোজি ভাবে।সে প্রশ্ন করে তুমি বলেছ তাদের পুর্বপুরুষরা দেশ এনেছিল আর স্বাধীনতা এনেছিল তাহলে এখন তারা দেশ নষ্ট করছে কেন?স্বাধীনতা নষ্ট করছে কেন?জনি এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পায় না,সে নিজেই জিনিসটা বুঝে উঠতে পারে না।রোজি আবার বলে,শাষকরা অত্যাচারী,নেতারা অত্যাচারী তাহলে তারা এদের কথা শোনে কেন?নিজেরাই নিজেদের লোককে মেরে ফেলছে কেন?যখন কিছু খারাপ লোক একটা ভাল লোককে মারে তখন অন্য ভাল লোকরা তাদের বাঁচায় না কেন? অন্য মানুষগুলো এক হয়ে তাদের আগের মত তাড়িয়ে দিচ্ছে না কেন?তাহলেই তো এটা আবার দেশ হয়ে যায়।জনি এবারও কোনো উত্তর দিতে পারে না,তবু বলে এই মানুষরা খুব অদ্ভুত জীব।তাদের অনেকের মধ্যে আছে এক ধ্বংসের বীজ,তারা ধ্বংস করে মজা পায়।তারা আমাদের মত শান্তিতে থাকতে চায় না কাওকে শান্তিতে থাকতে দিতেও চায় না।ইচ্ছা করে একটা নাহলে আর একটা ঝামেলা বাঁধিয়ে রাখে যাতে এই সুযোগে নিজেরা লাভবান হতে পারে।এদের কাছে আছে ক্ষমতা,আছে গোলাবারুদ তাই শান্তিপ্রিয় ভাল লোকগুলি তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে পারেনা।
আকাশে আর একটি তারা খসে পড়ে।রোজি বিসন্ন মুখে দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে,সেই ভাল মানুষগুলোর কাছে তো আমাদের মত খোলসও নেই যে খোলসের মধ্যে গুটিয়ে নিজেকে নিরাপদ রাখবে।তারপরই সে ভাবে,খোলস না থাকলেও তো তারা বাড়ির মধ্য গুটিয়ে বসে আছে।সেই সুযোগে অত্যাচারী লোকগুলো দেশটাকে আর দেশ রাখতে চাইছে না বরং ইচ্ছামত ধ্বংস করছে।জনি তার কথা শুনে হেসে বলে উঠে,আরে পাগল,সৃষ্টিকর্তা আমাদের খোলস দিয়েছেন যাতে বিপদ দেখলে গুটিয়ে যেতে পারি, ওরা তো মানুষ ওদের কি আর খোলসে গুটিয়ে থাকা মানায়?রোজির ভীষন ভয় হয়।সে তো নিতান্তই একটা শামুক ।সে এত কিছু বুঝতে চায় না সে শুধু বোঝে যে খোলসের ভেতরে লুকিয়ে থাকাই সবচেয়ে নিরাপদ ।তাই সেই গভীর রাতে সে তার ছিচল্লিশটা বাচ্চাকে ঘুম থেকে তুলে শিখিয়ে দিতে থাকে কিভাবে বিপদ দেখলে ঝটপট খোলসে লুকিয়ে পড়তে হবে।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০২
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: নিজের জীবনে ভাই শান্তিতেই আছি কিন্ত অন্যদের অকাল মৃত্যু দেখলে শান্তি উধাউ হয়ে যায়।
ভাল থাকবেন।
২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:০৩
মামুন রশিদ বলেছেন: অন্যরকম গল্প ।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৯
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: তাই?
৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০৬
অশ্রু কারিগড় বলেছেন: ভিন্ন স্বাদের গল্প । ভালই লাগল পড়তে । ধন্যবাদ ।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৮
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: ধন্যবাদ সহ শুভেচ্ছা।
৪| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৬
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: এটা আগের চেয়ে ভালো হয়েছে । লিখতে থাকুন । শুভেচ্ছা ।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৭
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: আপনাকেও শুভেচ্ছা।
৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:০২
না পারভীন বলেছেন: বেশ ভাল লগল রোজির গল্প
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:২২
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:০০
হু বলেছেন: সুন্দর গল্প। সাম্প্রতিক সময়ের সাথে মিল রেখে মনে হয় গল্পটা লেখা। সত্যি বলতে কি আমরা আমাদের চারপাশের অনাচার দেখে অভ্যস্ত। আমরা মনুষ্য সমাজ বিপদ দেখলে হাতপা গুটিয়ে ঘরে বসে থাকি। এটাই নিরাপদ, এটাই শান্তি। কিন্তু সত্যিই কি এটা নিরাপদ, সত্যিই কি শান্তির? নিজের মনকে প্রশ্ন করুন উত্তর পেয়ে যাবেন।আপনি কতটুকু শান্তিতে আছেন আমাদের এই দেশে।